Ajker Patrika

কুমারখালীতে কল আছে, জল নেই

প্রতিনিধি
আপডেট : ০২ মে ২০২১, ১৯: ৩৮
কুমারখালীতে কল আছে, জল নেই

কুমারখালী (কুষ্টিয়া): কুমারখালী পৌরবাসীর ৯টি ওয়ার্ডে প্রায় ৬০ হাজার মানুষের বাস। এই এলাকার টিউবওয়েলগুলোতে পানি উঠছে না। অথচ কয়েকমাস আগেও এক মিনিট কল চাপলেই বালতি ভরে যেত।

উপজেলার মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে গড়াই নদী। কিন্তু ইদানীংকালে বসন্ত শেষ হতে না হতেই শুকিয়ে যায়। প্রমত্তা গড়াই এখন ছোট খালে পরিণত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নদীর এই অবস্থার কারণেই নেমে গেছে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর। ফলে পৌর এলাকার চাপকলে পানি উঠছে না। এ পরিস্থিতিতে পৌরসভার সরবরাহকৃত পানিও ঠিকঠাক পাওয়া যাচ্ছে না। পানির জন্য চলছে হাহাকার।

পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ডে হোল্ডিং সংখ্যা প্রায় ছয় হাজার। প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই নিজস্ব টিউবওয়েল আছে। এছাড়া পৌরসভার পক্ষ থেকে বিভিন্ন এলাকায় দেওয়া হয়েছে আরো ছয়টি গভীর নলকূপ। পানির স্তর নেমে যাওয়ার কারণে এসব এলাকার প্রায় সব টিউবওয়েলই অকেজো হয়ে পড়েছে। যেগুলো কাজ করছে, সেগুলোতে পানি উঠছে খুব কম।

পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা এমএ উল্লাস বলেন, পানির সংকট এতটাই প্রকট যে খাবার পানির ব্যবস্থা করাই কঠিন হয়ে পড়েছে। গোসল এবং গবাদিপশুর জন্য পানি সংগ্রহ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মালারানী বলেন, পানির জন্য নদীর চরে প্রায় দেড় দুই কিলোমিটার হেঁটে যেতে হচ্ছে। এমন সংকটে আগে কখনো দেখেননি।

উপজেলা জনস্বাস্থ্যের নির্বাহী প্রকৌশলী আল আলামিন মনে করছেন, যত্রতত্র সাবমারসিবল পাম্প স্থাপন ও ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার কারণেই পানির এমন সমস্যা দেখা দিয়েছে।

তবে কুমারখালী পৌরসভা মেয়র সামছুজ্জামান অরুন বলেন, নদীগুলো নাব্য না থাকায় পানির স্তর নেমে গেছে। বিগত বছরগুলোর তুলনায় ২৫ থেকে ৩০ ফুট নিচে নামায় নলকূপে পানি উঠছে না। এটি একটি প্রাকৃতিক সমস্যা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুষ্ক মৌসুমে পানির স্তর নিচে নামার সাথে সাথে নদীর পানিও শুকিয়ে যায়। এ কারণে যেসব নলকূপে গভীরতা কম সেগুলোতে পানি ওঠে না। তাই নতুন নলকূপ আরো গভীর করার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। এছাড়া বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের কথাও বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত