Ajker Patrika

সাতক্ষীরায় কেন্দ্রীয় নেতার সামনে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, পুলিশের লাঠিপেটা, আহত ২০ 

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
আপডেট : ৩১ জানুয়ারি ২০২৩, ২০: ৪৬
সাতক্ষীরায় কেন্দ্রীয় নেতার সামনে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, পুলিশের লাঠিপেটা, আহত ২০ 

সাতক্ষীরায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের প্রস্তুতি সভায় দুই গ্রুপের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে দলের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুর উপস্থিতিতে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ বেধড়ক লাঠিপেটা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ২০ জনেরও অধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। 

 সভায় উপস্থিত বিএনপির একাধিক নেতা জানান, আজ শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে বেলা তিনটার দিকে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ ইফতেখার আলীর সভাপতিত্বে সভা শুরু হয়। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি খুলনার বিভাগীয় সমাবেশ উপলক্ষে এ প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। সভার বক্তব্য দিতে ওঠেন জেলা বিএনপির সদস্য আইনুল ইসলাম নান্টা। বক্তব্যে তিনি প্রধান অতিথির সামনে জেলা বিএনপির বর্তমান সংকট নিয়ে খোলামেলা বক্তব্য দিতে শুরু করেন। একপর্যায়ে তিনি বলেন, বর্তমানে জেলায় বিভিন্ন পর্যায়ের যে কমিটি হচ্ছে, তার অধিকাংশ পকেট কমিটি। এমনকি কমিটি বাণিজ্যেরও অভিযোগ করেন তিনি।

সাতক্ষীরায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষতাঁরা আরও জানান, পরে তাঁর বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে সভার সঞ্চালক জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আব্দুল আলিম বলেন, পাল্টাপাল্টি এমন অবস্থা চলতে থাকলে আমান হত্যার মতো ঘটনা ঘটতে পারে সাতক্ষীরায়। এই বক্তব্যের পরপরই শুরু হয় হইচই, হট্টগোল ও চেয়ার ছোড়াছুড়ি। এ সময় ধাক্কাধাক্কি ও হামলা-পাল্টা হামলায় সভায় এক ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। সভার প্রধান অতিথি শামসুজ্জামান দুদু বারবার আহ্বান করা সত্ত্বেও পরিস্থিতি অবনতি হতে থাকে। একপর্যায়ে সদর থানার পরিদর্শক তারেকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় পুলিশকে বেধড়ক লাঠিপেটা করতে দেখা যায়। 

অপ্রীতিকর পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক তারিকুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, আব্দুল আলিমের দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্যের জেরে আজকে কেন্দ্রীয় নেতার উপস্থিতিতে এমন অঘটন ঘটল। আব্দুল আলিম তাঁর বক্তব্যে বলেছেন, অবস্থা যেদিকে যাচ্ছে, তাতে আমান হত্যার মতো ঘটনা ঘটতে পারে। তার এই বক্তব্যের পরপরই উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তিনি ভবিষ্যতে দায়িত্বশীল নেতাদের আরও সংযত আচরণের পরামর্শ দেন। 

জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আব্দুল আলিম বলেন, এটা উল্লেখ করার মতো তেমন বিষয় নয়। নিজেদের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝিতে সামান্য উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। 

সাতক্ষীরায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষপ্রসঙ্গত, সাতক্ষীরা জেলা বিএনপি দুই ভাগে বিভক্ত। একটির নেতৃত্বে আছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব। তিনি জেলে যাওয়ার পরে ওই অংশের নেতৃত্ব দেন জেলা বিএনপির প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রউফ। অপর গ্রুপের নেতৃত্ব দেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ ইফতেখার আলী। এই দুই গ্রুপের দ্বন্দ্ব বেশ পুরোনো। অতীতে দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে খুন হন মৎস্যজীবী দলের এক নেতা। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সাইপ্রাসে বিপুল জমি কিনছে ইসরায়েলিরা, দেশ বেদখলের শঙ্কা রাজনীতিবিদদের

যুদ্ধের পর এ যেন এক নতুন ইরান, জনগণের মতো বদলে গেছে সরকারও

কর্মীদের হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার নিষিদ্ধ করল বিমান বাংলাদেশ

বংশরক্ষায় মৃত ছেলের শুক্রাণু চান মা, সংরক্ষণের নির্দেশ মুম্বাই হাইকোর্টের

আমাকে ধর্ষণের সময় পাশে দাঁড়িয়ে দেখছিল দুই যুবক: ধর্ষণের শিকার তরুণী

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত