Ajker Patrika

১০ দিন না যেতেই উঠে যাচ্ছে কোটি টাকার সড়কের পিচ

যশোর প্রতিনিধি
আপডেট : ০৯ মে ২০২৪, ১০: ০৫
১০ দিন না যেতেই উঠে যাচ্ছে কোটি টাকার সড়কের পিচ

যশোর সদর উপজেলার লেবুতলা ইউনিয়নের কোদালিয়া-তেজরোল সড়কের উন্নয়নকাজ সম্প্রতি শেষ করেছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। তবে কাজ শেষে ১০ দিন না পেরোতেই উঠে যাচ্ছে রাস্তার নতুন পিচ। এই অবস্থায় কাজ নিম্নমানের হয়েছে অভিযোগ তুলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। তবে ঠিকাদারের দাবি, কাজে কোনো নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়নি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প-৩ (আইআরআইডিপি)-এর আওতায় কোদালিয়া বাজারের হারুনের দোকান থেকে তেজরোলের ইউনুসের বাড়ি পর্যন্ত ১ কিলোমিটার ২৪০ মিটার রাস্তার পিচ ঢালাই করা হয়েছে। ১ কোটি ২৪ লাখ টাকার কাজটি পান যশোর শহরতলির বারান্দীপাড়া এলাকার ঠিকাদার নুর ইসলাম। পরে তাঁর থেকে কাজটি কিনে নেন সদর উপজেলার পুরাতন খাজুরা এলাকার প্রয়াত ঠিকাদার আব্দুস সাত্তারের ছেলে মেহেদী হাসান রামুন। তিনিই সম্প্রতি ১০ ফুট প্রস্থের ওই রাস্তার উন্নয়নকাজ শেষ করেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রাস্তার বিভিন্ন স্থানে পিচ ঢালাই উঠে গেছে। যানবাহনের চাকার সঙ্গে উঠে যাচ্ছে পিচ। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দারা হাত দিয়ে পিচ উঠে যাওয়ার দৃশ্যও দেখান। আব্দুল আলিম নামের এক ভ্যানচালক বলেন, এখনই যদি ভ্যানের চাকার সঙ্গে পিচ উঠে যায়, তাহলে সামনে বর্ষাকাল আসতে আসতে রাস্তার পিচের ঢালাই আর থাকবে না। কোদালিয়া পূর্বপাড়া এলাকার সোলাইমান কবির রাব্বি বলেন, পায়ের আঙুল দিয়ে ঘষা দিলেও পাথর উঠে যাচ্ছে। আগে থাকা ইটের সলিংই ভালো ছিল। এমন পাতলা করে পিচ ঢালাই করার চেয়ে না করাই ভালো।

এদিকে কোদালিয়া ও তেজরোল এলাকার কৃষক, দিনমজুর, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ এ বিষয়ে গণস্বাক্ষর দিয়ে জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে (এলজিইডি) লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য জাকির হোসেন। তিনি বলেন, ‘কাজের শুরু থেকেই ঠিকাদার রামুন নিম্নমানের ইট, খোয়া, পাথর ও বিটুমিন দিয়ে কাজ করছিলেন। আবার রাস্তা পরিষ্কার না করেই মাটি ও ধুলাবালুর ওপরে পিচ ঢালাইয়ের কাজ করা হয়েছে। আমি এই অনিয়মের প্রতিবাদ করি। এতে ঠিকাদার ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দেন।’

যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত ঠিকাদার রামুন বলেন, ‘কাজ চলাকালীন এলজিইডি তদারক করেছে। কাজে কোনো ধরনের নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়নি। কয়েক জায়গায় একটু সমস্যা হয়েছে। সেটি আজ-কালের মধ্যে ঠিক করব।’

এ বিষয়ে যশোর সদর উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী (ইউই) আজিজুল হকের সঙ্গে বেশ কয়েকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি কল ধরেননি। তবে উপসহকারী প্রকৌশলী (এসএই) এম এ রায়হান ঠিকাদারের কাজ নিয়ে একরকম সাফাই গাইলেন। তিনি প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে চাইলে সরাসরি অফিসে আসার কথা বলে কল কেটে দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

বগুড়ায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা, পাঁচ নেতা-কর্মীকে শোকজ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত