মেহেরপুর প্রতিনিধি
দেশজুড়ে খ্যাতি রয়েছে মেহেরপুরের হিমসাগর আমের। চলতি মাসের ২৫ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে এ আম সংগ্রহ। পর্যায়ক্রমে সংগ্রহ করা হবে অন্যান্য জাতের আম। তবে বৈরী আবহাওয়া ও দেশের বিভিন্ন জেলার আম একই সময়ে বাজারজাত হওয়ায় লোকসানের শঙ্কায় রয়েছেন চাষিরা। এমন অবস্থায় সরকারিভাবে আম রপ্তানির উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন চাষিরা।
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, জেলায় ২ হাজার ৩৪০ হেক্টর জমিতে আমের বাগান রয়েছে। হিমসাগর আম রয়েছে ৬৫০ হেক্টর জমিতে। এ ছাড়া হিমসাগর, ল্যাংড়া, ফজলি, আম্রপালি বিভিন্ন জাতের আমবাগান রয়েছে। এ মৌসুমে ৩৭ হাজার ৭৮৫ টন আম উৎপাদন হবে, যার বাজারমূল্য প্রায় ১০৪ কোটি টাকা।
এদিকে দেশের নানা প্রান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা ভিড় জমিয়েছেন মেহেরপুরের মোকামগুলোতে। যদিও এবার বৈরী আবহাওয়ার কারণে আমের আকার কিছুটা ছোট। একই সঙ্গে বিভিন্ন জেলার আম বাজারজাত হওয়া ও কৃষি উপকরণের মূল্য বৃদ্ধির খড়্গ এখন বাগানমালিকদের কাঁধে। বাজার দরে আম বিক্রি করে লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে বলে জানান চাষিরা।
সদর উপজেলার কোলা গ্রামের আমচাষি আহম্মেদ আলী বলেন, ‘চলতি মৌসুমে ৩২টি বাগান কিনেছি। ফলনও ভালো হয়েছে। পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়া ও তীব্র তাপে আমের আকার ছোট হয়েছে। এদিকে সেচ, কীটনাশক, পরিবহন থেকে শুরু করে আম উৎপাদনের প্রতিটি উপকরণের দাম আকাশছোঁয়া। কিন্তু গেল বছরের তুলনায় এবার আমের দাম অনেক কম। ফলে উৎপাদন খরচ তুলতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের।’
আহম্মেদ আলী বলেন, প্রতি মৌসুমে প্রথমে সাতক্ষীরা, পরে মেহেরপুর, পর্যায়ক্রমে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁর আম সংগ্রহ শুরু হয়। কিন্তু এবার একই সময় বিভিন্ন জেলার আম সংগ্রহ একই সময় নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ। ফলে বাজারে সব জেলার আমে সয়লাব। পড়ে গেছে আমের দাম।
একই উপজেলার আমঝুপি গ্রামের আমচাষি সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আমি চট্টগ্রামে আমের চালান পাঠাই। এবার একই সঙ্গে বিভিন্ন জেলার আম বাজারে এসেছে। ঝড়ের ভয়ে আবার অপুষ্ট আম পেড়ে বাজারজাত করছেন কিছু কিছু বাগানমালিক। আমাদের জেলার আম স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয় হলেও কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি।’
সাখাওয়াত হোসেন আরও বলেন, কয়েক বছর আগে জেলার হিমসাগর আম ব্যাগিং পদ্ধতিতে উৎপাদন করে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয়েছিল। চাষিরা প্রত্যাশিত আমের দামও পেয়েছিলেন। সেটি বন্ধ হওয়ায় এখন বিপাকে চাষিরা। গত মৌসুমে জেলা থেকে ১০ টন আম ইউরোপের দেশগুলোতে রপ্তানি করা হয়েছিল। এবারও কিছু চাষি উদ্যোগ নিয়েছেন। তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। প্রতিবছর রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁর আম বিদেশে রপ্তানি করা হয়। অথচ মেহেরপুরে সে ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। বাগানীদের কথা ভেবে সরকারিভাবে আম রপ্তানির দাবি জানিয়েছেন জেলার বাগানমালিকেরা।
ঢাকা থেকে আসা আম ব্যবসায়ী লিটন মিয়া বলেন, ‘প্রতিবছর মৌসুমের শুরুতেই আমরা মেহেরপুরে আসি। বিশেষ করে এ জেলার হিমসাগর আম কিনতে। ঢাকাতে এর চাহিদা অনেক বেশি। তবে এবার আম কিনতে গিয়ে বেশ সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। আমের আকৃতি কিছুটা ছোট। আবার ঢাকায় সব জেলার আম একসঙ্গে। ফলে আম নিয়ে গিয়ে লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে আমাদের।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শঙ্কর কুমার মজুমদার বলেন, এবার বৈরী আবহাওয়া ও প্রচণ্ড খরতাপে সময়ের আগেই আম পাকতে শুরু করেছে। তাই অনেক জেলায় একই সঙ্গে আম সংগ্রহের অনুমতি দিয়েছে কৃষি বিভাগ।
আম রপ্তানির বিষয়ে এই কৃষি কর্মকর্তা আরও বলেন, চাষিদের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতে সরকারিভাবে আম রপ্তানির কথা ভাবছে সরকার। যদিও বেসরকারিভাবে কিছু কিছু কোম্পানি কয়েকজন বাগানমালিকের সঙ্গে চুক্তি করেছেন। সে আমগুলো ইউরোপ ও ল্যাটিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হবে। তবে কী পরিমাণ আম জেলা থেকে রপ্তানি করা হবে তার সঠিক পরিসংখ্যান তিনি দিতে পারেননি।
দেশজুড়ে খ্যাতি রয়েছে মেহেরপুরের হিমসাগর আমের। চলতি মাসের ২৫ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে এ আম সংগ্রহ। পর্যায়ক্রমে সংগ্রহ করা হবে অন্যান্য জাতের আম। তবে বৈরী আবহাওয়া ও দেশের বিভিন্ন জেলার আম একই সময়ে বাজারজাত হওয়ায় লোকসানের শঙ্কায় রয়েছেন চাষিরা। এমন অবস্থায় সরকারিভাবে আম রপ্তানির উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন চাষিরা।
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, জেলায় ২ হাজার ৩৪০ হেক্টর জমিতে আমের বাগান রয়েছে। হিমসাগর আম রয়েছে ৬৫০ হেক্টর জমিতে। এ ছাড়া হিমসাগর, ল্যাংড়া, ফজলি, আম্রপালি বিভিন্ন জাতের আমবাগান রয়েছে। এ মৌসুমে ৩৭ হাজার ৭৮৫ টন আম উৎপাদন হবে, যার বাজারমূল্য প্রায় ১০৪ কোটি টাকা।
এদিকে দেশের নানা প্রান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা ভিড় জমিয়েছেন মেহেরপুরের মোকামগুলোতে। যদিও এবার বৈরী আবহাওয়ার কারণে আমের আকার কিছুটা ছোট। একই সঙ্গে বিভিন্ন জেলার আম বাজারজাত হওয়া ও কৃষি উপকরণের মূল্য বৃদ্ধির খড়্গ এখন বাগানমালিকদের কাঁধে। বাজার দরে আম বিক্রি করে লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে বলে জানান চাষিরা।
সদর উপজেলার কোলা গ্রামের আমচাষি আহম্মেদ আলী বলেন, ‘চলতি মৌসুমে ৩২টি বাগান কিনেছি। ফলনও ভালো হয়েছে। পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়া ও তীব্র তাপে আমের আকার ছোট হয়েছে। এদিকে সেচ, কীটনাশক, পরিবহন থেকে শুরু করে আম উৎপাদনের প্রতিটি উপকরণের দাম আকাশছোঁয়া। কিন্তু গেল বছরের তুলনায় এবার আমের দাম অনেক কম। ফলে উৎপাদন খরচ তুলতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের।’
আহম্মেদ আলী বলেন, প্রতি মৌসুমে প্রথমে সাতক্ষীরা, পরে মেহেরপুর, পর্যায়ক্রমে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁর আম সংগ্রহ শুরু হয়। কিন্তু এবার একই সময় বিভিন্ন জেলার আম সংগ্রহ একই সময় নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ। ফলে বাজারে সব জেলার আমে সয়লাব। পড়ে গেছে আমের দাম।
একই উপজেলার আমঝুপি গ্রামের আমচাষি সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আমি চট্টগ্রামে আমের চালান পাঠাই। এবার একই সঙ্গে বিভিন্ন জেলার আম বাজারে এসেছে। ঝড়ের ভয়ে আবার অপুষ্ট আম পেড়ে বাজারজাত করছেন কিছু কিছু বাগানমালিক। আমাদের জেলার আম স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয় হলেও কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি।’
সাখাওয়াত হোসেন আরও বলেন, কয়েক বছর আগে জেলার হিমসাগর আম ব্যাগিং পদ্ধতিতে উৎপাদন করে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয়েছিল। চাষিরা প্রত্যাশিত আমের দামও পেয়েছিলেন। সেটি বন্ধ হওয়ায় এখন বিপাকে চাষিরা। গত মৌসুমে জেলা থেকে ১০ টন আম ইউরোপের দেশগুলোতে রপ্তানি করা হয়েছিল। এবারও কিছু চাষি উদ্যোগ নিয়েছেন। তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। প্রতিবছর রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁর আম বিদেশে রপ্তানি করা হয়। অথচ মেহেরপুরে সে ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। বাগানীদের কথা ভেবে সরকারিভাবে আম রপ্তানির দাবি জানিয়েছেন জেলার বাগানমালিকেরা।
ঢাকা থেকে আসা আম ব্যবসায়ী লিটন মিয়া বলেন, ‘প্রতিবছর মৌসুমের শুরুতেই আমরা মেহেরপুরে আসি। বিশেষ করে এ জেলার হিমসাগর আম কিনতে। ঢাকাতে এর চাহিদা অনেক বেশি। তবে এবার আম কিনতে গিয়ে বেশ সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। আমের আকৃতি কিছুটা ছোট। আবার ঢাকায় সব জেলার আম একসঙ্গে। ফলে আম নিয়ে গিয়ে লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে আমাদের।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শঙ্কর কুমার মজুমদার বলেন, এবার বৈরী আবহাওয়া ও প্রচণ্ড খরতাপে সময়ের আগেই আম পাকতে শুরু করেছে। তাই অনেক জেলায় একই সঙ্গে আম সংগ্রহের অনুমতি দিয়েছে কৃষি বিভাগ।
আম রপ্তানির বিষয়ে এই কৃষি কর্মকর্তা আরও বলেন, চাষিদের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতে সরকারিভাবে আম রপ্তানির কথা ভাবছে সরকার। যদিও বেসরকারিভাবে কিছু কিছু কোম্পানি কয়েকজন বাগানমালিকের সঙ্গে চুক্তি করেছেন। সে আমগুলো ইউরোপ ও ল্যাটিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হবে। তবে কী পরিমাণ আম জেলা থেকে রপ্তানি করা হবে তার সঠিক পরিসংখ্যান তিনি দিতে পারেননি।
সাংবাদিক মো. ফজলে রাব্বি বলেন, `আমরা পেশাগত দায়িত্ব থেকে তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে সংবাদ প্রকাশ করেছি। এ মামলা হয়রানিমূলক এবং সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা। অবিলম্বে এই হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।’
১১ মিনিট আগে৫ মিনিট ২১ সেকেন্ডের ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, শনিবার রাত ৯টার দিকে বুড়িরহাট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ভ্যানের ওপর শোয়া রুপলাল ও প্রদীপ লাল। ভ্যানটির তিন দিকে পুলিশ সদস্য। পুলিশ সদস্যরা হাত তুলে বাঁশিতে ফু দিয়ে লোকজনকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করছে। এতেই হৈ-চৈ বেড়ে যায়। পুলিশের সামনেই রুপলাল-প্রদীপকে মারধর শুর
১৮ মিনিট আগেপানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, সকালে ৬টায় পানির উচ্চতা ছিল ৫২ দশমিক ২২ মিটার, যা ছিল বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপরে। সকাল ৯টার দিকে কিছুটা কমে তা এসে দাঁড়ায় বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপরে। বিপৎসীমা অতিক্রম করায় ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছে।
৪২ মিনিট আগেসরেজমিনে জানা যায়, থানচিতে মোট চারটি গণশৌচাগার রয়েছে। এর মধ্যে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এবং বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের অর্থায়নে নির্মিত দুটি শৌচাগার ব্যবসায়ীরা ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছেন। একটি শৌচাগার বন্যার পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে এবং আরেকটি তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে।
১ ঘণ্টা আগে