Ajker Patrika

ছাত্রীর হাত ধরে বিপাকে শিক্ষক, চিঠিতে জানালেন কারণ

আপডেট : ৩১ আগস্ট ২০২২, ১৮: ৩৭
ছাত্রীর হাত ধরে বিপাকে শিক্ষক, চিঠিতে জানালেন কারণ

যশোরের মনিরামপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণির এক ছাত্রীর হাত ধরে চড় মারার অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কামরুজ্জামান খান মানিকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তি চেয়ে প্রধান শিক্ষক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ওই ছাত্রী। সে অভিযোগের ভিত্তিতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওই শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। আজ বুধবার সকালে অভিযুক্ত শিক্ষক লিখিতভাবে এ জবাব দিয়েছেন।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার নবম ও দশম শ্রেণির ছাত্রীরা প্রধান শিক্ষক নারায়ন চন্দ্র দেবনাথের কাছে শিক্ষক মানিকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। পরদিন মঙ্গলবার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র সরকার ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মৌসুমী আক্তার ঘটনা তদন্তে গেলে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এ অভিযোগ পেয়ে সহকারী শিক্ষক কামরুজ্জামান মানিককে শ্রেণিকক্ষে যাওয়া থেকে অব্যাহতিসহ কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক।

শিক্ষক কামরুজ্জামান মানিক চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি মনিরামপুর সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে যোগদানের মাধ্যমে শিক্ষকতা পেশা শুরু করেছেন। তিনি ৯ম ও ১০ম শ্রেণিতে পদার্থ ও রসায়ন বিষয় পড়াতেন। ১০ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের এক ছাত্রীর হাত ধরে তাকে স্কেল দিয়ে একবার আঘাত করার কথা স্বীকার করেছেন তিনি।

লিখিত অভিযোগ, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার ১০ শ্রেণির ছাত্রীদের রসায়ন পড়াচ্ছিলেন শিক্ষক কামরুজ্জামান। একপর্যায়ে তিনি এক ছাত্রীর হাত ধরে চড় মারেন এবং কোমর ধরে দেওয়ালের সঙ্গে আঘাত করেন। এরপর ওই ছাত্রী প্রধান শিক্ষককে বিষয়টি লিখিতভাবে জানায়।

৯ম শ্রেণির ছাত্রীদের অভিযোগ—শিক্ষক মানিক তাঁকে ‘দুলাভাই’ বলে ডাকতে বলেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী জানায়, ‘কামরুজ্জামান স্যার বেশি একটা ভালো না। ছাত্রীরা তাঁর ক্লাস করতে চায় না।’ 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষক কামরুজ্জামান বলেন, ‘শ্রেণিকক্ষে মেয়েরা মনোযোগ দিয়ে ক্লাস করতে চায় না। ঘটনার দিন ১০ শ্রেণির এক ছাত্রী লেখাপড়া বাদ দিয়ে অন্য প্রসঙ্গ নিয়ে আমার সঙ্গে হাসিঠাট্টা করছিল। তখন আমি শাসন করার জন্য তাকে হাত ধরে স্কেল দিয়ে একটা আঘাত করেছি।’ 

শিক্ষক কামরুজ্জামান আরও বলেন, ‘মনিরামপুরে আমার শ্বশুর বাড়ি হওয়ায় বেশ আগে একদিন ৯ম শ্রেণির এক ছাত্রী আমাকে দুলাভাই বলে ডাকতে চেয়েছিল। আমি তাকে নিষেধ করেছি। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।’ 

মনিরামপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নারায়ন চন্দ্র দেবনাথ বলেন, ‘৯ম ও ১০ম শ্রেণির ছাত্রীদের লিখিত অভিযোগ পেয়ে ওই শিক্ষকে দিয়ে পাঠদান বন্ধ করে দিয়েছি। তিনি প্রতিষ্ঠানে আসবেন কিন্তু শ্রেণিকক্ষে যেতে পারবেন না।’ 

প্রধান শিক্ষক আরও বলেন, ‘বিষয়টি আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও বিভাগীয় উপপরিচালককে (শিক্ষা) জানিয়েছি। শিক্ষক কামরুজ্জামানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছি। তিনি দোষ স্বীকার করে আজ (বুধবার) জবাব দিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’ 

এ বিষয়ে মনিরামপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র সরকার বলেন, ‘জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশ পেয়ে আমি সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে তদন্তে গিয়েছি। ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছি। বিষয়টি আমি জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জোরপূর্বক অপুর স্বীকারোক্তি নিয়েছেন বিএনপির ইশরাক, এনসিপির ব্যবস্থা করা সংবাদ সম্মেলনে দাবি স্ত্রীর

‘মিরপুরের উইকেটের পাশে পুঁইশাক বের হচ্ছে, এত বছর হয়নি কেন’

ভোররাতে হাঁসের মাংস খেতে ৩০০ ফুটে যান আসিফ মাহমুদ, না পেয়ে যান ওয়েস্টিনে

উপদেষ্টা ফরিদা আখতার ভুলভাবে কথা বলেছেন: প্রেস সচিব

নীলা মার্কেটের হাঁসের মাংস নাকি ওয়েস্টিনের—কোনটি সেরা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত