Ajker Patrika

ধোবাউড়ায় অস্তিত্বসংকটে ১০ নদ-নদী

কামরুল হাসান, ধোবাউড়া (ময়মনসিংহ) 
আপডেট : ৩০ জানুয়ারি ২০২২, ২১: ৪৬
ধোবাউড়ায় অস্তিত্বসংকটে ১০ নদ-নদী

ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী উপজেলা ধোবাউড়ায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে অন্তত ১০টি নদী। দখল ও দূষণের কারণে নাব্যতা হারিয়ে মরা খালে পরিণত হয়ে মানচিত্র থেকে মুছে যাওয়ার দশা হয়েছে এসব নদ-নদীর। ফলে নদীগুলোতে আগের মতো নেই দেশি মাছ। 

ধোবাউড়ার প্রধান দুটি নদীর একটি কংশ, অপরটি নেতাই। উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে এই নদী দুটির বিস্তৃতি। একসময় উপজেলার গোয়াতলা বাজার থেকে পোড়াকান্দুলিয়া বাজার পর্যন্ত কংশ নদী দিয়ে ব্যাপক নৌ চলাচল ছিল। চলত বাণিজ্যিক কার্যক্রম। তবে এখন বর্ষাকালে মাত্র কয়েক দিনের জন্য আগের মতো কিছু নৌ চলাচল দেখা গেলেও কয়েক দিন পরেই তা আর দেখা যায় না। অপর নদী নেতাই-এর অবস্থা আরও খারাপ। নদী দুটির বিভিন্ন স্থানে দখল, দূষণের কারণে নাব্যতা হারিয়ে বিলীনের পথে এই নদীগুলো। 

উপজেলার ঘোষগাঁও, দক্ষিণ মাইজপাড়া, গামারীতলা ইউনিয়নসহ বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ছিল নেতাই বয়ে চলা। কিন্তু কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দখল আর খননের কোনো উদ্যোগ না থাকায় মরা নদীতে পরিণত হচ্ছে এই নদী। ফলে কৃষিনির্ভর এলাকা হিসেবে বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা। বর্ষাকালে বন্যার পানি আটকে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করায় ভোগান্তিতে পড়তে হয় নদীর তীরবর্তী মানুষদের। এ ছাড়া, সেচ মৌসুমে নদীতে পানি না থাকায়ও ভোগান্তিতে পড়তে হয় কৃষকদের। 

তারাইকান্দি গ্রামের কৃষক মৌলাম হোসেন জানান, ‘তারাই নদী থেকে ফসলের জন্য পানি দিয়ে ফসল ফলাইতাম কিন্তু নদী ভরাট হয়ে দখল হয়ে যাওয়ায় সেই ব্যবস্থা এখন আর নেই।’ 

ধোবাউড়া উপজেলার সাঁতারখালী, ঘাগুটিয়া, তারাই, সুতিয়া, গুদাইরা, প্যাছাইসহ অন্তত ১০টি নদী রয়েছে। এই নদীগুলোর বুকে এখন কেউ কেউ ধান ও কৃষিপণ্য রোপণ করে দখল করে নিয়েছেন। অনেকে ঘের দিয়ে পানি আটকে মাছ ধরেন। সরেজমিনে প্রায় সবগুলো নদীর এই চিত্র চোখে পড়েছে। এতে একদিকে যেমন ফসলের সেচের অভাব দেখা দিয়েছে অন্যদিকে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে দেশি মাছ। 

ঘোষগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ বলেন, ‘ভারত থেকে প্যাছাই নদীতে পানি এলে কৃষকেরা অনেক সুবিধা পেয়ে থাকে কিন্তু খনন করা হলে কৃষকদের জন্য ভালো হতো। আমি ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দ থেকে খননের ব্যবস্থা করব।’ 

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাফিকুজ্জামান বলেন, ‘নদীখননের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে, আশা করছি খনন করা সম্ভব হবে।’ 

উপজেলা চেয়ারম্যান ডেভিড রানা চিসিম জানান, ‘কৃষকদের সুবিধার্থে আমরা ইতিমধ্যে দুই-একটি ছোট নদী খননের উদ্যোগ নিয়েছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

বগুড়ায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা, পাঁচ নেতা-কর্মীকে শোকজ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত