প্রতিনিধি, কয়রা (খুলনা)
ইলিশ প্রজনন মৌসুমে সাগরে গত ২০ মে থেকে মাছ ধরা বন্ধের ঘোষণা দেয় মৎস্য অধিদপ্তর। একই সঙ্গে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে নদী খাল থেকে মাছ ধরা বন্ধ রাখতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বন বিভাগ। ফলে ওই সময় থেকেই সুন্দরবনে মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে।
কিন্তু নিষেধাজ্ঞা মেয়াদ শেষ হওয়ায় সাগরে মাছ ধরা পুনরায় শুরু হলেও সুন্দরবনে মাছ ধরার অনুমতি পায়নি সেখানকার জেলেরা। এতে বিপাকে পড়েছে খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলার প্রায় ১০ লাখ মানুষ।
এর মধ্যে গত জুলাই-আগস্ট মাসে সুন্দরবন অভ্যন্তরের নদী খালে মাছের প্রজনন মৌসুম হওয়ায় ১ জুলাই থেকে আলাদা করে শুধু সুন্দরবনে মাছ ধরা ফের বন্ধের ঘোষণা দেয় বন বিভাগ। অর্থাৎ মে মাস থেকে আগস্ট পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন মাস মাছ ধরতে পারছে না জেলেরা। এত লম্বা সময় আয়ের পথ বন্ধ থাকায় তাঁদের আয়ের উৎস বন্ধ হয়ে গেছে।
বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সুন্দরবনের মৎস্য সম্পদ রক্ষায় ইন্টিগ্রেটেড রিসোর্সেস ম্যানেজমেন্ট প্ল্যানস এর (আইআরএমপি) সুপারিশ অনুযায়ী ২০১৯ সালে এ সিদ্ধান্ত নেয় বন বিভাগ। সুন্দরবনে জুলাই-আগস্ট দুই মাস মৎস্য প্রজনন ঘটে থাকে। এ বিভাগে অন্তত ১০ লাখ মানুষ সুন্দরবনের ওপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে নির্ভরশীল।
স্থানীয় জেলে হাবিবুল্লাহ গাজি বলেন, বছরের সাড়ে তিন-চার মাস সরকারি ভাবে মাছ ধরা বন্ধ থাকে। আবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঝড় বন্যা জলোচ্ছ্বাসের কারণে মার্চ ও মে মাস বন্ধ রাখতে হয়। সব মিলিয়ে ৬ মাস মাছ ধরতে পারে জেলেরা। বাকি ৬ মাস বসে বসে কাটাতে হয়। সরকারি কোন সহায়তাও আমরা পাই না। পরিবার চালানো দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দীর্ঘ তিন মাস ধরে মাছ ধরা বন্ধ, অন্যদিকে সারা দেশে চলছে করোনা। এমন পরিস্থিতিতে চরম বিপাকে পড়েছে সুন্দরবন নির্ভরশীল জেলেরা। তাদের অনেক পরিবার আর্থিক সংকটে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। শিগগিরই সুন্দরবনে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানান জেলেরা।
পশ্চিম সুন্দরবনের খুলনা রেঞ্জের ৩ হাজার ১০০ বোট লাইসেন্স সার্টিফিকেটধারী (বিএলসি) জেলে রয়েছে। আর সাতক্ষীরা রেঞ্জে রয়েছে ২৯ শ। একটি বিএলসির বিপরীতে অন্তত চারজন জেলে পাশ নিয়ে থাকে মাছ ধরার জন্য। দুই রেঞ্জ মিলিয়ে শুধু মাছ ধরা সঙ্গে পশ্চিম বিভাগে ৭০ হাজার জেলে জড়িত। এ ছাড়া কাঁকড়া ধরা ও মধু আহরণ কাজের সঙ্গে অন্তত ৫০ হাজার মানুষ জড়িত। এসব কাজে খুলনা ও সাতক্ষীরা উপকূলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল। দীর্ঘদিন ধরেই সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকায় এসব পরিবার অনেকটা অসহায় ভাবে জীবন যাপন করছে।
সুন্দরবন খুলনা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. আবু সালেহ বলেন, সাগরে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মৎস্য বিভাগ। সেই সময় সুন্দরবনেও মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এ দপ্তর। তবে জুলাই এবং আগস্ট মাসে সুন্দরবনে মাছ ধরার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বন বিভাগ। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এই সময়টা সুন্দরবনের নদী খালে মাছের প্রজনন ঘটে। বছরের বাকি সময় যাতে জেলেরা মাছ ধরতে পারে এ জন্য এ সময়টা মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এতে জেলেদেরই ভালো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সুন্দরবনের ওপর যেসব জেলে নির্ভরশীল তাদের সরকারি সহায়তা প্রদানে বন বিভাগ থেকে সুপারিশ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তালিকা প্রণয়নের কাজ শেষ হলে এ সুপারিশ পাঠানো হবে।
নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে পশ্চিম বন বিভাগের (ডিএফও) ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন বলেন, প্রজনন মৌসুমের কারণে মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে। জেলেদের আর্থিক সহায়তা করে থাকে মৎস্য বিভাগ। জেলে কার্ডধারীদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সকল জেলেদেরই সহায়তা দেওয়া হবে।
ইলিশ প্রজনন মৌসুমে সাগরে গত ২০ মে থেকে মাছ ধরা বন্ধের ঘোষণা দেয় মৎস্য অধিদপ্তর। একই সঙ্গে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে নদী খাল থেকে মাছ ধরা বন্ধ রাখতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বন বিভাগ। ফলে ওই সময় থেকেই সুন্দরবনে মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে।
কিন্তু নিষেধাজ্ঞা মেয়াদ শেষ হওয়ায় সাগরে মাছ ধরা পুনরায় শুরু হলেও সুন্দরবনে মাছ ধরার অনুমতি পায়নি সেখানকার জেলেরা। এতে বিপাকে পড়েছে খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলার প্রায় ১০ লাখ মানুষ।
এর মধ্যে গত জুলাই-আগস্ট মাসে সুন্দরবন অভ্যন্তরের নদী খালে মাছের প্রজনন মৌসুম হওয়ায় ১ জুলাই থেকে আলাদা করে শুধু সুন্দরবনে মাছ ধরা ফের বন্ধের ঘোষণা দেয় বন বিভাগ। অর্থাৎ মে মাস থেকে আগস্ট পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন মাস মাছ ধরতে পারছে না জেলেরা। এত লম্বা সময় আয়ের পথ বন্ধ থাকায় তাঁদের আয়ের উৎস বন্ধ হয়ে গেছে।
বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সুন্দরবনের মৎস্য সম্পদ রক্ষায় ইন্টিগ্রেটেড রিসোর্সেস ম্যানেজমেন্ট প্ল্যানস এর (আইআরএমপি) সুপারিশ অনুযায়ী ২০১৯ সালে এ সিদ্ধান্ত নেয় বন বিভাগ। সুন্দরবনে জুলাই-আগস্ট দুই মাস মৎস্য প্রজনন ঘটে থাকে। এ বিভাগে অন্তত ১০ লাখ মানুষ সুন্দরবনের ওপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে নির্ভরশীল।
স্থানীয় জেলে হাবিবুল্লাহ গাজি বলেন, বছরের সাড়ে তিন-চার মাস সরকারি ভাবে মাছ ধরা বন্ধ থাকে। আবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঝড় বন্যা জলোচ্ছ্বাসের কারণে মার্চ ও মে মাস বন্ধ রাখতে হয়। সব মিলিয়ে ৬ মাস মাছ ধরতে পারে জেলেরা। বাকি ৬ মাস বসে বসে কাটাতে হয়। সরকারি কোন সহায়তাও আমরা পাই না। পরিবার চালানো দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দীর্ঘ তিন মাস ধরে মাছ ধরা বন্ধ, অন্যদিকে সারা দেশে চলছে করোনা। এমন পরিস্থিতিতে চরম বিপাকে পড়েছে সুন্দরবন নির্ভরশীল জেলেরা। তাদের অনেক পরিবার আর্থিক সংকটে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। শিগগিরই সুন্দরবনে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানান জেলেরা।
পশ্চিম সুন্দরবনের খুলনা রেঞ্জের ৩ হাজার ১০০ বোট লাইসেন্স সার্টিফিকেটধারী (বিএলসি) জেলে রয়েছে। আর সাতক্ষীরা রেঞ্জে রয়েছে ২৯ শ। একটি বিএলসির বিপরীতে অন্তত চারজন জেলে পাশ নিয়ে থাকে মাছ ধরার জন্য। দুই রেঞ্জ মিলিয়ে শুধু মাছ ধরা সঙ্গে পশ্চিম বিভাগে ৭০ হাজার জেলে জড়িত। এ ছাড়া কাঁকড়া ধরা ও মধু আহরণ কাজের সঙ্গে অন্তত ৫০ হাজার মানুষ জড়িত। এসব কাজে খুলনা ও সাতক্ষীরা উপকূলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল। দীর্ঘদিন ধরেই সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকায় এসব পরিবার অনেকটা অসহায় ভাবে জীবন যাপন করছে।
সুন্দরবন খুলনা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. আবু সালেহ বলেন, সাগরে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মৎস্য বিভাগ। সেই সময় সুন্দরবনেও মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এ দপ্তর। তবে জুলাই এবং আগস্ট মাসে সুন্দরবনে মাছ ধরার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বন বিভাগ। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এই সময়টা সুন্দরবনের নদী খালে মাছের প্রজনন ঘটে। বছরের বাকি সময় যাতে জেলেরা মাছ ধরতে পারে এ জন্য এ সময়টা মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এতে জেলেদেরই ভালো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সুন্দরবনের ওপর যেসব জেলে নির্ভরশীল তাদের সরকারি সহায়তা প্রদানে বন বিভাগ থেকে সুপারিশ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তালিকা প্রণয়নের কাজ শেষ হলে এ সুপারিশ পাঠানো হবে।
নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে পশ্চিম বন বিভাগের (ডিএফও) ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন বলেন, প্রজনন মৌসুমের কারণে মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে। জেলেদের আর্থিক সহায়তা করে থাকে মৎস্য বিভাগ। জেলে কার্ডধারীদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সকল জেলেদেরই সহায়তা দেওয়া হবে।
নওগাঁর ধামইরহাটে সহাসড়ক থেকে শাহাদাত হোসেন (২৮) নামের এক যুবককের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ধানতারা মোড়ের দক্ষিণে ধামইরহাট-পত্নীতলা আঞ্চলিক মহাসড়কে লাশটি পাওয়া যায়।
১ ঘণ্টা আগেবরিশালের আইএসিআইবি নার্সিং ইনস্টিটিউটে এবার ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কোর্সে ৫০ আসনের বিপরীতে একজন শিক্ষার্থীও ভর্তি হননি। অন্যদিকে পটুয়াখালীর ড. জাফর নার্সিং কলেজে সমানসংখ্যক আসনের বিপরীতে মাত্র ১০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন।
৯ ঘণ্টা আগেঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত ভালনারেবল উইমেন বেনিফিটের (ভিডব্লিউবি) সুবিধাভোগী আজনুর আক্তার। দুই দিন ধরে ইউপি কার্যালয়ে ঘুরছেন ৫ মাসের বরাদ্দকৃত চাল উত্তোলনের জন্য। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের...
৯ ঘণ্টা আগেলালমনিরহাটে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে নরসুন্দর বাবা-ছেলেকে হেনস্তা ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। সোমবার (২৩ জুন) রাত ১০ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল আয়োজন করে জগন্নাথ হল ও অন্যান্য হল ও ছাত্র...
৯ ঘণ্টা আগে