ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
যমুনার দুর্গম চরাঞ্চলে ক্যাপসিকাম চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা হৃদয় মিয়া। বেকারত্ব ঘুচিয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্নে ইউটিউবে ভিডিও দেখে বাণিজ্যিকভাবে শুরু করেন চাষাবাদ। প্রাথমিকভাবে ৪০ শতক জমিতে ক্যাপসিকাম বীজ রোপণ করেন। ফলনও হয়েছে বাম্পার।
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার যমুনার মধ্যবর্তী দুর্গম চরাঞ্চল সাপধরী ইউনিয়নের চেঙ্গানিয়া গ্রামের রূপসা চরে ক্যাপসিকাম চাষ শুরু করেন হৃদয়। তিনি ওই গ্রামের বাসিন্দা আবু সাঈদের ছেলে।
সরেজমিন দেখা গেছে, প্রতিটি গাছে ঝুলছে সবুজ রঙের ক্যাপসিকাম। ক্যাপসিকাম খেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন হৃদয় মিয়া। তার হাতের ছোঁয়া আর যত্ন-পরিচর্যায় ক্যাপসিকামের চারাগুলো হয়ে উঠেছে হৃষ্টপুষ্ট।
হৃদয় মিয়া জানান, চারা রোপণের দুই মাস পর থেকেই গাছে ফল ধরা শুরু হয়। ৪০ শতক জমিতে ক্যাপসিকাম চাষে বীজ কেনা, জমি প্রস্তুত, সার, বালাইনাশক ও মালর্চিং পেপার কেনা এবং শেড তৈরিসহ সব মিলিয়ে তার প্রায় ৭০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। যদিও নিজেরা কাজ করায় এর মধ্যে শ্রমিকের খরচ খুব বেশি লাগেনি। চারা রোপণের আড়াই মাস পর থেকে ক্যাপসিকাম বিক্রি শুরু করেন।
তবে ক্যাপসিকাম স্থানীয়ভাবে বিক্রি করা যায় না। বিক্রি করতে হয়েছে ঢাকার কারওয়ান বাজারে। প্রতি মণ ক্যাপসিকাম বিক্রি করা হয়েছে ৮ থেকে ৪ হাজার টাকায়। ইতিমধ্যে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা ক্যাপসিকাম বিক্রি করা হয়েছে। এখন খেতে যে পরিমাণ আছে, এতে অন্তত দেড় লাখ টাকার ক্যাপসিকাম বিক্রি করা যাবে বলে আশা করছেন তিনি।
হৃদয় মিয়ার বাবা আবু সাঈদ বলেন, হৃদয় দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেছে। সে ইউটিউব দেখে আধুনিক পদ্ধতিতে ৪০ শতাংশ জমিতে ক্যাপসিকাম চাষ করেছে। পরিপক্ব হওয়ার প্রতিটি ক্যাপসিকাম ওজন হয় আড়াই শ গ্রাম। যা বাজারে বিক্রি করে পরিবারের অভাব-অনটন ঘুচবে বলে আশাবাদী।
আবু সাঈদ আরও বলেন, ‘স্থানীয় বাসিন্দারা ক্যাপসিকাম সবজিটি খাওয়ায় অভ্যস্ত না থাকায় স্থানীয় কোনো হাট-বাজারে বিক্রি করতে পারছি না। অনেকটা বাধ্য হয়েই বিক্রি করতে হচ্ছে ঢাকার কারওয়ান বাজারে নিয়ে গিয়ে। এতে সময় ও অর্থ দুটোই অপচয় হচ্ছে।’
‘ক্যাপসিকাম পাশাপাশি বিভিন্ন জাতের আধুনিকায়ন পদ্ধতিতে কিছু জমিতে নাগা ফায়ার মরিচ, টমেটো স্মার্ট-১২১৭, নাপসান ফুলকপি ও কিছু জমিতে বিগবস বেগুনের চাষ করেছি। কিন্তু আমাদের এলাকাটি দুর্গম হওয়ায় উৎপাদিত পণ্য সহসায় বিক্রি করা যায় না। বলেন, আবু সাঈদ।
সাপধরী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন বিএসসি বলেন, ‘তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা হৃদয় মিয়ার ক্যাপসিকাম চাষ করা দেখে এলাকাবাসী আনন্দিত। এর আগে আমরা এ জেলায় কোথাও ক্যাপসিকামের চাষ দেখিনি। প্রথমবারের মতো এলাকায় চাষ করায় প্রতিদিনই দূর-দুরান্ত থেকে লোকজন ক্যাপসিকামের খেত দেখতে আসছেন। ইতিমধ্যে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মেহেদী হাসান টিটু ক্যাপসিকাম খেত পরিদর্শন করেছেন। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে স্থানীয় কৃষকেরা ক্যাপসিকাম চাষ বাড়াবে বলেও আমার বিশ্বাস।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ এল এম রেজুওয়ান বলেন, ক্যাপসিকাম উচ্চ মূল্যের একটি নতুন ফসল। এ উপজেলায় প্রথমবার বাণিজ্যিকভাবে এ ফসল চাষ করে সাফল্য লাভ করেছেন তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা হৃদয় মিয়া। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে তাকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে। বাজারে দাম ও চাহিদা ভালো হওয়ায় এ উপজেলায় আগামীতে ক্যাপসিকামের চাষ আরও বাড়বে বলে আশা করছি।’
যমুনার দুর্গম চরাঞ্চলে ক্যাপসিকাম চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা হৃদয় মিয়া। বেকারত্ব ঘুচিয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্নে ইউটিউবে ভিডিও দেখে বাণিজ্যিকভাবে শুরু করেন চাষাবাদ। প্রাথমিকভাবে ৪০ শতক জমিতে ক্যাপসিকাম বীজ রোপণ করেন। ফলনও হয়েছে বাম্পার।
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার যমুনার মধ্যবর্তী দুর্গম চরাঞ্চল সাপধরী ইউনিয়নের চেঙ্গানিয়া গ্রামের রূপসা চরে ক্যাপসিকাম চাষ শুরু করেন হৃদয়। তিনি ওই গ্রামের বাসিন্দা আবু সাঈদের ছেলে।
সরেজমিন দেখা গেছে, প্রতিটি গাছে ঝুলছে সবুজ রঙের ক্যাপসিকাম। ক্যাপসিকাম খেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন হৃদয় মিয়া। তার হাতের ছোঁয়া আর যত্ন-পরিচর্যায় ক্যাপসিকামের চারাগুলো হয়ে উঠেছে হৃষ্টপুষ্ট।
হৃদয় মিয়া জানান, চারা রোপণের দুই মাস পর থেকেই গাছে ফল ধরা শুরু হয়। ৪০ শতক জমিতে ক্যাপসিকাম চাষে বীজ কেনা, জমি প্রস্তুত, সার, বালাইনাশক ও মালর্চিং পেপার কেনা এবং শেড তৈরিসহ সব মিলিয়ে তার প্রায় ৭০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। যদিও নিজেরা কাজ করায় এর মধ্যে শ্রমিকের খরচ খুব বেশি লাগেনি। চারা রোপণের আড়াই মাস পর থেকে ক্যাপসিকাম বিক্রি শুরু করেন।
তবে ক্যাপসিকাম স্থানীয়ভাবে বিক্রি করা যায় না। বিক্রি করতে হয়েছে ঢাকার কারওয়ান বাজারে। প্রতি মণ ক্যাপসিকাম বিক্রি করা হয়েছে ৮ থেকে ৪ হাজার টাকায়। ইতিমধ্যে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা ক্যাপসিকাম বিক্রি করা হয়েছে। এখন খেতে যে পরিমাণ আছে, এতে অন্তত দেড় লাখ টাকার ক্যাপসিকাম বিক্রি করা যাবে বলে আশা করছেন তিনি।
হৃদয় মিয়ার বাবা আবু সাঈদ বলেন, হৃদয় দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেছে। সে ইউটিউব দেখে আধুনিক পদ্ধতিতে ৪০ শতাংশ জমিতে ক্যাপসিকাম চাষ করেছে। পরিপক্ব হওয়ার প্রতিটি ক্যাপসিকাম ওজন হয় আড়াই শ গ্রাম। যা বাজারে বিক্রি করে পরিবারের অভাব-অনটন ঘুচবে বলে আশাবাদী।
আবু সাঈদ আরও বলেন, ‘স্থানীয় বাসিন্দারা ক্যাপসিকাম সবজিটি খাওয়ায় অভ্যস্ত না থাকায় স্থানীয় কোনো হাট-বাজারে বিক্রি করতে পারছি না। অনেকটা বাধ্য হয়েই বিক্রি করতে হচ্ছে ঢাকার কারওয়ান বাজারে নিয়ে গিয়ে। এতে সময় ও অর্থ দুটোই অপচয় হচ্ছে।’
‘ক্যাপসিকাম পাশাপাশি বিভিন্ন জাতের আধুনিকায়ন পদ্ধতিতে কিছু জমিতে নাগা ফায়ার মরিচ, টমেটো স্মার্ট-১২১৭, নাপসান ফুলকপি ও কিছু জমিতে বিগবস বেগুনের চাষ করেছি। কিন্তু আমাদের এলাকাটি দুর্গম হওয়ায় উৎপাদিত পণ্য সহসায় বিক্রি করা যায় না। বলেন, আবু সাঈদ।
সাপধরী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন বিএসসি বলেন, ‘তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা হৃদয় মিয়ার ক্যাপসিকাম চাষ করা দেখে এলাকাবাসী আনন্দিত। এর আগে আমরা এ জেলায় কোথাও ক্যাপসিকামের চাষ দেখিনি। প্রথমবারের মতো এলাকায় চাষ করায় প্রতিদিনই দূর-দুরান্ত থেকে লোকজন ক্যাপসিকামের খেত দেখতে আসছেন। ইতিমধ্যে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মেহেদী হাসান টিটু ক্যাপসিকাম খেত পরিদর্শন করেছেন। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে স্থানীয় কৃষকেরা ক্যাপসিকাম চাষ বাড়াবে বলেও আমার বিশ্বাস।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ এল এম রেজুওয়ান বলেন, ক্যাপসিকাম উচ্চ মূল্যের একটি নতুন ফসল। এ উপজেলায় প্রথমবার বাণিজ্যিকভাবে এ ফসল চাষ করে সাফল্য লাভ করেছেন তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা হৃদয় মিয়া। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে তাকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে। বাজারে দাম ও চাহিদা ভালো হওয়ায় এ উপজেলায় আগামীতে ক্যাপসিকামের চাষ আরও বাড়বে বলে আশা করছি।’
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
৩ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
৩ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
৩ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
৪ ঘণ্টা আগে