Ajker Patrika

৩ দশক পর বামন্দী উপকেন্দ্র পশু হাসপাতাল চালুর উদ্যোগ

গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি 
বামন্দী পশু হাসপাতালের জরাজীর্ণ ভবন। ছবি: আজকের পত্রিকা
বামন্দী পশু হাসপাতালের জরাজীর্ণ ভবন। ছবি: আজকের পত্রিকা

মেহেরপুরে প্রায় তিন দশক বন্ধ থাকার পর গাংনী উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের উপকেন্দ্র বামন্দী পশু হাসপাতাল চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

হাসপাতালটি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় স্থানীয় পশু পালনকারীদের অতিরিক্ত টাকা দিয়ে বেসরকারি জায়গায় চিকিৎসা করাতে হচ্ছে। এ নিয়ে গত মাসে আজকের পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান কোনো এক অজানা কারণে ৩০ বছর ধরে বন্ধ হয়ে আছে। তবে এখন কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে খোঁজখবর নিতে দেখা যাচ্ছে। এলাকাবাসীর চাওয়া, হাসপাতালটি চালু হোক। এতে পশু পালনকারীদের অনেক উপকার হবে।

বামন্দীর স্থানীয় বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ঈদের আগে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এখানে এসেছিলেন। তিনি বিষয়টি দেখভাল করে গেছেন। আমরা চাই দ্রুত হাসপাতালটি চালু করা হোক। এটি চালু করা হলে বামন্দী, কাজীপুর, তেঁতুলবাড়িয়া ও মটমুড়া—এই চার ইউনিয়নের পশু পালনকারীদের অনেক উপকার হবে। কারণ আমাদের এই এলাকার পশু অসুস্থ হলেই নিয়ে যেতে হয় গাংনীতে। এতে একদিকে বাড়ে কষ্ট, অন্যদিকে বাড়ে ব্যয়।’

পশু পালনকারী এনামুল হক বলেন, ‘পশু হাসপাতালটি দেখলে খুব কষ্ট লাগে। সরকারি ঘর কেমন অচল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। রাখা হয়েছে খড়ির স্তূপ। অথচ এখানে পশু চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকলে আমাদের অনেক উপকার হতো। তাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। যত দ্রুত হাসপাতালটি চালু করা হবে, তত দ্রুত পশু পালনকারীরা উপকৃত হবেন।’

করমদি গ্রামের স্বপন আলী বলেন, ‘গরু অসুস্থ হলে স্থানীয় পশু চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা করাতে হয়। এতে অনেক খরচ বেড়ে যায়। যদি পশু হাসপাতালটি দ্রুত চালু করা হয়, তাহলে অনেক মানুষ উপকৃত হবেন গরু নিয়ে। হাসপাতালটি চারটি ইউনিয়নের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থিত।’

এ নিয়ে কথা হলে বামন্দী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি গাংনী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জায়গাটি পরিদর্শন করেছেন, খোঁজখবর রাখছেন। আমিও খোঁজখবর রাখছি। আমি গাংনী উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে যাব, তাঁরা কতটুকু এগিয়েছেন তার খোঁজখবর নিতে। আমাদের সবারই চাওয়া, পশু হাসপাতালটি দ্রুত চালু করা হোক।’

এখানে দায়িত্ব পালন করা উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সাবেক উপসহকারী কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী বলেন, ‘আমিও চাই পশু হাসপাতালটি দ্রুত চালু হোক, যাতে পশু পালনকারীরা উপকার পান। একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা উচিত নয়।’

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. মোত্তালেব আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উপকেন্দ্র পশু হাসপাতালটি ১৯৯০ অথবা ১৯৯১ সালের দিকে নির্মাণ করা হয়। দীর্ঘ ৩১ বছর পড়ে থাকায় নানা সমস্যায় জর্জরিত এটি। দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার না হওয়ায় এটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। নেই কোনো জানালা, দরজা ও চিকিৎসার সরঞ্জাম। জমি নিয়ে কিছু ত্রুটি দেখা দিয়েছে। এগুলো সমাধান হলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি বাসভবনে একাই থাকতেন শরীয়তপুরের ডিসি, পরিবার থাকত ঢাকায়

স্বামীকে ভিডিও কলে রেখে ফাঁস দিলেন স্ত্রী

ইরানে ভূমিকম্প নিয়ে পারমাণবিক পরীক্ষার জল্পনা, যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা

‘আমেরিকা যুদ্ধে জড়ালে ইরানের হাতে অনেক বিকল্প আছে’

‘ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যায় নয়, গুণে বিশ্বাসী ইরান, ইসরায়েল এবার আমাদের শ্রেষ্ঠত্ব দেখবে’

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত