Ajker Patrika

স্কুল কমিটির বিরোধে ছাত্রদল নেতাকে কুপিয়ে হত্যা, লাশ নিয়ে বিক্ষোভ

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার মুমুরদিয়া ইউনিয়নে আজ শনিবার ছাত্রদল নেতা আশিক খাঁ খুন হন। পরে তাঁর লাশ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার মুমুরদিয়া ইউনিয়নে আজ শনিবার ছাত্রদল নেতা আশিক খাঁ খুন হন। পরে তাঁর লাশ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটি গঠন নিয়ে পুলিশ, জনপ্রতিনিধি এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে ছাত্রদলের এক নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। এ ঘটনায় বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকসহ তিনজন আহত হন।

আজ শনিবার দুপুরে উপজেলার মুমুরদিয়া ইউনিয়নের চাতল বাগহাটা স্কুল অ্যান্ড কলেজে কমিটি গঠন নিয়ে সভা চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত যুবকের নাম আশিক খাঁ (২০)। তিনি মুমুরদিয়া ইউনিয়ন চাতল গ্রামের আরব আলী খাঁর ছেলে এবং মুমুরদিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।

এদিকে আশিকের লাশ নিয়ে বিক্ষোভ করে কটিয়াদী মডেল থানায় যান ছাত্রদল ও যুবদলের নেতা-কর্মীরা।

আশিকের চাচাতো বোন রিমার অভিযোগ, ‘পুলিশ, ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও দলের নেতা-কর্মীদের সামনে আমার ভাইকে কুপিয়ে জখম করা হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান তিনি। যাঁদের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে, তাঁরা মারামারি শুরু হলেই ভেগে যান। তাঁদের তো কিছু হয়নি, হয়েছে আমার ভাইয়ের। আমার ভাই মরছে। তাঁদের কিছু হবেও না। তাঁরা তলে তলে টাকা দিয়ে দেবেন, বিচার কিছুই হবে না।’

আশিকের মা রিতা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলেকে যারা অকারণে মেরেছে, তাদের বিচার আল্লাহর কাছে চাই। আর মামলা করলে তো টাকা দিলেই সব শেষ। বিচার আর হয় না।’

মুমুরদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলা উদ্দিন সাবেরী বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ে জসিম উদ্দিন দীপক কলেজের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ১৯টি মামলা করেছেন। আওয়ামী লীগের কিছু লোক, যারা এই জসিমকে দিয়ে ১৭ বছর মামলাগুলো করিয়ে অশান্তি সৃষ্টি করেছে। পরে বিদ্যালয়ের কমিটিগুলো ভেঙে যায়।’

আলা উদ্দিন সাবেরী বলেন, ‘এবার আমি অনেক কষ্ট করে কমিটির জন্য একটি তালিকা পাঠিয়েছি। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহসম্পাদক নুরুজ্জামান চন্দনকে ১ নম্বরে, আলী হায়দার বাবলুকে ২ নম্বরে এবং হান্নান সরকারকে ৩ নম্বরে দিয়ে কমিটির তালিকা (সংশ্লিষ্ট দপ্তরে) পাঠাই। পরে আলী হায়দার বাবলু একটি আবেদন করেছেন। কলেজ কর্তৃপক্ষ তাঁকে বাদ দিয়ে ১ নম্বরে চন্দনকে দিয়েছে।’

ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ‘অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বোর্ড থেকে তদন্ত আসে। এরপর আমরা ৫-৬ জন বৈঠকে বসি। এ সময় অনেকে উপস্থিত ছিলেন। তখন আমি বলি, “চেয়ারম্যান হিসেবে বলছি, আপনারা যদি শান্ত থাকেন, তাহলে আপনাদের সবার কথা শুনব। তাঁরাও বলেছেন, কেউ উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করবেন না। পরে হঠাৎ রঞ্জন নামের একজন সমন্বয়ক প্রতিবাদ করলেন। এ সময় নজরুল নামের একজন চিৎকার করে ওঠেন। তখনই চানপুরের ছেলেগুলো দা নিয়ে অতর্কিত হামলা করেন। সব ভিডিওতে আছে। কে কি করেছেন? কলেজে ঢুকে তাঁরা প্রিন্সিপালকেও মারধর করেন।’

কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. তোফাজ্জল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্কুল কমিটি নিয়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এতে আশিক নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। পুলিশ দুজনকে আটক করেছে। এ বিষয়ে অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে কটিয়াদী উপজেলা ছাত্রদল ও যুবদলের নেতা-কর্মীরা আশিকের লাশ কাঁধে নিয়ে বিক্ষোভ করেন। তাঁরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে বের হয়ে বিভিন্ন সড়কে বিক্ষোভ দেখান। পরে আশিকের লাশ নিয়ে বিক্ষোভকারীরা কটিয়াদী মডেল থানায় যান।

কটিয়াদী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান কাঞ্চন বলেন, ‘যারা ঘটনা ঘটিয়েছে, তারা অপরাধী। কাজেই অপরাধীর কোনো ক্ষমা নেই। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও অপরাধীদের শাস্তির দাবি জানাই।’

মুমুরদিয়া ইউনিয়নের চাতল বাগহাটা স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হেমায়েত হোসেন বলেন, ‘হঠাৎ করেই হামলা চালিয়েছে। আমার ওপরও হামলা হয়। আমি গুরুতর আহত। আমি এই ঘটনার বিচার চাই।’

কিশোরগঞ্জের জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শামছুন নাহার মাকছুদা বলেন, ‘আমি আপনার মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি। খোঁজ নিয়ে এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে যুবককে সাজা, ভেকু মেশিন জব্দ

ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি  
অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন। ছবি: আজকের পত্রিকা
অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন। ছবি: আজকের পত্রিকা

ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে মো. হৃদয় আহমেদ (২৬) নামের এক যুবককে অর্থদণ্ড ও কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় বালু তোলার কাজে ব্যবহৃত একটি এক্সকাভেটর (ভেকু মেশিন) জব্দ করা হয়।

গতকাল মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত উপজেলার কানিহারী ইউনিয়নের জিলকী বটতলা এলাকায় উপজেলা প্রশাসন এই অভিযান চালায়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ত্রিশাল উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমান।

সাজাপ্রাপ্ত হৃদয় জিলকী বটতলা এলাকার মো. হেলাল উদ্দিনের ছেলে। ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁকে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ অনুযায়ী ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন।

এসি ল্যান্ড মাহবুবুর রহমান বলেন, জনস্বার্থে এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে, যাতে পরিবেশ ও নদী রক্ষা করা যায় এবং অবৈধ বালু উত্তোলন সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

বাকৃবি প্রতিনিধি 
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) এক ছাত্রীর বিরুদ্ধে গোপনে নারী সহপাঠীদের ছবি তুলে এক সিনিয়র ছাত্রের কাছে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে।

গতকাল মঙ্গলবার ওই ছাত্রীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে ডিনের সঙ্গে বৈঠক করেন অভিযোগকারীরা।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত ছাত্রী বাকৃবি থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। তিনি তাঁর নারী সহপাঠীদের ঘুমন্ত বা ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি গোপনে মোবাইল ফোনে তুলতেন। তাঁর কাছ থেকে যিনি ছবিগুলো গ্রহণ করতেন, তিনি ওই ছাত্রী যে বিভাগে পড়েন, সেই বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র এবং বর্তমানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেকচারার হিসেবে কর্মরত।

ওই ছাত্রী অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবদুল মজিদ। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা অভিযোগ নিয়ে আমার কাছে আসে। আমরা অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর মোবাইল ফোন পরীক্ষা করে ছবি আদান-প্রদানের প্রমাণ পাই। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি স্বীকার করেন যে তিনি মেয়েদের বিভিন্ন ছবি তুলতেন এবং তা এক সিনিয়র ভাইয়ের কাছে পাঠাতেন।’ তিনি আরও বলেন, বর্তমানে মোবাইলটি সিলগালা অবস্থায় ডিন অফিসে সংরক্ষিত রয়েছে। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ ও নিরোধ কমিটির কাছে হস্তান্তর করা হবে।

অভিযুক্ত সিনিয়র শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি মেয়েটির সঙ্গে দীর্ঘদিন কথা বলেছি। সে যেসব ছবি পাঠিয়েছে, আমি তা সংরক্ষণ করিনি। আমার কোনো খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না; তবে আমি আমার কাজের জন্য অনুতপ্ত। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যা সিদ্ধান্ত নেবে, আমি তা মেনে নেব।’

অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর সহপাঠীদের ভাষ্য, ইন্টার্নশিপ চলাকালে ওই ছাত্রীর সন্দেহজনক আচরণ লক্ষ করে তাঁরা তাঁকে নজরদারিতে রাখেন। পরে নিশ্চিত হন যে ওই ছাত্রী মেয়েদের ঘুমন্ত বা অপ্রস্তুত অবস্থার ছবি তুলতেন। বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ার পর তাঁরা বিভাগীয় শিক্ষকদের অবহিত করেন এবং কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজশাহীতে কিশোরীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজশাহীতে মাসুদা পারভিন ওরফে ইভা (১৭) নামের এক কিশোরীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নগরের মতিহার থানার মৌলভী বুধপাড়া এলাকার একটি আমবাগান থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। তার স্বামী মো. দুর্জয়ের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

মৃত ইভা নগরের মেহেরচণ্ডী এলাকার ইকবাল হোসেনের মেয়ে। তার স্বামী দুর্জয়ের বাড়ি রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার কানপাড়া গ্রামে। রাজশাহী নগরের দায়রাপাক এলাকায় এই দম্পতি ভাড়া থাকতেন। ইভা তিন দিন ধরে নিখোঁজ ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেক জানান, দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা আমবাগানে লাশটি দেখতে পান। ইভার মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওসি বলেন, ইভার স্বামী দুর্জয়ের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি পলাতক। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাঁর সম্পৃক্ততা থাকতে পারে। বিষয়টির তদন্ত চলছে। এ নিয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শিশুদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, অর্ধশতাধিক আহত

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি   
উপজেলার মধ্যবাজার এলাকায় সংঘর্ষে জড়ায় দুই গ্রামের বাসিন্দারা। ছবি: আজকের পত্রিকা
উপজেলার মধ্যবাজার এলাকায় সংঘর্ষে জড়ায় দুই গ্রামের বাসিন্দারা। ছবি: আজকের পত্রিকা

হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় দুই শিশুর ঝগড়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত উপজেলার মধ্যবাজার এলাকায় এই সংঘর্ষ চলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বড়ইউড়ি ও বাহুবল গ্রামের দুই শিশুর মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ঝগড়াকে ঘিরে বিকেল থেকে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। সন্ধ্যার পর উভয় গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মধ্যবাজার এলাকায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হন। গুরুতর আহত কয়েকজনকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল, বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য ব্যক্তিদের স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

খবর পেয়ে রাত ১০টার দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বাহুবল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরে রাত ১০টার দিকে সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত