Ajker Patrika

বিদেশি ফলে স্বদেশ জয়, বাজারদরে চাষিরা বেজার

আবদুল মান্নান, মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি) 
মানিকছড়ি উপজেলার শেম্প্রুপাড়া এলাকার জেনারেল গার্ডেনে আমরুপালির হারভেস্ট চলছে। সোমবার সকালে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
মানিকছড়ি উপজেলার শেম্প্রুপাড়া এলাকার জেনারেল গার্ডেনে আমরুপালির হারভেস্ট চলছে। সোমবার সকালে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

পাহাড়ি মাটি ও আবহাওয়া উপযোগী হওয়ায় খাগড়াছড়ির টিলা-উপত্যকায় বিদেশি নানা জাতের আমের চাষ এখন রীতিমতো বিপ্লব ঘটিয়েছে। থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও আমেরিকা থেকে আসা আমরুপালি, কিউজাই, মাহালিশা (ব্যানানা), রাংগুইন, ওয়েসটিং, চেয়াংমাইন, সাথোইরাজ, বারি-৪, সূর্যডিম, ব্রুনাইকিং, আমেরিকান, রেড ফালমার, কিংচাকাপাত, কাটিমনসহ দেশি হিমসাগর, হাঁড়িভাঙ্গা, ফজলি, ব্ল্যাকস্টোন ও মালির বাহারি স্বাদের আমে ছেয়ে গেছে পাহাড়। এখন চলছে জাতভেদে আম পাকার মৌসুম। তবে উৎপাদন ও স্বাদে অতুলনীয় হলেও বাজারদর নিয়ে চাষিদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে।

তাঁদের মতে, সরকারি সহযোগিতা ছাড়া স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে এই আম সঠিকভাবে বাজারজাত করা সম্ভব নয়।

দেশের এক-দশমাংশ এলাকা নিয়ে গঠিত পার্বত্য তিন জেলা—খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবান। এখানকার জলবায়ু ও ভূমি মৌসুমি ফল উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। বিশেষ করে খাগড়াছড়ির টিলাভূমি সবচেয়ে বেশি হওয়ায় এখানেই ফল চাষের ব্যাপ্তিও সর্বাধিক। ফলের স্বাদে বৈচিত্র্য, উৎপাদনে বৃদ্ধি—সব মিলিয়ে পাহাড়ের ফলদ বাগান এখন সাফল্যের প্রতীক। তবে বাজারজাতকরণ ও রপ্তানিতে নেই কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি।

চাষিদের অভিযোগ, পচনশীল ফল বাজারজাত করতে গিয়ে তাঁদের পড়তে হচ্ছে নানা জটিলতায়। বিদেশে রপ্তানির সরকারি উদ্যোগ নেই। সমতলের বাজারে পৌঁছাতেও নেই পর্যাপ্ত লজিস্টিক সুবিধা। বাগান থেকে ফল সংগ্রহ, পরিবহন, চাঁদা আদায়, টোলসহ নানা প্রতিবন্ধকতা তাঁদের লাভের পথ আটকে দিচ্ছে।

জানা গেছে, জেলার ছয়টি উপজেলা—মহালছড়ি, মাটিরাঙ্গা, রামগড়, গুইমারা, মানিকছড়ি ও লক্ষ্মীছড়ির প্রায় ৩ হাজার হেক্টর টিলায় কয়েক হাজার চাষি গত দুই দশকে বিদেশি জাতের আমের বাগান গড়ে তুলেছেন। প্রতিটি জনপদ এখন রসালো আমের সুবাসে মুখর।

এর মধ্যে মানিকছড়ি উপজেলায় ৪৬৫ হেক্টর বাগানে চলতি মৌসুমে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ হাজার মেট্রিক টন। উপজেলা কৃষি অফিস ও দক্ষিণ খাগড়াছড়ি ফলদ বাগান মালিক সমিতির তথ্যমতে, পাহাড়ি মাটি ও জলবায়ুর কারণে সব জাতের আমগাছে ফল আসার সময় ও পাকার সময় ভিন্ন হয়। ফলে পর্যায়ক্রমে হারভেস্ট চালানো যায়। কিন্তু বাজারে একসঙ্গে আম উঠলে ন্যায্যমূল্য পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ চাষিদের।

খাগড়াছড়ির টিলা-উপত্যকায় বিদেশি নানা জাতের আমের চাষ এখন রীতিমতো বিপ্লব ঘটিয়েছে।
খাগড়াছড়ির টিলা-উপত্যকায় বিদেশি নানা জাতের আমের চাষ এখন রীতিমতো বিপ্লব ঘটিয়েছে।

দক্ষিণ খাগড়াছড়ি ফলদ বাগান মালিক সমিতির সভাপতি ও জেনারেল গার্ডেনের মালিক আবু তাহের বলেন, ‘আমাদের অঞ্চলের মাটি, বাতাস, পরিবেশ সবই ফল চাষের জন্য অনুকূল। তবে বাগানে চাঁদা, টোল পয়েন্টে নিয়মবহির্ভূত অর্থ আদায়, পরিবহন সমস্যাসহ নানা বাধা পেরিয়ে আমাদের ফল বাজারে তুলতে হয়। আর বিদেশে বাজারজাত করার মতো সরকারি কোনো উদ্যোগ নেই।’

তিনি আরও জানান, গত বছর আমরুপালির মণ বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকায়। এবার তা কমে হয়েছে ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকায়। পর্যায়ক্রমে আরও কমার আশঙ্কা আছে।

মানিকছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জহির রায়হান বলেন, ‘চলতি মৌসুমে আমাদের উপজেলায় প্রায় ৭ হাজার মেট্রিকটন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। যদিও খরার কারণে কিছু মুকুল নষ্ট হয়েছে, তবে আমের আকার বড় হওয়ায় উৎপাদনে ঘাটতির সম্ভাবনা নেই।’

এখন শুধু প্রয়োজন সরকারি নীতিগত সহায়তা—বাজারজাতকরণে পরিকল্পিত ব্যবস্থা, পরিবহন খরচ কমানো এবং আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানির দ্বার উন্মুক্ত করা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সিএইচসিপি কারাগারে: ৫ দিন ধরে কমিউনিটি ক্লিনিক তালাবদ্ধ, স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

সবচেয়ে বেশি বেতন-ভাতা পাওয়া সিইও এখন মাস্ক, পরিমাণ ১ ট্রিলিয়ন ডলার

সুদান যুদ্ধে আমিরাতের বিপরীতে মিসর-তুরস্কের বিরল ঐক্য, ঢুকছে অস্ত্র ও ড্রোনচালক

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

লক্ষ্মীপুরে অবৈধ ইটভাটা বন্ধে চলছে সপ্তাহব্যাপী অভিযান, বাধার অভিযোগে মামলা

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায় অবৈধভাবে কার্যক্রম চালানোয় আজ শুক্রবার আমান ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায় অবৈধভাবে কার্যক্রম চালানোয় আজ শুক্রবার আমান ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

লক্ষ্মীপুরে অবৈধ ইটভাটা বন্ধে অভিযান শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। আজ শুক্রবার সকাল থেকে রামগতির চর আফজাল ও চর বাদাম এলাকায় দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে এই অভিযান। গত দুই দিনে পাঁচটি অবৈধ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। সপ্তাহব্যাপী এই অভিযান চলবে।

জানা গেছে, শুধু রামগতি ও কমলনগর উপজেলায় ৫২টি ইটভাটার মধ্যে ৪৯টিসহ জেলায় শতাধিক অবৈধ ইটভাটা রয়েছে। এসব ইটভাটা বন্ধে প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে রামগতির চৌধুরী বাজারে ইটভাটা অভিযানে যাওয়ার সময় প্রশাসনকে অবরুদ্ধ, সড়কে গাছের গুঁড়ি ও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ এবং প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ওপর হামলার চেষ্টার ঘটনায় ৬০০ জন অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে। আজ সকালে লক্ষ্মীপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী বায়োকেমিস্ট মোজাম্মেল হক বাদী হয়ে রামগতি থানায় এই মামলা করেন। তবে দুপুর পর্যন্ত জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কবির হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জড়িতদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে। অপরাধীদের ছাড় দেওয়া হবে না।

লক্ষ্মীপুরের পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হারুন অর রশিদ পাঠান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রামগতি ও কমলনগরে ৫২টি ইটভাটা রয়েছে। এর মধ্যে ৪৯টি অবৈধ। জেলা-উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় এসব ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। টানা সাত দিন অভিযান চলবে। অবৈধ ভাটা ভেঙে দেওয়ার পরেও যাতে চালু করতে না পারে, সে জন্য অভিযান অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি জেলায় প্রায় শতাধিক ইটভাটার কোনো কাগজপত্র নেই; যা সবই অবৈধ।

জানা গেছে, আজ বিকেলে রামগতির চর আফজাল এলাকায় ওয়াহাব ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিয়ে অন্য ভাটায় যাওয়ার সময় চৌধুরী বাজার এলাকায় সড়কে গাছের গুঁড়ি, টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে অভিযানে থাকা কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রাখে কয়েক শ উচ্ছৃঙ্খল জনতা। প্রশাসনের ওপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে শ্রমিক ও এলাকাবাসী। পরে প্রশাসনের আশ্বাসের পর ঘণ্টাখানেক অবরুদ্ধ থাকার পর নিরাপদে উপজেলা কার্যালয়ে পৌঁছান কর্মকর্তারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সিএইচসিপি কারাগারে: ৫ দিন ধরে কমিউনিটি ক্লিনিক তালাবদ্ধ, স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

সবচেয়ে বেশি বেতন-ভাতা পাওয়া সিইও এখন মাস্ক, পরিমাণ ১ ট্রিলিয়ন ডলার

সুদান যুদ্ধে আমিরাতের বিপরীতে মিসর-তুরস্কের বিরল ঐক্য, ঢুকছে অস্ত্র ও ড্রোনচালক

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রভিডেন্ট ফান্ডের বকেয়া পরিশোধের দাবিতে শ্রীমঙ্গলে তিনটি চা-বাগানে শ্রমিকদের কর্মবিরতি

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
কর্মবিরতি দিয়ে মানববন্ধনে চা-শ্রমিকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
কর্মবিরতি দিয়ে মানববন্ধনে চা-শ্রমিকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার সাতগাঁও ইউনিয়নের সাতগাঁও টি কোম্পানির আওতাধীন সাতগাঁও, মাকড়িছড়া ও ইছামতী—তিনটি চা-বাগানের শ্রমিকেরা ১৭ মাসের প্রভিডেন্ট ফান্ড বকেয়া পরিশোধের দাবিতে দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি দিয়ে মানববন্ধন করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ও আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকালে সাতগাঁও চা-বাগানের দুর্গামন্দির গেটসংলগ্ন সড়কে দুই ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মবিরতি ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাতগাঁও চা-বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি কাজল কালিন্দী, সাধারণ সম্পাদক সুদীপ কৈরী, মাকড়িছড়া পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি কাশী নারায়ণ গড়, সাধারণ সম্পাদক বিমল সাঁওতাল, ইছামতী পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য স্বাধীন চাষা, পঞ্চায়েত সদস্য মন্টু কুর্মী, ইউপি সদস্য ঈশ্বর কালিন্দী, নারী ইউপি সদস্য শান্তনা বাড়াইকসহ শ্রমিক নেতারা।

শ্রমিকদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিতভাবে তাঁদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা ভবিষ্যৎ তহবিলে জমা দেওয়া হচ্ছে না। উপপরিচালক (ডিডিএল) কার্যালয়ে একাধিকবার আলোচনা হলেও মালিকপক্ষ আশ্বাস দিয়ে সময়ক্ষেপণ করে যাচ্ছে।

সাতগাঁও চা-বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুদীপ কৈরী জানান, ১৭ মাস ধরে প্রভিডেন্ট ফান্ডে টাকা জমা হয়নি। এর আগেও ৯ মাসের বকেয়া পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কাগজপত্রে স্বাক্ষর করা হলেও তা পালন করা হয়নি। শ্রমিকদের সীমিত আয়ের এই প্রভিডেন্ট ফান্ডই তাঁদের একমাত্র সঞ্চয়। দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি বলে তিনি মন্তব্য করেন এবং সরকারের ত্বরিত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের বালিশিরা ভ্যালি সভাপতি বিজয় হাজরা বলেন, ৯ মাস বকেয়ার সময় ব্যবস্থাপক তিন মাসের মধ্যে টাকা পরিশোধের লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন প্রায় ১৭ মাস পার হয়ে গেছে, তবুও বকেয়া রয়ে গেছে। মালিকপক্ষের টালবাহানা বন্ধ না হলে শ্রমিকেরা আরও কঠোর আন্দোলনের পথে যেতে বাধ্য হবেন।

এ বিষয়ে সাতগাঁও চা-বাগানের ব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, ধাপে ধাপে প্রভিডেন্ট ফান্ডে টাকা পাঠানো হচ্ছে এবং আগামী জানুয়ারির মধ্যে সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সিএইচসিপি কারাগারে: ৫ দিন ধরে কমিউনিটি ক্লিনিক তালাবদ্ধ, স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

সবচেয়ে বেশি বেতন-ভাতা পাওয়া সিইও এখন মাস্ক, পরিমাণ ১ ট্রিলিয়ন ডলার

সুদান যুদ্ধে আমিরাতের বিপরীতে মিসর-তুরস্কের বিরল ঐক্য, ঢুকছে অস্ত্র ও ড্রোনচালক

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাগেরহাটে বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত দুই

বাগেরহাট প্রতিনিধি
বাসের সঙ্গে সংঘর্ষে ভেঙে যাওয়া মোটরসাইকেল। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাসের সঙ্গে সংঘর্ষে ভেঙে যাওয়া মোটরসাইকেল। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাগেরহাটের রামপালে বাস ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও সাতজন। আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে খুলনা মোংলা মহাসড়কের তেঁতুলিয়া সেতু এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে মোংলা ইপিজেড ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. এমরান হোসেন জানান, মোংলা থেকে খুলনার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া একটি যাত্রীবাহী বাস মহাসড়কের তেঁতুলিয়া ব্রিজ এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় বাসটি ব্রেক করলে উল্টে পাশের খাদে পড়ে যায়। এতে বাসের দুই যাত্রী ঘটনাস্থলে নিহত হন। গুরুতর আহত হন ৭ জন। আহতদের মধ্যে বাসযাত্রী ও মোটরসাইকেলের আরোহী রয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে রামপাল উপজেলার ঝনঝনিয়া হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের পরিচয় শনাক্তে কাজ চলছে।

ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা এমরান আরও বলেন, মোটরসাইকেলে যাঁরা ছিলেন তাঁরা পর্যটক। তাঁরা সুন্দরবন ভ্রমণের উদ্দেশে মোংলায় যাচ্ছিলেন।

কাটাখালী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাফর আহমেদ বলেন, দুর্ঘটনার ফলে বাসটি খাদে পড়ে যায়। লাশগুলো উদ্ধার করে রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পাঠানো হয়েছে। সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সিএইচসিপি কারাগারে: ৫ দিন ধরে কমিউনিটি ক্লিনিক তালাবদ্ধ, স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

সবচেয়ে বেশি বেতন-ভাতা পাওয়া সিইও এখন মাস্ক, পরিমাণ ১ ট্রিলিয়ন ডলার

সুদান যুদ্ধে আমিরাতের বিপরীতে মিসর-তুরস্কের বিরল ঐক্য, ঢুকছে অস্ত্র ও ড্রোনচালক

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নির্বাচন নিয়ে যাঁরা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন, তাঁরা স্বৈরাচারের দোসর: প্রেস সচিব

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
নেত্রকোনা সার্কিট হাউসে প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম। ছবি: আজকের পত্রিকা
নেত্রকোনা সার্কিট হাউসে প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম। ছবি: আজকের পত্রিকা

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে যাঁরা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন, তাঁরা পতিত স্বৈরাচারের দোসর। জনগণ এখন নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে। এবারের নির্বাচন হবে গ্রহণযোগ্য, উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ।

আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকালে নেত্রকোনা সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রেস সচিব এসব কথা বলেন।

শফিকুল আলম বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কোনো বিভ্রান্তি বা সংশয়ের অবকাশ নেই। অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি, নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই হবে। এই নির্বাচন ঠেকানোর শক্তি ক্ষমতা কারও নেই। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে সেরা একটি নির্বাচন হবে।’

প্রেস সচিব বলেন, দেশে এখন নির্বাচনের হাওয়া বইছে, সবাই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক রয়েছে। সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সুশৃঙ্খল পরিবেশ বজায় রাখতে সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছে।

মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান, পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদসহ জেলার সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের কাছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নিয়োগবিধিমালা ২০২৩-এর সব টেকনিক্যাল পদগুলো অন্তর্ভুক্ত করে নিয়োগবিধিমালা সংশোধন ও দ্রুত নিয়োগের দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ সকালে নেত্রকোনা সার্কিট হাউসে প্রেস সচিবের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন নেত্রকোনার ইনস্টিটিউট অব লাইভস্টক সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (আইএলএসটি) শিক্ষার্থীরা।

স্মারকলিপি দেওয়ার সময় শিক্ষার্থী সোহেল রানা  বলেন, আইএলএসটি শিক্ষার্থীরা চার বছরমেয়াদি শিক্ষা ও হাতে-কলমে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মাঠপর্যায়ে কর্মদক্ষতা অর্জন করছে। তবে অত্যন্ত দুঃখজনক, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নিয়োগবিধিমালা ২০২৩ ডিপ্লোমা ইন লাইফস্টক ডিগ্রিধারীদের জন্য কোনো নিয়োগের সুযোগ রাখা হয়নি। বর্তমানে দুটি প্রাথমিক প্রতিষ্ঠান থেকে উত্তীর্ণ সাতটি ব্যাচের ডিপ্লোমাধারী শিক্ষার্থীরা বেকার অবস্থায় রয়েছেন।  

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে শফিকুল আলম বলেন, ‘স্মারকলিপি নিয়ে গেলাম। ঢাকায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরে স্মারকলিপিটি পৌঁছে দেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সিএইচসিপি কারাগারে: ৫ দিন ধরে কমিউনিটি ক্লিনিক তালাবদ্ধ, স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

সবচেয়ে বেশি বেতন-ভাতা পাওয়া সিইও এখন মাস্ক, পরিমাণ ১ ট্রিলিয়ন ডলার

সুদান যুদ্ধে আমিরাতের বিপরীতে মিসর-তুরস্কের বিরল ঐক্য, ঢুকছে অস্ত্র ও ড্রোনচালক

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত