খুলনা প্রতিনিধি
সেকালের কুপি বাতি, ধারালো অস্ত্র-গুপ্তি, তলোয়ার, হাজার বছরের দুর্লভ মুদ্রা, অধুনালুপ্ত মসলিন শাড়ি, মোগল আমলে ব্যবহৃত ঢাল ও আঙুলের বর্ম, সোভিয়েত ইউনিয়নের নৌবাহিনীর সাবমেরিনের চাবি, দেয়াল ঘড়ি, ব্রিটিশ আমলের পায়ের ঘুঙুর, ইংল্যান্ডে ১৯৩০-৫০ সালে ব্যবহৃত মোমদানি, ১৯ শতকে জমিদার বাড়ির গুপ্তি, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির বিষ মিশ্রিত বেয়নেট। দুর্লভ এসব জিনিস ও তথ্যের প্রদর্শনী ঘুরে দর্শনার্থীরা জানতে পারছেন শত বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কে।
গতকাল বৃহস্পতিবার খুলনা কালেক্টর্স সোসাইটির আয়োজনে নগরীর সোনাডাঙ্গা এনজিও ফোরাম কার্যালয়ে শুরু হয় তিন দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী। ৩২ জন সংগ্রাহকের ১০ হাজার দুর্লভ সংগ্রহ প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে। চলবে শনিবার পর্যন্ত।
প্রদর্শনীতে আছে, মোসলেম ভারত: ১৯২২ সালে সচিত্র মাসিক পত্রিকা। যাতে কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা ‘কামাল পাশা’ কবিতা ছাপা হয় হাবিলদার কাজী নজরুল ইসলাম নামে। লাল-সবুজের পত্রিকা, ব্রিটিশ আমলের নীল চাষ, নীল বিদ্রোহের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও নথি, কাঠ ও লোহা দিয়ে তৈরি স্যান্ডেল, শতবর্ষ প্রাচীন লাড্ডু গোপাল মূর্তি, পিতলের আয়রন, বেদেদের বাঁশি, প্রাচীন বাটখারা, বাংলাদেশ সৃষ্টির পর থেকে প্রচলিত মুদ্রা ও ব্যাংক নোট।
আরও আছে, পিতলের হুক্কা, পাথরের হুক্কা, মাটির হুক্কা, হরেক রকম ও বাহারি সব ম্যাচবক্স, বিভিন্ন প্রকারের মেডেল, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ব্যবহৃত গয়না, প্রাচীন আমলের কেটলি, পানের বাটা, গয়নার বাক্স, ১৯-২০ শতকের জাহাজের চাবি, পুরোনো খুলনা জেলার ১৯৬১ সালের ম্যাপ, বিজ্ঞানীদের ছবিসংবলিত পেপার মানি, গোল্ড কয়েন।
বঙ্গবন্ধু কর্নারে রাখা হয়েছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যবহার্য সামগ্রীর রেপ্লিকা। রয়েছে বঙ্গবন্ধুর ছবিসংবলিত অর্ধশতাধিক ডাকটিকিট, রাজাকারদের সেলারি শিট, মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য কৃতিত্বের জন্য প্রদান করা খেতাব ও মেডেল, মুক্তিযুদ্ধে ও যুদ্ধ-পরবর্তী রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের জন্য দেওয়া সামরিক খেতাব ও মেডেল।
রানি এলিজাবেথের ছবিসংবলিত ব্যাংক নোট, পলিমার ব্যাংক নোট, প্রাচীন-অস্বাভাবিক অদ্ভুত ও রঙিন মুদ্রা, বিভিন্ন দেশের ছিদ্রযুক্ত স্মারক মুদ্রা, অত্র অঞ্চলের ইউরোপীয় শাসনামলের ব্যাংক নোট, খাড়াভাবে মুদ্রিত বিভিন্ন দেশের ব্যাংক নোট, সিরিয়াল নম্বরের সব ডিজিট একই সংখ্যার ব্যাংক নোট, বাংলাদেশের বিশেষ সিরিয়াল নম্বরের ব্যাংক নোট, বাংলাদেশের ত্রুটিযুক্ত বিভিন্ন প্রকার ব্যাংক নোট।
আছে ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান শাসনামলের ব্যাংক নোট, ভারতীয় রাজতন্ত্রীয় প্রদেশের মুদ্রা, বাংলার সুলতানি শাসনামলের মুদ্রা, দিল্লির সুলতানি শাসনামলের মুদ্রা, মোগল শাসনামলের মুদ্রা, ভারতীয় স্বাধীন রাজ্যের মুদ্রা, বিলুপ্ত দেশের মুদ্রা, ইকমিক কুকার (প্রেসার কুকারের আদিরূপ)।
প্রদর্শনীর সংগ্রাহক মো. সহিদুল ইসলামের সংগ্রহে রয়েছে শতাধিক কুপি (ল্যাম্প)। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, অতীতকে নতুনের সঙ্গে মেলবন্ধনের উদ্দেশ্যে তিনি সংগ্রহ করছেন। প্রদর্শনী ঘুরে অভিভূত গ্লোবাল খুলনার সভাপতি শাহ মামুনুর রহমান তুহিন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এত সুন্দর আয়োজন; এখানে এসে অভিভূত হয়েছি। এখানে এসে জানতে পারলাম আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কে।’ তাঁর মতো একই অভিমত ব্যক্ত করেন জুয়েল হালদার নামে আরেক দর্শনার্থী। তিনিও বলেন, ‘এখানে এসে আমি অভিভূত, উৎফুল্ল।’ ভবিষ্যতে এই ধরনের প্রদর্শনী যাতে নিয়মিত হয় সেই দাবি করেন তিনি।
খুলনা কালেক্টর্স সোসাইটির সভাপতি মো. রবিউল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নতুন প্রজন্মকে ইতিহাসের সঙ্গে পরিচিত করতে এই আয়োজন। এখানে এসে মানুষ জানতে পারবে ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কে। এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো প্রদর্শনীর আয়োজন।’ ভবিষ্যতে আরও বৃহৎ আকারে প্রদর্শনী করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
সেকালের কুপি বাতি, ধারালো অস্ত্র-গুপ্তি, তলোয়ার, হাজার বছরের দুর্লভ মুদ্রা, অধুনালুপ্ত মসলিন শাড়ি, মোগল আমলে ব্যবহৃত ঢাল ও আঙুলের বর্ম, সোভিয়েত ইউনিয়নের নৌবাহিনীর সাবমেরিনের চাবি, দেয়াল ঘড়ি, ব্রিটিশ আমলের পায়ের ঘুঙুর, ইংল্যান্ডে ১৯৩০-৫০ সালে ব্যবহৃত মোমদানি, ১৯ শতকে জমিদার বাড়ির গুপ্তি, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির বিষ মিশ্রিত বেয়নেট। দুর্লভ এসব জিনিস ও তথ্যের প্রদর্শনী ঘুরে দর্শনার্থীরা জানতে পারছেন শত বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কে।
গতকাল বৃহস্পতিবার খুলনা কালেক্টর্স সোসাইটির আয়োজনে নগরীর সোনাডাঙ্গা এনজিও ফোরাম কার্যালয়ে শুরু হয় তিন দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী। ৩২ জন সংগ্রাহকের ১০ হাজার দুর্লভ সংগ্রহ প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে। চলবে শনিবার পর্যন্ত।
প্রদর্শনীতে আছে, মোসলেম ভারত: ১৯২২ সালে সচিত্র মাসিক পত্রিকা। যাতে কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা ‘কামাল পাশা’ কবিতা ছাপা হয় হাবিলদার কাজী নজরুল ইসলাম নামে। লাল-সবুজের পত্রিকা, ব্রিটিশ আমলের নীল চাষ, নীল বিদ্রোহের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও নথি, কাঠ ও লোহা দিয়ে তৈরি স্যান্ডেল, শতবর্ষ প্রাচীন লাড্ডু গোপাল মূর্তি, পিতলের আয়রন, বেদেদের বাঁশি, প্রাচীন বাটখারা, বাংলাদেশ সৃষ্টির পর থেকে প্রচলিত মুদ্রা ও ব্যাংক নোট।
আরও আছে, পিতলের হুক্কা, পাথরের হুক্কা, মাটির হুক্কা, হরেক রকম ও বাহারি সব ম্যাচবক্স, বিভিন্ন প্রকারের মেডেল, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ব্যবহৃত গয়না, প্রাচীন আমলের কেটলি, পানের বাটা, গয়নার বাক্স, ১৯-২০ শতকের জাহাজের চাবি, পুরোনো খুলনা জেলার ১৯৬১ সালের ম্যাপ, বিজ্ঞানীদের ছবিসংবলিত পেপার মানি, গোল্ড কয়েন।
বঙ্গবন্ধু কর্নারে রাখা হয়েছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যবহার্য সামগ্রীর রেপ্লিকা। রয়েছে বঙ্গবন্ধুর ছবিসংবলিত অর্ধশতাধিক ডাকটিকিট, রাজাকারদের সেলারি শিট, মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য কৃতিত্বের জন্য প্রদান করা খেতাব ও মেডেল, মুক্তিযুদ্ধে ও যুদ্ধ-পরবর্তী রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের জন্য দেওয়া সামরিক খেতাব ও মেডেল।
রানি এলিজাবেথের ছবিসংবলিত ব্যাংক নোট, পলিমার ব্যাংক নোট, প্রাচীন-অস্বাভাবিক অদ্ভুত ও রঙিন মুদ্রা, বিভিন্ন দেশের ছিদ্রযুক্ত স্মারক মুদ্রা, অত্র অঞ্চলের ইউরোপীয় শাসনামলের ব্যাংক নোট, খাড়াভাবে মুদ্রিত বিভিন্ন দেশের ব্যাংক নোট, সিরিয়াল নম্বরের সব ডিজিট একই সংখ্যার ব্যাংক নোট, বাংলাদেশের বিশেষ সিরিয়াল নম্বরের ব্যাংক নোট, বাংলাদেশের ত্রুটিযুক্ত বিভিন্ন প্রকার ব্যাংক নোট।
আছে ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান শাসনামলের ব্যাংক নোট, ভারতীয় রাজতন্ত্রীয় প্রদেশের মুদ্রা, বাংলার সুলতানি শাসনামলের মুদ্রা, দিল্লির সুলতানি শাসনামলের মুদ্রা, মোগল শাসনামলের মুদ্রা, ভারতীয় স্বাধীন রাজ্যের মুদ্রা, বিলুপ্ত দেশের মুদ্রা, ইকমিক কুকার (প্রেসার কুকারের আদিরূপ)।
প্রদর্শনীর সংগ্রাহক মো. সহিদুল ইসলামের সংগ্রহে রয়েছে শতাধিক কুপি (ল্যাম্প)। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, অতীতকে নতুনের সঙ্গে মেলবন্ধনের উদ্দেশ্যে তিনি সংগ্রহ করছেন। প্রদর্শনী ঘুরে অভিভূত গ্লোবাল খুলনার সভাপতি শাহ মামুনুর রহমান তুহিন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এত সুন্দর আয়োজন; এখানে এসে অভিভূত হয়েছি। এখানে এসে জানতে পারলাম আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কে।’ তাঁর মতো একই অভিমত ব্যক্ত করেন জুয়েল হালদার নামে আরেক দর্শনার্থী। তিনিও বলেন, ‘এখানে এসে আমি অভিভূত, উৎফুল্ল।’ ভবিষ্যতে এই ধরনের প্রদর্শনী যাতে নিয়মিত হয় সেই দাবি করেন তিনি।
খুলনা কালেক্টর্স সোসাইটির সভাপতি মো. রবিউল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নতুন প্রজন্মকে ইতিহাসের সঙ্গে পরিচিত করতে এই আয়োজন। এখানে এসে মানুষ জানতে পারবে ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কে। এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো প্রদর্শনীর আয়োজন।’ ভবিষ্যতে আরও বৃহৎ আকারে প্রদর্শনী করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
রেজাউল হাসান কয়েস লোদী বলেন, ‘এ দেশের মানুষ ১৭ বছর ধরে ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। দেশ একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যে আছে। অন্তর্বর্তী সরকার যদি জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ব্যবস্থা করে, তাহলে দেশ আরও অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে। যত দ্রুত সম্ভব জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন। আমর
১০ মিনিট আগেবগুড়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের উপস্থিতিতে দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শহরের শহীদ টিটু মিলনায়তনের বাইরে এ ঘটনা ঘটে। এতে দুজন ছুরিকাহতসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
১৮ মিনিট আগেজাটকা রক্ষায় দুই মাসের (মার্চ-এপ্রিল) অভয়াশ্রম শেষে ইলিশ ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বরিশাল, চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদী পাড়ের জেলেরা। ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে জেলেদের জাল ও নৌকার মেরামতকাজ। আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) মধ্যরাতে পদ্মা–মেঘনা নদীতে ইলিশসহ অন্যান্য মাছ ধরতে নামবেন জেলেরা। ইলিশ পাওয়ার সম্ভাবনার কথাও
২১ মিনিট আগেচট্টগ্রামে অপরিচিত ব্যক্তিদের ধাওয়া খেয়ে একটি মার্কেটের নিচে আশ্রয় নিয়েছিলেন নুরুল ইসলাম চৌধুরী (৬৩)। পাশেই টহল দিচ্ছিল কোতোয়ালি থানা-পুলিশের একটি দল। খবর পেয়ে পুলিশ নুরুল ইসলামকে হেফাজতে নেয়। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আশ্রয়ে যাওয়া ব্যক্তির কাছে মিলল বিদেশ থেকে অবৈধভাবে
১ ঘণ্টা আগে