খুলনা প্রতিনিধি

খুলনা নগরীর লবণচরায় তিন খুনের ঘটনায় থানা-পুলিশের পাশাপাশি সিআইডি, গোয়েন্দা পুলিশ, র্যাব ও পিবিআই ছায়া তদন্ত শুরু করেছে। আজ সোমবার বিকেল পর্যন্ত নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনো মামলা হয়নি। তবে রাতে মামলা দায়েরের কথা রয়েছে।
জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়েছে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে। মুরগির খামারে থাকা ইট দিয়ে থেঁতলে নাতি, নাতনি ও নানিকে হত্যা করা হয়। হত্যাকারীদের এলাকার একটি সন্ত্রাসীগোষ্ঠী সহযোগিতা করেছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে ময়নাতদন্ত শেষে তিনটি মরদেহ গ্রামের বাড়ি রূপসা উপজেলার বাগমারা নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই দাফন করা হবে। গতকাল রোববার রাতে নগরীর লবণচরা দরবেশ মোল্লা গলির এক বাড়ির মুরগির খামার থেকে নানি মহিদুন্নেছা (৫৫), নাতি মুস্তাকিম (৮) ও নাতনি ফাতিহার (৬) ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
আজ সরেজমিনে দেখা যায়, দরবেশ মোল্লা গলির সরু পথটিতে একটি বাড়িকে ঘিরে কিছু উৎসুক মানুষের ভিড়। সেখানে ওই মানুষগুলো জানার চেষ্টা করছেন—কীভাবে গতকাল ট্রিপল মার্ডার সংঘটিত হয়েছে। প্রতিবেশীরা হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে তেমন কোনো তথ্য দিতে পারেননি।
ওই বাড়ির বিপরীতে অন্য এক বাড়ির শাহীনার বেগমের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, রুবি আক্তার দম্পতির দুজনই চাকরিজীবী। তাঁরা সকালে কাজের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। রুবি আক্তার বাগেরহাট জেলার রামপার উপজেলার ভূমি অফিসে কর্মরত আছেন। তাঁর স্বামী সেফার আহমেদ খুলনা চেম্বার অব কমার্স বিল্ডিংয়ে কর্মরত।
তাঁদের নাবালক দুই ছেলেমেয়ে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। দুপুরে সেফার আহমেদ দুই বাচ্চাকে মাদ্রাসা থেকে বাড়িতে দিয়ে চলে যান। এশার আজানের পর রুবি আক্তার কর্মস্থল থেকে ফিরে বাড়ির গেটে একাধিকবার তাঁর মাকে ডাকতে থাকেন। কিন্তু ভেতর থেকে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে তিনি পেছন থেকে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে সবকিছু এলোমেলো দেখতে পেয়ে চিৎকার করেন। প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে তিনি সবকিছু বুঝতে পারেন।
শাহীনার বেগম আরও জানান, জমিটি এই দম্পতি জনৈক মুনসুর সাহেবের কাছ থেকে চার বছর আগে কেনেন। এরপর তাঁরা সেখানে একতলা বাড়ি নির্মাণ করেন। বাড়ির একটি রুমে দেশি মুরগি পালতেন রুবি আক্তার। সেই কক্ষে তিনি কখনো তালা দিতেন না। রুবি আক্তার ওই ঘরের মধ্যে মাসহ দুই সন্তানের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখে মূর্ছা যান। দুপুর পর্যন্ত তারা তিনজন সুস্থ ছিল। ট্রিপল হত্যাকাণ্ডটি প্রতিবেশীরা স্বপ্নে দেখার মতো মনে করছেন। কারণ, এ রকম হত্যাকাণ্ড তাঁদের গলিতে ঘটেনি।
এলাকার কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রুবি দম্পতি কাজের সুবাদে কারও সঙ্গে তেমন একটা চলাফেরা করতেন না। বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় বাইরে থেকে তালা মেরে যেতেন। বাড়ির চারপাশে দেয়াল দিয়ে ঘেরা। ওই দেয়াল লোহা দিয়ে সুরক্ষিত করে রাখা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে এ রকমের হত্যাকাণ্ড এলাকার মানুষকে ভাবিয়ে তুলছে।
তবে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ‘বাড়ির পেছনে একটি রাস্তা রয়েছে, ওই রাস্তা দিয়ে লোহার ওপর চটের বস্তা দিয়ে হত্যাকারীরা প্রবেশ করে প্রথমে নানি মহিদুন্নেছাকে ইট দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে, পরে ওই দুই শিশু হত্যাকারীদের চিনে ফেলায় তাদেরও দুনিয়া থেকে চিরবিদায় করে দেয় খুনিরা। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার চাই। হত্যাকারী যে-ই হোক না কেন, তাদের ফাঁসি চাই।’

মৃত দুই শিশুর চাচা সাব্বির জানান, ময়নাতদন্ত শেষ হলে রূপসা উপজেলার বাগমারা এলাকার আল আকসা জামে মসজিদে জানাজা হবে। পরে তাদের ওই গ্রামে দাফন করা হবে।
হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে সাব্বির এ প্রতিবেদককে বলেন, রূপসা উপজেলার পালেরহাট ইউনিয়নে তাঁদের একটি জমি নিয়ে আত্মীয়দের সঙ্গে বিরোধ রয়েছে। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে হত্যাকাণ্ডটি ঘটতে পারে।
একই অভিযোগ করেছেন রুবি আক্তার ও সেফার আহমেদ। তাঁদের ধারণা, বিরোধপূর্ণ জমির দলিল লুট করে নিয়ে যাওয়ার জন্য হত্যাকারীরা বাড়িতে এসেছিল। আর বাড়িতে সিসি ক্যামেরা থাকতে পারে—এমন ধারণায় হত্যাকারীরা বাড়ির বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে পুরো বাড়ি অন্ধকার করে দেয়।
এ বিষয়ে লবণচরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাওলাদার সানওয়ার হুসাইন মাসুম বলেন, ‘ট্রিপল হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে থানায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। তবে রাতে মামলা হতে পারে। ঘটনাস্থল থেকে আলামত হিসেবে ইট উদ্ধার করা হয়েছে।
‘ওই ইট দিয়ে নানি মহিদুন্নেছা, নাতি মুস্তাকিম ও নাতনি ফাতিহার মাথা থেঁতলে দেওয়া হয়। লাশ দাফন শেষে পরিবারের সদস্যরা থানায় মামলা করবেন। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আমরা তদন্ত করছি। অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি। তবে তদন্তের স্বার্থে এখন কোনো কিছু বলা যাচ্ছে না।’
ওসি আরও বলেন, ঘটনার পর সিআইডির একটি টিম ঘটনাস্থালে গিয়ে আলামত সংগ্রহ করে। এ ছাড়া দুপুরে ডিবি, র্যাব-৬, সিআইডিসহ পুলিশের একাধিক সংস্থা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পুলিশের পাশাপাশি এসব সংস্থা ছায়া তদন্ত করছে।
কেএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) রোকুনুজ্জামান বলেন, খুনিরা বাচ্চা দুটিকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। তাদের মুখের ভেতর থেকে গজ পাওয়া গেছে। ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে দেওয়া হয়েছে। লবণচরা থানা-পুলিশের পাশাপাশি ট্রিপল হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে র্যাব, গোয়েন্দা পুলিশ ও প্রশাসনের একাধিক সংস্থা কাজ করছে। রাতের মধ্যে একটা ফলাফল পাওয়া যাবে বলে তিনি আশাবাদী।
সালাউদ্দিন হত্যাকাণ্ড
এর আগে একই দিন সন্ধ্যায় নগরীর সোনাডাঙ্গা করিমনগর এলাকায় স্ত্রীর সামনে সালাউদ্দিন মৃধা (৩৫) নামের এক যুবককে গুলি ও গলা কেটে হত্যার ঘটনায় আজ বিকেল পর্যন্ত মামলা হয়নি। এ ঘটনায় কাউকে আটক করাও হয়নি বলে জানায় পুলিশ।
জানতে চাইলে সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবীর হোসেন বলেন, বিকেল পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ থানায় আসেনি। তবে রাতে মামলা হবে।
ওসি আরও বলেন, নিহত সালাউদ্দিন মৃধা দীর্ঘদিন মাদক মামলায় কারাগারে ছিলেন। ১০ দিন আগে কারাগার থেকে বের হওয়ার পর দিনমজুরের কাজ করতেন।

খুলনা নগরীর লবণচরায় তিন খুনের ঘটনায় থানা-পুলিশের পাশাপাশি সিআইডি, গোয়েন্দা পুলিশ, র্যাব ও পিবিআই ছায়া তদন্ত শুরু করেছে। আজ সোমবার বিকেল পর্যন্ত নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনো মামলা হয়নি। তবে রাতে মামলা দায়েরের কথা রয়েছে।
জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়েছে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে। মুরগির খামারে থাকা ইট দিয়ে থেঁতলে নাতি, নাতনি ও নানিকে হত্যা করা হয়। হত্যাকারীদের এলাকার একটি সন্ত্রাসীগোষ্ঠী সহযোগিতা করেছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে ময়নাতদন্ত শেষে তিনটি মরদেহ গ্রামের বাড়ি রূপসা উপজেলার বাগমারা নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই দাফন করা হবে। গতকাল রোববার রাতে নগরীর লবণচরা দরবেশ মোল্লা গলির এক বাড়ির মুরগির খামার থেকে নানি মহিদুন্নেছা (৫৫), নাতি মুস্তাকিম (৮) ও নাতনি ফাতিহার (৬) ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
আজ সরেজমিনে দেখা যায়, দরবেশ মোল্লা গলির সরু পথটিতে একটি বাড়িকে ঘিরে কিছু উৎসুক মানুষের ভিড়। সেখানে ওই মানুষগুলো জানার চেষ্টা করছেন—কীভাবে গতকাল ট্রিপল মার্ডার সংঘটিত হয়েছে। প্রতিবেশীরা হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে তেমন কোনো তথ্য দিতে পারেননি।
ওই বাড়ির বিপরীতে অন্য এক বাড়ির শাহীনার বেগমের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, রুবি আক্তার দম্পতির দুজনই চাকরিজীবী। তাঁরা সকালে কাজের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। রুবি আক্তার বাগেরহাট জেলার রামপার উপজেলার ভূমি অফিসে কর্মরত আছেন। তাঁর স্বামী সেফার আহমেদ খুলনা চেম্বার অব কমার্স বিল্ডিংয়ে কর্মরত।
তাঁদের নাবালক দুই ছেলেমেয়ে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। দুপুরে সেফার আহমেদ দুই বাচ্চাকে মাদ্রাসা থেকে বাড়িতে দিয়ে চলে যান। এশার আজানের পর রুবি আক্তার কর্মস্থল থেকে ফিরে বাড়ির গেটে একাধিকবার তাঁর মাকে ডাকতে থাকেন। কিন্তু ভেতর থেকে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে তিনি পেছন থেকে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে সবকিছু এলোমেলো দেখতে পেয়ে চিৎকার করেন। প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে তিনি সবকিছু বুঝতে পারেন।
শাহীনার বেগম আরও জানান, জমিটি এই দম্পতি জনৈক মুনসুর সাহেবের কাছ থেকে চার বছর আগে কেনেন। এরপর তাঁরা সেখানে একতলা বাড়ি নির্মাণ করেন। বাড়ির একটি রুমে দেশি মুরগি পালতেন রুবি আক্তার। সেই কক্ষে তিনি কখনো তালা দিতেন না। রুবি আক্তার ওই ঘরের মধ্যে মাসহ দুই সন্তানের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখে মূর্ছা যান। দুপুর পর্যন্ত তারা তিনজন সুস্থ ছিল। ট্রিপল হত্যাকাণ্ডটি প্রতিবেশীরা স্বপ্নে দেখার মতো মনে করছেন। কারণ, এ রকম হত্যাকাণ্ড তাঁদের গলিতে ঘটেনি।
এলাকার কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রুবি দম্পতি কাজের সুবাদে কারও সঙ্গে তেমন একটা চলাফেরা করতেন না। বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় বাইরে থেকে তালা মেরে যেতেন। বাড়ির চারপাশে দেয়াল দিয়ে ঘেরা। ওই দেয়াল লোহা দিয়ে সুরক্ষিত করে রাখা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে এ রকমের হত্যাকাণ্ড এলাকার মানুষকে ভাবিয়ে তুলছে।
তবে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ‘বাড়ির পেছনে একটি রাস্তা রয়েছে, ওই রাস্তা দিয়ে লোহার ওপর চটের বস্তা দিয়ে হত্যাকারীরা প্রবেশ করে প্রথমে নানি মহিদুন্নেছাকে ইট দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে, পরে ওই দুই শিশু হত্যাকারীদের চিনে ফেলায় তাদেরও দুনিয়া থেকে চিরবিদায় করে দেয় খুনিরা। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার চাই। হত্যাকারী যে-ই হোক না কেন, তাদের ফাঁসি চাই।’

মৃত দুই শিশুর চাচা সাব্বির জানান, ময়নাতদন্ত শেষ হলে রূপসা উপজেলার বাগমারা এলাকার আল আকসা জামে মসজিদে জানাজা হবে। পরে তাদের ওই গ্রামে দাফন করা হবে।
হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে সাব্বির এ প্রতিবেদককে বলেন, রূপসা উপজেলার পালেরহাট ইউনিয়নে তাঁদের একটি জমি নিয়ে আত্মীয়দের সঙ্গে বিরোধ রয়েছে। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে হত্যাকাণ্ডটি ঘটতে পারে।
একই অভিযোগ করেছেন রুবি আক্তার ও সেফার আহমেদ। তাঁদের ধারণা, বিরোধপূর্ণ জমির দলিল লুট করে নিয়ে যাওয়ার জন্য হত্যাকারীরা বাড়িতে এসেছিল। আর বাড়িতে সিসি ক্যামেরা থাকতে পারে—এমন ধারণায় হত্যাকারীরা বাড়ির বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে পুরো বাড়ি অন্ধকার করে দেয়।
এ বিষয়ে লবণচরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাওলাদার সানওয়ার হুসাইন মাসুম বলেন, ‘ট্রিপল হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে থানায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। তবে রাতে মামলা হতে পারে। ঘটনাস্থল থেকে আলামত হিসেবে ইট উদ্ধার করা হয়েছে।
‘ওই ইট দিয়ে নানি মহিদুন্নেছা, নাতি মুস্তাকিম ও নাতনি ফাতিহার মাথা থেঁতলে দেওয়া হয়। লাশ দাফন শেষে পরিবারের সদস্যরা থানায় মামলা করবেন। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আমরা তদন্ত করছি। অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি। তবে তদন্তের স্বার্থে এখন কোনো কিছু বলা যাচ্ছে না।’
ওসি আরও বলেন, ঘটনার পর সিআইডির একটি টিম ঘটনাস্থালে গিয়ে আলামত সংগ্রহ করে। এ ছাড়া দুপুরে ডিবি, র্যাব-৬, সিআইডিসহ পুলিশের একাধিক সংস্থা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পুলিশের পাশাপাশি এসব সংস্থা ছায়া তদন্ত করছে।
কেএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) রোকুনুজ্জামান বলেন, খুনিরা বাচ্চা দুটিকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। তাদের মুখের ভেতর থেকে গজ পাওয়া গেছে। ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে দেওয়া হয়েছে। লবণচরা থানা-পুলিশের পাশাপাশি ট্রিপল হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে র্যাব, গোয়েন্দা পুলিশ ও প্রশাসনের একাধিক সংস্থা কাজ করছে। রাতের মধ্যে একটা ফলাফল পাওয়া যাবে বলে তিনি আশাবাদী।
সালাউদ্দিন হত্যাকাণ্ড
এর আগে একই দিন সন্ধ্যায় নগরীর সোনাডাঙ্গা করিমনগর এলাকায় স্ত্রীর সামনে সালাউদ্দিন মৃধা (৩৫) নামের এক যুবককে গুলি ও গলা কেটে হত্যার ঘটনায় আজ বিকেল পর্যন্ত মামলা হয়নি। এ ঘটনায় কাউকে আটক করাও হয়নি বলে জানায় পুলিশ।
জানতে চাইলে সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবীর হোসেন বলেন, বিকেল পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ থানায় আসেনি। তবে রাতে মামলা হবে।
ওসি আরও বলেন, নিহত সালাউদ্দিন মৃধা দীর্ঘদিন মাদক মামলায় কারাগারে ছিলেন। ১০ দিন আগে কারাগার থেকে বের হওয়ার পর দিনমজুরের কাজ করতেন।

মহাসড়কের উত্তর বাঁশবাড়িয়া এলাকায় ভ্যানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে উল্টে গেলে ভেতরে থাকা তিন ব্যবসায়ী গুরুতর আহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পর কমল চৌধুরী ও সমীর চৌধুরীকে মৃত ঘোষণা করা হয়। আহত উজ্জ্বল চৌধুরী বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
৩২ মিনিট আগে
মেলার আয়োজক সুমন হক বলেন, ‘মেলার অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। আবেদনের কপিটি থানায় জমা দিয়ে অবগত করা হয়েছে। এখনো জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মেলার অনুমতি পাইনি।’ অনুমতি ছাড়া মেলা কীভাবে হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি দেখা করতে অনুরোধ করেন।
৩৮ মিনিট আগে
গুলিবিদ্ধ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থার এখনো দৃশ্যমান কোনো উন্নতি হয়নি বলে জানিয়েছেন তাঁর চিকিৎসায় গঠিত মাল্টিডিসিপ্লিনারি মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা।
১ ঘণ্টা আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, যাত্রীবাহী লঞ্চের সঙ্গে বাল্কহেডের সংঘর্ষ হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে বাল্কহেডটি নদীতে ডুবে যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, বাল্কহেডে থাকা স্টাফরা নদীতে লাফ দিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছেন।
২ ঘণ্টা আগেসীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশে খাদে উল্টে পড়ে পানবোঝাই একটি পিকআপ ভ্যান। এতে দুই পান ব্যবসায়ী নিহত ও একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উত্তর বাঁশবাড়িয়া এলাকায়।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন পটিয়া থানার হাইদগাঁও এলাকার কমল চৌধুরী (৫৩) ও হাটহাজারী থানার পশ্চিম দেওয়াননগর পূর্বপাড়া এলাকার সমীর চৌধুরী (৫৪)। আহত ব্যক্তির নাম উজ্জ্বল চৌধুরী (৪৯)।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, তারা রাতে পটিয়া থেকে মিরসরাইয়ের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। মহাসড়কের উত্তর বাঁশবাড়িয়া এলাকায় ভ্যানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে উল্টে গেলে ভেতরে থাকা তিন ব্যবসায়ী গুরুতরভাবে আহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পর কমল চৌধুরী ও সমীর চৌধুরীকে মৃত ঘোষণা করা হয়। আহত উজ্জ্বল চৌধুরী বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মোমিন জানান, দুর্ঘটনার পর চালক পালিয়ে গেছেন। তবে সড়ক পরিবহন আইনে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত দুই ব্যবসায়ীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশে খাদে উল্টে পড়ে পানবোঝাই একটি পিকআপ ভ্যান। এতে দুই পান ব্যবসায়ী নিহত ও একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উত্তর বাঁশবাড়িয়া এলাকায়।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন পটিয়া থানার হাইদগাঁও এলাকার কমল চৌধুরী (৫৩) ও হাটহাজারী থানার পশ্চিম দেওয়াননগর পূর্বপাড়া এলাকার সমীর চৌধুরী (৫৪)। আহত ব্যক্তির নাম উজ্জ্বল চৌধুরী (৪৯)।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, তারা রাতে পটিয়া থেকে মিরসরাইয়ের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। মহাসড়কের উত্তর বাঁশবাড়িয়া এলাকায় ভ্যানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে উল্টে গেলে ভেতরে থাকা তিন ব্যবসায়ী গুরুতরভাবে আহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পর কমল চৌধুরী ও সমীর চৌধুরীকে মৃত ঘোষণা করা হয়। আহত উজ্জ্বল চৌধুরী বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মোমিন জানান, দুর্ঘটনার পর চালক পালিয়ে গেছেন। তবে সড়ক পরিবহন আইনে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত দুই ব্যবসায়ীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

খুলনা নগরীর লবণচরায় তিন খুনের ঘটনায় থানা–পুলিশের পাশাপাশি সিআইডি, গোয়েন্দা পুলিশ, র্যাব ও পিবিআই ছায়া তদন্ত শুরু করেছে। আজ সোমবার বিকেল পর্যন্ত নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনো মামলা হয়নি। তবে রাতে মামলা দায়েরের কথা রয়েছে।
১৭ নভেম্বর ২০২৫
মেলার আয়োজক সুমন হক বলেন, ‘মেলার অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। আবেদনের কপিটি থানায় জমা দিয়ে অবগত করা হয়েছে। এখনো জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মেলার অনুমতি পাইনি।’ অনুমতি ছাড়া মেলা কীভাবে হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি দেখা করতে অনুরোধ করেন।
৩৮ মিনিট আগে
গুলিবিদ্ধ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থার এখনো দৃশ্যমান কোনো উন্নতি হয়নি বলে জানিয়েছেন তাঁর চিকিৎসায় গঠিত মাল্টিডিসিপ্লিনারি মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা।
১ ঘণ্টা আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, যাত্রীবাহী লঞ্চের সঙ্গে বাল্কহেডের সংঘর্ষ হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে বাল্কহেডটি নদীতে ডুবে যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, বাল্কহেডে থাকা স্টাফরা নদীতে লাফ দিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছেন।
২ ঘণ্টা আগেসোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর বালুর মাঠে অনুমোদন ছাড়া একটি মেলার আয়োজন করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মেলার আয়োজন করেছেন কাঁচপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সেলিম হক রুমির ছোট ভাই সুমন হক ও তাঁর ভাতিজা আকাশ হক। তাঁদের অভিযোগ, মেলার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মাদক কারবার, জুয়া, অশ্লীল নৃত্যসহ বেআইনি কর্মকাণ্ড। এসব অবৈধ কর্মকাণ্ড দিয়ে মেলা থেকে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে বিপুল পরিমাণ অর্থ।
গত শুক্রবার বিকেল থেকে শুরু হওয়া মেলায় জুয়াড়ি, মাদক কারবারি ও মাদকসেবীদের আনাগোনা বেড়েছে। এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। মেলা আয়োজনের অনুমতিপত্র না থাকলেও মেলার আয়োজক বিএনপি নেতার ভাই সুমন হক দাবি করেন, ইউএনও অফিসে আবেদন করে থানা-পুলিশকে জানিয়ে এই মেলা বসিয়েছেন তিনি। তবে জেলা প্রশাসনের কোনো অনুমতি নেই।
জানা যায়, কাঁচপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সেলিম হক রুমির ছোট ভাই সুমন হক ও ভাতিজা আকাশ হক ও মিঠু মিয়া কাঁচপুর ওমর আলী উচ্চবিদ্যালয়ের বিপরীত পাশে বালুর মাঠে এই মেলার আয়োজন করেন। বিজয় মেলার নামে মাসব্যাপী মেলা গতকাল শুক্রবার থেকে শুরু হয়। মেলায় নাগরদোলা, ইলেকট্রিক নৌকা, পুতুলনাচ, খেলনার দোকান, কসমেটিকসের দোকান, মুড়ি-মুড়কি, ফুচকার দোকানসহ বিভিন্ন ধরনের শতাধিক দোকান বসেছে।
মেলায় বসানো খেলনা, কসমেটিকসের দোকান ও ফুচকার দোকান থেকে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। এ ছাড়া ইলেকট্রিক নৌকা ও নাগরদোলা থেকে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। মেলার ভেতরে বসানো হয়েছে লটারির নামে জুয়া ও মাদকের আসর।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতিদিন উচ্চ স্বরে মাইক বাজিয়ে আশপাশে শব্দদূষণ করা হচ্ছে। প্রশাসনও তাঁদের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এই অবৈধ মেলা দ্রুত উচ্ছেদ করার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করেছেন তাঁরা।
মেলার ব্যবস্থাপক মিঠু মিয়া বলেন, তিনি বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে দোকানগুলো নিয়ে এসেছেন। মেলা বসানোর জায়গা না দিলে মেলা করা সম্ভব না। তবে এই মেলার জায়গা দিয়েছেন সুমন ও তাঁর ভাতিজা আকাশ।
মেলার আয়োজক সুমন হক বলেন, ‘মেলার অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। আবেদনের কপিটি থানায় জমা দিয়ে অবগত করা হয়েছে। এখনো জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মেলার অনুমতি পাইনি।’ অনুমতি ছাড়া মেলা কীভাবে হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি দেখা করতে অনুরোধ করেন।
কাঁচপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সেলিম হক রুমি বলেন, ‘এই অবৈধ মেলা বন্ধ করতে আমি নিজেই ইউএনও কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে অনুরোধ করেছি। আগামী সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই মেলা বন্ধ হওয়া উচিত।’
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাশেদুল হাসান খান বলেন, মেলার অনুমোদন দেওয়া হয়নি। আয়োজকদের ডেকে মেলা বসানোর বিষয়ে নিষেধ করা হয়েছে। মেলা বসানোর চেষ্টা করা হলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসিফ আল জিনাত বলেন, ‘মেলা বসানোর বিষয়ে কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি। আগামী সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো প্রকার জমায়েত করার সুযোগ নেই। অবৈধ মেলা উচ্ছেদ করা হবে।’

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর বালুর মাঠে অনুমোদন ছাড়া একটি মেলার আয়োজন করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মেলার আয়োজন করেছেন কাঁচপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সেলিম হক রুমির ছোট ভাই সুমন হক ও তাঁর ভাতিজা আকাশ হক। তাঁদের অভিযোগ, মেলার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মাদক কারবার, জুয়া, অশ্লীল নৃত্যসহ বেআইনি কর্মকাণ্ড। এসব অবৈধ কর্মকাণ্ড দিয়ে মেলা থেকে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে বিপুল পরিমাণ অর্থ।
গত শুক্রবার বিকেল থেকে শুরু হওয়া মেলায় জুয়াড়ি, মাদক কারবারি ও মাদকসেবীদের আনাগোনা বেড়েছে। এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। মেলা আয়োজনের অনুমতিপত্র না থাকলেও মেলার আয়োজক বিএনপি নেতার ভাই সুমন হক দাবি করেন, ইউএনও অফিসে আবেদন করে থানা-পুলিশকে জানিয়ে এই মেলা বসিয়েছেন তিনি। তবে জেলা প্রশাসনের কোনো অনুমতি নেই।
জানা যায়, কাঁচপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সেলিম হক রুমির ছোট ভাই সুমন হক ও ভাতিজা আকাশ হক ও মিঠু মিয়া কাঁচপুর ওমর আলী উচ্চবিদ্যালয়ের বিপরীত পাশে বালুর মাঠে এই মেলার আয়োজন করেন। বিজয় মেলার নামে মাসব্যাপী মেলা গতকাল শুক্রবার থেকে শুরু হয়। মেলায় নাগরদোলা, ইলেকট্রিক নৌকা, পুতুলনাচ, খেলনার দোকান, কসমেটিকসের দোকান, মুড়ি-মুড়কি, ফুচকার দোকানসহ বিভিন্ন ধরনের শতাধিক দোকান বসেছে।
মেলায় বসানো খেলনা, কসমেটিকসের দোকান ও ফুচকার দোকান থেকে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। এ ছাড়া ইলেকট্রিক নৌকা ও নাগরদোলা থেকে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। মেলার ভেতরে বসানো হয়েছে লটারির নামে জুয়া ও মাদকের আসর।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতিদিন উচ্চ স্বরে মাইক বাজিয়ে আশপাশে শব্দদূষণ করা হচ্ছে। প্রশাসনও তাঁদের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এই অবৈধ মেলা দ্রুত উচ্ছেদ করার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করেছেন তাঁরা।
মেলার ব্যবস্থাপক মিঠু মিয়া বলেন, তিনি বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে দোকানগুলো নিয়ে এসেছেন। মেলা বসানোর জায়গা না দিলে মেলা করা সম্ভব না। তবে এই মেলার জায়গা দিয়েছেন সুমন ও তাঁর ভাতিজা আকাশ।
মেলার আয়োজক সুমন হক বলেন, ‘মেলার অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। আবেদনের কপিটি থানায় জমা দিয়ে অবগত করা হয়েছে। এখনো জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মেলার অনুমতি পাইনি।’ অনুমতি ছাড়া মেলা কীভাবে হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি দেখা করতে অনুরোধ করেন।
কাঁচপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সেলিম হক রুমি বলেন, ‘এই অবৈধ মেলা বন্ধ করতে আমি নিজেই ইউএনও কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে অনুরোধ করেছি। আগামী সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই মেলা বন্ধ হওয়া উচিত।’
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাশেদুল হাসান খান বলেন, মেলার অনুমোদন দেওয়া হয়নি। আয়োজকদের ডেকে মেলা বসানোর বিষয়ে নিষেধ করা হয়েছে। মেলা বসানোর চেষ্টা করা হলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসিফ আল জিনাত বলেন, ‘মেলা বসানোর বিষয়ে কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি। আগামী সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো প্রকার জমায়েত করার সুযোগ নেই। অবৈধ মেলা উচ্ছেদ করা হবে।’

খুলনা নগরীর লবণচরায় তিন খুনের ঘটনায় থানা–পুলিশের পাশাপাশি সিআইডি, গোয়েন্দা পুলিশ, র্যাব ও পিবিআই ছায়া তদন্ত শুরু করেছে। আজ সোমবার বিকেল পর্যন্ত নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনো মামলা হয়নি। তবে রাতে মামলা দায়েরের কথা রয়েছে।
১৭ নভেম্বর ২০২৫
মহাসড়কের উত্তর বাঁশবাড়িয়া এলাকায় ভ্যানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে উল্টে গেলে ভেতরে থাকা তিন ব্যবসায়ী গুরুতর আহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পর কমল চৌধুরী ও সমীর চৌধুরীকে মৃত ঘোষণা করা হয়। আহত উজ্জ্বল চৌধুরী বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
৩২ মিনিট আগে
গুলিবিদ্ধ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থার এখনো দৃশ্যমান কোনো উন্নতি হয়নি বলে জানিয়েছেন তাঁর চিকিৎসায় গঠিত মাল্টিডিসিপ্লিনারি মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা।
১ ঘণ্টা আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, যাত্রীবাহী লঞ্চের সঙ্গে বাল্কহেডের সংঘর্ষ হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে বাল্কহেডটি নদীতে ডুবে যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, বাল্কহেডে থাকা স্টাফরা নদীতে লাফ দিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছেন।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গুলিবিদ্ধ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থার এখনো দৃশ্যমান কোনো উন্নতি হয়নি বলে জানিয়েছেন তাঁর চিকিৎসায় গঠিত মাল্টিডিসিপ্লিনারি মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা।
এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, তাঁর মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’ এবং ক্লিনিক্যালি তিনি আগের মতোই অত্যন্ত আশঙ্কাজনক পর্যায়ে রয়েছেন। এই অবস্থায় তাঁকে বিদেশে পাঠানোর পরিকল্পনাও চলছে বলে জানিয়েছেন বোর্ডের এক সদস্য।
আজ রোববার সকালে মেডিকেল বোর্ডের জরুরি বৈঠক শেষে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বোর্ডের এক চিকিৎসক এসব তথ্য জানান।
ওই চিকিৎসক বলেন, ‘ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। মেডিকেল বোর্ডের পক্ষ থেকে একটি কেস সামারি প্রস্তুত করে দেওয়া হয়েছে। বিদেশের কোনো হাসপাতাল সেই কেস সামারি পর্যালোচনা করে রোগীকে গ্রহণ করলে তবেই বিদেশে নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় আসবে।’
হাদির চিকিৎসায় যুক্ত ওই চিকিৎসক আরও জানান, ‘আজ সকালে মেডিকেল বোর্ডের বৈঠকের আগেই হাদির সিটি স্ক্যান করা হয়েছে। পুনরায় সিটি স্ক্যানে মস্তিষ্কে ব্যাপক ইডেমা (পানি জমা) ও অক্সিজেনের ঘাটতির প্রমাণ পাওয়া গেছে, যা ব্রেনের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। মস্তিষ্কের কিছু অংশে ছিটেফোঁটা রক্ত জমাট বাঁধার লক্ষণও পাওয়া গেছে। সর্বশেষ সিটি স্ক্যান অনুযায়ী হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা জটিল। ফুসফুসের অবস্থা আগের মতোই রয়েছে। বর্তমানে লাইফ সাপোর্টের মাধ্যমে হাদির শ্বাসপ্রশ্বাস চালু রাখা হয়েছে। তবে তাঁর কিডনির কার্যকারিতা স্বাভাবিক রয়েছে। দিনে প্রায় ৪ লিটার ইউরিন আউটপুটের ভিত্তিতে ফ্লুইড ব্যালেন্স করা হচ্ছে।’
এর আগে রক্ত জমাট বাঁধা ও রক্তক্ষরণের ভারসাম্যহীনতা থেকে যে ডিসেমিনেটেড ইনট্রাভাসকুলার কোয়াগুলেশন (ডিআইসি) দেখা দিয়েছিল, সেটির অবস্থাও বর্তমানে অপরিবর্তিত রয়েছে এবং নতুন করে কোনো সংকট তৈরি হয়নি বলে জানান চিকিৎসক।
তাঁর মতে, বড় উদ্বেগ মস্তিষ্ক নিয়ে। ব্রেন স্টেম ইনজুরি এখনো গুরুতর অবস্থায় রয়েছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর সন্ধ্যার দিকে হাদিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন।

গুলিবিদ্ধ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থার এখনো দৃশ্যমান কোনো উন্নতি হয়নি বলে জানিয়েছেন তাঁর চিকিৎসায় গঠিত মাল্টিডিসিপ্লিনারি মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা।
এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, তাঁর মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’ এবং ক্লিনিক্যালি তিনি আগের মতোই অত্যন্ত আশঙ্কাজনক পর্যায়ে রয়েছেন। এই অবস্থায় তাঁকে বিদেশে পাঠানোর পরিকল্পনাও চলছে বলে জানিয়েছেন বোর্ডের এক সদস্য।
আজ রোববার সকালে মেডিকেল বোর্ডের জরুরি বৈঠক শেষে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বোর্ডের এক চিকিৎসক এসব তথ্য জানান।
ওই চিকিৎসক বলেন, ‘ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। মেডিকেল বোর্ডের পক্ষ থেকে একটি কেস সামারি প্রস্তুত করে দেওয়া হয়েছে। বিদেশের কোনো হাসপাতাল সেই কেস সামারি পর্যালোচনা করে রোগীকে গ্রহণ করলে তবেই বিদেশে নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় আসবে।’
হাদির চিকিৎসায় যুক্ত ওই চিকিৎসক আরও জানান, ‘আজ সকালে মেডিকেল বোর্ডের বৈঠকের আগেই হাদির সিটি স্ক্যান করা হয়েছে। পুনরায় সিটি স্ক্যানে মস্তিষ্কে ব্যাপক ইডেমা (পানি জমা) ও অক্সিজেনের ঘাটতির প্রমাণ পাওয়া গেছে, যা ব্রেনের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। মস্তিষ্কের কিছু অংশে ছিটেফোঁটা রক্ত জমাট বাঁধার লক্ষণও পাওয়া গেছে। সর্বশেষ সিটি স্ক্যান অনুযায়ী হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা জটিল। ফুসফুসের অবস্থা আগের মতোই রয়েছে। বর্তমানে লাইফ সাপোর্টের মাধ্যমে হাদির শ্বাসপ্রশ্বাস চালু রাখা হয়েছে। তবে তাঁর কিডনির কার্যকারিতা স্বাভাবিক রয়েছে। দিনে প্রায় ৪ লিটার ইউরিন আউটপুটের ভিত্তিতে ফ্লুইড ব্যালেন্স করা হচ্ছে।’
এর আগে রক্ত জমাট বাঁধা ও রক্তক্ষরণের ভারসাম্যহীনতা থেকে যে ডিসেমিনেটেড ইনট্রাভাসকুলার কোয়াগুলেশন (ডিআইসি) দেখা দিয়েছিল, সেটির অবস্থাও বর্তমানে অপরিবর্তিত রয়েছে এবং নতুন করে কোনো সংকট তৈরি হয়নি বলে জানান চিকিৎসক।
তাঁর মতে, বড় উদ্বেগ মস্তিষ্ক নিয়ে। ব্রেন স্টেম ইনজুরি এখনো গুরুতর অবস্থায় রয়েছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর সন্ধ্যার দিকে হাদিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন।

খুলনা নগরীর লবণচরায় তিন খুনের ঘটনায় থানা–পুলিশের পাশাপাশি সিআইডি, গোয়েন্দা পুলিশ, র্যাব ও পিবিআই ছায়া তদন্ত শুরু করেছে। আজ সোমবার বিকেল পর্যন্ত নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনো মামলা হয়নি। তবে রাতে মামলা দায়েরের কথা রয়েছে।
১৭ নভেম্বর ২০২৫
মহাসড়কের উত্তর বাঁশবাড়িয়া এলাকায় ভ্যানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে উল্টে গেলে ভেতরে থাকা তিন ব্যবসায়ী গুরুতর আহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পর কমল চৌধুরী ও সমীর চৌধুরীকে মৃত ঘোষণা করা হয়। আহত উজ্জ্বল চৌধুরী বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
৩২ মিনিট আগে
মেলার আয়োজক সুমন হক বলেন, ‘মেলার অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। আবেদনের কপিটি থানায় জমা দিয়ে অবগত করা হয়েছে। এখনো জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মেলার অনুমতি পাইনি।’ অনুমতি ছাড়া মেলা কীভাবে হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি দেখা করতে অনুরোধ করেন।
৩৮ মিনিট আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, যাত্রীবাহী লঞ্চের সঙ্গে বাল্কহেডের সংঘর্ষ হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে বাল্কহেডটি নদীতে ডুবে যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, বাল্কহেডে থাকা স্টাফরা নদীতে লাফ দিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছেন।
২ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

ফতুল্লার বুড়িগঙ্গা নদীতে রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় একটি বাল্কহেড ডুবে গেছে। নৌ পুলিশ এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, যাত্রীবাহী লঞ্চের সঙ্গে বাল্কহেডের সংঘর্ষ হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে বাল্কহেডটি নদীতে ডুবে যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, বাল্কহেডে থাকা স্টাফরা নদীতে লাফ দিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছেন।
নৌ পুলিশের উপপরিদর্শক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সদরঘাট থেকে ভোলাগামী ‘বোগদাদীয়া-১৩’ লঞ্চটি ফতুল্লার বুড়িগঙ্গা অংশে পৌঁছালে একটি বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে বাল্কহেডটি ডুবে যায়। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ধাক্কা দেওয়া লঞ্চটিকে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
প্রতক্ষ্যদর্শী শেখ সাদ্দাম বলেন, ‘নদীপারাপারের সময় দুর্ঘটনাটি দেখেছি। সঙ্গে সঙ্গে আমার মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করেছি।’

ফতুল্লার বুড়িগঙ্গা নদীতে রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় একটি বাল্কহেড ডুবে গেছে। নৌ পুলিশ এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, যাত্রীবাহী লঞ্চের সঙ্গে বাল্কহেডের সংঘর্ষ হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে বাল্কহেডটি নদীতে ডুবে যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, বাল্কহেডে থাকা স্টাফরা নদীতে লাফ দিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছেন।
নৌ পুলিশের উপপরিদর্শক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সদরঘাট থেকে ভোলাগামী ‘বোগদাদীয়া-১৩’ লঞ্চটি ফতুল্লার বুড়িগঙ্গা অংশে পৌঁছালে একটি বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে বাল্কহেডটি ডুবে যায়। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ধাক্কা দেওয়া লঞ্চটিকে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
প্রতক্ষ্যদর্শী শেখ সাদ্দাম বলেন, ‘নদীপারাপারের সময় দুর্ঘটনাটি দেখেছি। সঙ্গে সঙ্গে আমার মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করেছি।’

খুলনা নগরীর লবণচরায় তিন খুনের ঘটনায় থানা–পুলিশের পাশাপাশি সিআইডি, গোয়েন্দা পুলিশ, র্যাব ও পিবিআই ছায়া তদন্ত শুরু করেছে। আজ সোমবার বিকেল পর্যন্ত নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনো মামলা হয়নি। তবে রাতে মামলা দায়েরের কথা রয়েছে।
১৭ নভেম্বর ২০২৫
মহাসড়কের উত্তর বাঁশবাড়িয়া এলাকায় ভ্যানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে উল্টে গেলে ভেতরে থাকা তিন ব্যবসায়ী গুরুতর আহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পর কমল চৌধুরী ও সমীর চৌধুরীকে মৃত ঘোষণা করা হয়। আহত উজ্জ্বল চৌধুরী বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
৩২ মিনিট আগে
মেলার আয়োজক সুমন হক বলেন, ‘মেলার অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। আবেদনের কপিটি থানায় জমা দিয়ে অবগত করা হয়েছে। এখনো জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মেলার অনুমতি পাইনি।’ অনুমতি ছাড়া মেলা কীভাবে হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি দেখা করতে অনুরোধ করেন।
৩৮ মিনিট আগে
গুলিবিদ্ধ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থার এখনো দৃশ্যমান কোনো উন্নতি হয়নি বলে জানিয়েছেন তাঁর চিকিৎসায় গঠিত মাল্টিডিসিপ্লিনারি মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা।
১ ঘণ্টা আগে