আনোয়ার হোসেন (মনিরামপুর) যশোর

যশোরের মনিরামপুর উপজেলার নেহালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে থাকা একটি বন্ধ গণপাঠাগারে বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। পাঠাগারে নামমাত্র একটি চেয়ার এবং দুটি স্টিলের বুকশেলফ কিনে ২০-২৫ হাজার টাকা খরচ করে প্রকল্পের বাকি টাকা পিআইও দপ্তর ও পরিষদের সচিব মিজানুর রহমান ভাগ-বাঁটোয়ারা করেছেন।
জানা গেছে, একসময় বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক পরিষদের পরিত্যক্ত ভবনে পাঠাগারটি পরিচালনা করত। প্রযুক্তির ব্যাপক প্রসারে পাঠাগারটি পাঠকশূন্য হয়ে দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে। তাই পাঠাগারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন (পিআইও) দপ্তর থেকে তিন লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রকল্পটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত তামান্না নিজেই পছন্দ করে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সাইফুল ইসলাম। এই প্রকল্পের প্রথম কিস্তির ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে পিআইও দপ্তর ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ টাকা নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়রা জানান, ব্র্যাকের এক নারী কর্মী পাঠাগারটি দেখভাল করতেন। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ওই নারী কর্মী পাঠাগারের দায়িত্ব ছেড়ে কিছু বই, চেয়ার-টেবিলসহ আসবাব রেখে চলে যান। ২০২১ সালে করোনার সময়ে পাঠকশূন্য হয়ে পড়ে পাঠাগার। সেই থেকে এটি বন্ধ রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচির আওতায় প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে নেহালপুর গণপাঠাগারের জন্য তিন লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। যার মেয়াদ গত ৩০ জুন শেষ হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মিজানুর রহমান এক মাস আগে নিজে প্রথম কিস্তির ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যাংক থেকে তুলেছেন। এরপর সেখান থেকে ৫৬ হাজার ২৫০ টাকা কেটে রেখে সচিবের হাতে ৯৩ হাজার ৭৫০ টাকা দিয়েছে পিআইও দপ্তর; যা মোট উত্তোলন করা টাকার ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ। সচিব মিজানুর রহমান হাতে পাওয়া টাকা থেকে ২০-৩০ হাজার টাকা খরচ করে বাকি টাকা আত্মসাৎ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নেহালপুর ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্য বলেন, ‘পরিষদের পরিত্যক্ত ভবনের একটি কক্ষে ব্র্যাক পাঠাগারটি পরিচালনা করত। তারা এখন আর আসে না। ঘরটির ছাদ দিয়ে পানি পড়ত। আমরা মেম্বাররা বসার জন্য ওই ভবনের একটি কক্ষ ঠিকঠাক করে নিয়েছিলাম। ওই কক্ষে সচিব পাঠাগারের জিনিসপত্র রেখেছেন। নতুন করে পাঠাগারে তিন লাখ টাকা বরাদ্দের বিষয়ে আমরা কিছু জানি না।’
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, নেহালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ছোট্ট একটি কক্ষে ঠাসাঠাসি করে ১০টি চেয়ার, তিনটি ছোট টেবিল, একটি আলমারি ও তিনটি বুকশেলফ রাখা আছে। আছে পুরোনো কিছু বই। দেখেই বোঝা যাচ্ছে, আসবাবগুলো কোনো এক জায়গা থেকে এনে এখানে গুদামজাত করা হয়েছে। যেখানে পাঠক বসে বই পড়ার পরিবেশ নেই।
নেহালপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনের এক দোকানি বলেন, পাঠাগারে এখন কেউ আসে না। দীর্ঘদিন বন্ধ হয়ে পড়ে আছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পরিষদের সচিব মিজানুর রহমান বলেন, ‘পাঠাগারটি সচল আছে। পরীক্ষা চলছে বলে শিক্ষার্থীরা ১০-১৫ দিন ধরে আসছে না।’ অপর প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘পাঠাগার সংস্কার ও আসবাব ক্রয়ে তিন লাখ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। প্রথম কিস্তির দেড় লাখ টাকা তোলার পর পিআইও অফিস টাকা কেটে রেখে আমাকে ৯৩ হাজার ৭৫০ টাকা দিয়েছে। আমি ৮১ হাজার টাকা খরচ করে চারটি আলমারি, একটি টেবিল ও একটি চেয়ার কিনেছি। দ্বিতীয় কিস্তির টাকা হাতে পাইনি।’
মনিরামপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘সচিবের কাছ থেকে কেউ টাকা কেটে রাখেনি। তাঁকে প্রথম কিস্তির ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। কাজ বুঝে পেলে বাকি টাকা দেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত তামান্না বলেন, ‘পাঠাগার প্রকল্পের বরাদ্দের টাকায় অনিয়ম হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

যশোরের মনিরামপুর উপজেলার নেহালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে থাকা একটি বন্ধ গণপাঠাগারে বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। পাঠাগারে নামমাত্র একটি চেয়ার এবং দুটি স্টিলের বুকশেলফ কিনে ২০-২৫ হাজার টাকা খরচ করে প্রকল্পের বাকি টাকা পিআইও দপ্তর ও পরিষদের সচিব মিজানুর রহমান ভাগ-বাঁটোয়ারা করেছেন।
জানা গেছে, একসময় বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক পরিষদের পরিত্যক্ত ভবনে পাঠাগারটি পরিচালনা করত। প্রযুক্তির ব্যাপক প্রসারে পাঠাগারটি পাঠকশূন্য হয়ে দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে। তাই পাঠাগারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন (পিআইও) দপ্তর থেকে তিন লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রকল্পটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত তামান্না নিজেই পছন্দ করে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সাইফুল ইসলাম। এই প্রকল্পের প্রথম কিস্তির ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে পিআইও দপ্তর ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ টাকা নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়রা জানান, ব্র্যাকের এক নারী কর্মী পাঠাগারটি দেখভাল করতেন। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ওই নারী কর্মী পাঠাগারের দায়িত্ব ছেড়ে কিছু বই, চেয়ার-টেবিলসহ আসবাব রেখে চলে যান। ২০২১ সালে করোনার সময়ে পাঠকশূন্য হয়ে পড়ে পাঠাগার। সেই থেকে এটি বন্ধ রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচির আওতায় প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে নেহালপুর গণপাঠাগারের জন্য তিন লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। যার মেয়াদ গত ৩০ জুন শেষ হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মিজানুর রহমান এক মাস আগে নিজে প্রথম কিস্তির ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যাংক থেকে তুলেছেন। এরপর সেখান থেকে ৫৬ হাজার ২৫০ টাকা কেটে রেখে সচিবের হাতে ৯৩ হাজার ৭৫০ টাকা দিয়েছে পিআইও দপ্তর; যা মোট উত্তোলন করা টাকার ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ। সচিব মিজানুর রহমান হাতে পাওয়া টাকা থেকে ২০-৩০ হাজার টাকা খরচ করে বাকি টাকা আত্মসাৎ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নেহালপুর ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্য বলেন, ‘পরিষদের পরিত্যক্ত ভবনের একটি কক্ষে ব্র্যাক পাঠাগারটি পরিচালনা করত। তারা এখন আর আসে না। ঘরটির ছাদ দিয়ে পানি পড়ত। আমরা মেম্বাররা বসার জন্য ওই ভবনের একটি কক্ষ ঠিকঠাক করে নিয়েছিলাম। ওই কক্ষে সচিব পাঠাগারের জিনিসপত্র রেখেছেন। নতুন করে পাঠাগারে তিন লাখ টাকা বরাদ্দের বিষয়ে আমরা কিছু জানি না।’
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, নেহালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ছোট্ট একটি কক্ষে ঠাসাঠাসি করে ১০টি চেয়ার, তিনটি ছোট টেবিল, একটি আলমারি ও তিনটি বুকশেলফ রাখা আছে। আছে পুরোনো কিছু বই। দেখেই বোঝা যাচ্ছে, আসবাবগুলো কোনো এক জায়গা থেকে এনে এখানে গুদামজাত করা হয়েছে। যেখানে পাঠক বসে বই পড়ার পরিবেশ নেই।
নেহালপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনের এক দোকানি বলেন, পাঠাগারে এখন কেউ আসে না। দীর্ঘদিন বন্ধ হয়ে পড়ে আছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পরিষদের সচিব মিজানুর রহমান বলেন, ‘পাঠাগারটি সচল আছে। পরীক্ষা চলছে বলে শিক্ষার্থীরা ১০-১৫ দিন ধরে আসছে না।’ অপর প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘পাঠাগার সংস্কার ও আসবাব ক্রয়ে তিন লাখ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। প্রথম কিস্তির দেড় লাখ টাকা তোলার পর পিআইও অফিস টাকা কেটে রেখে আমাকে ৯৩ হাজার ৭৫০ টাকা দিয়েছে। আমি ৮১ হাজার টাকা খরচ করে চারটি আলমারি, একটি টেবিল ও একটি চেয়ার কিনেছি। দ্বিতীয় কিস্তির টাকা হাতে পাইনি।’
মনিরামপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘সচিবের কাছ থেকে কেউ টাকা কেটে রাখেনি। তাঁকে প্রথম কিস্তির ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। কাজ বুঝে পেলে বাকি টাকা দেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত তামান্না বলেন, ‘পাঠাগার প্রকল্পের বরাদ্দের টাকায় অনিয়ম হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আনোয়ার হোসেন (মনিরামপুর) যশোর

যশোরের মনিরামপুর উপজেলার নেহালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে থাকা একটি বন্ধ গণপাঠাগারে বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। পাঠাগারে নামমাত্র একটি চেয়ার এবং দুটি স্টিলের বুকশেলফ কিনে ২০-২৫ হাজার টাকা খরচ করে প্রকল্পের বাকি টাকা পিআইও দপ্তর ও পরিষদের সচিব মিজানুর রহমান ভাগ-বাঁটোয়ারা করেছেন।
জানা গেছে, একসময় বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক পরিষদের পরিত্যক্ত ভবনে পাঠাগারটি পরিচালনা করত। প্রযুক্তির ব্যাপক প্রসারে পাঠাগারটি পাঠকশূন্য হয়ে দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে। তাই পাঠাগারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন (পিআইও) দপ্তর থেকে তিন লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রকল্পটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত তামান্না নিজেই পছন্দ করে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সাইফুল ইসলাম। এই প্রকল্পের প্রথম কিস্তির ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে পিআইও দপ্তর ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ টাকা নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়রা জানান, ব্র্যাকের এক নারী কর্মী পাঠাগারটি দেখভাল করতেন। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ওই নারী কর্মী পাঠাগারের দায়িত্ব ছেড়ে কিছু বই, চেয়ার-টেবিলসহ আসবাব রেখে চলে যান। ২০২১ সালে করোনার সময়ে পাঠকশূন্য হয়ে পড়ে পাঠাগার। সেই থেকে এটি বন্ধ রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচির আওতায় প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে নেহালপুর গণপাঠাগারের জন্য তিন লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। যার মেয়াদ গত ৩০ জুন শেষ হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মিজানুর রহমান এক মাস আগে নিজে প্রথম কিস্তির ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যাংক থেকে তুলেছেন। এরপর সেখান থেকে ৫৬ হাজার ২৫০ টাকা কেটে রেখে সচিবের হাতে ৯৩ হাজার ৭৫০ টাকা দিয়েছে পিআইও দপ্তর; যা মোট উত্তোলন করা টাকার ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ। সচিব মিজানুর রহমান হাতে পাওয়া টাকা থেকে ২০-৩০ হাজার টাকা খরচ করে বাকি টাকা আত্মসাৎ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নেহালপুর ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্য বলেন, ‘পরিষদের পরিত্যক্ত ভবনের একটি কক্ষে ব্র্যাক পাঠাগারটি পরিচালনা করত। তারা এখন আর আসে না। ঘরটির ছাদ দিয়ে পানি পড়ত। আমরা মেম্বাররা বসার জন্য ওই ভবনের একটি কক্ষ ঠিকঠাক করে নিয়েছিলাম। ওই কক্ষে সচিব পাঠাগারের জিনিসপত্র রেখেছেন। নতুন করে পাঠাগারে তিন লাখ টাকা বরাদ্দের বিষয়ে আমরা কিছু জানি না।’
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, নেহালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ছোট্ট একটি কক্ষে ঠাসাঠাসি করে ১০টি চেয়ার, তিনটি ছোট টেবিল, একটি আলমারি ও তিনটি বুকশেলফ রাখা আছে। আছে পুরোনো কিছু বই। দেখেই বোঝা যাচ্ছে, আসবাবগুলো কোনো এক জায়গা থেকে এনে এখানে গুদামজাত করা হয়েছে। যেখানে পাঠক বসে বই পড়ার পরিবেশ নেই।
নেহালপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনের এক দোকানি বলেন, পাঠাগারে এখন কেউ আসে না। দীর্ঘদিন বন্ধ হয়ে পড়ে আছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পরিষদের সচিব মিজানুর রহমান বলেন, ‘পাঠাগারটি সচল আছে। পরীক্ষা চলছে বলে শিক্ষার্থীরা ১০-১৫ দিন ধরে আসছে না।’ অপর প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘পাঠাগার সংস্কার ও আসবাব ক্রয়ে তিন লাখ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। প্রথম কিস্তির দেড় লাখ টাকা তোলার পর পিআইও অফিস টাকা কেটে রেখে আমাকে ৯৩ হাজার ৭৫০ টাকা দিয়েছে। আমি ৮১ হাজার টাকা খরচ করে চারটি আলমারি, একটি টেবিল ও একটি চেয়ার কিনেছি। দ্বিতীয় কিস্তির টাকা হাতে পাইনি।’
মনিরামপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘সচিবের কাছ থেকে কেউ টাকা কেটে রাখেনি। তাঁকে প্রথম কিস্তির ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। কাজ বুঝে পেলে বাকি টাকা দেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত তামান্না বলেন, ‘পাঠাগার প্রকল্পের বরাদ্দের টাকায় অনিয়ম হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

যশোরের মনিরামপুর উপজেলার নেহালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে থাকা একটি বন্ধ গণপাঠাগারে বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। পাঠাগারে নামমাত্র একটি চেয়ার এবং দুটি স্টিলের বুকশেলফ কিনে ২০-২৫ হাজার টাকা খরচ করে প্রকল্পের বাকি টাকা পিআইও দপ্তর ও পরিষদের সচিব মিজানুর রহমান ভাগ-বাঁটোয়ারা করেছেন।
জানা গেছে, একসময় বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক পরিষদের পরিত্যক্ত ভবনে পাঠাগারটি পরিচালনা করত। প্রযুক্তির ব্যাপক প্রসারে পাঠাগারটি পাঠকশূন্য হয়ে দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে। তাই পাঠাগারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন (পিআইও) দপ্তর থেকে তিন লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রকল্পটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত তামান্না নিজেই পছন্দ করে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সাইফুল ইসলাম। এই প্রকল্পের প্রথম কিস্তির ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে পিআইও দপ্তর ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ টাকা নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়রা জানান, ব্র্যাকের এক নারী কর্মী পাঠাগারটি দেখভাল করতেন। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ওই নারী কর্মী পাঠাগারের দায়িত্ব ছেড়ে কিছু বই, চেয়ার-টেবিলসহ আসবাব রেখে চলে যান। ২০২১ সালে করোনার সময়ে পাঠকশূন্য হয়ে পড়ে পাঠাগার। সেই থেকে এটি বন্ধ রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচির আওতায় প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে নেহালপুর গণপাঠাগারের জন্য তিন লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। যার মেয়াদ গত ৩০ জুন শেষ হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মিজানুর রহমান এক মাস আগে নিজে প্রথম কিস্তির ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যাংক থেকে তুলেছেন। এরপর সেখান থেকে ৫৬ হাজার ২৫০ টাকা কেটে রেখে সচিবের হাতে ৯৩ হাজার ৭৫০ টাকা দিয়েছে পিআইও দপ্তর; যা মোট উত্তোলন করা টাকার ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ। সচিব মিজানুর রহমান হাতে পাওয়া টাকা থেকে ২০-৩০ হাজার টাকা খরচ করে বাকি টাকা আত্মসাৎ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নেহালপুর ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্য বলেন, ‘পরিষদের পরিত্যক্ত ভবনের একটি কক্ষে ব্র্যাক পাঠাগারটি পরিচালনা করত। তারা এখন আর আসে না। ঘরটির ছাদ দিয়ে পানি পড়ত। আমরা মেম্বাররা বসার জন্য ওই ভবনের একটি কক্ষ ঠিকঠাক করে নিয়েছিলাম। ওই কক্ষে সচিব পাঠাগারের জিনিসপত্র রেখেছেন। নতুন করে পাঠাগারে তিন লাখ টাকা বরাদ্দের বিষয়ে আমরা কিছু জানি না।’
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, নেহালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ছোট্ট একটি কক্ষে ঠাসাঠাসি করে ১০টি চেয়ার, তিনটি ছোট টেবিল, একটি আলমারি ও তিনটি বুকশেলফ রাখা আছে। আছে পুরোনো কিছু বই। দেখেই বোঝা যাচ্ছে, আসবাবগুলো কোনো এক জায়গা থেকে এনে এখানে গুদামজাত করা হয়েছে। যেখানে পাঠক বসে বই পড়ার পরিবেশ নেই।
নেহালপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনের এক দোকানি বলেন, পাঠাগারে এখন কেউ আসে না। দীর্ঘদিন বন্ধ হয়ে পড়ে আছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পরিষদের সচিব মিজানুর রহমান বলেন, ‘পাঠাগারটি সচল আছে। পরীক্ষা চলছে বলে শিক্ষার্থীরা ১০-১৫ দিন ধরে আসছে না।’ অপর প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘পাঠাগার সংস্কার ও আসবাব ক্রয়ে তিন লাখ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। প্রথম কিস্তির দেড় লাখ টাকা তোলার পর পিআইও অফিস টাকা কেটে রেখে আমাকে ৯৩ হাজার ৭৫০ টাকা দিয়েছে। আমি ৮১ হাজার টাকা খরচ করে চারটি আলমারি, একটি টেবিল ও একটি চেয়ার কিনেছি। দ্বিতীয় কিস্তির টাকা হাতে পাইনি।’
মনিরামপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘সচিবের কাছ থেকে কেউ টাকা কেটে রাখেনি। তাঁকে প্রথম কিস্তির ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। কাজ বুঝে পেলে বাকি টাকা দেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত তামান্না বলেন, ‘পাঠাগার প্রকল্পের বরাদ্দের টাকায় অনিয়ম হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত টানা তিন দিন অফিস-আদালতে ছুটি চলছে। বার্ষিক পরীক্ষা শেষে কয়েক দিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ। এই লম্বা ছুটি কিংবা বিশেষ দিনে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে বের হয়েছেন।
২৯ মিনিট আগে
সিলেটে জুয়া খেলা অবস্থায় ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
২ ঘণ্টা আগে
খুলনায় শিউলী বেগম হত্যা মামলায় ছেলে মো. রিয়াদ খানকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তাঁকে খুলনা র্যাব-৬ এবং ৭-এর যৌথ অভিযানে ফেনী জেলার সদর থানা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেকক্সবাজার প্রতিনিধি

বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত টানা তিন দিন অফিস-আদালতে ছুটি চলছে। বার্ষিক পরীক্ষা শেষে কয়েক দিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ। এই লম্বা ছুটি কিংবা বিশেষ দিনে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে বের হয়েছেন। বরাবরের মতোই অবকাশযাপনে ভ্রমণপিপাসুরা এবারও দেশের প্রধান পর্যটনকেন্দ্র কক্সবাজারে ছুটে এসেছেন।
পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, শনিবার পর্যন্ত অন্তত ৫ লাখ পর্যটক কক্সবাজারে ভ্রমণ করবেন। তবে শনিবারেই চাপ কমবে না। পর্যটকের এই ঢল আগামী ১ জানুয়ারি পর্যন্ত থাকবে। এর মধ্যে ৩১ ডিসেম্বর কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে পুরোনো বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে পর্যটকেরা ভিড় করবেন।
হোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউসের মালিকেরা বলছেন, বুধবার বিকেল থেকেই দেশের নানা প্রান্ত থেকে পর্যটকেরা কক্সবাজারমুখী হয়েছেন। ইতিমধ্যে হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউসগুলোয় ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক করিম উল্লাহ কলিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগামী শনিবার পর্যন্ত শহরের তারকা মানের হোটেলগুলোয় শতভাগ কক্ষ বুকিং রয়েছে। মাঝারি মানের হোটেল ও রিসোর্টগুলোয় ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।
সাগরপারের তারকা মানের হোটেল কক্স টুডেতে কক্ষ আছে ২৪৫টি। তাদের প্রায় সব কক্ষ শনিবার পর্যন্ত বুকিং আছে। হোটেলটির মহাব্যবস্থাপক (রিজার্ভেশন) আবু তালেব শাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিন দিনের ছুটিতে আশানুরূপ পর্যটক ভ্রমণে এসেছেন।
কক্সবাজার শহর, মেরিন ড্রাইভ, সেন্ট মার্টিন ও আশপাশের এলাকার ৬০০ হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট, গেস্ট হাউসে প্রায় দুই লাখ পর্যটকের রাতযাপনের সুযোগ আছে। হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, বছরের শেষ সময়ে আশানুরূপ পর্যটকের সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। বিপুল পর্যটক সমাগমে যেন কেউ থাকা-খাওয়ায় বাড়তি অর্থ আদায় না করে তার জন্য পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সমুদ্রসৈকতের কলাতলী, লাবণী ও সুগন্ধা পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, পর্যটকের আনাগোনায় তিন কিলোমিটার সৈকত মুখর। কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই নেই। শান্ত সৈকতে কেউ গোসলে নেমেছেন, কেউ জেটস্কি করে দূর সাগরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কেউ আবার চেয়ার-ছাতায় বসে প্রিয়জনদের সঙ্গে সমুদ্র দর্শনে সময় কাটাচ্ছেন। গোসলে নামা বিপুল পর্যটকদের নানাভাবে সতর্ক করছেন লাইফগার্ড ও বিচকর্মীরা। এ দিন সকাল থেকেই পর্যটকের বাড়তি চাপে কক্সবাজার বাস টার্মিনাল থেকে কলাতলী সড়ক, মেরিন ড্রাইভ ও শহরের প্রধান সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
পর্যটকেরা শহরের এই তিন পয়েন্টের পাশাপাশি মেরিন ড্রাইভ ধরে দরিয়ানগর, হিমছড়ি, ইনানী, পাটুয়ারটেক, টেকনাফ সৈকতে ভিড় করছেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের বিচকর্মীদের সহকারী সুপারভাইজার বেলাল হোসেন।
কুমিল্লার হোমনা থেকে পরিবার নিয়ে বেড়াতে এসেছেন সরকারি কর্মকর্তা আবিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। এর মধ্যে বড়দিনের সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটি পড়েছে। ফলে বাচ্চাদের নিয়ে তিন দিনের জন্য ঘুরতে বেরিয়ে পড়লাম।’ তাঁর মতো পরিবার নিয়ে অনেকেই বেড়ানোর জন্য বের হয়েছেন।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের প্রধান ও অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছুটিতে পর্যটকদের চাপ বাড়বে—বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক টহলে রয়েছেন। কোথাও পর্যটক হয়রানির খবর পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত টানা তিন দিন অফিস-আদালতে ছুটি চলছে। বার্ষিক পরীক্ষা শেষে কয়েক দিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ। এই লম্বা ছুটি কিংবা বিশেষ দিনে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে বের হয়েছেন। বরাবরের মতোই অবকাশযাপনে ভ্রমণপিপাসুরা এবারও দেশের প্রধান পর্যটনকেন্দ্র কক্সবাজারে ছুটে এসেছেন।
পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, শনিবার পর্যন্ত অন্তত ৫ লাখ পর্যটক কক্সবাজারে ভ্রমণ করবেন। তবে শনিবারেই চাপ কমবে না। পর্যটকের এই ঢল আগামী ১ জানুয়ারি পর্যন্ত থাকবে। এর মধ্যে ৩১ ডিসেম্বর কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে পুরোনো বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে পর্যটকেরা ভিড় করবেন।
হোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউসের মালিকেরা বলছেন, বুধবার বিকেল থেকেই দেশের নানা প্রান্ত থেকে পর্যটকেরা কক্সবাজারমুখী হয়েছেন। ইতিমধ্যে হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউসগুলোয় ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক করিম উল্লাহ কলিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগামী শনিবার পর্যন্ত শহরের তারকা মানের হোটেলগুলোয় শতভাগ কক্ষ বুকিং রয়েছে। মাঝারি মানের হোটেল ও রিসোর্টগুলোয় ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।
সাগরপারের তারকা মানের হোটেল কক্স টুডেতে কক্ষ আছে ২৪৫টি। তাদের প্রায় সব কক্ষ শনিবার পর্যন্ত বুকিং আছে। হোটেলটির মহাব্যবস্থাপক (রিজার্ভেশন) আবু তালেব শাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিন দিনের ছুটিতে আশানুরূপ পর্যটক ভ্রমণে এসেছেন।
কক্সবাজার শহর, মেরিন ড্রাইভ, সেন্ট মার্টিন ও আশপাশের এলাকার ৬০০ হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট, গেস্ট হাউসে প্রায় দুই লাখ পর্যটকের রাতযাপনের সুযোগ আছে। হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, বছরের শেষ সময়ে আশানুরূপ পর্যটকের সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। বিপুল পর্যটক সমাগমে যেন কেউ থাকা-খাওয়ায় বাড়তি অর্থ আদায় না করে তার জন্য পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সমুদ্রসৈকতের কলাতলী, লাবণী ও সুগন্ধা পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, পর্যটকের আনাগোনায় তিন কিলোমিটার সৈকত মুখর। কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই নেই। শান্ত সৈকতে কেউ গোসলে নেমেছেন, কেউ জেটস্কি করে দূর সাগরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কেউ আবার চেয়ার-ছাতায় বসে প্রিয়জনদের সঙ্গে সমুদ্র দর্শনে সময় কাটাচ্ছেন। গোসলে নামা বিপুল পর্যটকদের নানাভাবে সতর্ক করছেন লাইফগার্ড ও বিচকর্মীরা। এ দিন সকাল থেকেই পর্যটকের বাড়তি চাপে কক্সবাজার বাস টার্মিনাল থেকে কলাতলী সড়ক, মেরিন ড্রাইভ ও শহরের প্রধান সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
পর্যটকেরা শহরের এই তিন পয়েন্টের পাশাপাশি মেরিন ড্রাইভ ধরে দরিয়ানগর, হিমছড়ি, ইনানী, পাটুয়ারটেক, টেকনাফ সৈকতে ভিড় করছেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের বিচকর্মীদের সহকারী সুপারভাইজার বেলাল হোসেন।
কুমিল্লার হোমনা থেকে পরিবার নিয়ে বেড়াতে এসেছেন সরকারি কর্মকর্তা আবিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। এর মধ্যে বড়দিনের সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটি পড়েছে। ফলে বাচ্চাদের নিয়ে তিন দিনের জন্য ঘুরতে বেরিয়ে পড়লাম।’ তাঁর মতো পরিবার নিয়ে অনেকেই বেড়ানোর জন্য বের হয়েছেন।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের প্রধান ও অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছুটিতে পর্যটকদের চাপ বাড়বে—বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক টহলে রয়েছেন। কোথাও পর্যটক হয়রানির খবর পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

যশোরের মনিরামপুর উপজেলার নেহালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে থাকা একটি বন্ধ গণপাঠাগারে বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। পাঠাগারে নামমাত্র একটি চেয়ার এবং দুটি স্টিলের বুকশেলফ কিনে ২০-২৫ হাজার টাকা খরচ করে প্রকল্পের বাকি টাকা পিআইও দপ্তর ও পরিষদের সচিব মিজানুর রহমান ভাগ-বাঁটোয়ারা করেছেন।
০৫ জুলাই ২০২৫
সিলেটে জুয়া খেলা অবস্থায় ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
২ ঘণ্টা আগে
খুলনায় শিউলী বেগম হত্যা মামলায় ছেলে মো. রিয়াদ খানকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তাঁকে খুলনা র্যাব-৬ এবং ৭-এর যৌথ অভিযানে ফেনী জেলার সদর থানা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেসিলেট প্রতিনিধি

সিলেটে জুয়া খেলা অবস্থায় ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
পুলিশ জানায়, বুধবার বিকেলে সিলেটের কোতোয়ালি মডেল থানাধীন কানিশাইল ১ নম্বর রোডের মারুফ টি স্টল নামক দোকানে অভিযান পরিচালনা করে তির শিলং-জাতীয় জুয়া খেলা অবস্থায় তাঁদের আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন সিলেটের কোতোয়ালি মডেল থানাধীন কানিশাইলের সজীব মিয়ার কলোনির রমিজ আলীর ছেলে তাহের মিয়া (৩০), উসমান মিয়ার ছেলে শামীম (২০), ইমন মিয়ার কলোনির মো. আব্দুল করিম তালুকদারের ছেলে মো. স্বপন মিয়া (৫৫), রঙ্গ মিয়ার ছেলে জসিম (৪৫), জামাল উদ্দিনের ছেলে আল আমিন (২৭), আব্দুর রশিদের ছেলে মো. বাদল (৩৮) এবং আবুল কালামের ছেলে সুজাত মিয়া (৩৫)।
মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

সিলেটে জুয়া খেলা অবস্থায় ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
পুলিশ জানায়, বুধবার বিকেলে সিলেটের কোতোয়ালি মডেল থানাধীন কানিশাইল ১ নম্বর রোডের মারুফ টি স্টল নামক দোকানে অভিযান পরিচালনা করে তির শিলং-জাতীয় জুয়া খেলা অবস্থায় তাঁদের আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন সিলেটের কোতোয়ালি মডেল থানাধীন কানিশাইলের সজীব মিয়ার কলোনির রমিজ আলীর ছেলে তাহের মিয়া (৩০), উসমান মিয়ার ছেলে শামীম (২০), ইমন মিয়ার কলোনির মো. আব্দুল করিম তালুকদারের ছেলে মো. স্বপন মিয়া (৫৫), রঙ্গ মিয়ার ছেলে জসিম (৪৫), জামাল উদ্দিনের ছেলে আল আমিন (২৭), আব্দুর রশিদের ছেলে মো. বাদল (৩৮) এবং আবুল কালামের ছেলে সুজাত মিয়া (৩৫)।
মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

যশোরের মনিরামপুর উপজেলার নেহালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে থাকা একটি বন্ধ গণপাঠাগারে বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। পাঠাগারে নামমাত্র একটি চেয়ার এবং দুটি স্টিলের বুকশেলফ কিনে ২০-২৫ হাজার টাকা খরচ করে প্রকল্পের বাকি টাকা পিআইও দপ্তর ও পরিষদের সচিব মিজানুর রহমান ভাগ-বাঁটোয়ারা করেছেন।
০৫ জুলাই ২০২৫
বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত টানা তিন দিন অফিস-আদালতে ছুটি চলছে। বার্ষিক পরীক্ষা শেষে কয়েক দিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ। এই লম্বা ছুটি কিংবা বিশেষ দিনে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে বের হয়েছেন।
২৯ মিনিট আগে
খুলনায় শিউলী বেগম হত্যা মামলায় ছেলে মো. রিয়াদ খানকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তাঁকে খুলনা র্যাব-৬ এবং ৭-এর যৌথ অভিযানে ফেনী জেলার সদর থানা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেখুলনা প্রতিনিধি

খুলনায় শিউলী বেগম হত্যা মামলায় ছেলে মো. রিয়াদ খানকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তাঁকে খুলনা র্যাব-৬ এবং ৭-এর যৌথ অভিযানে ফেনী জেলার সদর থানা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার রিয়াদ শিউলী বেগমের একমাত্র ছেলে। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ২ লাখ ৫ হাজার ৮০ টাকা, দুটি আইফোন, একটি স্মার্টফোন ও একটি এয়ারপড জব্দ করা হয়।
র্যাবের পাঠানো বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা গেছে, নিহত শিউলি বেগম সৌদি আরবপ্রবাসী ছিলেন। গত ২৭ অক্টোবর দুই মাসের ছুটিতে বাংলাদেশে আসেন। পরে নগরীর ট্যাংক রোডের বাসিন্দা রবিউল ইসলামের বাড়ির নিচতলায় ছেলে রিয়াদ খান এবং দ্বিতীয় স্বামী সাগরকে নিয়ে বসবাস শুরু করেন।
দেশে আসার ১০-১২ দিন পরে উত্তরা ব্যাংক খুলনা শাখা থেকে পৌনে ৭ লাখ টাকা উত্তোলন করে আলমারিতে রেখে দেন।
৯ ডিসেম্বর রাতে শিউলী বেগমের বড় মেয়ে রুবিনা আক্তার এবং তাঁর স্বামী রাজিব রাতের খাবার খেয়ে বাড়িতে চলে যান। ১০ ডিসেম্বর সকাল থেকে শিউলী বেগমকে ফোনে না পেয়ে রুবিনা আক্তারকে খোঁজ নিতে বলেন তাঁর স্বামী।
কিন্তু খোঁজ নিয়ে তাঁর সন্ধান না পেয়ে ওই দিন রাতে স্থানীয়দের সহায়তায় তালা ভেঙে ঘর থেকে শিউলী বেগমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পরে তাঁর ঘর থেকে পৌনে ৭ লাখ টাকা উধাও হয়ে যায়। শিউলী বেগম হত্যার পর থেকে একমাত্র ছেলে রিয়াদ খানেরও কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই রায়হান গাজী বাদী হয়ে শিউলী বেগমের ছেলে রিয়াদ খানকে আসামি করে মামলা করেন। উন্নত প্রযুক্তির সহায়তায় র্যাব খুলনা-৬ ও ৭-এর একটি দল তাঁকে ফেনী সদর থেকে গ্রেপ্তার করে।

খুলনায় শিউলী বেগম হত্যা মামলায় ছেলে মো. রিয়াদ খানকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তাঁকে খুলনা র্যাব-৬ এবং ৭-এর যৌথ অভিযানে ফেনী জেলার সদর থানা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার রিয়াদ শিউলী বেগমের একমাত্র ছেলে। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ২ লাখ ৫ হাজার ৮০ টাকা, দুটি আইফোন, একটি স্মার্টফোন ও একটি এয়ারপড জব্দ করা হয়।
র্যাবের পাঠানো বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা গেছে, নিহত শিউলি বেগম সৌদি আরবপ্রবাসী ছিলেন। গত ২৭ অক্টোবর দুই মাসের ছুটিতে বাংলাদেশে আসেন। পরে নগরীর ট্যাংক রোডের বাসিন্দা রবিউল ইসলামের বাড়ির নিচতলায় ছেলে রিয়াদ খান এবং দ্বিতীয় স্বামী সাগরকে নিয়ে বসবাস শুরু করেন।
দেশে আসার ১০-১২ দিন পরে উত্তরা ব্যাংক খুলনা শাখা থেকে পৌনে ৭ লাখ টাকা উত্তোলন করে আলমারিতে রেখে দেন।
৯ ডিসেম্বর রাতে শিউলী বেগমের বড় মেয়ে রুবিনা আক্তার এবং তাঁর স্বামী রাজিব রাতের খাবার খেয়ে বাড়িতে চলে যান। ১০ ডিসেম্বর সকাল থেকে শিউলী বেগমকে ফোনে না পেয়ে রুবিনা আক্তারকে খোঁজ নিতে বলেন তাঁর স্বামী।
কিন্তু খোঁজ নিয়ে তাঁর সন্ধান না পেয়ে ওই দিন রাতে স্থানীয়দের সহায়তায় তালা ভেঙে ঘর থেকে শিউলী বেগমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পরে তাঁর ঘর থেকে পৌনে ৭ লাখ টাকা উধাও হয়ে যায়। শিউলী বেগম হত্যার পর থেকে একমাত্র ছেলে রিয়াদ খানেরও কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই রায়হান গাজী বাদী হয়ে শিউলী বেগমের ছেলে রিয়াদ খানকে আসামি করে মামলা করেন। উন্নত প্রযুক্তির সহায়তায় র্যাব খুলনা-৬ ও ৭-এর একটি দল তাঁকে ফেনী সদর থেকে গ্রেপ্তার করে।

যশোরের মনিরামপুর উপজেলার নেহালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে থাকা একটি বন্ধ গণপাঠাগারে বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। পাঠাগারে নামমাত্র একটি চেয়ার এবং দুটি স্টিলের বুকশেলফ কিনে ২০-২৫ হাজার টাকা খরচ করে প্রকল্পের বাকি টাকা পিআইও দপ্তর ও পরিষদের সচিব মিজানুর রহমান ভাগ-বাঁটোয়ারা করেছেন।
০৫ জুলাই ২০২৫
বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত টানা তিন দিন অফিস-আদালতে ছুটি চলছে। বার্ষিক পরীক্ষা শেষে কয়েক দিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ। এই লম্বা ছুটি কিংবা বিশেষ দিনে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে বের হয়েছেন।
২৯ মিনিট আগে
সিলেটে জুয়া খেলা অবস্থায় ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
২ ঘণ্টা আগে
নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেনরসিংদী প্রতিনিধি

নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
২৩ ডিসেম্বর রাতে শিবপুর উপজেলার চক্রধা ইউনিয়নের পুবেরগাঁও গ্রামে স্থানীয় ইউপি সদস্য কাশেম খানের খামারে বাছুরটির জন্ম।
খামারমালিক কাশেম খান বলেন, বাছুরটি জন্মের পর থেকেই অসুস্থ। স্বাভাবিকভাবে দুধ পান করতে না পারায় ফিডারের মাধ্যমে দুধ খাওয়াতে হচ্ছে।
তিনি জানান, তাঁর খামারের একটি গাভি বাছুরটির জন্ম দিয়েছে। তিনি বলেন, এর আগেও গাভিটির বাছুর হয়েছে। কিন্তু এবারের মতো এমন অদ্ভুদ বাছুর আগে কখনো হয়নি।
ঘটনাটি জানাজানির পর থেকেই বাছুরটিকে একনজর দেখতে আশপাশের কৌতূহলী মানুষ খামারে আসছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল জলিল বলেন, ‘আমরা ছোটবেলা থেকে গরু-ছাগল দেখছি। কিন্তু তিন চোখ আর দুই মুখের বাছুর এই প্রথম দেখলাম। খবর পেয়ে দূর থেকে এসেছি।’
আরেক স্থানীয় নারী জরিনা বেগম বলেন, ‘বাছুরটা দেখতে অদ্ভুত লাগলেও মায়া হচ্ছে। বাছুরটির স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। অনেকেই দ্রুত প্রাণিসম্পদ বিভাগের চিকিৎসকের পরামর্শ ও চিকিৎসা নিশ্চিত করার পরামর্শ দিচ্ছেন।’
এর আগে এ ধরনের বাছুর জন্মের বিষয়ে প্রাণী বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সাধারণত জেনেটিকস ডিফেক্টের কারণে গাভির এমন ত্রুটিপূর্ণ বাচ্চার জন্ম হয়।

নরসিংদীতে অদ্ভুত আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটির রয়েছে দুটি মুখ, দুটি জিহ্বা, দুটি কান ও তিনটি চোখ। এর মধ্যে একটি চোখ বাছুরের কপালের মাঝখানে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
২৩ ডিসেম্বর রাতে শিবপুর উপজেলার চক্রধা ইউনিয়নের পুবেরগাঁও গ্রামে স্থানীয় ইউপি সদস্য কাশেম খানের খামারে বাছুরটির জন্ম।
খামারমালিক কাশেম খান বলেন, বাছুরটি জন্মের পর থেকেই অসুস্থ। স্বাভাবিকভাবে দুধ পান করতে না পারায় ফিডারের মাধ্যমে দুধ খাওয়াতে হচ্ছে।
তিনি জানান, তাঁর খামারের একটি গাভি বাছুরটির জন্ম দিয়েছে। তিনি বলেন, এর আগেও গাভিটির বাছুর হয়েছে। কিন্তু এবারের মতো এমন অদ্ভুদ বাছুর আগে কখনো হয়নি।
ঘটনাটি জানাজানির পর থেকেই বাছুরটিকে একনজর দেখতে আশপাশের কৌতূহলী মানুষ খামারে আসছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল জলিল বলেন, ‘আমরা ছোটবেলা থেকে গরু-ছাগল দেখছি। কিন্তু তিন চোখ আর দুই মুখের বাছুর এই প্রথম দেখলাম। খবর পেয়ে দূর থেকে এসেছি।’
আরেক স্থানীয় নারী জরিনা বেগম বলেন, ‘বাছুরটা দেখতে অদ্ভুত লাগলেও মায়া হচ্ছে। বাছুরটির স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। অনেকেই দ্রুত প্রাণিসম্পদ বিভাগের চিকিৎসকের পরামর্শ ও চিকিৎসা নিশ্চিত করার পরামর্শ দিচ্ছেন।’
এর আগে এ ধরনের বাছুর জন্মের বিষয়ে প্রাণী বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সাধারণত জেনেটিকস ডিফেক্টের কারণে গাভির এমন ত্রুটিপূর্ণ বাচ্চার জন্ম হয়।

যশোরের মনিরামপুর উপজেলার নেহালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে থাকা একটি বন্ধ গণপাঠাগারে বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। পাঠাগারে নামমাত্র একটি চেয়ার এবং দুটি স্টিলের বুকশেলফ কিনে ২০-২৫ হাজার টাকা খরচ করে প্রকল্পের বাকি টাকা পিআইও দপ্তর ও পরিষদের সচিব মিজানুর রহমান ভাগ-বাঁটোয়ারা করেছেন।
০৫ জুলাই ২০২৫
বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত টানা তিন দিন অফিস-আদালতে ছুটি চলছে। বার্ষিক পরীক্ষা শেষে কয়েক দিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ। এই লম্বা ছুটি কিংবা বিশেষ দিনে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে বের হয়েছেন।
২৯ মিনিট আগে
সিলেটে জুয়া খেলা অবস্থায় ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
২ ঘণ্টা আগে
খুলনায় শিউলী বেগম হত্যা মামলায় ছেলে মো. রিয়াদ খানকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তাঁকে খুলনা র্যাব-৬ এবং ৭-এর যৌথ অভিযানে ফেনী জেলার সদর থানা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে