Ajker Patrika

মেট্রোরেলের চার ইঞ্জিন ও আট বগি নিয়ে মোংলা বন্দরে 'এসপিএম ব্যাংকক'

মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি 
মেট্রোরেলের চার ইঞ্জিন ও আট বগি নিয়ে মোংলা বন্দরে 'এসপিএম ব্যাংকক'

মেট্রোরেলের আরও একটি চালান মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছেছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় আটটি বগি ও চারটি ইঞ্জিনের দুই সেট কোচ নিয়ে বন্দরের ৯ নম্বর জেটিতে নোঙর করেছে থাইল্যান্ডের পতাকাবাহী জাহাজ 'এমভি এসপিএম ব্যাংকক'।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর জাপানের কোবে বন্দর থেকে ছেড়ে আসা এই জাহাজে মেট্রোরেলের বগি ছাড়াও ৩২টি প্যাকেজের সরঞ্জাম এসেছে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শনিবার সকালেই ওই জাহাজ থেকে মেট্রোরেলের বগি ও ইঞ্জিন খালাস করা শুরু হয়েছে। সন্ধ্যা নাগাদ এসব পণ্য পুরোপুরি খালাস শেষ হবে বলেও জানান হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দিন।

বিদেশি জাহাজ 'এমভি এসপিএম ব্যাংকক' এর স্থানীয় শিপিং এজেন্ট এনশিয়েন্ট স্টিম শিপ কোম্পানির খুলনার ব্যবস্থাপক মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, আগামী মাসে মেট্রোরেলের বগি নিয়ে আরও একটি চালান আসার কথা রয়েছে। সব মিলে ২০২২ সালের মধ্যে মোংলা বন্দরে ১০২টি বগি ও ইঞ্জিন আসবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

এর আগে চারটি বিদেশি জাহাজে করে মোট ৩৪টি বগি মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছায়। এসব বগি সংযোজিত হয়ে গত ২৯ আগস্ট উত্তরা থেকে পল্লবী পর্যন্ত মেট্রোরেলের পরীক্ষামূলক চলাচল শুরু হয়।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, দেশে আমদানি হওয়া মেট্রোরেলের এসব বগি মোংলা বন্দর দিয়ে খালাস হওয়ায় বন্দরের সক্ষমতার প্রমাণ মিলেছে। তিনি বলেন, এর আগে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিভিন্ন মালামাল ও যন্ত্রাংশ মোংলা বন্দর দিয়ে আসে। ২০১৯-২০ সালে বন্দরের আউটার বার ড্রেজিং সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমান বন্দরে ইনার বারের ড্রেজিং চলছে। নাব্যতা দূর হওয়াতে বন্দরের জেটিতে এখন বড় বড় জাহাজ আসতে পারছে। সব মিলিয়ে মোংলা বন্দর একটি গতিশীল বন্দর হিসেবে রূপান্তরিত হয়েছে এবং বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। 

মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানির (ডিএমটিসিএল) সূত্র জানায়, ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজধানীর উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত দেশের প্রথম মেট্রোরেল লাইন নির্মিত হচ্ছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত