Ajker Patrika

ইবিতে চার দশকেও হয়নি গবেষণা সেল

পল্লব আহমেদ সিয়াম, ইবি 
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) প্রতিষ্ঠার চার দশকের বেশি সময় পার হলেও বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নেই গবেষণা সেল। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

গবেষণা সেল হচ্ছে একটি প্রতিষ্ঠানের গবেষণা সংক্রান্ত বিভাগ। যা গবেষণা প্রকল্প ব্যবস্থাপনা, পর্যবেক্ষণ, চৌর্যবৃত্তি রোধ, অর্থায়ন ও মান উন্নয়নের বিষয়টি দেখভাল করে। চার দশকেও ইবি আন্তর্জাতিক র‍্যাঙ্কিংয়ে জায়গা করে নিতে পারেনি। এর পেছনে গবেষণা খাতের দুর্বলতাকেই বড় কারণ বলে মনে করেন শিক্ষকেরা।

গবেষকেরা জানান, গবেষণায় যে বাজেট দেওয়া হয় তা খুবই কম। বরাদ্দগুলো যোগ্য-অযোগ্য সবাই পায়। কেন্দ্রীয় সেলের মাধ্যমে যোগ্য ব্যক্তিদের দিয়ে গবেষণা প্রজেক্ট মূল্যায়ন করা হলে এবং সে অনুযায়ী বরাদ্দ দেওয়া হলে গবেষণার মান আরও উন্নত হবে।

কনফারেন্সে প্রেজেন্টেশনের ফি প্রদান করতে হবে। এক থেকে দুই বছরের প্রজেক্টের জন্য পাঁচ থেকে দশ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া উচিত। যাঁরা গবেষণা করেন, সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবে সেগুলো স্বীকৃতি পায় না। এ জন্য পূর্ণাঙ্গ একটি গবেষণা সেলের প্রয়োজন।

বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমি কয়েকটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছি। একটিতেও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাহায্য পাইনি। গবেষণায় সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হলো ইকুইপমেন্টের। ডাটা অ্যানালাইসিসের জন্যও কিছু সফটওয়্যার চড়া দামে কিনতে হয়। তাই শিক্ষার্থীদের জন্য গবেষণা সেল অপরিহার্য বিষয়।’

এ বিষয়ে ফার্মেসি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহা. মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ গবেষণা সেলের অভাববোধ করছি। আমাদের ওয়েবসাইট আপডেট না। আমার এক শোর বেশি জার্নাল পাবলিশ হয়েছে। গবেষণা সেল থাকলে আমার প্রজেক্টগুলো পাবলিক থাকত। প্রজেক্ট সাবমিশনের ক্ষেত্রে প্রথমে গবেষণা সেলে প্রজেক্ট যাবে। পরে রিভিউ কমিটি মূল্যায়ন করবে। গবেষণা সেলের মাধ্যমেই প্রজেক্ট সাবমিট হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মান উন্নয়ন করতে হলে শিক্ষকদের বছরে একটি আন্তর্জাতিক মানের জার্নাল প্রকাশের বাধ্যবাধকতা থাকা উচিত।’

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, ‘বিভাগগুলো আবেদন করলে আমরা গবেষণা সেল করব। বিশ্ববিদ্যালয়ে রিসার্চ প্রকাশনা হয় তবে সেটা সংশ্লিষ্ট পক্ষকে পাঠানো হয় না। আমি চেষ্টা করব প্রকাশনাগুলোকে সংশ্লিষ্ট পক্ষকে পাঠানোর। যাতে তাঁরা বুঝতে পারে এ বিষয়ে একটা গবেষণা হয়েছে। আগামী বছর থেকে রিসার্চের জন্য বাজেট বাড়ানো হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

বগুড়ায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা, পাঁচ নেতা-কর্মীকে শোকজ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত