দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার সোমেশ্বরী নদীপারের ভারত সীমান্তবর্তী ভবানীপুর গ্রামের প্রায় আড়াই হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র অবলম্বন কাঠের সেতুটি ভেঙে গেছে। গতকাল মঙ্গলবার সেতুটি পাহাড়ি ঢলে আসা পানির তোড়ে ভেঙে যায়। এতে উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ওই গ্রামের মানুষ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সীমান্তবর্তী অঞ্চলের এই ভবানীপুর গ্রামে যুগ যুগ ধরে বসবাস করে আসছে গারো ও হাজংরা। কিছু বাঙালির ঘরও আছে। এই কাঠের সেতুই গ্রামটির বাসিন্দাদের উপজেলার অন্য অংশে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম। পূর্বে এখানকার মানুষের যাতায়াতের জন্য একটি স্থায়ী পাকা সেতু নির্মাণ করা হয়েছিল। তবে সেটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এরপর সোমেশ্বরী নদীরপারের পাহাড়ি ছড়ার ওপর কাঠ-বাঁশ দিয়ে তৈরি সেতুর ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে ওই গ্রামের বাসিন্দারা। বর্তমানে এটিও ভেঙে পড়ায় যাতায়াত পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
নদীর এপার থেকে কথা হয় ওই গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে। রহমত মিয়া বলেন, ‘যাতায়াতের একমাত্র কাঠের সেতুটি ভেঙে গেছে, যার কারণে শহরসহ গ্রামীণ হাটবাজারের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।’
চিত্রা সাংমা নামের গ্রামটির আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘শহরের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়ায় আমরা খুবই বিপাকে পড়েছি। যত দিন না এখানে সেতু নির্মাণ হবে, তত দিন শহরে যেতে পারব না। তাই আমাদের যাতায়াতের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাচ্ছি।’
স্থানীয় কৃষক হাশেম মিয়া বলেন, ‘চলাচলের একমাত্র সেতুটি ভেঙে পড়ায় কৃষি ও গবাদিপশু নিয়ে কৃষকদেরও বিপাকে পড়তে হচ্ছে।’
সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান মো. সাদেকুল ইসলাম বলেন, কাঠের সেতুটি ভেঙে পড়ায় ওই পাড়ের মানুষ খুবই দুর্ভোগে পড়েছে। ইউএনও স্যার পরিদর্শন করেছেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. খোয়াজুর রহমান বলেন, বর্ডারের আইন রয়েছে, সীমান্তের ১৫০ গজের ভেতরে স্থায়ী সেতু নির্মাণ করা যায় না। তবে জিরো পয়েন্টের বটতলা স্থানে পূর্বের ভেঙে যাওয়া সেতুর নদীর পাড় বাঁধাইয়ের কাজ করবে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এরপর জিরো পয়েন্টের ১৫০ গজ দূরত্বে রাস্তা হয়ে একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণ হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান বলেন, ‘সেতুটি মঙ্গলবার বিকেলে পরিদর্শন করেছি। সেতুটি পাহাড়ি নদীর পানির স্রোতে ভেঙে ওই গ্রামের মানুষের শহরে যাওয়ার পথ বন্ধ হয়ে গেছে। স্রোতের জন্য প্রাথমিকভাবে নৌকা চলাচলের ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘পানির স্রোত কমলেই সেতুটি মেরামত করা হবে। এ ছাড়াও সেখানে একটি স্থায়ী সেতুটি নির্মাণের জন্য এলজিইডির কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার সোমেশ্বরী নদীপারের ভারত সীমান্তবর্তী ভবানীপুর গ্রামের প্রায় আড়াই হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র অবলম্বন কাঠের সেতুটি ভেঙে গেছে। গতকাল মঙ্গলবার সেতুটি পাহাড়ি ঢলে আসা পানির তোড়ে ভেঙে যায়। এতে উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ওই গ্রামের মানুষ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সীমান্তবর্তী অঞ্চলের এই ভবানীপুর গ্রামে যুগ যুগ ধরে বসবাস করে আসছে গারো ও হাজংরা। কিছু বাঙালির ঘরও আছে। এই কাঠের সেতুই গ্রামটির বাসিন্দাদের উপজেলার অন্য অংশে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম। পূর্বে এখানকার মানুষের যাতায়াতের জন্য একটি স্থায়ী পাকা সেতু নির্মাণ করা হয়েছিল। তবে সেটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এরপর সোমেশ্বরী নদীরপারের পাহাড়ি ছড়ার ওপর কাঠ-বাঁশ দিয়ে তৈরি সেতুর ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে ওই গ্রামের বাসিন্দারা। বর্তমানে এটিও ভেঙে পড়ায় যাতায়াত পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
নদীর এপার থেকে কথা হয় ওই গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে। রহমত মিয়া বলেন, ‘যাতায়াতের একমাত্র কাঠের সেতুটি ভেঙে গেছে, যার কারণে শহরসহ গ্রামীণ হাটবাজারের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।’
চিত্রা সাংমা নামের গ্রামটির আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘শহরের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়ায় আমরা খুবই বিপাকে পড়েছি। যত দিন না এখানে সেতু নির্মাণ হবে, তত দিন শহরে যেতে পারব না। তাই আমাদের যাতায়াতের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাচ্ছি।’
স্থানীয় কৃষক হাশেম মিয়া বলেন, ‘চলাচলের একমাত্র সেতুটি ভেঙে পড়ায় কৃষি ও গবাদিপশু নিয়ে কৃষকদেরও বিপাকে পড়তে হচ্ছে।’
সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান মো. সাদেকুল ইসলাম বলেন, কাঠের সেতুটি ভেঙে পড়ায় ওই পাড়ের মানুষ খুবই দুর্ভোগে পড়েছে। ইউএনও স্যার পরিদর্শন করেছেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. খোয়াজুর রহমান বলেন, বর্ডারের আইন রয়েছে, সীমান্তের ১৫০ গজের ভেতরে স্থায়ী সেতু নির্মাণ করা যায় না। তবে জিরো পয়েন্টের বটতলা স্থানে পূর্বের ভেঙে যাওয়া সেতুর নদীর পাড় বাঁধাইয়ের কাজ করবে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এরপর জিরো পয়েন্টের ১৫০ গজ দূরত্বে রাস্তা হয়ে একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণ হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান বলেন, ‘সেতুটি মঙ্গলবার বিকেলে পরিদর্শন করেছি। সেতুটি পাহাড়ি নদীর পানির স্রোতে ভেঙে ওই গ্রামের মানুষের শহরে যাওয়ার পথ বন্ধ হয়ে গেছে। স্রোতের জন্য প্রাথমিকভাবে নৌকা চলাচলের ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘পানির স্রোত কমলেই সেতুটি মেরামত করা হবে। এ ছাড়াও সেখানে একটি স্থায়ী সেতুটি নির্মাণের জন্য এলজিইডির কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
সাতক্ষীরার একমাত্র ভারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলস প্রায় সাত বছর ধরে বন্ধ হয়ে আছে। এতে করে নষ্ট হচ্ছে কোটি কোটি টাকার যন্ত্রপাতি। সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটিতে কাজ করা শ্রমিকদের অনেকে এখন বেকার জীবন কাটাচ্ছেন। তবে কর্তৃপক্ষ দাবি, কারখানার বিশাল প্রাঙ্গণে বেসরকারি সহযোগিতায় একাধিক...
৩ ঘণ্টা আগেসড়কের মধ্যে থেকে বিদ্যুতের খুঁটি অপসারণ না করেই প্রশস্ত করা হচ্ছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ মহাসড়ক। সড়কটি ৬ দশমিক ২ মিটার থেকে উন্নীত করা হচ্ছে ১০ দশমিক ৩ মিটারে। এ অবস্থায় ৪৮১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়ক প্রশস্তকরণের সুফল নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া দুর্ঘটনার ঝুঁকি বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
৩ ঘণ্টা আগেকর্মচারীরা বাতিলের দাবি জানালেও সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ সংশোধন করতে যাচ্ছে সরকার। এই অধ্যাদেশ সংশোধন করে যেসব ধারায় অপপ্রয়োগের সুযোগ রয়েছে, সেখানে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অধ্যাদেশ সংশোধন করে সেখানে কোন কোন বিষয় যুক্ত করা হবে, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তা চূড়ান্ত করবে...
৩ ঘণ্টা আগেউত্তরের সীমান্তঘেঁষা জেলা পঞ্চগড়ে নদী থেকে প্রতিদিন উত্তোলন করা হচ্ছে হাজার হাজার টন বালু। এই বালু এখন আর সীমাবদ্ধ নেই জেলার অভ্যন্তরে বা পাশের কোনো উপজেলায়। তা ছড়িয়ে পড়ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে; বিশেষত ঢাকা, গাজীপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, নাটোর, নওগাঁ, জয়পুরহাটের নির্মাণ প্রকল্পগুলোতে।
৩ ঘণ্টা আগে