জাহিদ হাসান, যশোর
সাইকেল-ভ্যানে করে বাহারি ফুল নিয়ে বাজারে এসেছেন চাষিরা। তাঁদের কারও কাছে গোলাপ, গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধা; কারও কাছে জারবেরা, চন্দ্রমল্লিকাসহ বিভিন্ন প্রজাতির সব ফুল। দূরদূরান্ত থেকে আসা ব্যাপারীরা সেই ফুল কিনছেন। ফুল বেচাকেনার এমন হাঁকডাক যশোর-বেনাপোল মহাসড়কঘেঁষে গড়ে ওঠা ফুলের রাজধানীখ্যাত যশোরের গদখালীতে।
হঠাৎ গরম পড়ায় ফুল ফুটে গেছে। বাজারে জোগান বেশি। গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধা, জারবেরা, চন্দ্রমল্লিকা, গাঁদা ফুলের দাম কিছুটা কম হলেও ঊর্ধ্বমুখী গোলাপের দাম। মাত্র দুই দিন আগেও যে গোলাপ বিক্রি হয়েছে ৩-৫ টাকায়, সেই গোলাপ গত শনিবার বিক্রি হয়েছে ৮-১০ টাকা দরে। চাষিদের দাবি, বসন্ত ও ভালোবাসা দিবস সামনে রেখে বাড়তে শুরু করেছে ফুলের দাম। সামনের দিনগুলোয় দাম আরও বাড়বে।
১০০ গোলাপের আঁটি বেঁধে ১৩ আঁটি নিয়ে সাইকেলে করে গদখালী বাজারে এসেছেন পানিসারার হাঁড়িয়া গ্রামের কৃষক আব্দুল মান্নান। তিনি বলেন, ‘এ বছর ফুলের তেমন দাম নেই। দুই বিঘা জমিতে গোলাপ চাষ করেছি। আজ (গতকাল) বাজারে ১ হাজার ৩০০টি ফুল এনেছি। এর মধ্যে ৭ টাকা দরে ১ হাজার গোলাপ ৭ হাজারে বিক্রি করেছি। বাকি ৩০০ গোলাপ একটু কম বলছে, তাই দিইনি। এ বছর অতি বৃষ্টির কারণে ফুলে একটু লসে আছি। তবে আশা করছি, সামনে ভালো দাম পাব।’
জালাল হোসেন নামের অপর এক চাষি বলেন, ‘১৪ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ফুলের দাম বাড়তে শুরু করেছে। গোলাপ এখন ৭ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। জারবেরা বিক্রি করেছি ১০ থেকে ১৫ টাকা এবং চন্দ্রমল্লিকা ২-৩ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।’ আকবর হোসেন নামের এক চাষি বলেন, ‘প্রথম দিকে গোলাপের দাম বেশ কম পাচ্ছিলাম। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দাম বাড়ছে। খেতে যে ফুল রয়েছে, সামনের দিনে তা ১৫-১৬ টাকা দরে বিক্রি হবে বলে আশা করছি।’
গদখালীর টাওরা গ্রামের ফুলচাষি কামাল সরকার বলেন, ‘আমার কাছে যে চায়না গোলাপ রয়েছে, তার দাম প্রতিটি ২৫ টাকা। দেখতে সুন্দর ও বেশ কয়েক দিন রাখা যায় বলেই এর দাম বেশি। ২৫ কাঠা জমিতে চায়না গোলাপ চাষ করেছি।’
বাজার ধরতে গোলাপের কলিতে ক্যাপ
বসন্তবরণ ও ভালোবাসা দিবসে গোলাপ ফুলের চাহিদা বৃদ্ধি পায় কয়েকগুণ। ফুলচাষিরা এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে গোলাপ ফুল বিক্রি করে বাড়তি টাকা রোজগার করেন। কিন্তু তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সময়ের আগেই ফুল ফুটে যাচ্ছে। তাই দ্রুত ফুল কেটে ফেলতে হচ্ছে। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন ফুলচাষিরা। এমন পরিস্থিতিতে ফুল সুরক্ষার জন্য চাষিরা ব্যবহার করছেন ক্যাপ। এই পদ্ধতিতে আগাম ফুল ঝরে পড়া ঠেকাতে কলি বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্যাপ পরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
১২ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকেই ফুল কাটা শুরু হবে। কিছু ফুল কাটা হবে বসন্তের দিন সকালে। আগাম ফুল কেটে রাখলে শুকিয়ে নষ্ট হয়ে যায়। যেন কলি না ফোটে এবং পাতা ঝরে না পড়ে, সে জন্য কলিতে ক্যাপ পরিয়ে দেন চাষিরা।
পানিসারা এলাকার নীলকণ্ঠ নগরের ফুলচাষি ইব্রাহিম খলিল বলেন, ‘আড়াই বিঘা জমিতে গোলাপ চাষ করেছি। ফুল ফুটেছে অনেক। তবে এখন ফুল কাটলে দাম বেশি পাব না। তাই ফুলের কলিতে ক্যাপ পরিয়ে রাখছি।’ তিনি বলেন, আগে রাবার দিয়ে কলি বেঁধে রাখতাম। এতে ফুলের পাতা নষ্ট হয়ে যেত। এ কারণে ক্যাপ পদ্ধতি ব্যবহার করছি। বিক্রি করার আগ পর্যন্ত কলিতে ক্যাপ পরানো থাকে। এতে ফুলের পাতা যেমন ঝরে পড়ে না, তেমনি ফুল নষ্টও হয় না।
ফুল উৎপাদক ও বিপণন সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুর রহিম জানান, চলতি মৌসুমে ফুলের উৎপাদন কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও আসন্ন তিনটি বিশেষ দিবস ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন তাঁরা। এবার অন্তত শতকোটি টাকার ফুল বিক্রির বিষয়ে আশাবাদী তাঁরা।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, যশোরে প্রায় ৬০০ হেক্টর জমিতে ফুলের চাষ হয়। ফুল ব্যবসার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে লক্ষাধিক মানুষ জড়িত।
সাইকেল-ভ্যানে করে বাহারি ফুল নিয়ে বাজারে এসেছেন চাষিরা। তাঁদের কারও কাছে গোলাপ, গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধা; কারও কাছে জারবেরা, চন্দ্রমল্লিকাসহ বিভিন্ন প্রজাতির সব ফুল। দূরদূরান্ত থেকে আসা ব্যাপারীরা সেই ফুল কিনছেন। ফুল বেচাকেনার এমন হাঁকডাক যশোর-বেনাপোল মহাসড়কঘেঁষে গড়ে ওঠা ফুলের রাজধানীখ্যাত যশোরের গদখালীতে।
হঠাৎ গরম পড়ায় ফুল ফুটে গেছে। বাজারে জোগান বেশি। গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধা, জারবেরা, চন্দ্রমল্লিকা, গাঁদা ফুলের দাম কিছুটা কম হলেও ঊর্ধ্বমুখী গোলাপের দাম। মাত্র দুই দিন আগেও যে গোলাপ বিক্রি হয়েছে ৩-৫ টাকায়, সেই গোলাপ গত শনিবার বিক্রি হয়েছে ৮-১০ টাকা দরে। চাষিদের দাবি, বসন্ত ও ভালোবাসা দিবস সামনে রেখে বাড়তে শুরু করেছে ফুলের দাম। সামনের দিনগুলোয় দাম আরও বাড়বে।
১০০ গোলাপের আঁটি বেঁধে ১৩ আঁটি নিয়ে সাইকেলে করে গদখালী বাজারে এসেছেন পানিসারার হাঁড়িয়া গ্রামের কৃষক আব্দুল মান্নান। তিনি বলেন, ‘এ বছর ফুলের তেমন দাম নেই। দুই বিঘা জমিতে গোলাপ চাষ করেছি। আজ (গতকাল) বাজারে ১ হাজার ৩০০টি ফুল এনেছি। এর মধ্যে ৭ টাকা দরে ১ হাজার গোলাপ ৭ হাজারে বিক্রি করেছি। বাকি ৩০০ গোলাপ একটু কম বলছে, তাই দিইনি। এ বছর অতি বৃষ্টির কারণে ফুলে একটু লসে আছি। তবে আশা করছি, সামনে ভালো দাম পাব।’
জালাল হোসেন নামের অপর এক চাষি বলেন, ‘১৪ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ফুলের দাম বাড়তে শুরু করেছে। গোলাপ এখন ৭ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। জারবেরা বিক্রি করেছি ১০ থেকে ১৫ টাকা এবং চন্দ্রমল্লিকা ২-৩ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।’ আকবর হোসেন নামের এক চাষি বলেন, ‘প্রথম দিকে গোলাপের দাম বেশ কম পাচ্ছিলাম। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দাম বাড়ছে। খেতে যে ফুল রয়েছে, সামনের দিনে তা ১৫-১৬ টাকা দরে বিক্রি হবে বলে আশা করছি।’
গদখালীর টাওরা গ্রামের ফুলচাষি কামাল সরকার বলেন, ‘আমার কাছে যে চায়না গোলাপ রয়েছে, তার দাম প্রতিটি ২৫ টাকা। দেখতে সুন্দর ও বেশ কয়েক দিন রাখা যায় বলেই এর দাম বেশি। ২৫ কাঠা জমিতে চায়না গোলাপ চাষ করেছি।’
বাজার ধরতে গোলাপের কলিতে ক্যাপ
বসন্তবরণ ও ভালোবাসা দিবসে গোলাপ ফুলের চাহিদা বৃদ্ধি পায় কয়েকগুণ। ফুলচাষিরা এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে গোলাপ ফুল বিক্রি করে বাড়তি টাকা রোজগার করেন। কিন্তু তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সময়ের আগেই ফুল ফুটে যাচ্ছে। তাই দ্রুত ফুল কেটে ফেলতে হচ্ছে। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন ফুলচাষিরা। এমন পরিস্থিতিতে ফুল সুরক্ষার জন্য চাষিরা ব্যবহার করছেন ক্যাপ। এই পদ্ধতিতে আগাম ফুল ঝরে পড়া ঠেকাতে কলি বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্যাপ পরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
১২ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকেই ফুল কাটা শুরু হবে। কিছু ফুল কাটা হবে বসন্তের দিন সকালে। আগাম ফুল কেটে রাখলে শুকিয়ে নষ্ট হয়ে যায়। যেন কলি না ফোটে এবং পাতা ঝরে না পড়ে, সে জন্য কলিতে ক্যাপ পরিয়ে দেন চাষিরা।
পানিসারা এলাকার নীলকণ্ঠ নগরের ফুলচাষি ইব্রাহিম খলিল বলেন, ‘আড়াই বিঘা জমিতে গোলাপ চাষ করেছি। ফুল ফুটেছে অনেক। তবে এখন ফুল কাটলে দাম বেশি পাব না। তাই ফুলের কলিতে ক্যাপ পরিয়ে রাখছি।’ তিনি বলেন, আগে রাবার দিয়ে কলি বেঁধে রাখতাম। এতে ফুলের পাতা নষ্ট হয়ে যেত। এ কারণে ক্যাপ পদ্ধতি ব্যবহার করছি। বিক্রি করার আগ পর্যন্ত কলিতে ক্যাপ পরানো থাকে। এতে ফুলের পাতা যেমন ঝরে পড়ে না, তেমনি ফুল নষ্টও হয় না।
ফুল উৎপাদক ও বিপণন সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুর রহিম জানান, চলতি মৌসুমে ফুলের উৎপাদন কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও আসন্ন তিনটি বিশেষ দিবস ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন তাঁরা। এবার অন্তত শতকোটি টাকার ফুল বিক্রির বিষয়ে আশাবাদী তাঁরা।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, যশোরে প্রায় ৬০০ হেক্টর জমিতে ফুলের চাষ হয়। ফুল ব্যবসার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে লক্ষাধিক মানুষ জড়িত।
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বাবুরহাট বাজারে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার এক মাস যেতে না যেতেই উঠে যাচ্ছে সড়কের আরসিসি ঢালাই। এ ছাড়া সড়কটির সম্প্রসারণ জয়েন্টগুলোতে আঁকাবাঁকা ফাটল দেখা দিয়েছে। বিষয়টি বুঝতে পেরে সংশ্লিষ্টরা তাড়াহুড়া করে বিটুমিন দিয়ে ফাটল বন্ধের চেষ্টা চালিয়েছেন বলে জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগেতিন পার্বত্য জেলার মধ্যে আগে থেকেই চিকিৎসাসেবায় পিছিয়ে খাগড়াছড়ি। তার ওপর বছরের পর বছর চিকিৎসক, নার্স, কর্মচারী ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির সংকট থাকায় খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না রোগীরা।
২ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনার দুর্গাপুরে এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ফয়সাল আহমেদ ওরফে দুর্জয় (২৪) নামে এক ছাত্রদল নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। আটক ফয়সাল আহমেদ ওরফে দুর্জয় দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাতে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান...
২ ঘণ্টা আগেরাজধানীর খিলগাঁওয়ে একটি নির্মাণাধীন ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। তবে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই আগুন নিভে গেছে। এতে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
৪ ঘণ্টা আগে