কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ায় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত শোক সভায় হাতে তালি এবং স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ২০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে ১২ জনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার গোস্মামী দুর্গাপুরের শংকর দিয়া বাজারে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়দের দেওয়া তথ্য মতে জানা যায়, শোকের মাসে পর্যায়ক্রমে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার সব ইউনিয়নে শোকসভার আয়োজন করে আওয়ামী লীগ। তারই ধারাবাহিকতায় রোববার বিকেলে সদর উপজেলার গোস্মামী দুর্গাপুরে শোকসভার দিন নির্ধারণ ছিল। ঠিক সময় মতোই শুরু হয় শোক সভা। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতা।
শোক সভার শুরু হওয়ার আগেই সভাস্থলের প্রায় সমস্ত বসার চেয়ার দখল করে নেন গোস্মামী দুর্গাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান দবির উদ্দীনের সমর্থকেরা। সভা শুরুর কিছুক্ষণ পর গোস্মামী দুর্গাপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক লাল্টু রহমানের নেতৃত্বে একটি শোক র্যালি নিয়ে সভাস্থলে প্রবেশ করে। এ সময় লাল্টুর সঙ্গে আসা লোকজনের সঙ্গে দেশীয় হাতকুড়ালসহ বিভিন্ন প্রকার অস্ত্র ছিল। সভাস্থলে এসে লাল্টু সভামঞ্চে ওঠার সময় তাঁর সমর্থকেরা হাতে তালি দিয়ে স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় সাবেক চেয়ারম্যান দবির উদ্দীনের সমর্থকেরা তালি ও স্লোগান দিতে নিষেধ করলে দুই পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। একে অপরের ওপর লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুলিশ এবং প্রধান অতিথির সামনেই দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরা হামলা ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। আমন্ত্রিত আওয়ামী লীগ নেতারা বারবার থামানোর চেষ্টা করলেও নেতা-কর্মীরা একে অন্যের ওপর হামলা করতে থাকে। ভাঙচুর করা হয় বসার চেয়ার। সংঘর্ষ চলাকালে শোকসভায় আসা লোকজন ভয়ে পালিয়ে যান। প্রায় ২০ মিনিটের বেশি সময় ধরে চলা সংঘর্ষে দুই পক্ষের কমপক্ষে ২০ জনের বেশি আহত হন। আহতদের মধ্যে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান ঝেন্টুকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো।
এ ছাড়াও সংঘর্ষে ডাবলু রহমান, মহসিন এবং আখিসহ দবির উদ্দীন গ্রুপের ৮ জন এবং মন্টু, খলিল, জামাল, আলতাব, খালেক, দেলোয়ার, শাহিনসহ লাল্টু গ্রুপের ১২ জন আহত হন। এর মধ্যে লাল্টু গ্রুপের খালেকের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
ডাবলু রহমান নামে দবীর উদ্দীনের এক সমর্থক বলেন, ‘শোক সভা চলাকালীন সময় লাল্টু রহমান লোকজন নিয়ে সভাস্থলে আসেন। এ সময় তাঁরা হাতে তালি দিয়ে স্লোগান দিচ্ছিল। শোক সভায় হাতে তালি দেওয়া নিষেধ, তাই তাঁদের হাতে তালি দিতে নিষেধ করায় তাঁরা আমাদের ওপর হামলা চালায়।’
মন্টু নামের লাল্টু রহমানের এক সমর্থক অভিযোগ করে বলেন, ‘ওরা আগে থেকেই মারামারি করার পরিকল্পনা করে রেখেছিল। বিকেলে আমরা শোক সভার কাছে পৌঁছানোর সাথে সাথে দবিরের লোকজন হামলা চালায়।’
এ বিষয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দবির উদ্দিন বলেন, ‘বিকেলে অতিথিরা আসার পর শোক সভা শুরু হয়। আমি দুই হাজার মানুষের জন্য খাবার রান্না করি। বর্তমান চেয়ারম্যান লাল্টুর রহমান শতাধিক লোকজন নিয়ে মিছিল নিয়ে আসেন। তাঁদের অনেকের কাছে দেশীয় অস্ত্র ছিল। আমরা আগে থেকে বুঝতে পারিনি। তাঁরা এসেই আমার সমর্থক ও সাধারণ নেতা-কর্মীর ওপর হামলা করে। কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়।’
হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা লাল্টু রহমান। তিনি দাবি করে বলেন, ‘আমার লোকজনের ওপর দবিরের লোকজন হামলা চালিয়েছে। এতে ৫ থেকে ৬ জন আহত হয়েছেন। আমার তিন ভাইয়ের মাথা ফেটে গেছে। নেতাদের সামনেই হামলা করেছে। আমরা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেছি মাত্র।’
সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আন নুর জায়েদ বলেন, তুচ্ছ ঘটনায় দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করলেও যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ বিষয়ে এখনো থানায় কেউ লিখিতভাবে অভিযোগ দেয়নি। দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কুষ্টিয়ায় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত শোক সভায় হাতে তালি এবং স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ২০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে ১২ জনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার গোস্মামী দুর্গাপুরের শংকর দিয়া বাজারে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়দের দেওয়া তথ্য মতে জানা যায়, শোকের মাসে পর্যায়ক্রমে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার সব ইউনিয়নে শোকসভার আয়োজন করে আওয়ামী লীগ। তারই ধারাবাহিকতায় রোববার বিকেলে সদর উপজেলার গোস্মামী দুর্গাপুরে শোকসভার দিন নির্ধারণ ছিল। ঠিক সময় মতোই শুরু হয় শোক সভা। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতা।
শোক সভার শুরু হওয়ার আগেই সভাস্থলের প্রায় সমস্ত বসার চেয়ার দখল করে নেন গোস্মামী দুর্গাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান দবির উদ্দীনের সমর্থকেরা। সভা শুরুর কিছুক্ষণ পর গোস্মামী দুর্গাপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক লাল্টু রহমানের নেতৃত্বে একটি শোক র্যালি নিয়ে সভাস্থলে প্রবেশ করে। এ সময় লাল্টুর সঙ্গে আসা লোকজনের সঙ্গে দেশীয় হাতকুড়ালসহ বিভিন্ন প্রকার অস্ত্র ছিল। সভাস্থলে এসে লাল্টু সভামঞ্চে ওঠার সময় তাঁর সমর্থকেরা হাতে তালি দিয়ে স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় সাবেক চেয়ারম্যান দবির উদ্দীনের সমর্থকেরা তালি ও স্লোগান দিতে নিষেধ করলে দুই পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। একে অপরের ওপর লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুলিশ এবং প্রধান অতিথির সামনেই দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরা হামলা ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। আমন্ত্রিত আওয়ামী লীগ নেতারা বারবার থামানোর চেষ্টা করলেও নেতা-কর্মীরা একে অন্যের ওপর হামলা করতে থাকে। ভাঙচুর করা হয় বসার চেয়ার। সংঘর্ষ চলাকালে শোকসভায় আসা লোকজন ভয়ে পালিয়ে যান। প্রায় ২০ মিনিটের বেশি সময় ধরে চলা সংঘর্ষে দুই পক্ষের কমপক্ষে ২০ জনের বেশি আহত হন। আহতদের মধ্যে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান ঝেন্টুকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো।
এ ছাড়াও সংঘর্ষে ডাবলু রহমান, মহসিন এবং আখিসহ দবির উদ্দীন গ্রুপের ৮ জন এবং মন্টু, খলিল, জামাল, আলতাব, খালেক, দেলোয়ার, শাহিনসহ লাল্টু গ্রুপের ১২ জন আহত হন। এর মধ্যে লাল্টু গ্রুপের খালেকের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
ডাবলু রহমান নামে দবীর উদ্দীনের এক সমর্থক বলেন, ‘শোক সভা চলাকালীন সময় লাল্টু রহমান লোকজন নিয়ে সভাস্থলে আসেন। এ সময় তাঁরা হাতে তালি দিয়ে স্লোগান দিচ্ছিল। শোক সভায় হাতে তালি দেওয়া নিষেধ, তাই তাঁদের হাতে তালি দিতে নিষেধ করায় তাঁরা আমাদের ওপর হামলা চালায়।’
মন্টু নামের লাল্টু রহমানের এক সমর্থক অভিযোগ করে বলেন, ‘ওরা আগে থেকেই মারামারি করার পরিকল্পনা করে রেখেছিল। বিকেলে আমরা শোক সভার কাছে পৌঁছানোর সাথে সাথে দবিরের লোকজন হামলা চালায়।’
এ বিষয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দবির উদ্দিন বলেন, ‘বিকেলে অতিথিরা আসার পর শোক সভা শুরু হয়। আমি দুই হাজার মানুষের জন্য খাবার রান্না করি। বর্তমান চেয়ারম্যান লাল্টুর রহমান শতাধিক লোকজন নিয়ে মিছিল নিয়ে আসেন। তাঁদের অনেকের কাছে দেশীয় অস্ত্র ছিল। আমরা আগে থেকে বুঝতে পারিনি। তাঁরা এসেই আমার সমর্থক ও সাধারণ নেতা-কর্মীর ওপর হামলা করে। কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়।’
হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা লাল্টু রহমান। তিনি দাবি করে বলেন, ‘আমার লোকজনের ওপর দবিরের লোকজন হামলা চালিয়েছে। এতে ৫ থেকে ৬ জন আহত হয়েছেন। আমার তিন ভাইয়ের মাথা ফেটে গেছে। নেতাদের সামনেই হামলা করেছে। আমরা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেছি মাত্র।’
সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আন নুর জায়েদ বলেন, তুচ্ছ ঘটনায় দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করলেও যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ বিষয়ে এখনো থানায় কেউ লিখিতভাবে অভিযোগ দেয়নি। দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য। মঙ্গলবার রাতে একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা লাগার পর কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। গুরুতর আহত অবস্থায় ঢামেকে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।
২ ঘণ্টা আগেঢাকার মূল সড়কগুলোতে ব্যাটারিচালিত অবৈধ রিকশাগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ মে) অভিযান পরিচালনার সময় বেশ কয়েকটি রিকশা ক্রেন দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। তবে গুঁড়িয়ে দেওয়া তিন রিকশার চালকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
৩ ঘণ্টা আগেকুষ্টিয়া সদর উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী ও দুই শিশুসন্তানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করেছেন মামুন নামের এক ব্যক্তি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। স্ত্রী-সন্তানদের ওপর নৃশংস হামলার পর মামুন নিজেও গলায় ছুরিকাঘাত করে ‘আত্মহত্যার’ চেষ্টা করেন।
৩ ঘণ্টা আগেবরিশাল নগরীতে যুবলীগ নেতার হয়ে জমি দখলচেষ্টার ঘটনায় অভিযুক্ত মহানগর বিএনপির দুই যুগ্ম আহ্বায়ককে শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দেওয়া শোকজে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দিতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় বিএনপি। বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল কবির রিজভী শোকজে স্বাক্ষর করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগে