গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি
চলতি বছর অনাবৃষ্টিতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে পাটচাষিদের। একদিকে সার ও ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি, অন্যদিকে লোডশেডিং। বাজরে পাটের দাম আশানুরূপ না হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েন চাষিরা। তবে পাটের ক্ষতি পোষাতে কিছুটা জোগান দিচ্ছে পাটকাঠি। পাটের দাম ভালো না পেলেও কদর বেড়েছে পাটকাঠির।
মেহেরপুরের গাংনীতে পাটকাঠি শুকাতে ব্যস্ত চাষিদের পরিবার। তবে পাটকাঠি শুকাতে বেশি পরিশ্রম করেন বাড়ির গৃহিণীরা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের চাষিরা ব্যস্ত সময় পার করছে পাটকাঠি নিয়ে। পাটের দাম না থাকায় আলাদা নজর পড়েছে পাটকাঠির ওপর।
দেবীপুর গ্রামের পাটচাষি মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘এ বছর অনাবৃষ্টি, তার ওপর সার ও ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি—সব মিলিয়ে ভাবিয়ে তুলেছিল পাটচাষিদের। তবে পাটের দাম ভালো পেলে আর কষ্ট থাকত না। পাট আর পাটকাঠির হিসাব করলেও খরচ উঠছে না। মনে করেছিলাম পাটের লাভের সঙ্গে জোগান দেবে পাটকাঠির লভ্যাংশ, কিন্তু তা আর হচ্ছে না। পাটের কাঙ্ক্ষিত দাম না পেয়ে চাষিরা পাটকাঠি নিয়ে ব্যস্ত থাকছেন।’
উপজেলার অলিনগর গ্রামের পাটচাষি মারফত আলী বলেন, ‘খাল, বিল ও পুকুরে পানি না থাকায় শ্যালো ইঞ্জিনচালিত সেচ পাম্প দিয়ে পানি দিয়ে পাট জাগ দিতে হয়েছিল। এতে বাড়তি খরচ গুনতে হয়েছে। বিঘাপ্রতি খরচ লেগেছে ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা। এর মধ্যে আবার সার ও ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি, অন্যদিকে লোডশেডিংয়ের ভোগান্তি ছিল। পাট আর পাটকাঠিতেও মূল খরচ উঠছে না। বিঘাপ্রতি প্রায় ৫ হাজার টাকা হবে পাটকাঠিতে।’
তেরাইল গ্রামের পাটকাঠি ব্যবসায়ী মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘পাটকাঠির দাম বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। তবে পাটকাঠির ধরনের ওপর নির্ভর করে এর দাম। বাজারে পাটকাঠির চাহিদা রয়েছে। আমরা সাধারণত পাটকাঠির গাদাসহ কিনে থাকি। এগুলো পরিষ্কার করে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করি। পাটকাঠি নিজ জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় যায়। আর পাটকাঠি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় পানের বরজে।’
মো. নাজির হোসেন বলেন, ‘পাটের আবাদ করিনি। তাই পাটকাঠি নেওয়ার জন্য মজুরি দিয়ে পাট ছাড়িয়ে নিয়েছি। একজন মজুরকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত খরচ দিতে হয়েছে। পাটকাঠি জ্বালানি, বেড়া-ঘেরা, গোবরের লাঠি দেওয়া, পানের বরজসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা যায়।
গাংনী উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, চলতি বছর উপজেলায় সাড়ে ১২ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে পাটের চাষ হয়েছে। অনাবৃষ্টির কারণে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছিল চাষিদের।
গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন বলেন, পাট জাগ বা পচন দেওয়া নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছিলেন এবার পাটচাষিরা। অনাবৃষ্টির কারণে এই ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছিল। এ বছর পাট চাষ করতে গিয়ে চাষিদের বাড়তি খরচ গুনতে হয়েছে। অনাবৃষ্টির কারণে পুকুর ভাড়া নিয়ে পাট জাগ দিতে হয়েছে। পাটে যে বাড়তি খরচ হয়েছে, তা কিছুটা পুষিয়ে দিচ্ছে পাটকাঠি।
চলতি বছর অনাবৃষ্টিতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে পাটচাষিদের। একদিকে সার ও ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি, অন্যদিকে লোডশেডিং। বাজরে পাটের দাম আশানুরূপ না হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েন চাষিরা। তবে পাটের ক্ষতি পোষাতে কিছুটা জোগান দিচ্ছে পাটকাঠি। পাটের দাম ভালো না পেলেও কদর বেড়েছে পাটকাঠির।
মেহেরপুরের গাংনীতে পাটকাঠি শুকাতে ব্যস্ত চাষিদের পরিবার। তবে পাটকাঠি শুকাতে বেশি পরিশ্রম করেন বাড়ির গৃহিণীরা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের চাষিরা ব্যস্ত সময় পার করছে পাটকাঠি নিয়ে। পাটের দাম না থাকায় আলাদা নজর পড়েছে পাটকাঠির ওপর।
দেবীপুর গ্রামের পাটচাষি মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘এ বছর অনাবৃষ্টি, তার ওপর সার ও ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি—সব মিলিয়ে ভাবিয়ে তুলেছিল পাটচাষিদের। তবে পাটের দাম ভালো পেলে আর কষ্ট থাকত না। পাট আর পাটকাঠির হিসাব করলেও খরচ উঠছে না। মনে করেছিলাম পাটের লাভের সঙ্গে জোগান দেবে পাটকাঠির লভ্যাংশ, কিন্তু তা আর হচ্ছে না। পাটের কাঙ্ক্ষিত দাম না পেয়ে চাষিরা পাটকাঠি নিয়ে ব্যস্ত থাকছেন।’
উপজেলার অলিনগর গ্রামের পাটচাষি মারফত আলী বলেন, ‘খাল, বিল ও পুকুরে পানি না থাকায় শ্যালো ইঞ্জিনচালিত সেচ পাম্প দিয়ে পানি দিয়ে পাট জাগ দিতে হয়েছিল। এতে বাড়তি খরচ গুনতে হয়েছে। বিঘাপ্রতি খরচ লেগেছে ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা। এর মধ্যে আবার সার ও ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি, অন্যদিকে লোডশেডিংয়ের ভোগান্তি ছিল। পাট আর পাটকাঠিতেও মূল খরচ উঠছে না। বিঘাপ্রতি প্রায় ৫ হাজার টাকা হবে পাটকাঠিতে।’
তেরাইল গ্রামের পাটকাঠি ব্যবসায়ী মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘পাটকাঠির দাম বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। তবে পাটকাঠির ধরনের ওপর নির্ভর করে এর দাম। বাজারে পাটকাঠির চাহিদা রয়েছে। আমরা সাধারণত পাটকাঠির গাদাসহ কিনে থাকি। এগুলো পরিষ্কার করে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করি। পাটকাঠি নিজ জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় যায়। আর পাটকাঠি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় পানের বরজে।’
মো. নাজির হোসেন বলেন, ‘পাটের আবাদ করিনি। তাই পাটকাঠি নেওয়ার জন্য মজুরি দিয়ে পাট ছাড়িয়ে নিয়েছি। একজন মজুরকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত খরচ দিতে হয়েছে। পাটকাঠি জ্বালানি, বেড়া-ঘেরা, গোবরের লাঠি দেওয়া, পানের বরজসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা যায়।
গাংনী উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, চলতি বছর উপজেলায় সাড়ে ১২ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে পাটের চাষ হয়েছে। অনাবৃষ্টির কারণে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছিল চাষিদের।
গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন বলেন, পাট জাগ বা পচন দেওয়া নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছিলেন এবার পাটচাষিরা। অনাবৃষ্টির কারণে এই ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছিল। এ বছর পাট চাষ করতে গিয়ে চাষিদের বাড়তি খরচ গুনতে হয়েছে। অনাবৃষ্টির কারণে পুকুর ভাড়া নিয়ে পাট জাগ দিতে হয়েছে। পাটে যে বাড়তি খরচ হয়েছে, তা কিছুটা পুষিয়ে দিচ্ছে পাটকাঠি।
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
৩ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
৪ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
৪ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
৪ ঘণ্টা আগে