কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জে ভারতীয় অবৈধ চিনির রমরমা কারবার চলছে। সীমান্তপথে চোরাচালানের মাধ্যমে আসা এসব চিনিতে সয়লাব জেলার বড়-ছোটসহ সব পাইকারী বাজার। অভিযোগ উঠেছে, কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমনের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা একটি সিন্ডিকেট এই চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ করছে। এই সিন্ডিকেটে রয়েছেন তাঁর ঘনিষ্ঠজন ও অনুসারী ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন চোরাচালানে আসা ভারতীয় চিনির ট্রাক ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মাধ্যমে পাহারা দিয়ে নিরাপদে বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দেন। এ জন্য তাঁকে ট্রাকপ্রতি ১০ হাজার টাকা দিতে হয়। আর এ টাকা তিনি নিজের ব্যাংক হিসাব ও বিকাশের মাধ্যমে গ্রহণ করেন। তাঁর এই টাকা নেওয়ার প্রমাণ হিসেবে হোয়াটসঅ্যাপ-মেসেঞ্জারের স্ক্রিনশট গতকাল শনিবার রাত থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
সম্প্রতি একটি ভারতীয় চিনির ট্রাক পুলিশের হাতে জব্দ হওয়ার পর চোরাচালান সিন্ডিকেটের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। গত শুক্রবার (১৪ জুন) কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার নগুয়া বগাদিয়া তালতলা এলাকায় পাচারের সময় ভারতীয় চিনি ভর্তি একটি ট্রাক জব্দ করে পুলিশ। এ সময় ট্রাকটির চালক রাতুল ও হেলপার রাজিব এই দুইজনকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় এসআই মো. মারুফ কামাল বাদী হয়ে আটক হওয়া দুজন এবং শহরের নিউটাউন এলাকার জনি (৩৫) নামে এক যুবক ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি আল জুবায়েদ খান নিয়াজ এই চারজনের নামোল্লেখ এবং অজ্ঞাত ৫-৬ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। এতে ক্ষিপ্ত হন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি আল-জুবায়েদ খান নিয়াজের লোকজন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তাঁরা চিনি চোরাচালানের সঙ্গে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন জড়িত দাবি করে নানা রকমের পোস্ট দেওয়া শুরু করেন।
তাঁদের দাবি, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন চিনি চোরাকারবারিতে জড়িত থাকলেও তাকে বাদ দিয়ে তারই প্ররোচণায় পুলিশ মামলায় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আল জুবায়েদ খান নিয়াজকে আসামি করেছে। ফেসবুকে একই রকম পোস্ট দিয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফর রহমান নয়ন। তিনি লিখেছেন, ‘কিশোরগঞ্জে ভারতীয় চোরাই চিনির ব্যবসা করে কে, আর মামলা হয় কার নামে! এই ক্ষমতার খেলা আর বেশি দিন দেখাইতে পারবেন না জনাব।’
এদিকে কেবল অভিযোগ করেই পোস্ট নয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিযোগের পক্ষে তথ্য-প্রমাণও উপস্থাপন করা হচ্ছে। চিনি চোরাকারবারিদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেঞ্জারে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমনের কথোপকথন এবং ব্যাংক একাউন্ট ও বিকাশ একাউন্টে টাকা লেনদেনের স্ক্রিনশট এখন ঘুরছে ফেসবুকের ওয়ালে ওয়ালে।
সরেজমিন জেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শুল্ক ফাঁকি দিয়ে চোরাইপথে আসা ভারতীয় চিনিতে সয়লাব পুরো কিশোরগঞ্জ। অবস্থা এখন এমন দাঁড়িয়েছে, জেলা শহর থেকে উপজেলা, এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়ের বাজার এবং গ্রামের সাধারণ দোকানেও এসব চিনি ছাড়া অন্য কোনো চিনি মিলছে না। জেলা শহরের প্রধান পাইকারি বাজার বড়বাজারেই দৈনিক এক থেকে দেড় কোটি টাকার চোরাই চিনি কেনাবেচা হয় বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। জেলা শহরের বিভিন্ন বাজার, করিমগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর, মরিচখালী ও পাকুন্দিয়া উপজেলার বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এসব এলাকায় দেশীয় পরিশোধিত চিনি ক্রেতারা খুঁজে পাচ্ছেন না। ফলে সবাইকে বাধ্য হয়ে ভারতীয় চিনি কিনতে হচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চারটি উপজেলার ৬-৭টি রুট দিয়ে চোরাই পণ্য ঢুকছে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরে। সবচেয়ে বেশি চিনি আসে চামড়া বন্দর দিয়ে।
অভিযোগ রয়েছে, বিভিন্ন পথে চোরাই চিনি ট্রাকে করে প্রথমে জেলা শহরে প্রবেশ করাচ্ছে ছাত্রলীগের বর্তমান ও সাবেক কয়েক নেতা। এরপর এসব চিনির বস্তা পাল্টিয়ে দেশীয় নানা ব্র্যান্ডের স্টিকারযুক্ত বস্তায় ভরে এগুলো যাচ্ছে বিভিন্ন উপজেলায়, ইউনিয়ন পর্যায়ে এমনকি বিভিন্ন জেলা ও রাজধানী ঢাকাতেও।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শাওন নিলয় ফেসবুকে এক পোস্টে লিখেন, ‘কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন। ইদানিং ভারতীয় চিনি চোরাচালানের রমরমা বাণিজ্য করে আসছে। ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি চরম সংকটে।’
শহরের মানুষের অভিযোগ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্যও এ চোরাচালান চক্রের সঙ্গে যুক্ত। তাঁদের নিষ্ক্রিয়তা ছাড়া চোরাচালানের চিনি কয়েকটি উপজেলা পার হয়ে জেলা শহরের বড়বাজার পর্যন্ত পৌঁছানো সম্ভব নয়।
ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য অনুযায়ী, আগে পুলিশ সদস্যদের ‘ম্যানেজ করে’ সড়কপথে ভৈরব ও নান্দাইল দিয়ে এবং নৌপথে চামড়া বন্দর দিয়ে ভারতীয় চিনি জেলা শহরে আসা হতো। তখন খুব কম সংখ্যক চিনি আসত। ছয় মাস ধরে ছাত্রলীগের কয়েকটি পক্ষ এ প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সীমান্ত দিয়ে চিনির ট্রাক ভৈরব-কিশোরগঞ্জ সড়ক দিয়ে ছাত্রলীগের কিছু কর্মী মোটরসাইকেলের পাহারায় এসব ট্রাক কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের বড় বাজারে নিয়ে আসে। একইভাবে নেত্রকোনা থেকে নান্দাইল দিয়ে আসা চোরাই চিনির ট্রাকগুলোর কিছু পাকুন্দিয়া, হোসেনপুর ও কিছু গাইটাল এলাকা হয়ে ছাত্রলীগের কিছু কর্মী পাহারা বসিয়ে বড় বাজারে নিয়ে আসে। এছাড়া সুনামগঞ্জ থেকে ভারতীয় চিনির ট্রাকগুলো নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া থানা হয়ে কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল ও করিমগঞ্জ উপজেলা দিয়ে জেলা শহরের একরামপুরে ঢুকে। আর এই কাজে নেতৃত্ব দেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে আমার বিরুদ্ধে এসব অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। ব্যাংক কিংবা বিকাশে আমি কোন চিনি ব্যবসায়ী কিংবা চোরাকারবারির কাছ থেকে টাকা নেইনি, নেয়ার প্রশ্নই আসে না। কেননা আমি চিনি চোরাকারবারি সিন্ডিকেটের সঙ্গে কোনোভাবেই যুক্ত নই।’
এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘চিনি চোরাচালানে যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে, তাঁদেরকেই মামলায় আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া মামলার তদন্তে যদি আরো কোন নাম পাওয়া যায়, তাদেরকেও আসামি করা হবে। এখানে পুলিশ কারো দ্বারা কোনভাবে প্রভাবিত হয়নি, আইন অনুযায়ী আমরা কাজ করছি।’
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ বিপিএম-সেবা, পিপিএম (বার) বলেন, ‘চিনি চোরাচালান নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে আছে। আর কঠোর অবস্থানে আছে বলেই অভিযানে চিনি জব্দ হচ্ছে। চোরাচালানের সঙ্গে যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে, তাদেরকেই আইনের আওতায় আনা হবে।’

কিশোরগঞ্জে ভারতীয় অবৈধ চিনির রমরমা কারবার চলছে। সীমান্তপথে চোরাচালানের মাধ্যমে আসা এসব চিনিতে সয়লাব জেলার বড়-ছোটসহ সব পাইকারী বাজার। অভিযোগ উঠেছে, কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমনের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা একটি সিন্ডিকেট এই চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ করছে। এই সিন্ডিকেটে রয়েছেন তাঁর ঘনিষ্ঠজন ও অনুসারী ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন চোরাচালানে আসা ভারতীয় চিনির ট্রাক ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মাধ্যমে পাহারা দিয়ে নিরাপদে বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দেন। এ জন্য তাঁকে ট্রাকপ্রতি ১০ হাজার টাকা দিতে হয়। আর এ টাকা তিনি নিজের ব্যাংক হিসাব ও বিকাশের মাধ্যমে গ্রহণ করেন। তাঁর এই টাকা নেওয়ার প্রমাণ হিসেবে হোয়াটসঅ্যাপ-মেসেঞ্জারের স্ক্রিনশট গতকাল শনিবার রাত থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
সম্প্রতি একটি ভারতীয় চিনির ট্রাক পুলিশের হাতে জব্দ হওয়ার পর চোরাচালান সিন্ডিকেটের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। গত শুক্রবার (১৪ জুন) কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার নগুয়া বগাদিয়া তালতলা এলাকায় পাচারের সময় ভারতীয় চিনি ভর্তি একটি ট্রাক জব্দ করে পুলিশ। এ সময় ট্রাকটির চালক রাতুল ও হেলপার রাজিব এই দুইজনকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় এসআই মো. মারুফ কামাল বাদী হয়ে আটক হওয়া দুজন এবং শহরের নিউটাউন এলাকার জনি (৩৫) নামে এক যুবক ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি আল জুবায়েদ খান নিয়াজ এই চারজনের নামোল্লেখ এবং অজ্ঞাত ৫-৬ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। এতে ক্ষিপ্ত হন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি আল-জুবায়েদ খান নিয়াজের লোকজন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তাঁরা চিনি চোরাচালানের সঙ্গে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন জড়িত দাবি করে নানা রকমের পোস্ট দেওয়া শুরু করেন।
তাঁদের দাবি, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন চিনি চোরাকারবারিতে জড়িত থাকলেও তাকে বাদ দিয়ে তারই প্ররোচণায় পুলিশ মামলায় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আল জুবায়েদ খান নিয়াজকে আসামি করেছে। ফেসবুকে একই রকম পোস্ট দিয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফর রহমান নয়ন। তিনি লিখেছেন, ‘কিশোরগঞ্জে ভারতীয় চোরাই চিনির ব্যবসা করে কে, আর মামলা হয় কার নামে! এই ক্ষমতার খেলা আর বেশি দিন দেখাইতে পারবেন না জনাব।’
এদিকে কেবল অভিযোগ করেই পোস্ট নয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিযোগের পক্ষে তথ্য-প্রমাণও উপস্থাপন করা হচ্ছে। চিনি চোরাকারবারিদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেঞ্জারে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমনের কথোপকথন এবং ব্যাংক একাউন্ট ও বিকাশ একাউন্টে টাকা লেনদেনের স্ক্রিনশট এখন ঘুরছে ফেসবুকের ওয়ালে ওয়ালে।
সরেজমিন জেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শুল্ক ফাঁকি দিয়ে চোরাইপথে আসা ভারতীয় চিনিতে সয়লাব পুরো কিশোরগঞ্জ। অবস্থা এখন এমন দাঁড়িয়েছে, জেলা শহর থেকে উপজেলা, এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়ের বাজার এবং গ্রামের সাধারণ দোকানেও এসব চিনি ছাড়া অন্য কোনো চিনি মিলছে না। জেলা শহরের প্রধান পাইকারি বাজার বড়বাজারেই দৈনিক এক থেকে দেড় কোটি টাকার চোরাই চিনি কেনাবেচা হয় বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। জেলা শহরের বিভিন্ন বাজার, করিমগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর, মরিচখালী ও পাকুন্দিয়া উপজেলার বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এসব এলাকায় দেশীয় পরিশোধিত চিনি ক্রেতারা খুঁজে পাচ্ছেন না। ফলে সবাইকে বাধ্য হয়ে ভারতীয় চিনি কিনতে হচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চারটি উপজেলার ৬-৭টি রুট দিয়ে চোরাই পণ্য ঢুকছে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরে। সবচেয়ে বেশি চিনি আসে চামড়া বন্দর দিয়ে।
অভিযোগ রয়েছে, বিভিন্ন পথে চোরাই চিনি ট্রাকে করে প্রথমে জেলা শহরে প্রবেশ করাচ্ছে ছাত্রলীগের বর্তমান ও সাবেক কয়েক নেতা। এরপর এসব চিনির বস্তা পাল্টিয়ে দেশীয় নানা ব্র্যান্ডের স্টিকারযুক্ত বস্তায় ভরে এগুলো যাচ্ছে বিভিন্ন উপজেলায়, ইউনিয়ন পর্যায়ে এমনকি বিভিন্ন জেলা ও রাজধানী ঢাকাতেও।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শাওন নিলয় ফেসবুকে এক পোস্টে লিখেন, ‘কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন। ইদানিং ভারতীয় চিনি চোরাচালানের রমরমা বাণিজ্য করে আসছে। ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি চরম সংকটে।’
শহরের মানুষের অভিযোগ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্যও এ চোরাচালান চক্রের সঙ্গে যুক্ত। তাঁদের নিষ্ক্রিয়তা ছাড়া চোরাচালানের চিনি কয়েকটি উপজেলা পার হয়ে জেলা শহরের বড়বাজার পর্যন্ত পৌঁছানো সম্ভব নয়।
ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য অনুযায়ী, আগে পুলিশ সদস্যদের ‘ম্যানেজ করে’ সড়কপথে ভৈরব ও নান্দাইল দিয়ে এবং নৌপথে চামড়া বন্দর দিয়ে ভারতীয় চিনি জেলা শহরে আসা হতো। তখন খুব কম সংখ্যক চিনি আসত। ছয় মাস ধরে ছাত্রলীগের কয়েকটি পক্ষ এ প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সীমান্ত দিয়ে চিনির ট্রাক ভৈরব-কিশোরগঞ্জ সড়ক দিয়ে ছাত্রলীগের কিছু কর্মী মোটরসাইকেলের পাহারায় এসব ট্রাক কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের বড় বাজারে নিয়ে আসে। একইভাবে নেত্রকোনা থেকে নান্দাইল দিয়ে আসা চোরাই চিনির ট্রাকগুলোর কিছু পাকুন্দিয়া, হোসেনপুর ও কিছু গাইটাল এলাকা হয়ে ছাত্রলীগের কিছু কর্মী পাহারা বসিয়ে বড় বাজারে নিয়ে আসে। এছাড়া সুনামগঞ্জ থেকে ভারতীয় চিনির ট্রাকগুলো নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া থানা হয়ে কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল ও করিমগঞ্জ উপজেলা দিয়ে জেলা শহরের একরামপুরে ঢুকে। আর এই কাজে নেতৃত্ব দেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে আমার বিরুদ্ধে এসব অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। ব্যাংক কিংবা বিকাশে আমি কোন চিনি ব্যবসায়ী কিংবা চোরাকারবারির কাছ থেকে টাকা নেইনি, নেয়ার প্রশ্নই আসে না। কেননা আমি চিনি চোরাকারবারি সিন্ডিকেটের সঙ্গে কোনোভাবেই যুক্ত নই।’
এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘চিনি চোরাচালানে যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে, তাঁদেরকেই মামলায় আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া মামলার তদন্তে যদি আরো কোন নাম পাওয়া যায়, তাদেরকেও আসামি করা হবে। এখানে পুলিশ কারো দ্বারা কোনভাবে প্রভাবিত হয়নি, আইন অনুযায়ী আমরা কাজ করছি।’
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ বিপিএম-সেবা, পিপিএম (বার) বলেন, ‘চিনি চোরাচালান নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে আছে। আর কঠোর অবস্থানে আছে বলেই অভিযানে চিনি জব্দ হচ্ছে। চোরাচালানের সঙ্গে যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে, তাদেরকেই আইনের আওতায় আনা হবে।’
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জে ভারতীয় অবৈধ চিনির রমরমা কারবার চলছে। সীমান্তপথে চোরাচালানের মাধ্যমে আসা এসব চিনিতে সয়লাব জেলার বড়-ছোটসহ সব পাইকারী বাজার। অভিযোগ উঠেছে, কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমনের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা একটি সিন্ডিকেট এই চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ করছে। এই সিন্ডিকেটে রয়েছেন তাঁর ঘনিষ্ঠজন ও অনুসারী ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন চোরাচালানে আসা ভারতীয় চিনির ট্রাক ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মাধ্যমে পাহারা দিয়ে নিরাপদে বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দেন। এ জন্য তাঁকে ট্রাকপ্রতি ১০ হাজার টাকা দিতে হয়। আর এ টাকা তিনি নিজের ব্যাংক হিসাব ও বিকাশের মাধ্যমে গ্রহণ করেন। তাঁর এই টাকা নেওয়ার প্রমাণ হিসেবে হোয়াটসঅ্যাপ-মেসেঞ্জারের স্ক্রিনশট গতকাল শনিবার রাত থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
সম্প্রতি একটি ভারতীয় চিনির ট্রাক পুলিশের হাতে জব্দ হওয়ার পর চোরাচালান সিন্ডিকেটের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। গত শুক্রবার (১৪ জুন) কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার নগুয়া বগাদিয়া তালতলা এলাকায় পাচারের সময় ভারতীয় চিনি ভর্তি একটি ট্রাক জব্দ করে পুলিশ। এ সময় ট্রাকটির চালক রাতুল ও হেলপার রাজিব এই দুইজনকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় এসআই মো. মারুফ কামাল বাদী হয়ে আটক হওয়া দুজন এবং শহরের নিউটাউন এলাকার জনি (৩৫) নামে এক যুবক ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি আল জুবায়েদ খান নিয়াজ এই চারজনের নামোল্লেখ এবং অজ্ঞাত ৫-৬ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। এতে ক্ষিপ্ত হন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি আল-জুবায়েদ খান নিয়াজের লোকজন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তাঁরা চিনি চোরাচালানের সঙ্গে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন জড়িত দাবি করে নানা রকমের পোস্ট দেওয়া শুরু করেন।
তাঁদের দাবি, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন চিনি চোরাকারবারিতে জড়িত থাকলেও তাকে বাদ দিয়ে তারই প্ররোচণায় পুলিশ মামলায় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আল জুবায়েদ খান নিয়াজকে আসামি করেছে। ফেসবুকে একই রকম পোস্ট দিয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফর রহমান নয়ন। তিনি লিখেছেন, ‘কিশোরগঞ্জে ভারতীয় চোরাই চিনির ব্যবসা করে কে, আর মামলা হয় কার নামে! এই ক্ষমতার খেলা আর বেশি দিন দেখাইতে পারবেন না জনাব।’
এদিকে কেবল অভিযোগ করেই পোস্ট নয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিযোগের পক্ষে তথ্য-প্রমাণও উপস্থাপন করা হচ্ছে। চিনি চোরাকারবারিদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেঞ্জারে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমনের কথোপকথন এবং ব্যাংক একাউন্ট ও বিকাশ একাউন্টে টাকা লেনদেনের স্ক্রিনশট এখন ঘুরছে ফেসবুকের ওয়ালে ওয়ালে।
সরেজমিন জেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শুল্ক ফাঁকি দিয়ে চোরাইপথে আসা ভারতীয় চিনিতে সয়লাব পুরো কিশোরগঞ্জ। অবস্থা এখন এমন দাঁড়িয়েছে, জেলা শহর থেকে উপজেলা, এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়ের বাজার এবং গ্রামের সাধারণ দোকানেও এসব চিনি ছাড়া অন্য কোনো চিনি মিলছে না। জেলা শহরের প্রধান পাইকারি বাজার বড়বাজারেই দৈনিক এক থেকে দেড় কোটি টাকার চোরাই চিনি কেনাবেচা হয় বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। জেলা শহরের বিভিন্ন বাজার, করিমগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর, মরিচখালী ও পাকুন্দিয়া উপজেলার বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এসব এলাকায় দেশীয় পরিশোধিত চিনি ক্রেতারা খুঁজে পাচ্ছেন না। ফলে সবাইকে বাধ্য হয়ে ভারতীয় চিনি কিনতে হচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চারটি উপজেলার ৬-৭টি রুট দিয়ে চোরাই পণ্য ঢুকছে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরে। সবচেয়ে বেশি চিনি আসে চামড়া বন্দর দিয়ে।
অভিযোগ রয়েছে, বিভিন্ন পথে চোরাই চিনি ট্রাকে করে প্রথমে জেলা শহরে প্রবেশ করাচ্ছে ছাত্রলীগের বর্তমান ও সাবেক কয়েক নেতা। এরপর এসব চিনির বস্তা পাল্টিয়ে দেশীয় নানা ব্র্যান্ডের স্টিকারযুক্ত বস্তায় ভরে এগুলো যাচ্ছে বিভিন্ন উপজেলায়, ইউনিয়ন পর্যায়ে এমনকি বিভিন্ন জেলা ও রাজধানী ঢাকাতেও।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শাওন নিলয় ফেসবুকে এক পোস্টে লিখেন, ‘কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন। ইদানিং ভারতীয় চিনি চোরাচালানের রমরমা বাণিজ্য করে আসছে। ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি চরম সংকটে।’
শহরের মানুষের অভিযোগ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্যও এ চোরাচালান চক্রের সঙ্গে যুক্ত। তাঁদের নিষ্ক্রিয়তা ছাড়া চোরাচালানের চিনি কয়েকটি উপজেলা পার হয়ে জেলা শহরের বড়বাজার পর্যন্ত পৌঁছানো সম্ভব নয়।
ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য অনুযায়ী, আগে পুলিশ সদস্যদের ‘ম্যানেজ করে’ সড়কপথে ভৈরব ও নান্দাইল দিয়ে এবং নৌপথে চামড়া বন্দর দিয়ে ভারতীয় চিনি জেলা শহরে আসা হতো। তখন খুব কম সংখ্যক চিনি আসত। ছয় মাস ধরে ছাত্রলীগের কয়েকটি পক্ষ এ প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সীমান্ত দিয়ে চিনির ট্রাক ভৈরব-কিশোরগঞ্জ সড়ক দিয়ে ছাত্রলীগের কিছু কর্মী মোটরসাইকেলের পাহারায় এসব ট্রাক কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের বড় বাজারে নিয়ে আসে। একইভাবে নেত্রকোনা থেকে নান্দাইল দিয়ে আসা চোরাই চিনির ট্রাকগুলোর কিছু পাকুন্দিয়া, হোসেনপুর ও কিছু গাইটাল এলাকা হয়ে ছাত্রলীগের কিছু কর্মী পাহারা বসিয়ে বড় বাজারে নিয়ে আসে। এছাড়া সুনামগঞ্জ থেকে ভারতীয় চিনির ট্রাকগুলো নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া থানা হয়ে কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল ও করিমগঞ্জ উপজেলা দিয়ে জেলা শহরের একরামপুরে ঢুকে। আর এই কাজে নেতৃত্ব দেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে আমার বিরুদ্ধে এসব অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। ব্যাংক কিংবা বিকাশে আমি কোন চিনি ব্যবসায়ী কিংবা চোরাকারবারির কাছ থেকে টাকা নেইনি, নেয়ার প্রশ্নই আসে না। কেননা আমি চিনি চোরাকারবারি সিন্ডিকেটের সঙ্গে কোনোভাবেই যুক্ত নই।’
এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘চিনি চোরাচালানে যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে, তাঁদেরকেই মামলায় আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া মামলার তদন্তে যদি আরো কোন নাম পাওয়া যায়, তাদেরকেও আসামি করা হবে। এখানে পুলিশ কারো দ্বারা কোনভাবে প্রভাবিত হয়নি, আইন অনুযায়ী আমরা কাজ করছি।’
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ বিপিএম-সেবা, পিপিএম (বার) বলেন, ‘চিনি চোরাচালান নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে আছে। আর কঠোর অবস্থানে আছে বলেই অভিযানে চিনি জব্দ হচ্ছে। চোরাচালানের সঙ্গে যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে, তাদেরকেই আইনের আওতায় আনা হবে।’

কিশোরগঞ্জে ভারতীয় অবৈধ চিনির রমরমা কারবার চলছে। সীমান্তপথে চোরাচালানের মাধ্যমে আসা এসব চিনিতে সয়লাব জেলার বড়-ছোটসহ সব পাইকারী বাজার। অভিযোগ উঠেছে, কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমনের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা একটি সিন্ডিকেট এই চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ করছে। এই সিন্ডিকেটে রয়েছেন তাঁর ঘনিষ্ঠজন ও অনুসারী ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন চোরাচালানে আসা ভারতীয় চিনির ট্রাক ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মাধ্যমে পাহারা দিয়ে নিরাপদে বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দেন। এ জন্য তাঁকে ট্রাকপ্রতি ১০ হাজার টাকা দিতে হয়। আর এ টাকা তিনি নিজের ব্যাংক হিসাব ও বিকাশের মাধ্যমে গ্রহণ করেন। তাঁর এই টাকা নেওয়ার প্রমাণ হিসেবে হোয়াটসঅ্যাপ-মেসেঞ্জারের স্ক্রিনশট গতকাল শনিবার রাত থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
সম্প্রতি একটি ভারতীয় চিনির ট্রাক পুলিশের হাতে জব্দ হওয়ার পর চোরাচালান সিন্ডিকেটের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। গত শুক্রবার (১৪ জুন) কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার নগুয়া বগাদিয়া তালতলা এলাকায় পাচারের সময় ভারতীয় চিনি ভর্তি একটি ট্রাক জব্দ করে পুলিশ। এ সময় ট্রাকটির চালক রাতুল ও হেলপার রাজিব এই দুইজনকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় এসআই মো. মারুফ কামাল বাদী হয়ে আটক হওয়া দুজন এবং শহরের নিউটাউন এলাকার জনি (৩৫) নামে এক যুবক ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি আল জুবায়েদ খান নিয়াজ এই চারজনের নামোল্লেখ এবং অজ্ঞাত ৫-৬ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। এতে ক্ষিপ্ত হন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি আল-জুবায়েদ খান নিয়াজের লোকজন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তাঁরা চিনি চোরাচালানের সঙ্গে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন জড়িত দাবি করে নানা রকমের পোস্ট দেওয়া শুরু করেন।
তাঁদের দাবি, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন চিনি চোরাকারবারিতে জড়িত থাকলেও তাকে বাদ দিয়ে তারই প্ররোচণায় পুলিশ মামলায় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আল জুবায়েদ খান নিয়াজকে আসামি করেছে। ফেসবুকে একই রকম পোস্ট দিয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফর রহমান নয়ন। তিনি লিখেছেন, ‘কিশোরগঞ্জে ভারতীয় চোরাই চিনির ব্যবসা করে কে, আর মামলা হয় কার নামে! এই ক্ষমতার খেলা আর বেশি দিন দেখাইতে পারবেন না জনাব।’
এদিকে কেবল অভিযোগ করেই পোস্ট নয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিযোগের পক্ষে তথ্য-প্রমাণও উপস্থাপন করা হচ্ছে। চিনি চোরাকারবারিদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেঞ্জারে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমনের কথোপকথন এবং ব্যাংক একাউন্ট ও বিকাশ একাউন্টে টাকা লেনদেনের স্ক্রিনশট এখন ঘুরছে ফেসবুকের ওয়ালে ওয়ালে।
সরেজমিন জেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শুল্ক ফাঁকি দিয়ে চোরাইপথে আসা ভারতীয় চিনিতে সয়লাব পুরো কিশোরগঞ্জ। অবস্থা এখন এমন দাঁড়িয়েছে, জেলা শহর থেকে উপজেলা, এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়ের বাজার এবং গ্রামের সাধারণ দোকানেও এসব চিনি ছাড়া অন্য কোনো চিনি মিলছে না। জেলা শহরের প্রধান পাইকারি বাজার বড়বাজারেই দৈনিক এক থেকে দেড় কোটি টাকার চোরাই চিনি কেনাবেচা হয় বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। জেলা শহরের বিভিন্ন বাজার, করিমগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর, মরিচখালী ও পাকুন্দিয়া উপজেলার বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এসব এলাকায় দেশীয় পরিশোধিত চিনি ক্রেতারা খুঁজে পাচ্ছেন না। ফলে সবাইকে বাধ্য হয়ে ভারতীয় চিনি কিনতে হচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চারটি উপজেলার ৬-৭টি রুট দিয়ে চোরাই পণ্য ঢুকছে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরে। সবচেয়ে বেশি চিনি আসে চামড়া বন্দর দিয়ে।
অভিযোগ রয়েছে, বিভিন্ন পথে চোরাই চিনি ট্রাকে করে প্রথমে জেলা শহরে প্রবেশ করাচ্ছে ছাত্রলীগের বর্তমান ও সাবেক কয়েক নেতা। এরপর এসব চিনির বস্তা পাল্টিয়ে দেশীয় নানা ব্র্যান্ডের স্টিকারযুক্ত বস্তায় ভরে এগুলো যাচ্ছে বিভিন্ন উপজেলায়, ইউনিয়ন পর্যায়ে এমনকি বিভিন্ন জেলা ও রাজধানী ঢাকাতেও।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শাওন নিলয় ফেসবুকে এক পোস্টে লিখেন, ‘কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন। ইদানিং ভারতীয় চিনি চোরাচালানের রমরমা বাণিজ্য করে আসছে। ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি চরম সংকটে।’
শহরের মানুষের অভিযোগ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্যও এ চোরাচালান চক্রের সঙ্গে যুক্ত। তাঁদের নিষ্ক্রিয়তা ছাড়া চোরাচালানের চিনি কয়েকটি উপজেলা পার হয়ে জেলা শহরের বড়বাজার পর্যন্ত পৌঁছানো সম্ভব নয়।
ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য অনুযায়ী, আগে পুলিশ সদস্যদের ‘ম্যানেজ করে’ সড়কপথে ভৈরব ও নান্দাইল দিয়ে এবং নৌপথে চামড়া বন্দর দিয়ে ভারতীয় চিনি জেলা শহরে আসা হতো। তখন খুব কম সংখ্যক চিনি আসত। ছয় মাস ধরে ছাত্রলীগের কয়েকটি পক্ষ এ প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সীমান্ত দিয়ে চিনির ট্রাক ভৈরব-কিশোরগঞ্জ সড়ক দিয়ে ছাত্রলীগের কিছু কর্মী মোটরসাইকেলের পাহারায় এসব ট্রাক কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের বড় বাজারে নিয়ে আসে। একইভাবে নেত্রকোনা থেকে নান্দাইল দিয়ে আসা চোরাই চিনির ট্রাকগুলোর কিছু পাকুন্দিয়া, হোসেনপুর ও কিছু গাইটাল এলাকা হয়ে ছাত্রলীগের কিছু কর্মী পাহারা বসিয়ে বড় বাজারে নিয়ে আসে। এছাড়া সুনামগঞ্জ থেকে ভারতীয় চিনির ট্রাকগুলো নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া থানা হয়ে কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল ও করিমগঞ্জ উপজেলা দিয়ে জেলা শহরের একরামপুরে ঢুকে। আর এই কাজে নেতৃত্ব দেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে আমার বিরুদ্ধে এসব অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। ব্যাংক কিংবা বিকাশে আমি কোন চিনি ব্যবসায়ী কিংবা চোরাকারবারির কাছ থেকে টাকা নেইনি, নেয়ার প্রশ্নই আসে না। কেননা আমি চিনি চোরাকারবারি সিন্ডিকেটের সঙ্গে কোনোভাবেই যুক্ত নই।’
এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘চিনি চোরাচালানে যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে, তাঁদেরকেই মামলায় আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া মামলার তদন্তে যদি আরো কোন নাম পাওয়া যায়, তাদেরকেও আসামি করা হবে। এখানে পুলিশ কারো দ্বারা কোনভাবে প্রভাবিত হয়নি, আইন অনুযায়ী আমরা কাজ করছি।’
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ বিপিএম-সেবা, পিপিএম (বার) বলেন, ‘চিনি চোরাচালান নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে আছে। আর কঠোর অবস্থানে আছে বলেই অভিযানে চিনি জব্দ হচ্ছে। চোরাচালানের সঙ্গে যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে, তাদেরকেই আইনের আওতায় আনা হবে।’

লক্ষ্মীপুরে অবৈধ ইটভাটা বন্ধে অভিযান শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। আজ শুক্রবার সকাল থেকে রামগতির চর আফজাল ও চর বাদাম এলাকায় দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে এই অভিযান। গত দুই দিনে পাঁচটি অবৈধ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। সপ্তাহব্যাপী এই অভিযান চলবে।
২১ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার সাতগাঁও ইউনিয়নের সাতগাঁও টি কোম্পানির আওতাধীন সাতগাঁও, মাকড়িছড়া ও ইছামতী—তিনটি চা-বাগানের শ্রমিকেরা ১৭ মাসের প্রভিডেন্ট ফান্ড বকেয়া পরিশোধের দাবিতে দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি দিয়ে মানববন্ধন করেছেন।
২৭ মিনিট আগে
বাগেরহাটের রামপালে বাস ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও সাতজন। আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে খুলনা মোংলা মহাসড়কের তেঁতুলিয়া সেতু এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
৩০ মিনিট আগে
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে যাঁরা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন, তাঁরা পতিত স্বৈরাচারের দোসর। জনগণ এখন নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে। এবারের নির্বাচন হবে গ্রহণযোগ্য, উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ।
৪২ মিনিট আগেলক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

লক্ষ্মীপুরে অবৈধ ইটভাটা বন্ধে অভিযান শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। আজ শুক্রবার সকাল থেকে রামগতির চর আফজাল ও চর বাদাম এলাকায় দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে এই অভিযান। গত দুই দিনে পাঁচটি অবৈধ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। সপ্তাহব্যাপী এই অভিযান চলবে।
জানা গেছে, শুধু রামগতি ও কমলনগর উপজেলায় ৫২টি ইটভাটার মধ্যে ৪৯টিসহ জেলায় শতাধিক অবৈধ ইটভাটা রয়েছে। এসব ইটভাটা বন্ধে প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে রামগতির চৌধুরী বাজারে ইটভাটা অভিযানে যাওয়ার সময় প্রশাসনকে অবরুদ্ধ, সড়কে গাছের গুঁড়ি ও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ এবং প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ওপর হামলার চেষ্টার ঘটনায় ৬০০ জন অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে। আজ সকালে লক্ষ্মীপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী বায়োকেমিস্ট মোজাম্মেল হক বাদী হয়ে রামগতি থানায় এই মামলা করেন। তবে দুপুর পর্যন্ত জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কবির হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জড়িতদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে। অপরাধীদের ছাড় দেওয়া হবে না।
লক্ষ্মীপুরের পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হারুন অর রশিদ পাঠান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রামগতি ও কমলনগরে ৫২টি ইটভাটা রয়েছে। এর মধ্যে ৪৯টি অবৈধ। জেলা-উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় এসব ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। টানা সাত দিন অভিযান চলবে। অবৈধ ভাটা ভেঙে দেওয়ার পরেও যাতে চালু করতে না পারে, সে জন্য অভিযান অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি জেলায় প্রায় শতাধিক ইটভাটার কোনো কাগজপত্র নেই; যা সবই অবৈধ।
জানা গেছে, আজ বিকেলে রামগতির চর আফজাল এলাকায় ওয়াহাব ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিয়ে অন্য ভাটায় যাওয়ার সময় চৌধুরী বাজার এলাকায় সড়কে গাছের গুঁড়ি, টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে অভিযানে থাকা কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রাখে কয়েক শ উচ্ছৃঙ্খল জনতা। প্রশাসনের ওপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে শ্রমিক ও এলাকাবাসী। পরে প্রশাসনের আশ্বাসের পর ঘণ্টাখানেক অবরুদ্ধ থাকার পর নিরাপদে উপজেলা কার্যালয়ে পৌঁছান কর্মকর্তারা।

লক্ষ্মীপুরে অবৈধ ইটভাটা বন্ধে অভিযান শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। আজ শুক্রবার সকাল থেকে রামগতির চর আফজাল ও চর বাদাম এলাকায় দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে এই অভিযান। গত দুই দিনে পাঁচটি অবৈধ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। সপ্তাহব্যাপী এই অভিযান চলবে।
জানা গেছে, শুধু রামগতি ও কমলনগর উপজেলায় ৫২টি ইটভাটার মধ্যে ৪৯টিসহ জেলায় শতাধিক অবৈধ ইটভাটা রয়েছে। এসব ইটভাটা বন্ধে প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে রামগতির চৌধুরী বাজারে ইটভাটা অভিযানে যাওয়ার সময় প্রশাসনকে অবরুদ্ধ, সড়কে গাছের গুঁড়ি ও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ এবং প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ওপর হামলার চেষ্টার ঘটনায় ৬০০ জন অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে। আজ সকালে লক্ষ্মীপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী বায়োকেমিস্ট মোজাম্মেল হক বাদী হয়ে রামগতি থানায় এই মামলা করেন। তবে দুপুর পর্যন্ত জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কবির হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জড়িতদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে। অপরাধীদের ছাড় দেওয়া হবে না।
লক্ষ্মীপুরের পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হারুন অর রশিদ পাঠান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রামগতি ও কমলনগরে ৫২টি ইটভাটা রয়েছে। এর মধ্যে ৪৯টি অবৈধ। জেলা-উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় এসব ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। টানা সাত দিন অভিযান চলবে। অবৈধ ভাটা ভেঙে দেওয়ার পরেও যাতে চালু করতে না পারে, সে জন্য অভিযান অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি জেলায় প্রায় শতাধিক ইটভাটার কোনো কাগজপত্র নেই; যা সবই অবৈধ।
জানা গেছে, আজ বিকেলে রামগতির চর আফজাল এলাকায় ওয়াহাব ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিয়ে অন্য ভাটায় যাওয়ার সময় চৌধুরী বাজার এলাকায় সড়কে গাছের গুঁড়ি, টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে অভিযানে থাকা কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রাখে কয়েক শ উচ্ছৃঙ্খল জনতা। প্রশাসনের ওপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে শ্রমিক ও এলাকাবাসী। পরে প্রশাসনের আশ্বাসের পর ঘণ্টাখানেক অবরুদ্ধ থাকার পর নিরাপদে উপজেলা কার্যালয়ে পৌঁছান কর্মকর্তারা।

কিশোরগঞ্জে ভারতীয় অবৈধ চিনির রমরমা কারবার চলছে। সীমান্তপথে চোরাচালানের মাধ্যমে আসা এসব চিনিতে সয়লাব জেলার বড়-ছোটসহ সব পাইকারী বাজার। অভিযোগ উঠেছে, কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমনের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা একটি সিন্ডিকেট এই চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ করছে। এই সিন্ডিকেটে রয়েছেন তাঁর ঘন
১৬ জুন ২০২৪
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার সাতগাঁও ইউনিয়নের সাতগাঁও টি কোম্পানির আওতাধীন সাতগাঁও, মাকড়িছড়া ও ইছামতী—তিনটি চা-বাগানের শ্রমিকেরা ১৭ মাসের প্রভিডেন্ট ফান্ড বকেয়া পরিশোধের দাবিতে দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি দিয়ে মানববন্ধন করেছেন।
২৭ মিনিট আগে
বাগেরহাটের রামপালে বাস ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও সাতজন। আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে খুলনা মোংলা মহাসড়কের তেঁতুলিয়া সেতু এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
৩০ মিনিট আগে
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে যাঁরা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন, তাঁরা পতিত স্বৈরাচারের দোসর। জনগণ এখন নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে। এবারের নির্বাচন হবে গ্রহণযোগ্য, উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ।
৪২ মিনিট আগেমৌলভীবাজার প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার সাতগাঁও ইউনিয়নের সাতগাঁও টি কোম্পানির আওতাধীন সাতগাঁও, মাকড়িছড়া ও ইছামতী—তিনটি চা-বাগানের শ্রমিকেরা ১৭ মাসের প্রভিডেন্ট ফান্ড বকেয়া পরিশোধের দাবিতে দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি দিয়ে মানববন্ধন করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ও আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকালে সাতগাঁও চা-বাগানের দুর্গামন্দির গেটসংলগ্ন সড়কে দুই ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মবিরতি ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাতগাঁও চা-বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি কাজল কালিন্দী, সাধারণ সম্পাদক সুদীপ কৈরী, মাকড়িছড়া পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি কাশী নারায়ণ গড়, সাধারণ সম্পাদক বিমল সাঁওতাল, ইছামতী পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য স্বাধীন চাষা, পঞ্চায়েত সদস্য মন্টু কুর্মী, ইউপি সদস্য ঈশ্বর কালিন্দী, নারী ইউপি সদস্য শান্তনা বাড়াইকসহ শ্রমিক নেতারা।
শ্রমিকদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিতভাবে তাঁদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা ভবিষ্যৎ তহবিলে জমা দেওয়া হচ্ছে না। উপপরিচালক (ডিডিএল) কার্যালয়ে একাধিকবার আলোচনা হলেও মালিকপক্ষ আশ্বাস দিয়ে সময়ক্ষেপণ করে যাচ্ছে।
সাতগাঁও চা-বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুদীপ কৈরী জানান, ১৭ মাস ধরে প্রভিডেন্ট ফান্ডে টাকা জমা হয়নি। এর আগেও ৯ মাসের বকেয়া পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কাগজপত্রে স্বাক্ষর করা হলেও তা পালন করা হয়নি। শ্রমিকদের সীমিত আয়ের এই প্রভিডেন্ট ফান্ডই তাঁদের একমাত্র সঞ্চয়। দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি বলে তিনি মন্তব্য করেন এবং সরকারের ত্বরিত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের বালিশিরা ভ্যালি সভাপতি বিজয় হাজরা বলেন, ৯ মাস বকেয়ার সময় ব্যবস্থাপক তিন মাসের মধ্যে টাকা পরিশোধের লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন প্রায় ১৭ মাস পার হয়ে গেছে, তবুও বকেয়া রয়ে গেছে। মালিকপক্ষের টালবাহানা বন্ধ না হলে শ্রমিকেরা আরও কঠোর আন্দোলনের পথে যেতে বাধ্য হবেন।
এ বিষয়ে সাতগাঁও চা-বাগানের ব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, ধাপে ধাপে প্রভিডেন্ট ফান্ডে টাকা পাঠানো হচ্ছে এবং আগামী জানুয়ারির মধ্যে সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার সাতগাঁও ইউনিয়নের সাতগাঁও টি কোম্পানির আওতাধীন সাতগাঁও, মাকড়িছড়া ও ইছামতী—তিনটি চা-বাগানের শ্রমিকেরা ১৭ মাসের প্রভিডেন্ট ফান্ড বকেয়া পরিশোধের দাবিতে দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি দিয়ে মানববন্ধন করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ও আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকালে সাতগাঁও চা-বাগানের দুর্গামন্দির গেটসংলগ্ন সড়কে দুই ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মবিরতি ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাতগাঁও চা-বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি কাজল কালিন্দী, সাধারণ সম্পাদক সুদীপ কৈরী, মাকড়িছড়া পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি কাশী নারায়ণ গড়, সাধারণ সম্পাদক বিমল সাঁওতাল, ইছামতী পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য স্বাধীন চাষা, পঞ্চায়েত সদস্য মন্টু কুর্মী, ইউপি সদস্য ঈশ্বর কালিন্দী, নারী ইউপি সদস্য শান্তনা বাড়াইকসহ শ্রমিক নেতারা।
শ্রমিকদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিতভাবে তাঁদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা ভবিষ্যৎ তহবিলে জমা দেওয়া হচ্ছে না। উপপরিচালক (ডিডিএল) কার্যালয়ে একাধিকবার আলোচনা হলেও মালিকপক্ষ আশ্বাস দিয়ে সময়ক্ষেপণ করে যাচ্ছে।
সাতগাঁও চা-বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুদীপ কৈরী জানান, ১৭ মাস ধরে প্রভিডেন্ট ফান্ডে টাকা জমা হয়নি। এর আগেও ৯ মাসের বকেয়া পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কাগজপত্রে স্বাক্ষর করা হলেও তা পালন করা হয়নি। শ্রমিকদের সীমিত আয়ের এই প্রভিডেন্ট ফান্ডই তাঁদের একমাত্র সঞ্চয়। দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি বলে তিনি মন্তব্য করেন এবং সরকারের ত্বরিত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের বালিশিরা ভ্যালি সভাপতি বিজয় হাজরা বলেন, ৯ মাস বকেয়ার সময় ব্যবস্থাপক তিন মাসের মধ্যে টাকা পরিশোধের লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন প্রায় ১৭ মাস পার হয়ে গেছে, তবুও বকেয়া রয়ে গেছে। মালিকপক্ষের টালবাহানা বন্ধ না হলে শ্রমিকেরা আরও কঠোর আন্দোলনের পথে যেতে বাধ্য হবেন।
এ বিষয়ে সাতগাঁও চা-বাগানের ব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, ধাপে ধাপে প্রভিডেন্ট ফান্ডে টাকা পাঠানো হচ্ছে এবং আগামী জানুয়ারির মধ্যে সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

কিশোরগঞ্জে ভারতীয় অবৈধ চিনির রমরমা কারবার চলছে। সীমান্তপথে চোরাচালানের মাধ্যমে আসা এসব চিনিতে সয়লাব জেলার বড়-ছোটসহ সব পাইকারী বাজার। অভিযোগ উঠেছে, কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমনের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা একটি সিন্ডিকেট এই চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ করছে। এই সিন্ডিকেটে রয়েছেন তাঁর ঘন
১৬ জুন ২০২৪
লক্ষ্মীপুরে অবৈধ ইটভাটা বন্ধে অভিযান শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। আজ শুক্রবার সকাল থেকে রামগতির চর আফজাল ও চর বাদাম এলাকায় দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে এই অভিযান। গত দুই দিনে পাঁচটি অবৈধ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। সপ্তাহব্যাপী এই অভিযান চলবে।
২১ মিনিট আগে
বাগেরহাটের রামপালে বাস ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও সাতজন। আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে খুলনা মোংলা মহাসড়কের তেঁতুলিয়া সেতু এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
৩০ মিনিট আগে
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে যাঁরা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন, তাঁরা পতিত স্বৈরাচারের দোসর। জনগণ এখন নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে। এবারের নির্বাচন হবে গ্রহণযোগ্য, উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ।
৪২ মিনিট আগেবাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাটের রামপালে বাস ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও সাতজন। আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে খুলনা মোংলা মহাসড়কের তেঁতুলিয়া সেতু এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে মোংলা ইপিজেড ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. এমরান হোসেন জানান, মোংলা থেকে খুলনার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া একটি যাত্রীবাহী বাস মহাসড়কের তেঁতুলিয়া ব্রিজ এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় বাসটি ব্রেক করলে উল্টে পাশের খাদে পড়ে যায়। এতে বাসের দুই যাত্রী ঘটনাস্থলে নিহত হন। গুরুতর আহত হন ৭ জন। আহতদের মধ্যে বাসযাত্রী ও মোটরসাইকেলের আরোহী রয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে রামপাল উপজেলার ঝনঝনিয়া হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের পরিচয় শনাক্তে কাজ চলছে।
ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা এমরান আরও বলেন, মোটরসাইকেলে যাঁরা ছিলেন তাঁরা পর্যটক। তাঁরা সুন্দরবন ভ্রমণের উদ্দেশে মোংলায় যাচ্ছিলেন।
কাটাখালী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাফর আহমেদ বলেন, দুর্ঘটনার ফলে বাসটি খাদে পড়ে যায়। লাশগুলো উদ্ধার করে রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পাঠানো হয়েছে। সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

বাগেরহাটের রামপালে বাস ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও সাতজন। আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে খুলনা মোংলা মহাসড়কের তেঁতুলিয়া সেতু এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে মোংলা ইপিজেড ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. এমরান হোসেন জানান, মোংলা থেকে খুলনার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া একটি যাত্রীবাহী বাস মহাসড়কের তেঁতুলিয়া ব্রিজ এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় বাসটি ব্রেক করলে উল্টে পাশের খাদে পড়ে যায়। এতে বাসের দুই যাত্রী ঘটনাস্থলে নিহত হন। গুরুতর আহত হন ৭ জন। আহতদের মধ্যে বাসযাত্রী ও মোটরসাইকেলের আরোহী রয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে রামপাল উপজেলার ঝনঝনিয়া হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের পরিচয় শনাক্তে কাজ চলছে।
ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা এমরান আরও বলেন, মোটরসাইকেলে যাঁরা ছিলেন তাঁরা পর্যটক। তাঁরা সুন্দরবন ভ্রমণের উদ্দেশে মোংলায় যাচ্ছিলেন।
কাটাখালী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাফর আহমেদ বলেন, দুর্ঘটনার ফলে বাসটি খাদে পড়ে যায়। লাশগুলো উদ্ধার করে রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পাঠানো হয়েছে। সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

কিশোরগঞ্জে ভারতীয় অবৈধ চিনির রমরমা কারবার চলছে। সীমান্তপথে চোরাচালানের মাধ্যমে আসা এসব চিনিতে সয়লাব জেলার বড়-ছোটসহ সব পাইকারী বাজার। অভিযোগ উঠেছে, কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমনের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা একটি সিন্ডিকেট এই চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ করছে। এই সিন্ডিকেটে রয়েছেন তাঁর ঘন
১৬ জুন ২০২৪
লক্ষ্মীপুরে অবৈধ ইটভাটা বন্ধে অভিযান শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। আজ শুক্রবার সকাল থেকে রামগতির চর আফজাল ও চর বাদাম এলাকায় দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে এই অভিযান। গত দুই দিনে পাঁচটি অবৈধ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। সপ্তাহব্যাপী এই অভিযান চলবে।
২১ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার সাতগাঁও ইউনিয়নের সাতগাঁও টি কোম্পানির আওতাধীন সাতগাঁও, মাকড়িছড়া ও ইছামতী—তিনটি চা-বাগানের শ্রমিকেরা ১৭ মাসের প্রভিডেন্ট ফান্ড বকেয়া পরিশোধের দাবিতে দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি দিয়ে মানববন্ধন করেছেন।
২৭ মিনিট আগে
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে যাঁরা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন, তাঁরা পতিত স্বৈরাচারের দোসর। জনগণ এখন নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে। এবারের নির্বাচন হবে গ্রহণযোগ্য, উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ।
৪২ মিনিট আগেনেত্রকোনা প্রতিনিধি

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে যাঁরা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন, তাঁরা পতিত স্বৈরাচারের দোসর। জনগণ এখন নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে। এবারের নির্বাচন হবে গ্রহণযোগ্য, উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ।
আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকালে নেত্রকোনা সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রেস সচিব এসব কথা বলেন।
শফিকুল আলম বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কোনো বিভ্রান্তি বা সংশয়ের অবকাশ নেই। অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি, নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই হবে। এই নির্বাচন ঠেকানোর শক্তি ক্ষমতা কারও নেই। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে সেরা একটি নির্বাচন হবে।’
প্রেস সচিব বলেন, দেশে এখন নির্বাচনের হাওয়া বইছে, সবাই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক রয়েছে। সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সুশৃঙ্খল পরিবেশ বজায় রাখতে সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছে।
মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান, পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদসহ জেলার সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের কাছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নিয়োগবিধিমালা ২০২৩-এর সব টেকনিক্যাল পদগুলো অন্তর্ভুক্ত করে নিয়োগবিধিমালা সংশোধন ও দ্রুত নিয়োগের দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ সকালে নেত্রকোনা সার্কিট হাউসে প্রেস সচিবের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন নেত্রকোনার ইনস্টিটিউট অব লাইভস্টক সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (আইএলএসটি) শিক্ষার্থীরা।
স্মারকলিপি দেওয়ার সময় শিক্ষার্থী সোহেল রানা বলেন, আইএলএসটি শিক্ষার্থীরা চার বছরমেয়াদি শিক্ষা ও হাতে-কলমে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মাঠপর্যায়ে কর্মদক্ষতা অর্জন করছে। তবে অত্যন্ত দুঃখজনক, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নিয়োগবিধিমালা ২০২৩ ডিপ্লোমা ইন লাইফস্টক ডিগ্রিধারীদের জন্য কোনো নিয়োগের সুযোগ রাখা হয়নি। বর্তমানে দুটি প্রাথমিক প্রতিষ্ঠান থেকে উত্তীর্ণ সাতটি ব্যাচের ডিপ্লোমাধারী শিক্ষার্থীরা বেকার অবস্থায় রয়েছেন।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে শফিকুল আলম বলেন, ‘স্মারকলিপি নিয়ে গেলাম। ঢাকায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরে স্মারকলিপিটি পৌঁছে দেব।’

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে যাঁরা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন, তাঁরা পতিত স্বৈরাচারের দোসর। জনগণ এখন নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে। এবারের নির্বাচন হবে গ্রহণযোগ্য, উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ।
আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকালে নেত্রকোনা সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রেস সচিব এসব কথা বলেন।
শফিকুল আলম বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কোনো বিভ্রান্তি বা সংশয়ের অবকাশ নেই। অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি, নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই হবে। এই নির্বাচন ঠেকানোর শক্তি ক্ষমতা কারও নেই। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে সেরা একটি নির্বাচন হবে।’
প্রেস সচিব বলেন, দেশে এখন নির্বাচনের হাওয়া বইছে, সবাই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক রয়েছে। সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সুশৃঙ্খল পরিবেশ বজায় রাখতে সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছে।
মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান, পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদসহ জেলার সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের কাছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নিয়োগবিধিমালা ২০২৩-এর সব টেকনিক্যাল পদগুলো অন্তর্ভুক্ত করে নিয়োগবিধিমালা সংশোধন ও দ্রুত নিয়োগের দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ সকালে নেত্রকোনা সার্কিট হাউসে প্রেস সচিবের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন নেত্রকোনার ইনস্টিটিউট অব লাইভস্টক সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (আইএলএসটি) শিক্ষার্থীরা।
স্মারকলিপি দেওয়ার সময় শিক্ষার্থী সোহেল রানা বলেন, আইএলএসটি শিক্ষার্থীরা চার বছরমেয়াদি শিক্ষা ও হাতে-কলমে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মাঠপর্যায়ে কর্মদক্ষতা অর্জন করছে। তবে অত্যন্ত দুঃখজনক, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নিয়োগবিধিমালা ২০২৩ ডিপ্লোমা ইন লাইফস্টক ডিগ্রিধারীদের জন্য কোনো নিয়োগের সুযোগ রাখা হয়নি। বর্তমানে দুটি প্রাথমিক প্রতিষ্ঠান থেকে উত্তীর্ণ সাতটি ব্যাচের ডিপ্লোমাধারী শিক্ষার্থীরা বেকার অবস্থায় রয়েছেন।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে শফিকুল আলম বলেন, ‘স্মারকলিপি নিয়ে গেলাম। ঢাকায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরে স্মারকলিপিটি পৌঁছে দেব।’

কিশোরগঞ্জে ভারতীয় অবৈধ চিনির রমরমা কারবার চলছে। সীমান্তপথে চোরাচালানের মাধ্যমে আসা এসব চিনিতে সয়লাব জেলার বড়-ছোটসহ সব পাইকারী বাজার। অভিযোগ উঠেছে, কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমনের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা একটি সিন্ডিকেট এই চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ করছে। এই সিন্ডিকেটে রয়েছেন তাঁর ঘন
১৬ জুন ২০২৪
লক্ষ্মীপুরে অবৈধ ইটভাটা বন্ধে অভিযান শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। আজ শুক্রবার সকাল থেকে রামগতির চর আফজাল ও চর বাদাম এলাকায় দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে এই অভিযান। গত দুই দিনে পাঁচটি অবৈধ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। সপ্তাহব্যাপী এই অভিযান চলবে।
২১ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার সাতগাঁও ইউনিয়নের সাতগাঁও টি কোম্পানির আওতাধীন সাতগাঁও, মাকড়িছড়া ও ইছামতী—তিনটি চা-বাগানের শ্রমিকেরা ১৭ মাসের প্রভিডেন্ট ফান্ড বকেয়া পরিশোধের দাবিতে দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি দিয়ে মানববন্ধন করেছেন।
২৭ মিনিট আগে
বাগেরহাটের রামপালে বাস ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও সাতজন। আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে খুলনা মোংলা মহাসড়কের তেঁতুলিয়া সেতু এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
৩০ মিনিট আগে