এস. এস শোহান, বাগেরহাট
বাগেরহাটে প্রবহমান চিত্রা নদীকে দীর্ঘদিন ধরে বদ্ধ জলাশয় হিসেবে ইজারা দেওয়া হচ্ছে। ইজারাদার নিজের সুবিধামতো নদী ও নদীর শাখা খালগুলো ব্যবহার করছেন। ইজারার শর্ত ভঙ্গ করে সাব লিজের মাধ্যমে যত্রতত্র নিষিদ্ধ জাল, কুমোড় (গাছের ডালের স্তূপ) ও পাটা দিয়ে মাছ আহরণ করায় পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বিঘ্নিত হচ্ছে।
এতে জলজ প্রাণী, নদীর আশপাশের প্রকৃতি এবং মিনি সুন্দরবনের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। সেই সঙ্গে ইজারাদারের একচ্ছত্র আধিপত্যের কারণে প্রবহমান এই খাল থেকে মাছ আহরণ করতে পারছেন না প্রকৃত জেলে ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
এসব কারণে চিত্রা নদীর ইজারা বাতিল করে উন্মুক্ত ঘোষণা করার জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন ফকিরহাট উপজেলার বাসিন্দারা। জেলা প্রশাসক বলছেন, সরেজমিন তদন্ত করে সাবলিজ বাতিলসহ জলমহালটি উন্মুক্ত করতে ভূমি মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হবে।
ভূমি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার ফকিরহাট, মোল্লাহাট, চিতলমারী ও সদর উপজেলার মধ্যে দিয়ে বয়ে চলা প্রবহমান চিত্রা নদী। বাংলা বছরের ১৩৯৭ সালে ভূমি জরিপে নদীর ৩২২ একর বদ্ধ ও ১১৭ একর উন্মুক্ত মোট ৪৪০ একর জমি বদ্ধ জলমহাল হিসেবে সায়রাভুক্ত হয়। এরপর থেকে ৪ উপজেলার ৩০টি মৌজায় ৪২৯ একর জমির সমপরিমাণ নদী, খাল ও জলাশয় সরকারের কাজ থেকে ইজারা নিয়ে মাছ আহরণ করে থাকে স্থানীয় মৎস্য সমিতির লোকজন। সবশেষ বাংলা ১৪১৮ থেকে ১৪২৯ সন পর্যন্ত চিত্রা নদী জলমহল ইজারা নেয় বাগেরহাট সদরের কুলিয়াদাইড় মৎস্যজীবী সমিতির লিমিটেড।
ইজারায় ১৪২৭ সালের জন্য ১ লাখ ৬৮ হাজার ৯৭৭ টাকা এবং ১৪২৯ সালের জন্য ২ লাখ ১১ হাজার ২২১ টাকা সরকারি কোষাগারে দিয়েছেন কুলিয়াদাইড় মৎস্যজীবী সমিতির লিমিটেড। কিন্তু সমিতির সভাপতি চিত্তরঞ্জন মৃধা ইজারার চুক্তির তোয়াক্কা না করে সাবলিজ দিয়ে নদীতে কুমার ও বাঁধাজাল ব্যবহার করে মাছ শিকার করে আসছেন। এতে প্রকৃত জেলে ও স্থানীয়রা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সেই সঙ্গে পরিবেশের ওপরও বিরূপ প্রভাব পড়ছে বলে দাবি পরিবেশকর্মীদের।
এ ছাড়া ওই জলমহালের পাশের খালগুলো দখলে নেওয়ার চেষ্টা চালানোর অভিযোগ রয়েছে সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে।
ফকিরহাটের ফলতিতা গ্রামের মিহির বিশ্বাস বলেন, এত বড় একটা নদীর দুপাশে বিপুলসংখ্যক মানুষের বসবাস। ইজারা গ্রহণের ফলে নদীর পাড়ের বাসিন্দারা নিজেদের প্রয়োজনে নদী থেকে একটা মাছও ধরতে পারেন না। এমনকি স্থানীয় প্রকৃত জেলেরাও মাছ ধরতে পারেন না। আমরা চাই সরকারি নদী উন্মুক্ত থাকবে, যে যার মতো ব্যবহার করবে।
রুহুল আমিন নামের এক ব্যক্তি বলেন, নদীর মধ্যে বড় বড় নেট পাটা, কুমোড়, বাঁধাজালসহ নানাভাবে মাছ আহরণ করা হয়। নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল দিয়েও মাছ ধরা হয়। কেউ কিছু বলতে পারে না। কারণ সরকার এই নদী ইজারা দিয়েছেন।
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার মূলঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিটলার গোলদার বলেন, নামমাত্র ইজারা নিয়ে যত্রতত্র ব্যবহারের ফলে প্রবহমান নদীটি মরতে বসেছে। এতে শত শত জেলে মাছ শিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সেই সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দারাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ইজারা বাতিল করে উন্মুক্ত হলে অসহায় জেলেরা মাছ আহরণ এবং কৃষকেরা সেচসুবিধা পাবেন বলে জানান এই জনপ্রতিনিধি।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) বাগেরহাট জেলার আহ্বায়ক মো. নুর আলম বলেন, প্রবহমান চিত্রা নদী ব্যবসায়িকভাবে ইজারা দেওয়ার ফলে এই নদীর ওপর মানুষের যে অধিকার রয়েছে, সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ ছাড়া এই চিত্রা নদীর দুই পাশে গড়ে ওঠা মিনি সুন্দরবনও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ইজারাদারের যথেচ্ছ ব্যবহারের কারণে। চিত্রা নদী ঘিরে যে প্রাণ-প্রকৃতি গড়ে উঠেছে, সেটা বাঁচাতে হলে এই নদীর ইজারা বাতিল করে উন্মুক্ত করা প্রয়োজন বলে মনে করেন এই পরিবেশকর্মী।
সাব লিজ নেওয়ার কথা জেলেরা স্বীকার করে কুলিয়াদাইড় মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি চিত্তরঞ্জন মৃধা বলেন, ‘বর্তমানে খাজনার টাকা ওঠে না। তাই নিয়ম মেনে লিজ দেওয়া হয়েছে। যদি অন্য কারও লাগে, সে ইজারা নিতে পারে। কেউ ইজারা নেয় না। তাই আমি ইজারা নিয়েছি।’
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, প্রবহমান চিত্রা নদী জলমহলের নামে ইজারা নিয়ে শর্ত ভঙ্গ করে সাবলিজের অভিযোগ আসছে ইজারাদারের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগের বিষয়ে সরেজমিন তদন্ত করে সাবলিজ বাতিলসহ জলমহালটি উন্মুক্ত করতে ভূমি মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হবে বলে জানান।
বাগেরহাটে প্রবহমান চিত্রা নদীকে দীর্ঘদিন ধরে বদ্ধ জলাশয় হিসেবে ইজারা দেওয়া হচ্ছে। ইজারাদার নিজের সুবিধামতো নদী ও নদীর শাখা খালগুলো ব্যবহার করছেন। ইজারার শর্ত ভঙ্গ করে সাব লিজের মাধ্যমে যত্রতত্র নিষিদ্ধ জাল, কুমোড় (গাছের ডালের স্তূপ) ও পাটা দিয়ে মাছ আহরণ করায় পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বিঘ্নিত হচ্ছে।
এতে জলজ প্রাণী, নদীর আশপাশের প্রকৃতি এবং মিনি সুন্দরবনের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। সেই সঙ্গে ইজারাদারের একচ্ছত্র আধিপত্যের কারণে প্রবহমান এই খাল থেকে মাছ আহরণ করতে পারছেন না প্রকৃত জেলে ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
এসব কারণে চিত্রা নদীর ইজারা বাতিল করে উন্মুক্ত ঘোষণা করার জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন ফকিরহাট উপজেলার বাসিন্দারা। জেলা প্রশাসক বলছেন, সরেজমিন তদন্ত করে সাবলিজ বাতিলসহ জলমহালটি উন্মুক্ত করতে ভূমি মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হবে।
ভূমি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার ফকিরহাট, মোল্লাহাট, চিতলমারী ও সদর উপজেলার মধ্যে দিয়ে বয়ে চলা প্রবহমান চিত্রা নদী। বাংলা বছরের ১৩৯৭ সালে ভূমি জরিপে নদীর ৩২২ একর বদ্ধ ও ১১৭ একর উন্মুক্ত মোট ৪৪০ একর জমি বদ্ধ জলমহাল হিসেবে সায়রাভুক্ত হয়। এরপর থেকে ৪ উপজেলার ৩০টি মৌজায় ৪২৯ একর জমির সমপরিমাণ নদী, খাল ও জলাশয় সরকারের কাজ থেকে ইজারা নিয়ে মাছ আহরণ করে থাকে স্থানীয় মৎস্য সমিতির লোকজন। সবশেষ বাংলা ১৪১৮ থেকে ১৪২৯ সন পর্যন্ত চিত্রা নদী জলমহল ইজারা নেয় বাগেরহাট সদরের কুলিয়াদাইড় মৎস্যজীবী সমিতির লিমিটেড।
ইজারায় ১৪২৭ সালের জন্য ১ লাখ ৬৮ হাজার ৯৭৭ টাকা এবং ১৪২৯ সালের জন্য ২ লাখ ১১ হাজার ২২১ টাকা সরকারি কোষাগারে দিয়েছেন কুলিয়াদাইড় মৎস্যজীবী সমিতির লিমিটেড। কিন্তু সমিতির সভাপতি চিত্তরঞ্জন মৃধা ইজারার চুক্তির তোয়াক্কা না করে সাবলিজ দিয়ে নদীতে কুমার ও বাঁধাজাল ব্যবহার করে মাছ শিকার করে আসছেন। এতে প্রকৃত জেলে ও স্থানীয়রা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সেই সঙ্গে পরিবেশের ওপরও বিরূপ প্রভাব পড়ছে বলে দাবি পরিবেশকর্মীদের।
এ ছাড়া ওই জলমহালের পাশের খালগুলো দখলে নেওয়ার চেষ্টা চালানোর অভিযোগ রয়েছে সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে।
ফকিরহাটের ফলতিতা গ্রামের মিহির বিশ্বাস বলেন, এত বড় একটা নদীর দুপাশে বিপুলসংখ্যক মানুষের বসবাস। ইজারা গ্রহণের ফলে নদীর পাড়ের বাসিন্দারা নিজেদের প্রয়োজনে নদী থেকে একটা মাছও ধরতে পারেন না। এমনকি স্থানীয় প্রকৃত জেলেরাও মাছ ধরতে পারেন না। আমরা চাই সরকারি নদী উন্মুক্ত থাকবে, যে যার মতো ব্যবহার করবে।
রুহুল আমিন নামের এক ব্যক্তি বলেন, নদীর মধ্যে বড় বড় নেট পাটা, কুমোড়, বাঁধাজালসহ নানাভাবে মাছ আহরণ করা হয়। নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল দিয়েও মাছ ধরা হয়। কেউ কিছু বলতে পারে না। কারণ সরকার এই নদী ইজারা দিয়েছেন।
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার মূলঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিটলার গোলদার বলেন, নামমাত্র ইজারা নিয়ে যত্রতত্র ব্যবহারের ফলে প্রবহমান নদীটি মরতে বসেছে। এতে শত শত জেলে মাছ শিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সেই সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দারাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ইজারা বাতিল করে উন্মুক্ত হলে অসহায় জেলেরা মাছ আহরণ এবং কৃষকেরা সেচসুবিধা পাবেন বলে জানান এই জনপ্রতিনিধি।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) বাগেরহাট জেলার আহ্বায়ক মো. নুর আলম বলেন, প্রবহমান চিত্রা নদী ব্যবসায়িকভাবে ইজারা দেওয়ার ফলে এই নদীর ওপর মানুষের যে অধিকার রয়েছে, সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ ছাড়া এই চিত্রা নদীর দুই পাশে গড়ে ওঠা মিনি সুন্দরবনও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ইজারাদারের যথেচ্ছ ব্যবহারের কারণে। চিত্রা নদী ঘিরে যে প্রাণ-প্রকৃতি গড়ে উঠেছে, সেটা বাঁচাতে হলে এই নদীর ইজারা বাতিল করে উন্মুক্ত করা প্রয়োজন বলে মনে করেন এই পরিবেশকর্মী।
সাব লিজ নেওয়ার কথা জেলেরা স্বীকার করে কুলিয়াদাইড় মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি চিত্তরঞ্জন মৃধা বলেন, ‘বর্তমানে খাজনার টাকা ওঠে না। তাই নিয়ম মেনে লিজ দেওয়া হয়েছে। যদি অন্য কারও লাগে, সে ইজারা নিতে পারে। কেউ ইজারা নেয় না। তাই আমি ইজারা নিয়েছি।’
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, প্রবহমান চিত্রা নদী জলমহলের নামে ইজারা নিয়ে শর্ত ভঙ্গ করে সাবলিজের অভিযোগ আসছে ইজারাদারের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগের বিষয়ে সরেজমিন তদন্ত করে সাবলিজ বাতিলসহ জলমহালটি উন্মুক্ত করতে ভূমি মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হবে বলে জানান।
চট্টগ্রামে বাঁশখালী উপজেলার মোজাহের আলী (৪৮) নামে এক মামলার বাদীকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) রাতে গন্ডামারা ইউনিয়নের পূর্ব বড়ঘোনা ৭ নং ওয়ার্ডের গোলাপ জানিতে এ ঘটনা ঘটে।
১০ মিনিট আগেঝালকাঠিতে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীকে ঘিরে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ঝালকাঠি জেলা শাখা ফের সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) রাতে ঝালকাঠি জেলা ছাত্রলীগের পক্ষে শেখ মুজিবর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার লাগানো
১৯ মিনিট আগেশরীয়তপুরে অ্যাম্বুলেন্স ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের বাঁধার মুখে জেলার বাইরের একটি অ্যাম্বুলেন্স অসুস্থ নবজাতককে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যেতে না পারায় এক নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় শরীয়তপুর জেলা শহরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রোগীর স্বজন ও
১ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে জেলা বিএনপির আওতাধীন আট নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এসব আদেশের পেছনে রয়েছে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, খুন ও চাঁদাবাজির অভিযোগ। কিন্তু এভাবে একের পর এক বহিষ্কার করেও বিএনপির নেতা-কর্মীদের লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না। উল্টো তাঁরা নতুন নতুন অভিযোগে প্রশ্নবিদ্ধ...
৭ ঘণ্টা আগে