ফকিরহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
কদিন পরেই (১ অক্টোবর) শরতের শুভ্র সকালে ভক্তদের ঢাকের শব্দে মুখরিত হয়ে উঠবে শারদীয় দুর্গোৎসব। ভক্তি আর ধর্মীয় বিশ্বাসকে মনে গেঁথে দেবী গড়ার কাজে দিনরাত নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন ফকিরহাটের প্রতিমা শিল্পীরা। প্রতিমা ভক্তানুরাগীদের আনন্দ দিতে পারলেও প্রতিমা কারিগর পালদের নিজেদের ঘরে আনন্দ নেই। প্রতিমা তৈরির সরঞ্জাম, মাটি, রং আর নিত্য পণ্যের দাম বাড়লেও বাড়েনি তাঁদের পারিশ্রমিক।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাগেরহাটের ফকিরহাটে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গোৎসবের জন্য ৬৭টি পূজা মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে। এছাড়া বাড়িতে বাড়িতে ব্যক্তি উদ্যোগেও অনেকগুলো মণ্ডপ তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এসব মণ্ডপে ব্যস্ত সময় পার করলেও মুখে হাসি নেই শিল্পীদের।
পূজা আয়োজক কমিটির একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফকিরহাটের অর্থনীতি মূলত ৩টি কৃষি পণ্যের ওপর নির্ভরশীল। অনাবৃষ্টির কারণে এ বছর মাছ, পান ও সুপারির ফলনে ব্যাপকভাবে ক্ষতি হয়েছে। এ কারণে মানুষের হাতে টাকা-পয়সা নেই। অভাব অনটনের মধ্যেও তাঁরা ধর্মীয় উৎসব পালনে যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন। উপজেলা পরিষদ থেকে সহায়তা নিয়ে পূজা উদ্যাপনের আয়োজন করছেন। কৃষি মন্দায় ফকিরহাটের প্রতিমা শিল্পীদের বাজার দর অনুযায়ী পারিশ্রমিক দিতে পারছেন না পূজা আয়োজকেরা।
পূর্বপুরুষ থেকে বংশ পরম্পরায় সর্বশেষ চারটি পাল পরিবার ফকিরহাটে প্রতিমাসহ মাটির জিনিসপত্র তৈরির পেশায় টিকে আছেন। তার মধ্যে বিমল পালের পরিবারে তিনিই শেষ ব্যক্তি যিনি মাটির কাজ করেন। সন্তানেরা মাটির কাজ ছেড়ে অন্য পেশায় চলে গেছে। প্রতিমাসহ মাটির কাজের পারিশ্রমিক কম ও অভাব অনাটনের কারণে তারা পেশা ছাড়ছেন।
বিমল পাল বলেন, একটি দুর্গা প্রতিমার সঙ্গে সিংহ, অসুর, মহিষ, লক্ষ্মী, সরস্বতী ও কার্তিক থাকেন। তাঁদের গড়তে, মাটির প্রলেপ দিতে, রং করতে, চক্ষু দান ও অন্যান্য সাজ সজ্জার জন্য একটি মণ্ডপে ৫ বার যেতে হয়। এভাবে তিনজন লোক কাজ করে বেশ কয়েক দিনের চেষ্টায় প্রতিমা তৈরি করে মাত্র ১৫ হাজার টাকা মজুরি পান। তার প্রায় অর্ধেক খরচ হয়ে যায় প্রতিমা তৈরির কাঁচামাল ও সরঞ্জাম কিনতে। এ বছর জিনিসপত্রের দাম কয়েক গুন বেড়েছে বলে তিনি জানান। এসব খরচ প্রতিমা কারিগরদের বহন করতে হয়।
ফকিরহাট পালপাড়া এলাকার প্রতিমা কারিগর অরুন পাল ও লিটন পাল জানান, গত বছর একটি প্রতিমা সেট তৈরির জন্য ২ হাজার ৭০০ টাকার রং লাগত। এ বছর সে রঙের দাম ৫ হাজার টাকা। এক ট্রলি মাটির দাম ছিল ৩০০ টাকা, যা এ বছর ৭০০ টাকায় কিনতে হয়েছে। এছাড়া খড়, বাঁশ, কাঠের দাম বেড়েছে। কিন্তু প্রতিমার দাম বাড়েনি। অনাবৃষ্টির কারণে কৃষিতে বিপর্যয়ের কারণে মানুষের হাতে টাকা নেই বলে বেশি দামে কিনতে পারছেন না দুর্গা প্রতিমা।
পরিবারের ৪ সদস্য নিয়ে দিনরাত পরিশ্রম করে প্রতিমা তৈরি করছেন তিনি। কিন্তু অর্থাভাবে নিজের উৎসব বিষাদে ভরে যাচ্ছে বলে জানান পাল পরিবারের প্রবীণ সদস্য অরুন পাল। এভাবে ক্রমশ চেপে বসা দারিদ্র্যের জগদ্দল পাথরটা নামছেই না তাদের বুক থেকে। আর তাই দিন দিন সহায়হীন, আশাহীন হয়ে পড়েছেন এখনো এ পেশায় লেগে থাকা মানুষগুলো।
ফকিরহাট উপজেলা চেয়ারম্যান স্বপন দাশ বলেন, পাল সম্প্রদায়কে সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় সুরক্ষা প্রদান করা হবে। বাংলা সংস্কৃতির অংশ হিসেবে এ পেশা টিকিয়ে রাখতে যে সব উদ্যোগ প্রয়োজন তা নেওয়া হবে।
কদিন পরেই (১ অক্টোবর) শরতের শুভ্র সকালে ভক্তদের ঢাকের শব্দে মুখরিত হয়ে উঠবে শারদীয় দুর্গোৎসব। ভক্তি আর ধর্মীয় বিশ্বাসকে মনে গেঁথে দেবী গড়ার কাজে দিনরাত নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন ফকিরহাটের প্রতিমা শিল্পীরা। প্রতিমা ভক্তানুরাগীদের আনন্দ দিতে পারলেও প্রতিমা কারিগর পালদের নিজেদের ঘরে আনন্দ নেই। প্রতিমা তৈরির সরঞ্জাম, মাটি, রং আর নিত্য পণ্যের দাম বাড়লেও বাড়েনি তাঁদের পারিশ্রমিক।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাগেরহাটের ফকিরহাটে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গোৎসবের জন্য ৬৭টি পূজা মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে। এছাড়া বাড়িতে বাড়িতে ব্যক্তি উদ্যোগেও অনেকগুলো মণ্ডপ তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এসব মণ্ডপে ব্যস্ত সময় পার করলেও মুখে হাসি নেই শিল্পীদের।
পূজা আয়োজক কমিটির একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফকিরহাটের অর্থনীতি মূলত ৩টি কৃষি পণ্যের ওপর নির্ভরশীল। অনাবৃষ্টির কারণে এ বছর মাছ, পান ও সুপারির ফলনে ব্যাপকভাবে ক্ষতি হয়েছে। এ কারণে মানুষের হাতে টাকা-পয়সা নেই। অভাব অনটনের মধ্যেও তাঁরা ধর্মীয় উৎসব পালনে যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন। উপজেলা পরিষদ থেকে সহায়তা নিয়ে পূজা উদ্যাপনের আয়োজন করছেন। কৃষি মন্দায় ফকিরহাটের প্রতিমা শিল্পীদের বাজার দর অনুযায়ী পারিশ্রমিক দিতে পারছেন না পূজা আয়োজকেরা।
পূর্বপুরুষ থেকে বংশ পরম্পরায় সর্বশেষ চারটি পাল পরিবার ফকিরহাটে প্রতিমাসহ মাটির জিনিসপত্র তৈরির পেশায় টিকে আছেন। তার মধ্যে বিমল পালের পরিবারে তিনিই শেষ ব্যক্তি যিনি মাটির কাজ করেন। সন্তানেরা মাটির কাজ ছেড়ে অন্য পেশায় চলে গেছে। প্রতিমাসহ মাটির কাজের পারিশ্রমিক কম ও অভাব অনাটনের কারণে তারা পেশা ছাড়ছেন।
বিমল পাল বলেন, একটি দুর্গা প্রতিমার সঙ্গে সিংহ, অসুর, মহিষ, লক্ষ্মী, সরস্বতী ও কার্তিক থাকেন। তাঁদের গড়তে, মাটির প্রলেপ দিতে, রং করতে, চক্ষু দান ও অন্যান্য সাজ সজ্জার জন্য একটি মণ্ডপে ৫ বার যেতে হয়। এভাবে তিনজন লোক কাজ করে বেশ কয়েক দিনের চেষ্টায় প্রতিমা তৈরি করে মাত্র ১৫ হাজার টাকা মজুরি পান। তার প্রায় অর্ধেক খরচ হয়ে যায় প্রতিমা তৈরির কাঁচামাল ও সরঞ্জাম কিনতে। এ বছর জিনিসপত্রের দাম কয়েক গুন বেড়েছে বলে তিনি জানান। এসব খরচ প্রতিমা কারিগরদের বহন করতে হয়।
ফকিরহাট পালপাড়া এলাকার প্রতিমা কারিগর অরুন পাল ও লিটন পাল জানান, গত বছর একটি প্রতিমা সেট তৈরির জন্য ২ হাজার ৭০০ টাকার রং লাগত। এ বছর সে রঙের দাম ৫ হাজার টাকা। এক ট্রলি মাটির দাম ছিল ৩০০ টাকা, যা এ বছর ৭০০ টাকায় কিনতে হয়েছে। এছাড়া খড়, বাঁশ, কাঠের দাম বেড়েছে। কিন্তু প্রতিমার দাম বাড়েনি। অনাবৃষ্টির কারণে কৃষিতে বিপর্যয়ের কারণে মানুষের হাতে টাকা নেই বলে বেশি দামে কিনতে পারছেন না দুর্গা প্রতিমা।
পরিবারের ৪ সদস্য নিয়ে দিনরাত পরিশ্রম করে প্রতিমা তৈরি করছেন তিনি। কিন্তু অর্থাভাবে নিজের উৎসব বিষাদে ভরে যাচ্ছে বলে জানান পাল পরিবারের প্রবীণ সদস্য অরুন পাল। এভাবে ক্রমশ চেপে বসা দারিদ্র্যের জগদ্দল পাথরটা নামছেই না তাদের বুক থেকে। আর তাই দিন দিন সহায়হীন, আশাহীন হয়ে পড়েছেন এখনো এ পেশায় লেগে থাকা মানুষগুলো।
ফকিরহাট উপজেলা চেয়ারম্যান স্বপন দাশ বলেন, পাল সম্প্রদায়কে সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় সুরক্ষা প্রদান করা হবে। বাংলা সংস্কৃতির অংশ হিসেবে এ পেশা টিকিয়ে রাখতে যে সব উদ্যোগ প্রয়োজন তা নেওয়া হবে।
গাজীপুরের শ্রীপুরে ঘুমন্ত মাদকাসক্ত ছেলেকে ধারালো বটি দিয়ে গলা কেটে হত্যার পর থানায় এসে বৃদ্ধ বাবা আত্মসমর্পণ করেছেন। মাদকাসক্ত ছেলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে এঘটনা ঘটিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বৃদ্ধ বাবা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল।
৩ মিনিট আগেগাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীতে অবস্থিত তৈরি পোশাক কারখানা এম এম নিটওয়্যার ও মামুন নিটওয়্যার লিমিটেড শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। আজ বুধবার সকাল ৮টায় শ্রমিকেরা কারখানার গেটে টানানো বন্ধ ঘোষণার নোটিশ দেখতে পান। নোটিশ দেখার পর শ্রমিকদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা...
৪০ মিনিট আগেকারও হাতে খাতা, কারও বইয়ের ভাঁজে গুঁজে রাখা কলম। হঠাৎ হাওয়ার ঝাপটা এসে উড়িয়ে দেয় কাগজ। মাথায় হাত দিয়ে ধরে রাখতে হয় বই। শিক্ষক একটু থেমে যান। শব্দ থেমে যায়। কয়েক সেকেন্ড পরে আবারও
১ ঘণ্টা আগে২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। ওই হামলায় ঘটনাস্থলেই নয়জন নিহত হন। হাসপাতালে মারা যান আরও একজন। রমনা বটমূলে বোমা হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ২০১৪ সালের ২৩ জুন রায় দেন বিচারিক আদালত। রায়ে মুফতি হান্নানসহ আটজনের মৃত্যুদণ্ড এবং ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
১ ঘণ্টা আগে