Ajker Patrika

সম্মেলন নিয়ে সরব বিএনপি

 শামিমুজ্জামান, খুলনা 
সম্মেলন নিয়ে সরব বিএনপি

আগামী ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে খুলনা জেলা ও নগর বিএনপির সম্মেলনের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে নড়চড়ে বসেছেন খুলনা বিএনপির নেতা-কর্মীরা। একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ ছাড়াও দলীয় কার্যালয়ে বেড়েছে তাঁদের আনাগোনা। সম্মেলনের ঘোষণায় উচ্ছ্বসিত সাধারণ নেতা-কর্মীরাও।

জানা গেছে, তারুণ্যনির্ভর, ত্যাগী এবং রাজপথে সক্রিয় নেতৃত্ব প্রত্যাশা করছেন সাধারণ কর্মীরা। অপরদিকে এই সম্মেলনের মধ্য দিয়েই আগামী দিনের আন্দোলন-সংগ্রামের রূপরেখা তৈরি হবে বলে মনে করছেন নেতারা। ১২ অক্টোবর ঢাকায় কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক ও সহসাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠকে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় কমিটি গঠনের এ সিদ্ধান্ত নেয় দলের হাইকমান্ড।

উন্মুক্ত ময়দানে জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে সম্মেলন করা না গেলেও কর্মিসভার মাধ্যমে কমিটি ঘোষণা দিতে হবে বলেও ওই সভায় সিদ্ধান্ত হয়। ওই সিদ্ধান্তে দীর্ঘদিন সম্মেলন না হওয়ায় হতাশাগ্রস্ত সাধারণ নেতা-কর্মীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন। সম্মেলনের ঘোষণায় নেতা-কর্মীদের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ছে। তাঁরা একে অপরের সঙ্গে টেলিফোন বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন।

নগরীর দলীয় কার্যালয়েও নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি বেড়েছে। আগামী সম্মেলন কীভাবে হবে, কোন পদ্ধতিতে কমিটি হবে, এসব নিয়েই এখন জল্পনা। কারা নেতৃত্বে আসছেন, তরুণেরা সুযোগ পাচ্ছেন কি না, এসব নিয়েই চলছে গুঞ্জন। নেতা-কর্মীদের প্রত্যাশা ত্যাগী, কর্মিবান্ধব এবং বিগত দিনে আন্দোলন-সংগ্রামে যাঁরা রাজপথে তৎপর ছিলেন, তাঁরাই নেতৃত্বে আসবেন।

এ প্রসঙ্গে নগর বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ পারভেজ বাবু বলেন, নগর বিএনপির সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছে ২০০৯ সালের ২৫ নভেম্বর। দীর্ঘদিন সম্মেলন না হওয়ায় অনেক নেতা-কর্মী হতাশ ছিলেন। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের পর থেকে নেতা-কর্মীরা উচ্ছ্বসিত হয়েছেন।

অপরদিকে জেলা বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বাবু বলেন, ২০১৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি জেলা বিএনপির বর্তমান কমিটি গঠন করা হয়। দ্বিবার্ষিক কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে আরও আগেই। সম্মেলন না হওয়ায় অনেকের মধ্যে দেখা দেয় হতাশা। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে সাধারণ নেতা-কর্মীরা হয়েছেন উজ্জীবিত। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমির এজাজ বলেন, করোনার কারণে মিছিল সমাবেশ, দলীয় সভা কিছুটা কম ছিল। করোনা কমে যাওয়ায় আবারও স্বাভাবিকভাবে কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে। কেন্দ্রের নির্দেশনার পর থেকে জেলা বিএনপি আরও বেশি তৎপর হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে সম্মেলন হবে।

অপরদিকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রকিবুল ইসলাম বকুল বলেন, ‘কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে খুলনা বিএনপি গতি ফিরে পাবে। হতাশাগ্রস্ত নেতা-কর্মীরা দলীয় কর্মকাণ্ডে আরও বেশি সক্রিয় হবে। এই সম্মেলনের মধ্য দিয়েই বিগত দিনে আন্দোলন-সংগ্রামে যাঁরা রাজপথে ভূমিকা রেখেছেন, তাঁরাই দায়িত্বশীল পদে আসবেন বলে আশা করছি।’

কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও নগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, দল পুনর্গঠনে কেন্দ্রীয় হাইকমান্ড আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ইউনিটগুলোর সম্মেলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী সবকিছু হবে। এই সম্মেলনের মধ্য দিয়েই আগামী দিনের রাজপথের আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি হবে বলে তিনি মনে করেন। শামিমুজ্জামান, খুলনা

আগামী ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে খুলনা জেলা ও নগর বিএনপির সম্মেলনের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে নড়চড়ে বসেছেন খুলনা বিএনপির নেতা-কর্মীরা। একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ ছাড়াও দলীয় কার্যালয়ে বেড়েছে তাঁদের আনাগোনা। সম্মেলনের ঘোষণায় উচ্ছ্বসিত সাধারণ নেতা-কর্মীরাও।

জানা গেছে, তারুণ্যনির্ভর, ত্যাগী এবং রাজপথে সক্রিয় নেতৃত্ব প্রত্যাশা করছেন সাধারণ কর্মীরা। অপরদিকে এই সম্মেলনের মধ্য দিয়েই আগামী দিনের আন্দোলন-সংগ্রামের রূপরেখা তৈরি হবে বলে মনে করছেন নেতারা। ১২ অক্টোবর ঢাকায় কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক ও সহসাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠকে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় কমিটি গঠনের এ সিদ্ধান্ত নেয় দলের হাইকমান্ড।

উন্মুক্ত ময়দানে জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে সম্মেলন করা না গেলেও কর্মিসভার মাধ্যমে কমিটি ঘোষণা দিতে হবে বলেও ওই সভায় সিদ্ধান্ত হয়। ওই সিদ্ধান্তে দীর্ঘদিন সম্মেলন না হওয়ায় হতাশাগ্রস্ত সাধারণ নেতা-কর্মীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন। সম্মেলনের ঘোষণায় নেতা-কর্মীদের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ছে। তাঁরা একে অপরের সঙ্গে টেলিফোন বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন।

নগরীর দলীয় কার্যালয়েও নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি বেড়েছে। আগামী সম্মেলন কীভাবে হবে, কোন পদ্ধতিতে কমিটি হবে, এসব নিয়েই এখন জল্পনা। কারা নেতৃত্বে আসছেন, তরুণেরা সুযোগ পাচ্ছেন কি না, এসব নিয়েই চলছে গুঞ্জন। নেতা-কর্মীদের প্রত্যাশা ত্যাগী, কর্মিবান্ধব এবং বিগত দিনে আন্দোলন-সংগ্রামে যাঁরা রাজপথে তৎপর ছিলেন, তাঁরাই নেতৃত্বে আসবেন।

এ প্রসঙ্গে নগর বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ পারভেজ বাবু বলেন, নগর বিএনপির সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছে ২০০৯ সালের ২৫ নভেম্বর। দীর্ঘদিন সম্মেলন না হওয়ায় অনেক নেতা-কর্মী হতাশ ছিলেন। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের পর থেকে নেতা-কর্মীরা উচ্ছ্বসিত হয়েছেন।

অপরদিকে জেলা বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বাবু বলেন, ২০১৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি জেলা বিএনপির বর্তমান কমিটি গঠন করা হয়। দ্বিবার্ষিক কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে আরও আগেই। সম্মেলন না হওয়ায় অনেকের মধ্যে দেখা দেয় হতাশা। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে সাধারণ নেতা-কর্মীরা হয়েছেন উজ্জীবিত। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমির এজাজ বলেন, করোনার কারণে মিছিল সমাবেশ, দলীয় সভা কিছুটা কম ছিল। করোনা কমে যাওয়ায় আবারও স্বাভাবিকভাবে কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে। কেন্দ্রের নির্দেশনার পর থেকে জেলা বিএনপি আরও বেশি তৎপর হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে সম্মেলন হবে।

অপরদিকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রকিবুল ইসলাম বকুল বলেন, ‘কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে খুলনা বিএনপি গতি ফিরে পাবে। হতাশাগ্রস্ত নেতা-কর্মীরা দলীয় কর্মকাণ্ডে আরও বেশি সক্রিয় হবে। এই সম্মেলনের মধ্য দিয়েই বিগত দিনে আন্দোলন-সংগ্রামে যাঁরা রাজপথে ভূমিকা রেখেছেন, তাঁরাই দায়িত্বশীল পদে আসবেন বলে আশা করছি।’

কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও নগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, দল পুনর্গঠনে কেন্দ্রীয় হাইকমান্ড আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ইউনিটগুলোর সম্মেলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী সবকিছু হবে। এই সম্মেলনের মধ্য দিয়েই আগামী দিনের রাজপথের আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি হবে বলে তিনি মনে করেন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তোরা যারা রাজাকার, সময় থাকতে বাংলা ছাড়: ফেসবুকে বাকের মজুমদার

যুক্তরাষ্ট্র-চীন সমঝোতায় এক দিনে ১০০ ডলার কমল সোনার দাম

যুদ্ধ বলিউডের সিনেমা নয়: ভারতের সাবেক সেনাপ্রধান

কঠোর হচ্ছে যুক্তরাজ্যের অভিবাসন নীতি, স্থায়ী বসবাসের আবেদনে অপেক্ষা ১০ বছর

টাকা চুরি করতে দেখে ফেলায় দুই খালাকে হত্যা করে কিশোর: ডিবি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত