মো. রবিউল ইসলাম, অভয়নগর (যশোর)
করোনার প্রভাব পড়েছে অভয়নগরের খেয়াঘাটের মাঝিদের ওপর। যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া খেয়াঘাট, পীরবাড়ি, বেঙ্গল, তালতলা, রাজঘাট, ভাঙ্গাগেট, চেঙ্গুটিয়া খেয়াঘাটে প্রায় ২০০ মাঝি নৌকা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। ভোরের আলো ফোটার আগে জীবিকার তাগিদে ভৈরবের বুকে ভাসিয়ে দেন নৌকা।
মাঝিরা জানান, করোনায় তাঁরা ঠিকভাবে চলতে পারছে না। আগের মতো আর উপার্জন নেই। আছে শুধু হতাশা। তার পরও ভৈরবের বুকে নৌকা চালিয়ে এখনো বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখেন তাঁরা। ইজারার টাকা, মালিকের টাকা, পাহারাদারের টাকা ও সিরিয়ালের টাকা—সব মিটিয়ে যা থাকে তা দিয়ে সংসার চলে না।
আজ সোমবার সকালে নওয়াপাড়া খেয়াঘাটে গিয়ে দেখা যায়, সারি সারি নৌকা বাঁধা আছে। অপেক্ষা করতে হচ্ছে যাত্রীর জন্য। যেখানে একসময় ঘাটে নৌকা ভিড়লে যাত্রীতে ভরে যেত, আজ তা আর হয় না।
ঘাটের মাঝি শিপন দেওয়ান বলেন, `করোনার ভয়াবহতা তছনছ করে দিয়েছে আমাদের জীবন। কোনোভাবে পেটে–ভাতে চলছে। আমরা যা আয় করি তা দিয়ে সংসারের খরচই হয় না। সঞ্চয় করে কিছুই রাখতে পারি না।'
মাঝি সবুজ ভূঁইয়ার সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, করোনার আগে প্রতিদিন আমরা ৫০০-৬০০ টাকা আয় করতাম। কিন্তু করোনার জন্য সবকিছু বন্ধ থাকায় মানুষ আর ঘর থেকে বের হয় না। এখন আর আগের মতো আয় হয় না। এখন দিনে ১০০-১৫০ টাকা আয় হয়। বিভিন্ন মহলকে দিয়ে সংসার খরচের জন্য কিছুই থাকে না।
সবুজ আরও বলেন, সবকিছুর দাম বেড়েছে। বেড়েছে পরিবহনের ভাড়া। কিন্তু বাড়েনি নৌকা পারাপারের ভাড়া।সরকারি নির্দেশমতে, সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে নৌকা চালাতে হবে। ঘাটে নৌকার সিরিয়াল পেতে সময় লাগে প্রায় এক ঘণ্টা। ফলে দিনে তিন থেকে চারবার যাত্রী বহন করতে পারি। এতে করে রোজগার তেমন হয় না। তা ছাড়া সরকার থেকে তেমন কিছু পাইনি। এমন অবস্থা চলতে থাকলে আমরা হয়তো না খেয়ে মারা যাব।
এ বিষয়ে মাঝিদের নেতা মুন্না জানান, করোনার আগে প্রতিদিন হাজার লোক পারাপার হতো এই ঘাট থেকে। কিন্তু এখন আর হয় না। আজ মাঝিরা অসহায়। তাঁদের দেখার কেউ নেই। সরকারি কোনো অনুদান আমরা পাই না। করোনা সংক্রমণের চেয়ে আমাদের পরিবার বেশি সংক্রমিত হচ্ছে অর্থকষ্টে।
এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিনুর রহমান বলেন, উপজেলার কোনো ব্যক্তি না খেয়ে থাকবে না। কেউ যদি খাদ্যকষ্টে থাকেন, তাহলে আমাদের অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন। অথবা ৩৩৩ ফোন দিলে আমরা বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেব।
করোনার প্রভাব পড়েছে অভয়নগরের খেয়াঘাটের মাঝিদের ওপর। যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া খেয়াঘাট, পীরবাড়ি, বেঙ্গল, তালতলা, রাজঘাট, ভাঙ্গাগেট, চেঙ্গুটিয়া খেয়াঘাটে প্রায় ২০০ মাঝি নৌকা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। ভোরের আলো ফোটার আগে জীবিকার তাগিদে ভৈরবের বুকে ভাসিয়ে দেন নৌকা।
মাঝিরা জানান, করোনায় তাঁরা ঠিকভাবে চলতে পারছে না। আগের মতো আর উপার্জন নেই। আছে শুধু হতাশা। তার পরও ভৈরবের বুকে নৌকা চালিয়ে এখনো বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখেন তাঁরা। ইজারার টাকা, মালিকের টাকা, পাহারাদারের টাকা ও সিরিয়ালের টাকা—সব মিটিয়ে যা থাকে তা দিয়ে সংসার চলে না।
আজ সোমবার সকালে নওয়াপাড়া খেয়াঘাটে গিয়ে দেখা যায়, সারি সারি নৌকা বাঁধা আছে। অপেক্ষা করতে হচ্ছে যাত্রীর জন্য। যেখানে একসময় ঘাটে নৌকা ভিড়লে যাত্রীতে ভরে যেত, আজ তা আর হয় না।
ঘাটের মাঝি শিপন দেওয়ান বলেন, `করোনার ভয়াবহতা তছনছ করে দিয়েছে আমাদের জীবন। কোনোভাবে পেটে–ভাতে চলছে। আমরা যা আয় করি তা দিয়ে সংসারের খরচই হয় না। সঞ্চয় করে কিছুই রাখতে পারি না।'
মাঝি সবুজ ভূঁইয়ার সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, করোনার আগে প্রতিদিন আমরা ৫০০-৬০০ টাকা আয় করতাম। কিন্তু করোনার জন্য সবকিছু বন্ধ থাকায় মানুষ আর ঘর থেকে বের হয় না। এখন আর আগের মতো আয় হয় না। এখন দিনে ১০০-১৫০ টাকা আয় হয়। বিভিন্ন মহলকে দিয়ে সংসার খরচের জন্য কিছুই থাকে না।
সবুজ আরও বলেন, সবকিছুর দাম বেড়েছে। বেড়েছে পরিবহনের ভাড়া। কিন্তু বাড়েনি নৌকা পারাপারের ভাড়া।সরকারি নির্দেশমতে, সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে নৌকা চালাতে হবে। ঘাটে নৌকার সিরিয়াল পেতে সময় লাগে প্রায় এক ঘণ্টা। ফলে দিনে তিন থেকে চারবার যাত্রী বহন করতে পারি। এতে করে রোজগার তেমন হয় না। তা ছাড়া সরকার থেকে তেমন কিছু পাইনি। এমন অবস্থা চলতে থাকলে আমরা হয়তো না খেয়ে মারা যাব।
এ বিষয়ে মাঝিদের নেতা মুন্না জানান, করোনার আগে প্রতিদিন হাজার লোক পারাপার হতো এই ঘাট থেকে। কিন্তু এখন আর হয় না। আজ মাঝিরা অসহায়। তাঁদের দেখার কেউ নেই। সরকারি কোনো অনুদান আমরা পাই না। করোনা সংক্রমণের চেয়ে আমাদের পরিবার বেশি সংক্রমিত হচ্ছে অর্থকষ্টে।
এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিনুর রহমান বলেন, উপজেলার কোনো ব্যক্তি না খেয়ে থাকবে না। কেউ যদি খাদ্যকষ্টে থাকেন, তাহলে আমাদের অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন। অথবা ৩৩৩ ফোন দিলে আমরা বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেব।
শিশুদের কলকাকলিতে মুখর আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকার লা গ্যালারি। গ্যালারির দেয়ালজুড়ে সাজানো তাদেরই পছন্দের অনেক ছবি। বইয়ে যে ছবি দেখে পড়া শিখেছে, সেগুলোই ঝুলছিল দেয়ালে। কী নেই সেখানে! নানা নকশায় লেখা বাংলা বর্ণমালা। গাছের ছবি, প্রাণীর ছবি, ফুলের ছবি, পাখির ছবি। বাচ্চারা সেগুলো দেখছে, পরস্পর আলাপ করছে।
২ ঘণ্টা আগেসংস্কার শুরু হয়েছে রাজশাহী মহানগরীর জামালপুর-চকপাড়া ও হড়গ্রাম এলাকায় সাবেক সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার বাড়ির সামনের সড়ক। পুরোনো ইট-খোয়া সরিয়ে নতুন উপকরণ দিয়ে করার কথা কাজ। কিন্তু ঠিকাদার সড়ক দুটি খুঁড়ে পাওয়া পুরোনো ইট-খোয়া দিয়েই কাজ করছেন। এ নিয়ে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করলেও পরিদর্শনেই যাননি
২ ঘণ্টা আগেবান্দরবানের আলীকদম উপজেলা সদর ইউনিয়নে ভুয়া কাগজপত্রে ভোটার হচ্ছেন রোহিঙ্গারা। রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে জনপ্রতি ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে জনপ্রতিনিধিরা ভুয়া নাগরিক সনদ ও ‘রোহিঙ্গা নয়’ মর্মে প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
৩ ঘণ্টা আগেইতিহাস, ঐতিহ্য আর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত বাংলাদেশ বেতারের পুরোনো সদর দপ্তর ভবন। রাজধানীর শাহবাগে অবস্থিত এই ভবনের অবস্থা এখন করুণ। বেতারের স্মৃতি-ঐতিহ্যের কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। প্রায় পরিত্যক্ত এই ভবন এখন বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (সাবেক বিএসএমএমইউ/পিজি) জন্য কাজ করা আনসার সদস্যদের
৩ ঘণ্টা আগে