Ajker Patrika

কুমারখালীতে আ.লীগ ও স্বতন্ত্র গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৩

কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ০২ ডিসেম্বর ২০২১, ১৭: ১৫
কুমারখালীতে আ.লীগ ও স্বতন্ত্র গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৩

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে ৩ জন আহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার রাতে উপজেলার বাগুলাটের বানিয়াপাড়া জামে এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তিনটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।

আহত ব্যক্তিরা হলেন-ইউনিয়নের আদাবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল খালেক ব্যাপারী (৬৮), বানিয়াপাড়া গ্রামের আব্দুল মতিন (৪৫) ও বাঁশগ্রামের মনোয়ার হোসেনের ছেলে সাগর হোসেন। 

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুল হক নবা গ্রুপের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি নির্বাচনের নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আলী হোসেন গ্রুপের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। আসন্ন নির্বাচনে এবার দলীয় প্রতীক নৌকায় প্রার্থী মনোনীত হয়েছেন আজিজুল হক নবা। আলী হোসেন বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তাঁদের বিরোধ আরও বেড়ে যায়। বিরোধের জেরেই গতকাল রাত ৮টার দিকে দুই গ্রুপ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। 

নবা গ্রুপের সমর্থকেরা জানান, তাঁরা ৯ নম্বর ওয়ার্ডে দলীয় সভা করে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে বানিয়াপাড়া মসজিদের কাছে পৌঁছালে গ্রুপের নেতা আলীসহ তাঁর সমর্থকেরা অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তাঁদের তিনটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও সাগর নামে একজনকে রক্তাক্ত জখম করা হয়।

আলী গ্রুপের সমর্থকেরা জানান, নবা গ্রুপ রাতে মিছিল করছিল। মিছিলে তাঁদের গ্রুপকে কটাক্ষ করে স্লোগান দেওয়া হচ্ছিল। এতে প্রতিবাদ করায় প্রতিপক্ষরা তাঁদের ওপর হামলা চালায়। এতে খালেক ব্যাপারী ও আব্দুল মতিন গুরুতর আহত হন। পরে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। 

বাগুলাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থী আজিজুল হক নবা বলেন, রাতে ৯ নম্বর ওয়ার্ড দলীয় সভা শেষে ফেরার পথে আলীসহ তাঁর সমর্থকেরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমার এক কর্মী আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এ সময় তিনটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। থানায় অভিযোগ দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।

আওয়ামী লীগ নেতা ও আসন্ন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আলী হোসেন বলেন, আমি রাতে ঘটনাস্থলে ছিলাম না। সন্ধ্যায় আমার একটি মোটরসাইকেল বহর অনুষ্ঠিত হয়। পরে রাতে প্রতিপক্ষের নবা বিশ্বাসের ছেলে ও তাঁর সমর্থকেরা আমার অফিসে এসে ভাঙচুর ও নেতা–কর্মীদের মারপিট করেন। আমার দুজন কর্মী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এ বিষয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

মো. আলী হোসেন আরও বলেন, প্রতিপক্ষের লোকজন নিজেরা নিজের গাড়ি ভাঙচুর করে আমাদের মিথ্যা দোষারোপ করছেন। 

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষ আধিপত্য বিস্তারের পাঁয়তারা করছে। রাতে দু'পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এ ঘটনায় একজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। 

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরও বলেন, এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে পুলিশ কঠোর অবস্থানে আছেন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত