যশোর প্রতিনিধি
যশোরের দুঃখ হিসেবে পরিচিত ভবদহ অঞ্চলের জলাবদ্ধতা সমস্যার স্থায়ী সমাধানের পথে হাঁটছে সরকার। এ লক্ষ্যে ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ভবদহ অঞ্চল পরিদর্শনকালে এ কথা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম এবং স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিন উপদেষ্টা আজ একসঙ্গে এই অঞ্চল পরিদর্শন করেন। তাঁদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সচিবেরাও উপস্থিত ছিলেন।
যশোরের অভয়নগর, মনিরামপুর ও কেশবপুর এবং খুলনার ডুমুরিয়া ও ফুলতলা উপজেলার অংশবিশেষ নিয়ে ভবদহ অঞ্চল। এই অঞ্চলের পানি নিষ্কাশনের মাধ্যম মুক্তেশ্বরী, টেকা, শ্রী ও হরি নদীতে পলি পড়ে নাব্যতা হারিয়ে গেছে। ফলে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা কেড়ে নেয় খেতের ফসল, ঘেরের মাছ। স্থানীয় চার লক্ষাধিক মানুষের ঠাঁই হয় মহাসড়কের ধারে বা আশ্রয়কেন্দ্রে।
মঙ্গলবার পরিদর্শন শেষে ভবদহ কলেজ মাঠে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন উপদেষ্টা রিজওয়ানা। তিনি বলেন, ‘গতবারের মতো এবার বর্ষায় যাতে জলাবদ্ধতা না হয়, সে জন্য সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ভবদহ এলাকার নদী খনন কাজ শুরু হবে। জলাবদ্ধতা নিরসনে যেসব সেচপাম্প কাজ করছে, সেগুলোর বিদ্যুৎ বিল ইতিমধ্যে ৪৬ শতাংশ কমিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ। এই এলাকার জন্য কৃষি ব্যাংকের ঋণের সুদ মওকুফের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ভবদহ জলাবদ্ধতা সমস্যার স্থায়ী সমাধান যাতে হয়, সে ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘২০০৫ সালে ভবদহ সমস্যার সমাধান করা সহজ ছিল। কিন্তু সে সময় সরকার সদিচ্ছা দেখায়নি। বর্তমান সরকার এ সমস্যার চিরস্থায়ী সমাধানের জন্য ইতিমধ্যে ভিজিবিলিটি স্টাডি শুরু হয়েছে। পক্ষ-বিপক্ষ সবার কাছ থেকে এ ব্যাপার মতামত নেওয়া হবে। এরপর বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
উপদেষ্টা জানান, প্রায় চিরস্থায়ী হয়ে ওঠা ভবদহ সমস্যা রাতারাতি সমাধান করা যাবে না। তবে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ শুরু করেছে। এই কাজ দীর্ঘমেয়াদি হবে। স্বল্পকালীন সমাধান হিসেবে আমডাঙ্গা খাল খনন করে পানি বের করা হয়েছে। এর ফলে অনাবাদি থাকা ২০ হাজার হেক্টরের মধ্যে ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে এবার বোরো চাষ হয়েছে। এই খাল আরও চওড়া করে খনন করা হবে। এতে আশা করা যায়, অনাবাদি জমি কমে আসবে। হাওর অঞ্চলের মতো ভবদহ এলাকার জন্যও স্থায়ী বরাদ্দ রাখা যায় কি না তা বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো সমন্বিতভাবে কাজ করছে।
এদিকে, মঙ্গলবার তিন উপদেষ্টার আগমনের খবরে ভবদহের ২১ ভেন্ট স্লুইসগেটের কাছে সমবেত হন ভুক্তভোগীরা। তারা পানি উন্নয়ন বোর্ডের অপরিণামদর্শী প্রকল্প বাদ দিয়ে জোয়ারাধার বা টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট (টিআরএম) চালু করার দাবি করেন। অন্যদিকে কিছু লোক টিআরএম বাস্তবায়নের বিরোধিতা করে স্লোগান দিতে দিতে ভবদহ বাজারে আসেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, টিআরএমের বিরোধিতাকারীরা মূলত মাছের ঘেরমালিকদের ভাড়া করা লোক। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া কয়েক ব্যক্তি সাংবাদিকদের কাছে তা স্বীকারও করেন।
যশোরের দুঃখ হিসেবে পরিচিত ভবদহ অঞ্চলের জলাবদ্ধতা সমস্যার স্থায়ী সমাধানের পথে হাঁটছে সরকার। এ লক্ষ্যে ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ভবদহ অঞ্চল পরিদর্শনকালে এ কথা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম এবং স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিন উপদেষ্টা আজ একসঙ্গে এই অঞ্চল পরিদর্শন করেন। তাঁদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সচিবেরাও উপস্থিত ছিলেন।
যশোরের অভয়নগর, মনিরামপুর ও কেশবপুর এবং খুলনার ডুমুরিয়া ও ফুলতলা উপজেলার অংশবিশেষ নিয়ে ভবদহ অঞ্চল। এই অঞ্চলের পানি নিষ্কাশনের মাধ্যম মুক্তেশ্বরী, টেকা, শ্রী ও হরি নদীতে পলি পড়ে নাব্যতা হারিয়ে গেছে। ফলে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা কেড়ে নেয় খেতের ফসল, ঘেরের মাছ। স্থানীয় চার লক্ষাধিক মানুষের ঠাঁই হয় মহাসড়কের ধারে বা আশ্রয়কেন্দ্রে।
মঙ্গলবার পরিদর্শন শেষে ভবদহ কলেজ মাঠে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন উপদেষ্টা রিজওয়ানা। তিনি বলেন, ‘গতবারের মতো এবার বর্ষায় যাতে জলাবদ্ধতা না হয়, সে জন্য সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ভবদহ এলাকার নদী খনন কাজ শুরু হবে। জলাবদ্ধতা নিরসনে যেসব সেচপাম্প কাজ করছে, সেগুলোর বিদ্যুৎ বিল ইতিমধ্যে ৪৬ শতাংশ কমিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ। এই এলাকার জন্য কৃষি ব্যাংকের ঋণের সুদ মওকুফের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ভবদহ জলাবদ্ধতা সমস্যার স্থায়ী সমাধান যাতে হয়, সে ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘২০০৫ সালে ভবদহ সমস্যার সমাধান করা সহজ ছিল। কিন্তু সে সময় সরকার সদিচ্ছা দেখায়নি। বর্তমান সরকার এ সমস্যার চিরস্থায়ী সমাধানের জন্য ইতিমধ্যে ভিজিবিলিটি স্টাডি শুরু হয়েছে। পক্ষ-বিপক্ষ সবার কাছ থেকে এ ব্যাপার মতামত নেওয়া হবে। এরপর বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
উপদেষ্টা জানান, প্রায় চিরস্থায়ী হয়ে ওঠা ভবদহ সমস্যা রাতারাতি সমাধান করা যাবে না। তবে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ শুরু করেছে। এই কাজ দীর্ঘমেয়াদি হবে। স্বল্পকালীন সমাধান হিসেবে আমডাঙ্গা খাল খনন করে পানি বের করা হয়েছে। এর ফলে অনাবাদি থাকা ২০ হাজার হেক্টরের মধ্যে ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে এবার বোরো চাষ হয়েছে। এই খাল আরও চওড়া করে খনন করা হবে। এতে আশা করা যায়, অনাবাদি জমি কমে আসবে। হাওর অঞ্চলের মতো ভবদহ এলাকার জন্যও স্থায়ী বরাদ্দ রাখা যায় কি না তা বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো সমন্বিতভাবে কাজ করছে।
এদিকে, মঙ্গলবার তিন উপদেষ্টার আগমনের খবরে ভবদহের ২১ ভেন্ট স্লুইসগেটের কাছে সমবেত হন ভুক্তভোগীরা। তারা পানি উন্নয়ন বোর্ডের অপরিণামদর্শী প্রকল্প বাদ দিয়ে জোয়ারাধার বা টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট (টিআরএম) চালু করার দাবি করেন। অন্যদিকে কিছু লোক টিআরএম বাস্তবায়নের বিরোধিতা করে স্লোগান দিতে দিতে ভবদহ বাজারে আসেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, টিআরএমের বিরোধিতাকারীরা মূলত মাছের ঘেরমালিকদের ভাড়া করা লোক। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া কয়েক ব্যক্তি সাংবাদিকদের কাছে তা স্বীকারও করেন।
২০১৯ সালের গোড়ায় মডেল মসজিদের কাজ শুরু হয়। এখন ২০২৫ সালের মাঝামাঝি চলছে, প্রায় সাত বছর পার হলেও ৮০ শতাংশ কাজও শেষ হয়নি। অথচ তিন বছরের চুক্তিতে কাজ শুরু হয়েছিল।”
২২ মিনিট আগেজমানো পানি পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, মশা ও মাছির জন্ম হয়ে পরিবেশ চরম আকারে দুষিত হচ্ছে। দ্রুত পৌর শহরের অর্ধলাখ মানুষকে রক্ষায় কালভার্ট ও ড্রেনেজ দখল করে স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। অভিযোগ রয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ পানি নিস্কাশনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেও কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছেন
২৫ মিনিট আগেসরেজমিনে কুর্নী ও বহনতলী এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তে বৃষ্টির পানি জমে আছে। এতে গর্তের গভীরতা ও অবস্থান বোঝা কঠিন হয়ে পড়েছে চালকদের জন্য। প্রতিনিয়ত যানবাহন এসব গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
৩৬ মিনিট আগেউপজেলার বড়বিল-তুলাবিল-কালাপানি সড়কের পান্নাবিল এলাকায় একটি ব্রিজ সম্পূর্ণভাবে দেবে গেছে। এ ছাড়া একসত্যাপাড়া-বড়বিল, যোগ্যাছোলা-আছারতলী ও গচ্ছাবিল-চইক্যাবিল সড়কে চলমান কার্পেটিং প্রকল্পের ৪০-৫০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কংক্রিট-বালু দিয়ে প্রস্তুত সড়ক অংশ খরস্রোতে ভেসে গেছে।
৪০ মিনিট আগে