জয়পুরহাট প্রতিনিধি
স্ট্রবেরি চাষ করে চারগুণ লাভের মুখ দেখেছেন জয়পুরহাটের চাষিরা। ফলে এলাকায় দিন দিন স্ট্রবেরির চাষ বাড়ছে। এক সময় এখানকার চাষিরা ভাবতেই পারতেন না যে জয়পুরহাটের মাটিতে স্ট্রবেরি চাষ হবে। অথচ এখন এ এলাকার চাষিরাই স্ট্রবেরি চাষ করে চারগুণ লাভের মুখ দেখেছেন।
সরেজমিন জয়পুরহাটের জামালপুর ইউনিয়নের কালিবাড়ি গ্রামের চাঁন্দা মাঠে গিয়ে দেখা যায়, খেতের পর খেত জাল দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। জাল দিয়ে ঘিরে রাখা খেতের ভেতরেই কেউ করছেন স্ট্রবেরির পরিচর্যা, কেউ সেচ দিচ্ছেন, কেউবা তুলছেন স্ট্রবেরি।
কালিবাড়ি গ্রামের স্ট্রবেরি চাষি ইউনুস আলী সাগিদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, আজ থেকে নয় বছর আগে কৃষক আব্দুল মোমিন আমাদের এলাকায় প্রথম স্ট্রবেরি চাষ শুরু করেন। তাঁর সাফল্য দেখে ছয় বছর আগে দেড় বিঘা জমি দিয়ে আমিও স্ট্রবেরি চাষ শুরু করি। অত্যন্ত লাভজনক হওয়ায় পরের বছর থেকে ২ বিঘা জমিতে স্ট্রবেরি চাষ করি।
স্ট্রবেরি চাষের জন্য প্রতি বিঘা জমিতে সব মিলে খরচ হয় ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা। আর সব খরচ বাদ দিয়ে লাভ থাকে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা। এরই মধ্যে স্ট্রবেরি চাষ করে আমি স্বাবলম্বী হয়েছি। এখন অন্য চাষিরা আমার কাছ থেকে স্ট্রবেরির চারা সংগ্রহ করেন। অনেকে পরামর্শও নেন। ফলে দিন দিন এলাকায় স্ট্রবেরির চাষ বাড়ছে। গত বছর স্ট্রবেরি চাষ করেছিলেন ৭৩ জন চাষি। এ বছর নতুন করে আরও ৯ চাষিসহ ৮২ জন স্ট্রবেরি চাষ করেছেন।
ইউনুস আলী সাগিদার আরও বলেন, ভাদ্র মাসের প্রথমদিকে স্ট্রবেরি চাষ শুরু করতে হয়। এ জন্য পাওয়ার টিলার বা ট্রাক্টর দিয়ে ৫ থেকে ৬টি চাষ করে জমির মাটি ঝুরঝুরে করে নিতে হয়। তারপর সার, গোবর ও ক্যালসিয়ামসহ অন্যান্য উপাদান ব্যবহার করে জমি প্রস্তুত করতে হয়। মৌসুমের শুরুতে সাদা ফুল ফোটে, পরে হলুদ রঙের ফল ধরে। সবশেষে পাকা লাল টুকটুকে রং ধারণ করে স্ট্রবেরি।
উইন্টারডন জাতের একটি চারাগাছ থেকে মৌসুমে কমপক্ষে দুই কেজি ফল পাওয়া যায়। কিন্তু এ ফল বিক্রি করতে সমস্যার মুখে পড়তে হয়। এলাকায় স্ট্রবেরি সরাসরি বিক্রি করা যায় না। জমি থেকে তোলা স্ট্রবেরি ঢাকায় আড়তদারের কাছে পাঠাতে হয়। সেই স্ট্রবেরি বিক্রির পরে তাঁরা টাকা দেন। কোনো কারণে ঢাকাতে পৌঁছানোর আগেই স্ট্রবেরি নষ্ট হলে বা হারিয়ে গেলে টাকা মার যায়। তাই সংশ্লিষ্টদের এলাকায় স্থানীয়ভাবে স্ট্রবেরি ক্রয়-বিক্রয়ের পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন কৃষকেরা।
জয়পুরহাট সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. কায়ছার ইকবাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, জয়পুরহাট সদর উপজেলায় এবার প্রায় ৮ হেক্টর জমিতে স্ট্রবেরি চাষ হয়েছে। এর পুরো কৃতিত্বই কৃষকদের। কারণ কৃষকেরা স্বপ্রণোদিতভাবে স্ট্রবেরি চাষ করেছেন। কৃষকেরা যাতে লাভজনকভাবে স্ট্রবেরি চাষ করতে পারেন সে জন্য আমরা তাঁদের পরামর্শ ও সেবা দেই।
কৃষি কর্মকর্তা আরও বলেন, আমাদের যারা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আছেন তাঁরা সার্বক্ষণিকভাবে কৃষকদের সঙ্গে মাঠেই থাকেন। আমরাও মাঝে মাঝে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলার জন্য মাঠে যাই।
স্ট্রবেরি চাষ করে চারগুণ লাভের মুখ দেখেছেন জয়পুরহাটের চাষিরা। ফলে এলাকায় দিন দিন স্ট্রবেরির চাষ বাড়ছে। এক সময় এখানকার চাষিরা ভাবতেই পারতেন না যে জয়পুরহাটের মাটিতে স্ট্রবেরি চাষ হবে। অথচ এখন এ এলাকার চাষিরাই স্ট্রবেরি চাষ করে চারগুণ লাভের মুখ দেখেছেন।
সরেজমিন জয়পুরহাটের জামালপুর ইউনিয়নের কালিবাড়ি গ্রামের চাঁন্দা মাঠে গিয়ে দেখা যায়, খেতের পর খেত জাল দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। জাল দিয়ে ঘিরে রাখা খেতের ভেতরেই কেউ করছেন স্ট্রবেরির পরিচর্যা, কেউ সেচ দিচ্ছেন, কেউবা তুলছেন স্ট্রবেরি।
কালিবাড়ি গ্রামের স্ট্রবেরি চাষি ইউনুস আলী সাগিদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, আজ থেকে নয় বছর আগে কৃষক আব্দুল মোমিন আমাদের এলাকায় প্রথম স্ট্রবেরি চাষ শুরু করেন। তাঁর সাফল্য দেখে ছয় বছর আগে দেড় বিঘা জমি দিয়ে আমিও স্ট্রবেরি চাষ শুরু করি। অত্যন্ত লাভজনক হওয়ায় পরের বছর থেকে ২ বিঘা জমিতে স্ট্রবেরি চাষ করি।
স্ট্রবেরি চাষের জন্য প্রতি বিঘা জমিতে সব মিলে খরচ হয় ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা। আর সব খরচ বাদ দিয়ে লাভ থাকে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা। এরই মধ্যে স্ট্রবেরি চাষ করে আমি স্বাবলম্বী হয়েছি। এখন অন্য চাষিরা আমার কাছ থেকে স্ট্রবেরির চারা সংগ্রহ করেন। অনেকে পরামর্শও নেন। ফলে দিন দিন এলাকায় স্ট্রবেরির চাষ বাড়ছে। গত বছর স্ট্রবেরি চাষ করেছিলেন ৭৩ জন চাষি। এ বছর নতুন করে আরও ৯ চাষিসহ ৮২ জন স্ট্রবেরি চাষ করেছেন।
ইউনুস আলী সাগিদার আরও বলেন, ভাদ্র মাসের প্রথমদিকে স্ট্রবেরি চাষ শুরু করতে হয়। এ জন্য পাওয়ার টিলার বা ট্রাক্টর দিয়ে ৫ থেকে ৬টি চাষ করে জমির মাটি ঝুরঝুরে করে নিতে হয়। তারপর সার, গোবর ও ক্যালসিয়ামসহ অন্যান্য উপাদান ব্যবহার করে জমি প্রস্তুত করতে হয়। মৌসুমের শুরুতে সাদা ফুল ফোটে, পরে হলুদ রঙের ফল ধরে। সবশেষে পাকা লাল টুকটুকে রং ধারণ করে স্ট্রবেরি।
উইন্টারডন জাতের একটি চারাগাছ থেকে মৌসুমে কমপক্ষে দুই কেজি ফল পাওয়া যায়। কিন্তু এ ফল বিক্রি করতে সমস্যার মুখে পড়তে হয়। এলাকায় স্ট্রবেরি সরাসরি বিক্রি করা যায় না। জমি থেকে তোলা স্ট্রবেরি ঢাকায় আড়তদারের কাছে পাঠাতে হয়। সেই স্ট্রবেরি বিক্রির পরে তাঁরা টাকা দেন। কোনো কারণে ঢাকাতে পৌঁছানোর আগেই স্ট্রবেরি নষ্ট হলে বা হারিয়ে গেলে টাকা মার যায়। তাই সংশ্লিষ্টদের এলাকায় স্থানীয়ভাবে স্ট্রবেরি ক্রয়-বিক্রয়ের পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন কৃষকেরা।
জয়পুরহাট সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. কায়ছার ইকবাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, জয়পুরহাট সদর উপজেলায় এবার প্রায় ৮ হেক্টর জমিতে স্ট্রবেরি চাষ হয়েছে। এর পুরো কৃতিত্বই কৃষকদের। কারণ কৃষকেরা স্বপ্রণোদিতভাবে স্ট্রবেরি চাষ করেছেন। কৃষকেরা যাতে লাভজনকভাবে স্ট্রবেরি চাষ করতে পারেন সে জন্য আমরা তাঁদের পরামর্শ ও সেবা দেই।
কৃষি কর্মকর্তা আরও বলেন, আমাদের যারা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আছেন তাঁরা সার্বক্ষণিকভাবে কৃষকদের সঙ্গে মাঠেই থাকেন। আমরাও মাঝে মাঝে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলার জন্য মাঠে যাই।
পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার আলকিরহাট গ্রামে কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে না পারায় মো. চান মিয়া নামে এক দরিদ্র চা-দোকানির বসতবাড়িসহ দোকানঘরসংলগ্ন জমি লিখে নেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ওই গ্রামের ‘আলকিরহাট ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লি.’-এর পরিচালক, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী...
২ মিনিট আগেট্রেন যাত্রীরা জানান, রোববার রাত সাড়ে ১১টায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি আজ সোমবার ভোর চারটার দিকে ভাঙ্গুড়া উপজেলার ভাঙ্গুড়া রেল স্টেশনের কাছাকাছি পৌঁছালে বিকট শব্দে এর তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এসময় ট্রেনের সহস্রাধিক যাত্রী আতঙ্কে ট্রেন থেকে লাফিয়ে নিচে নেমে আসেন।
৬ মিনিট আগেমুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ে অন্তত আটটি দোকান ভস্মীভূত হয়েছে। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে উপজেলার পশ্চিম কুমারভোগ জামে মসজিদসংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
২২ মিনিট আগেচিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাকে সুস্থ করতে জরুরিভাবে অপারেশন দরকার। অপারেশন করাতে ছয় লাখ টাকা প্রয়োজন। কিন্তু সেই টাকা পরিবারের নেই। প্রায় পাঁচ বছর ধরে শিশুটিকে চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে পরিবারটি। এখন একসঙ্গে এতগুলো টাকা জোগাড় করতে পরিবারের পক্ষে প্রায় অসম্ভব।
৩৩ মিনিট আগে