Ajker Patrika

বর্ণিল আয়োজনে পাহাড়ে বৈসাবি উৎসবের সূচনা

  • গতকাল উৎসবের উদ্বোধন করেন খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা।
  • উদ্বোধনী পর্ব শেষের পরপরই ঐতিহ্যবাহী গরিয়া নৃত্য পরিবেশন করেন ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর শিল্পীরা।
  • উৎসব উপলক্ষে মেলায় ১৭টি স্টলে স্থান পেয়েছে চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা গোষ্ঠীর কৃষ্টি-সংস্কৃতি।
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি 
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বৈসাবি ঘিরে খাগড়াছড়িতে শুরু হয়েছে চার দিনব্যাপী বর্ণিল আয়োজন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে ঐতিহ্যবাহী গরিয়া নৃত্য পরিবেশন করেন ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর শিল্পীরা। গতকাল বিকেলে খাগড়াছড়ি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের মাঠে। ছবি: আজকের পত্রিকা
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বৈসাবি ঘিরে খাগড়াছড়িতে শুরু হয়েছে চার দিনব্যাপী বর্ণিল আয়োজন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে ঐতিহ্যবাহী গরিয়া নৃত্য পরিবেশন করেন ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর শিল্পীরা। গতকাল বিকেলে খাগড়াছড়ি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের মাঠে। ছবি: আজকের পত্রিকা

পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বৈসাবি ঘিরে পাহাড়ে উৎসবের আমেজ শুরু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে খাগড়াছড়ি শহরের নারানখাইয়া এলাকায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের মাঠে ফিতা কেটে চার দিনব্যাপী উৎসবের উদ্বোধন করেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা।

পাহাড়িদের প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসু, সাংগ্রাই, বিজু, বিহু, সাংলান, পাতা, সাংক্রাই, সাংগ্রাইং, চাংক্রান এবং বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে খাগড়াছড়িতে এবার থাকছে বর্ণিল আয়োজন। উৎসবের উদ্বোধনী পর্ব শেষের পরপরই ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী গরিয়া নৃত্য পরিবেশনা, মারমাদের ঐতিহ্যবাহী জলকেলি উৎসব, চিত্রাঙ্কন প্রদর্শন, পিনোন-কাদি ও বাঁশের হস্তশিল্প প্রতিযোগিতা শুরু হয়।

চার দিনের উৎসব উপলক্ষে মেলায় ১৭টি স্টলে স্থান পেয়েছে চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা গোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী কৃষ্টি, সংস্কৃতি, খাবার ও বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী। মেলায় অংশ নেওয়া ক্ষুদ্র জাতিসত্তার উদ্যোক্তারা জানান, চার দিন মেলায় বেচাবিক্রি ভালো হবে বলে আশা করছেন তাঁরা।

মেলায় আসা দর্শনার্থী তাপস ত্রিপুরা বলেন, ‘মেলায় এসে আমাদের সংস্কৃতির সব এক জায়গায় দেখতে পারছি।’ মেলা চলবে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত। এর মধ্য দিয়ে পাহাড়িদের নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি, ইতিহাসচর্চার সুযোগ তৈরি হবে বলে মনে করেন আয়োজকেরা।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন খাগড়াছড়ি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের পরিচালক ঞ্যোহ্লা মং। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) রুমানা আক্তার, মং সার্কেল রানি উখেংচিং মারমা, জেলা পরিষদের সদস্য ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক নস্টিটিউটের আহ্বায়ক জয়া ত্রিপুরা, বাংলা একাডেমির পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক ও গবেষক প্রভাংশু ত্রিপুরা, লেখক অংসুই মারমা, খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক শ্রীলা তালুকদার, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের উপপরিচালক জিতেন চাকমা প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে ঐতিহ্যবাহী পাহাড়ি নৃত্য পরিবেশন করেন চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা শিল্পীরা। বর্ণাঢ্য আয়োজন উপভোগ করেন জেলা সদরের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশসহ ৫ প্রতিবেশীকেই নিরাপত্তার জন্য হুমকি মনে করছে ভারত

পাসপোর্ট ছাড়াই ফ্লাইটে ক্যাপ্টেন মুনতাসির, জেদ্দায় আটক

হইচই ফেলেছে ন্যানো ব্যানানা, চ্যাটজিপিটিকে টপকাল জেমিনি

বিজিবির একজন আর্মি অফিসারকে এখনো গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না: নাহিদ

জুলাই সনদ কার্যকরে সংবিধান আদেশ জারি ও বৈধতায় গণভোটের সুপারিশ আইন বিশেষজ্ঞদের

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত