কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়া–৩ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহবুবউল আলম হানিফের নির্বাচনী সভায় নারী ভোটার ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের উদ্দেশ্য করে হুমকি দিয়ে অশালীন ভাষায় বক্তব্যে দিয়েছেন এক কাউন্সিলর। এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় স্বতন্ত্র প্রার্থী পারভেজ আনোয়ার তনু (ঈগল) নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার রাতে কুষ্টিয়া পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ মাহবুবউল আলম হানিফের সমর্থনে আড়ুয়াপাড়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে এক নির্বাচনী সভার আয়োজন করে। সেখানে এ বক্তব্য দেন পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ কৌশিক আহমেদ ওরফে বিচ্ছু।
সভায় হানিফ ছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি রবিউল ইসলাম, অনুপ কুমার নন্দী, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, কোষাধ্যক্ষ অজয় সুরেকাসহ জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
ওই পথ সভায় কাউন্সিলর শেখ কৌশিক আহমেদ ওরফে বিচ্ছু তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘প্রত্যেক ওয়ার্ডেই দু-চারটে লোক থাকে। তাদের উদ্দেশ্য হলো নৌকার ব্যাচ পরে ওই কি পাখি (স্বতন্ত্র প্রার্থী পারভেজ আনোয়ার তনুর প্রতীক ঈগল) আছে, সেই পাখিকে ভোট দেবে। সেই সব লোকদের উদ্দেশ্যে আমি বলতে চাই, নেতা আপনার কাছে আমি অনুমতি চাই। এই সব লোক যদি ধরা পড়ে, আমরা কিন্তু পিটাইয়ে তাদের.... . (অশ্রাব্য শব্দ) চামড়া তুলে ফেলব।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভোটের দিন সবাই বিশেষ করে মেয়েদের উদ্দেশ্যে আমার বলা, আপনারা সকাল সকাল ভোট কেন্দ্রে চলে আসবেন। এসে কোনো কথা নাই। নৌকার ওপর সবার সামনেই সিল মারবেন, হানিফ সাহেবকে সিল মারবেন। আমার কথা হচ্ছে আপনাদের বিপদ–আপদে আমরা থাকি। আর আমাদের বিপদ আপদে তাঁরা (মঞ্চের নেতাদের দিকে ইঙ্গিত করে) থাকেন। ওই কারণে আমাদের মাজা (কোমর) যদি শক্ত থাকে তাহলেই তো আপনাদের বিপদ আপদে উদ্ধার করব। তাই আমাদের মাজা শক্ত করতে হলে হানিফ সাহেবকে এই ওয়ার্ডে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করতে হবে।’
এ ঘটনায় রাতেই স্বতন্ত্র প্রার্থী পারভেজ আনোয়ার তনুর পক্ষে নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে স্বতন্ত্র প্রার্থী পারভেজ আনোয়ার তনু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষ নেতা ও নৌকার প্রার্থী মাহবুবউল আলম হানিফের সামনে প্রকাশ্যে সিল মারা যে বক্তব্য দেওয়া হয়েছে তা সুষ্ঠু ভোটের জন্য অন্তরায়। ভোটারদের মধ্যে ভীতি ছড়াতেই এই বক্তব্য দেওয়া হয়েছে বলে আমার ধারণা। আমি ওই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।’
এ বিষয়ে জানতে কুষ্টিয়া জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজাকে মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য, কুষ্টিয়া–৩ (সদর) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মাহবুবউল আলম হানিফ (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও পাঁচবারের পৌর মেয়র আনোয়ার আলীর ছেলে পারভেজ আনোয়ার তনু (ঈগল), ন্যাশনাল পিপলস পার্টি মো. ফরিদ উদ্দিন শেখ (আম), বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন মেহেদী হাসান রিজভী (ফুলের মালা), বিএনএফ থেকে কে এম জহরুল ইসলাম (টেলিভিশন)।
কুষ্টিয়া–৩ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহবুবউল আলম হানিফের নির্বাচনী সভায় নারী ভোটার ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের উদ্দেশ্য করে হুমকি দিয়ে অশালীন ভাষায় বক্তব্যে দিয়েছেন এক কাউন্সিলর। এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় স্বতন্ত্র প্রার্থী পারভেজ আনোয়ার তনু (ঈগল) নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার রাতে কুষ্টিয়া পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ মাহবুবউল আলম হানিফের সমর্থনে আড়ুয়াপাড়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে এক নির্বাচনী সভার আয়োজন করে। সেখানে এ বক্তব্য দেন পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ কৌশিক আহমেদ ওরফে বিচ্ছু।
সভায় হানিফ ছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি রবিউল ইসলাম, অনুপ কুমার নন্দী, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, কোষাধ্যক্ষ অজয় সুরেকাসহ জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
ওই পথ সভায় কাউন্সিলর শেখ কৌশিক আহমেদ ওরফে বিচ্ছু তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘প্রত্যেক ওয়ার্ডেই দু-চারটে লোক থাকে। তাদের উদ্দেশ্য হলো নৌকার ব্যাচ পরে ওই কি পাখি (স্বতন্ত্র প্রার্থী পারভেজ আনোয়ার তনুর প্রতীক ঈগল) আছে, সেই পাখিকে ভোট দেবে। সেই সব লোকদের উদ্দেশ্যে আমি বলতে চাই, নেতা আপনার কাছে আমি অনুমতি চাই। এই সব লোক যদি ধরা পড়ে, আমরা কিন্তু পিটাইয়ে তাদের.... . (অশ্রাব্য শব্দ) চামড়া তুলে ফেলব।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভোটের দিন সবাই বিশেষ করে মেয়েদের উদ্দেশ্যে আমার বলা, আপনারা সকাল সকাল ভোট কেন্দ্রে চলে আসবেন। এসে কোনো কথা নাই। নৌকার ওপর সবার সামনেই সিল মারবেন, হানিফ সাহেবকে সিল মারবেন। আমার কথা হচ্ছে আপনাদের বিপদ–আপদে আমরা থাকি। আর আমাদের বিপদ আপদে তাঁরা (মঞ্চের নেতাদের দিকে ইঙ্গিত করে) থাকেন। ওই কারণে আমাদের মাজা (কোমর) যদি শক্ত থাকে তাহলেই তো আপনাদের বিপদ আপদে উদ্ধার করব। তাই আমাদের মাজা শক্ত করতে হলে হানিফ সাহেবকে এই ওয়ার্ডে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করতে হবে।’
এ ঘটনায় রাতেই স্বতন্ত্র প্রার্থী পারভেজ আনোয়ার তনুর পক্ষে নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে স্বতন্ত্র প্রার্থী পারভেজ আনোয়ার তনু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষ নেতা ও নৌকার প্রার্থী মাহবুবউল আলম হানিফের সামনে প্রকাশ্যে সিল মারা যে বক্তব্য দেওয়া হয়েছে তা সুষ্ঠু ভোটের জন্য অন্তরায়। ভোটারদের মধ্যে ভীতি ছড়াতেই এই বক্তব্য দেওয়া হয়েছে বলে আমার ধারণা। আমি ওই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।’
এ বিষয়ে জানতে কুষ্টিয়া জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজাকে মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য, কুষ্টিয়া–৩ (সদর) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মাহবুবউল আলম হানিফ (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও পাঁচবারের পৌর মেয়র আনোয়ার আলীর ছেলে পারভেজ আনোয়ার তনু (ঈগল), ন্যাশনাল পিপলস পার্টি মো. ফরিদ উদ্দিন শেখ (আম), বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন মেহেদী হাসান রিজভী (ফুলের মালা), বিএনএফ থেকে কে এম জহরুল ইসলাম (টেলিভিশন)।
রাজশাহীর তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কলমা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে তানোর থানার একটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মাইনুল। এ মামলায় তিনি জামিনে ছিলেন। তারপরেও তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
৩২ মিনিট আগেপ্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, আশরাফুল সকালে পুকুরপাড়ে হাঁটছিলেন। এ সময় চোখে-মুখে পানি দিতে পুকুরে নামেন। পরে হঠাৎ তিনি পানিতে তলিয়ে যান। বিষয়টি দেখে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে পাড়ে তোলে। তখনই দেখা যায়, তিনি মারা গেছেন।
১ ঘণ্টা আগেসুমন তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলে শহীদ আবু সাঈদের একটি ছবি যুক্ত করে তাতে অশালীন মন্তব্য ও ব্যঙ্গাত্মক ইমোজি পোস্ট করেন। এতে স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর শুক্রবার রাতেই কেন্দুয়া শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন ‘জুলাই যোদ্ধারা’। তাঁরা শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে অভি
১ ঘণ্টা আগেঠোঁটারপাড়া ও জামাল পুরের কয়েক মাদক ব্যবসায়ীর সঙ্গে মহন ও হৃদয়ের মাদক ব্যবসা নিয়ে অনেক দিন ধরেই বিরোধ চলছিল। ঘটনার দিন মহন ও হৃদয় তাদের জনি নামের এক বন্ধুর অসুস্থ দাদাকে দেখতে ঠোঁটারপাড়ায় যান। বন্ধুর বাড়ি থেকে ফেরার পথে মহন ও হৃদয়ের ওপর প্রতিপক্ষের লোকজন ঠোঁটারপাড়া মাঠে গুলি ছোঁড়ে। গুলির শব্দ শুনে জন
১ ঘণ্টা আগে