পল্লব আহমেদ সিয়াম, ইবি
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) রমজান উপলক্ষে একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও খোলা আছে আবাসিক হলগুলো। প্রায় ১৫টি বিভাগের পরীক্ষা চলমান থাকায় অনেক শিক্ষার্থী হলে ও আশপাশের মেসগুলোতে অবস্থান করছেন।
ক্যাম্পাস বন্ধ হলে আশপাশের মেসগুলোতে রান্না বন্ধ হয়ে যায়। এতে হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মেসের শিক্ষার্থীরাও ক্যানটিনে খাওয়াদাওয়া করেন। রমজানে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে মানসম্মত সাহ্রির। অন্য মাসগুলোতে হলে খাবার নিয়ে নানা অভিযোগ থাকলেও সবার আশা থাকে রমজান মাস উপলক্ষে তাঁরা হলে ভালো খাবার পাবেন। কিন্তু রমজান উপলক্ষে খাবারের দাম বাড়ালেও বাড়েনি খাবারের মান।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ‘ক্যানটিনগুলোতে ন্যূনতম তদারকি নেই হল প্রশাসনের। হল প্রশাসন খাবারের মেন্যু ঠিক করে দিলেও ক্যানটিন ম্যানেজাররা এসব মানে না। আমরা কী খাচ্ছি, হল কীভাবে চলছে—এসব বিষয়ে তাঁদের ন্যূনতম দায়িত্ববোধ নেই। এসব খাবার থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাচ্ছি না আমরা।’
হলগুলোতে দেখা গেছে, রাতের খাবারের মূল্য আগের মতো থাকলেও সাহ্রিতে রাতের একই খাবার পরিবেশন করে, কিন্তু রাতের তুলনায় সাহ্রিতে যোগ হয় আরও ৫ অথবা ১০ টাকা।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হলে খাবারের নিয়মিত দামের চেয়েও ১২ টাকা বৃদ্ধি করে ৫০ টাকা দামে সাহ্রি দেওয়া হচ্ছে। সাদ্দাম হলে ২৮ টাকার খাবার দাম বাড়িয়ে ৪০ টাকা করা হয়েছে এবং ৩৮ টাকার খাবার ৬০ টাকা হয়েছে। একই অবস্থা অন্য হলগুলোতে।
এ বিষয়ে শেখ রাসেল হলের শিক্ষার্থী আশরাফ উদ্দীন বলেন, ক্যানটিনগুলোতে নিম্নমানের চাল রান্না হয়। ডালের মধ্যে শুধু পানি। এ খাবার খেয়ে পুষ্টির চাহিদা মেটে না। ৩৮ টাকার খাবার ৫০ টাকায় বিক্রি করা হলেও গুণগত মান বাড়েনি।
এদিকে সাহ্রির সময়ে হলগুলোতে দেখা যায়, ভালো খাবারের সন্ধানে এক হল থেকে আরেক হলের দিকে ছোটাছুটি করছেন শিক্ষার্থীরা। সাদ্দাম হোসেন হলের শিক্ষার্থীরা যাচ্ছেন লালন শাহ হলের দিকে, আবার শহীদ জিয়াউর রহমান হলের শিক্ষার্থীরা যাচ্ছেন সাদ্দাম হোসেন হলে। কিছু হলে খাবারের মান কিছুটা ভালো হলেও সেটা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা থেকে নব্বই টাকার মধ্যে। যা সাধারণ দামের তুলনায় অনেক বেশি।
খাবারের দামের বিষয়ে জিয়াউর রহমান হলের ক্যানটিন ম্যানেজার রফিক বলেন, ‘বাজারে সবকিছুর দাম কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে আমরাও দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছি। রমজানে খাবারের মান ভালো করা হয়েছে। এ জন্যই দাম একটু বৃদ্ধি পেয়েছে।’
অন্যদিকে এসব খাবার থেকে ন্যূনতম পুষ্টি পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা—এমনটাই বলছেন ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ আব্দুর রউফ। তিনি বলেন, ‘একজন শিক্ষার্থীর প্রতিদিন ২ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার কিলো ক্যালরি প্রয়োজন। তবে হলের শিক্ষার্থীরা দৈনিক যে খাবার গ্রহণ করেন তা থেকে তাঁরা প্রায় ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার কিলো ক্যালরি পান। এর থেকে উত্তরণে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তদারকি করতে হবে। খাবারের সবদিক বিবেচনা করে মেন্যু ঠিক করে দিতে হবে।’
অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ আব্দুর রউফ আরও বলেন, ‘আমি প্রভাষক থাকা অবস্থায় ক্লাসে শিক্ষার্থীদের যে রকম রেসপন্স পেয়েছি, এখন সেভাবে রেসপন্স পাই না। এর থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় শিক্ষার্থীরা হলের খাবার থেকে প্রয়োজনমতো পুষ্টি পাচ্ছে না।’
একজন সাধারণ মানুষের প্রয়োজনীয় ও পরিমাণমতো ছয়টি উপাদানযুক্ত খাদ্য গ্রহণ করতে হয়, যা পুষ্টিচাহিদা মেটানোর পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধক্ষমতাও বাড়ায়। আমিষ, শর্করা, স্নেহ পদার্থ, খনিজ লবণ, ভিটামিন ও পানি গ্রহণ করলে দেহের ক্ষয়পূরণ, বুদ্ধিসাধন, শক্তি উৎপাদনসহ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জিত হয়।
শিক্ষার্থীরা বলেছেন, প্রয়োজনীয় খাবার খেতে তাঁদের দৈনিক খরচ হবে কমপক্ষে ২০০ টাকা। এই খরচ বহন করা তাঁদের জন্য সহজ নয়। যতটুকু না খেলে নয়, ততটুকুতেই তাঁরা সন্তুষ্ট থাকেন। দ্রব্যমূল্যর ঊর্ধ্বগতির বাজারে মাস শেষ করার জন্য খরচ কমানোর চেষ্টায় থাকেন বেশির ভাগ শিক্ষার্থী।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা বলেন, যারা হল ডাইনিংয়ে কাজ করছেন, তাঁদের অতিরিক্ত খেয়াল রাখা উচিত। আরও সচেতন হলে নির্ধারিত টাকায় ভালো মানের খাবার পরিবেশন করা যাবে। হল প্রশাসন এ বিষয়ে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছে।
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) রমজান উপলক্ষে একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও খোলা আছে আবাসিক হলগুলো। প্রায় ১৫টি বিভাগের পরীক্ষা চলমান থাকায় অনেক শিক্ষার্থী হলে ও আশপাশের মেসগুলোতে অবস্থান করছেন।
ক্যাম্পাস বন্ধ হলে আশপাশের মেসগুলোতে রান্না বন্ধ হয়ে যায়। এতে হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মেসের শিক্ষার্থীরাও ক্যানটিনে খাওয়াদাওয়া করেন। রমজানে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে মানসম্মত সাহ্রির। অন্য মাসগুলোতে হলে খাবার নিয়ে নানা অভিযোগ থাকলেও সবার আশা থাকে রমজান মাস উপলক্ষে তাঁরা হলে ভালো খাবার পাবেন। কিন্তু রমজান উপলক্ষে খাবারের দাম বাড়ালেও বাড়েনি খাবারের মান।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ‘ক্যানটিনগুলোতে ন্যূনতম তদারকি নেই হল প্রশাসনের। হল প্রশাসন খাবারের মেন্যু ঠিক করে দিলেও ক্যানটিন ম্যানেজাররা এসব মানে না। আমরা কী খাচ্ছি, হল কীভাবে চলছে—এসব বিষয়ে তাঁদের ন্যূনতম দায়িত্ববোধ নেই। এসব খাবার থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাচ্ছি না আমরা।’
হলগুলোতে দেখা গেছে, রাতের খাবারের মূল্য আগের মতো থাকলেও সাহ্রিতে রাতের একই খাবার পরিবেশন করে, কিন্তু রাতের তুলনায় সাহ্রিতে যোগ হয় আরও ৫ অথবা ১০ টাকা।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হলে খাবারের নিয়মিত দামের চেয়েও ১২ টাকা বৃদ্ধি করে ৫০ টাকা দামে সাহ্রি দেওয়া হচ্ছে। সাদ্দাম হলে ২৮ টাকার খাবার দাম বাড়িয়ে ৪০ টাকা করা হয়েছে এবং ৩৮ টাকার খাবার ৬০ টাকা হয়েছে। একই অবস্থা অন্য হলগুলোতে।
এ বিষয়ে শেখ রাসেল হলের শিক্ষার্থী আশরাফ উদ্দীন বলেন, ক্যানটিনগুলোতে নিম্নমানের চাল রান্না হয়। ডালের মধ্যে শুধু পানি। এ খাবার খেয়ে পুষ্টির চাহিদা মেটে না। ৩৮ টাকার খাবার ৫০ টাকায় বিক্রি করা হলেও গুণগত মান বাড়েনি।
এদিকে সাহ্রির সময়ে হলগুলোতে দেখা যায়, ভালো খাবারের সন্ধানে এক হল থেকে আরেক হলের দিকে ছোটাছুটি করছেন শিক্ষার্থীরা। সাদ্দাম হোসেন হলের শিক্ষার্থীরা যাচ্ছেন লালন শাহ হলের দিকে, আবার শহীদ জিয়াউর রহমান হলের শিক্ষার্থীরা যাচ্ছেন সাদ্দাম হোসেন হলে। কিছু হলে খাবারের মান কিছুটা ভালো হলেও সেটা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা থেকে নব্বই টাকার মধ্যে। যা সাধারণ দামের তুলনায় অনেক বেশি।
খাবারের দামের বিষয়ে জিয়াউর রহমান হলের ক্যানটিন ম্যানেজার রফিক বলেন, ‘বাজারে সবকিছুর দাম কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে আমরাও দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছি। রমজানে খাবারের মান ভালো করা হয়েছে। এ জন্যই দাম একটু বৃদ্ধি পেয়েছে।’
অন্যদিকে এসব খাবার থেকে ন্যূনতম পুষ্টি পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা—এমনটাই বলছেন ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ আব্দুর রউফ। তিনি বলেন, ‘একজন শিক্ষার্থীর প্রতিদিন ২ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার কিলো ক্যালরি প্রয়োজন। তবে হলের শিক্ষার্থীরা দৈনিক যে খাবার গ্রহণ করেন তা থেকে তাঁরা প্রায় ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার কিলো ক্যালরি পান। এর থেকে উত্তরণে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তদারকি করতে হবে। খাবারের সবদিক বিবেচনা করে মেন্যু ঠিক করে দিতে হবে।’
অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ আব্দুর রউফ আরও বলেন, ‘আমি প্রভাষক থাকা অবস্থায় ক্লাসে শিক্ষার্থীদের যে রকম রেসপন্স পেয়েছি, এখন সেভাবে রেসপন্স পাই না। এর থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় শিক্ষার্থীরা হলের খাবার থেকে প্রয়োজনমতো পুষ্টি পাচ্ছে না।’
একজন সাধারণ মানুষের প্রয়োজনীয় ও পরিমাণমতো ছয়টি উপাদানযুক্ত খাদ্য গ্রহণ করতে হয়, যা পুষ্টিচাহিদা মেটানোর পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধক্ষমতাও বাড়ায়। আমিষ, শর্করা, স্নেহ পদার্থ, খনিজ লবণ, ভিটামিন ও পানি গ্রহণ করলে দেহের ক্ষয়পূরণ, বুদ্ধিসাধন, শক্তি উৎপাদনসহ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জিত হয়।
শিক্ষার্থীরা বলেছেন, প্রয়োজনীয় খাবার খেতে তাঁদের দৈনিক খরচ হবে কমপক্ষে ২০০ টাকা। এই খরচ বহন করা তাঁদের জন্য সহজ নয়। যতটুকু না খেলে নয়, ততটুকুতেই তাঁরা সন্তুষ্ট থাকেন। দ্রব্যমূল্যর ঊর্ধ্বগতির বাজারে মাস শেষ করার জন্য খরচ কমানোর চেষ্টায় থাকেন বেশির ভাগ শিক্ষার্থী।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা বলেন, যারা হল ডাইনিংয়ে কাজ করছেন, তাঁদের অতিরিক্ত খেয়াল রাখা উচিত। আরও সচেতন হলে নির্ধারিত টাকায় ভালো মানের খাবার পরিবেশন করা যাবে। হল প্রশাসন এ বিষয়ে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছে।
টাকা না দিলে পরীক্ষায় ফেল দেখানো হয়। হয়রানি করা হয় বছরের পর বছর। দালাল আর টাকা ছাড়া কোনো কাজই হয় না বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) পাবনা কার্যালয়ে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আকস্মিক অভিযানে উঠে এসেছে এমন তথ্য।
৫ মিনিট আগেপাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) অপসারণসহ বিভিন্ন দাবিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ১০ দিন ধরে আন্দোলন করছেন। ২৮ এপ্রিল থেকে এ আন্দোলন চলছে। নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (এনপিসিবিএল) নামের এই কেন্দ্রে প্রায় ১ হাজার ৮০০ কর্মী কর্মরত।
১০ মিনিট আগেচেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক আইজিপি আবদুল কাইয়ুমের বিরুদ্ধে আওয়ামী সমর্থকদের নিয়ে পথসভা করার অভিযোগ তুলেছেন জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির নেতারা। আজ বুধবার উপজেলা ও পৌর বিএনপির এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন তাঁরা।
১৪ মিনিট আগেকুষ্টিয়ায় নারী চিকিৎসক ও তাঁর স্বামীকে মারধরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ভুক্তভোগী চিকিৎসক শারমিন সুলতানার স্বামী মুহাম্মদ মাসুদ রানা বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলাটি করেন। মামলায় তিনজন নারীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ২০ থেকে ২৫ জনকে।
১৪ মিনিট আগে