Ajker Patrika

মানবিক চিকিৎসক হতে চান, দুশ্চিন্তা খরচ নিয়ে

ঝিকরগাছা (যশোর) প্রতিনিধি 
মো. মেহেদী হাসান
মো. মেহেদী হাসান

বাবা আনারুল ইসলাম খেতে দিনমজুরের কাজ করেন। শারীরিকভাবেও অসুস্থ। মা শিল্পী খাতুন বাড়িতে হাঁস-মুরগি ও ছাগল পালন করেন। এভাবেই চলছে সংসার। এই পরিবারের সন্তান মো. মেহেদী হাসান অভাব-অনটন জয় করে খুলনা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। তাঁর সাফল্যে পরিবারে খুশির বন্যা বয়ে গেলেও পড়াশোনার খরচ চালিয়ে নেওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে দুশ্চিন্তা।

মেহেদীর বাড়ি যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বল্লা গ্রামে। তাঁর এক ছোট ভাই রয়েছে। সে পড়ে অষ্টম শ্রেণিতে। তাঁদের দাদির সূত্রে পাওয়া বসতভিটা ছাড়া রয়েছে ২০ শতকের মতো চাষের জমি। মেহেদীর মা শিল্পী বলেন, ‘ছেলেকে প্রাইভেট পড়তে টাকা দিতে পারিনি। ছাগল বিক্রি করে ১০ হাজার টাকা দিয়েছিলাম। সে টাকায় মেডিকেলে ভর্তির জন্য কয়েক দিন কোচিং করেছে আর থেকেছে। এখন মেডিকেলে ভর্তি ও পড়াশোনার খরচ চালানোর বিষয়ে দুশ্চিন্তা কাটছে না।’ একই দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেন বাবা আনারুলও।

মেহেদী বলেন, ‘একজন মানবিক চিকিৎসক হতে চাই। আমার কাজ হবে গ্রামের দরিদ্র-অসহায় মানুষকে ফ্রি চিকিৎসাসেবা দেওয়া।’ এ নিয়ে কথা হলে বল্লা (বি এন কে) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোকবুল হোসেন বলেন, ‘মেহেদী অত্যন্ত মেধাবী। সে অভাব-অনটনসহ নানা প্রতিকূলতার মধ্যে লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পুলিশের তিন পদে অতিরিক্ত: তিনজনে একজন বাড়তি

ট্রেনের কেবিনের বালিশ, চাদর, কম্বলের ভাড়া দ্বিগুণ করার চিন্তা

ভারতে পোশাকের অর্ডার স্থগিত করছে মার্কিন ক্রেতারা, বাংলাদেশ-ভিয়েতনামে কারখানা স্থানান্তরের পরামর্শ

মোবাইল-টাকা ছিনতাইয়ের পর দুই তরুণীকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩

ডোপ টেস্টে পজিটিভ, চবিতে শিক্ষকতা থেকে বাদ দুই প্রার্থী

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত