যশোর প্রতিনিধি
খুব বেশি দিন আগের কথা নয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে তো বটেই পরেও কিছুদিন তালপাতায় লিখতে হয়েছে। কারণ তখনো লেখার জন্য কাগজ এতটু সুলভ ছিল না। পুরোনো সেই ঐতিহ্য ধরে রাখতে যশোরে এক যুগের বেশি সময় ধরে ভিন্নধর্মী এক আয়োজন হয়ে আসছে। প্রতি বছরের শুরুতে তালপাতায় শিশুদের পড়াশোনায় হাতেখড়ি হয়ে থাকে। আজ শনিবার সকালে সেই উৎসবের আয়োজন করা হয়।
উৎসবমুখর পরিবেশে গুরুজনদের হাত ধরে তালপাতায় হাতেখড়ির মাধ্যমে শিক্ষাজীবনের সূচনা হয়েছে তিন শতাধিক কোমলমতি শিশুর। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার গুণী মানুষেরা উপস্থিত হয়ে শিশুদের হাত ধরে তালপাতার ওপর লিখিয়ে বিদ্যা অর্জনের সূচনা করেন।
এ উপলক্ষে আজ বেলা ১১টায় শহরের পৌর পার্কে মাঠে বসেছিল শিশুদের মিলনমেলা। উদীচীর উদ্যোগে শহরের সাতটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিশুদের নিয়ে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়।
অক্ষর শিশু শিক্ষালয়ের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন আধো আধো স্বরে বলে, ‘তালপাতায় কখনো লিখিনি। আজ এখানে অ আ লিখেছি। খুব ভালো লেগেছে।’
ফাতিহা আল ফারিহা নামের আরেক শিক্ষার্থী বলে, ‘স্যার আমাকে পাশে বসিয়ে বিভিন্ন অক্ষর লেখা শিখিয়েছেন। লিখতে পেরে অনেক ভালো লেগেছে।’
তন্দ্রা রায় নামের এক অভিভাবক বলেন, ‘এই আয়োজন একেবারেই ব্যতিক্রম। আমরা তালপাতা আর বাঁশের কঞ্চি দিয়ে ছোটবেলায় লিখেছি। সেই ঐতিহ্য এখনো যশোরের উদীচী ধরে রেখেছে।’
জাতীয় সংগীতের পর উদীচীর সংগীত পরিবেশনা দিয়ে শুরু হয় এই উৎসব। উৎসবের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) তমিজুল ইসলাম খান। উদীচী যশোরের সহসভাপতি আমিনুর রহমান হিরুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন যশোর পৌরসভার মেয়র হায়দার গনি খান পলাশ, দৈনিক কল্যাণের প্রকাশক ও সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা একরাম-উদ্দ-দৌলা, গ্রামের কাগজের সম্পাদক মবিনুল ইসলাম মবিন, অক্ষর শিক্ষালয়ের অধ্যক্ষ শৈলেস কুমার রায়। স্বাগত বক্তব্য দেন উদীচী যশোরের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান বিপ্লব।
এ সময় জেলা প্রশাসক বলেন, স্কুলজীবনে জ্ঞানার্জনের শুরুতে সর্বজনীন এমন আয়োজন উপস্থিত কোমলমতি শিশুদের অনুপ্রাণিত করবে। অভিভাবকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, শিক্ষাজীবন যেন বোঝা না হয় সেদিকে অভিভাবকদের খেয়াল রাখতে হবে। সবকিছুতে প্রথম হতে হবে এমন মানসিক চাপ দিয়ে বড় করে তোলার প্রয়াস শিশুদের সুকুমার বৃত্তি প্রকাশে বাধাগ্রস্ত হয়।
আয়োজকেরা জানান, ২০১১ সাল থেকে উদীচী যশোরের উদ্যোগে হাতেখড়ি উৎসবের আয়োজন হয়ে আসছে। উৎসবে উদীচী যশোর পরিচালিত ‘অক্ষর শিশু শিক্ষালয়’-এ নতুন ভর্তি শিক্ষার্থীসহ ব্যাপ্টিস্ট চার্চ বিদ্যালয়, অঙ্কুর কিন্ডারগার্টেন, বালিয়াডাঙ্গা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মৌমাছি স্কুল, ওয়াইডব্লিউসিএ স্কুল, সেঞ্চুরি প্রি-ক্যাডেট স্কুলের তিন শতাধিক শিক্ষার্থীর এভাবে হাতেখড়ি হয়।
খুব বেশি দিন আগের কথা নয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে তো বটেই পরেও কিছুদিন তালপাতায় লিখতে হয়েছে। কারণ তখনো লেখার জন্য কাগজ এতটু সুলভ ছিল না। পুরোনো সেই ঐতিহ্য ধরে রাখতে যশোরে এক যুগের বেশি সময় ধরে ভিন্নধর্মী এক আয়োজন হয়ে আসছে। প্রতি বছরের শুরুতে তালপাতায় শিশুদের পড়াশোনায় হাতেখড়ি হয়ে থাকে। আজ শনিবার সকালে সেই উৎসবের আয়োজন করা হয়।
উৎসবমুখর পরিবেশে গুরুজনদের হাত ধরে তালপাতায় হাতেখড়ির মাধ্যমে শিক্ষাজীবনের সূচনা হয়েছে তিন শতাধিক কোমলমতি শিশুর। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার গুণী মানুষেরা উপস্থিত হয়ে শিশুদের হাত ধরে তালপাতার ওপর লিখিয়ে বিদ্যা অর্জনের সূচনা করেন।
এ উপলক্ষে আজ বেলা ১১টায় শহরের পৌর পার্কে মাঠে বসেছিল শিশুদের মিলনমেলা। উদীচীর উদ্যোগে শহরের সাতটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিশুদের নিয়ে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়।
অক্ষর শিশু শিক্ষালয়ের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন আধো আধো স্বরে বলে, ‘তালপাতায় কখনো লিখিনি। আজ এখানে অ আ লিখেছি। খুব ভালো লেগেছে।’
ফাতিহা আল ফারিহা নামের আরেক শিক্ষার্থী বলে, ‘স্যার আমাকে পাশে বসিয়ে বিভিন্ন অক্ষর লেখা শিখিয়েছেন। লিখতে পেরে অনেক ভালো লেগেছে।’
তন্দ্রা রায় নামের এক অভিভাবক বলেন, ‘এই আয়োজন একেবারেই ব্যতিক্রম। আমরা তালপাতা আর বাঁশের কঞ্চি দিয়ে ছোটবেলায় লিখেছি। সেই ঐতিহ্য এখনো যশোরের উদীচী ধরে রেখেছে।’
জাতীয় সংগীতের পর উদীচীর সংগীত পরিবেশনা দিয়ে শুরু হয় এই উৎসব। উৎসবের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) তমিজুল ইসলাম খান। উদীচী যশোরের সহসভাপতি আমিনুর রহমান হিরুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন যশোর পৌরসভার মেয়র হায়দার গনি খান পলাশ, দৈনিক কল্যাণের প্রকাশক ও সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা একরাম-উদ্দ-দৌলা, গ্রামের কাগজের সম্পাদক মবিনুল ইসলাম মবিন, অক্ষর শিক্ষালয়ের অধ্যক্ষ শৈলেস কুমার রায়। স্বাগত বক্তব্য দেন উদীচী যশোরের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান বিপ্লব।
এ সময় জেলা প্রশাসক বলেন, স্কুলজীবনে জ্ঞানার্জনের শুরুতে সর্বজনীন এমন আয়োজন উপস্থিত কোমলমতি শিশুদের অনুপ্রাণিত করবে। অভিভাবকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, শিক্ষাজীবন যেন বোঝা না হয় সেদিকে অভিভাবকদের খেয়াল রাখতে হবে। সবকিছুতে প্রথম হতে হবে এমন মানসিক চাপ দিয়ে বড় করে তোলার প্রয়াস শিশুদের সুকুমার বৃত্তি প্রকাশে বাধাগ্রস্ত হয়।
আয়োজকেরা জানান, ২০১১ সাল থেকে উদীচী যশোরের উদ্যোগে হাতেখড়ি উৎসবের আয়োজন হয়ে আসছে। উৎসবে উদীচী যশোর পরিচালিত ‘অক্ষর শিশু শিক্ষালয়’-এ নতুন ভর্তি শিক্ষার্থীসহ ব্যাপ্টিস্ট চার্চ বিদ্যালয়, অঙ্কুর কিন্ডারগার্টেন, বালিয়াডাঙ্গা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মৌমাছি স্কুল, ওয়াইডব্লিউসিএ স্কুল, সেঞ্চুরি প্রি-ক্যাডেট স্কুলের তিন শতাধিক শিক্ষার্থীর এভাবে হাতেখড়ি হয়।
ভবন নির্মাণের পর আর তেমন কোনো সংস্কার না হওয়ায় বর্তমানে ভবনগুলো ভেঙে পড়ার মতো ঝুঁকিতে রয়েছে। একাডেমিক ভবনের তৃতীয় তলায় অবস্থিত ছাত্রদের আবাসিক হোস্টেলে বড় বড় ফাটল থাকায় পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের সময় পলেস্তারা খসে পড়ে, কোথাও কোথাও রড বের হয়ে গেছে।
১২ মিনিট আগে২০১৯ সালের গোড়ায় মডেল মসজিদের কাজ শুরু হয়। এখন ২০২৫ সালের মাঝামাঝি চলছে, প্রায় সাত বছর পার হলেও ৮০ শতাংশ কাজও শেষ হয়নি। অথচ তিন বছরের চুক্তিতে কাজ শুরু হয়েছিল।”
১ ঘণ্টা আগেজমানো পানি পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, মশা ও মাছির জন্ম হয়ে পরিবেশ চরম আকারে দুষিত হচ্ছে। দ্রুত পৌর শহরের অর্ধলাখ মানুষকে রক্ষায় কালভার্ট ও ড্রেনেজ দখল করে স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। অভিযোগ রয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ পানি নিস্কাশনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেও কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছেন
১ ঘণ্টা আগেসরেজমিনে কুর্নী ও বহনতলী এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তে বৃষ্টির পানি জমে আছে। এতে গর্তের গভীরতা ও অবস্থান বোঝা কঠিন হয়ে পড়েছে চালকদের জন্য। প্রতিনিয়ত যানবাহন এসব গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে