আনোয়ার হোসেন শামীম, গাইবান্ধা
গাইবান্ধা–৫ (ফুলছড়ি–সাঘাটা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাহমুদ হাসান রিপন। তিনি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ছিলেন। শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার আগে পর্যন্ত বেশ দাপুটে সংসদ সদস্য হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। এলাকায় বেশ জনপ্রিয়ও ছিলেন। কিন্তু ৫ আগস্টে আত্মগোপনে যাওয়ার পর ঋণখেলাপিসহ একের পর এক অনিয়ম–দুর্নীতির অভিযোগ আসতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে তাঁকে নিয়ে নিজ এলাকায় নানা আলোচনা–সমালোচনা শুরু হয়েছে।
সরেজমিন গাইবান্ধার (ফুলছড়ি-সাঘাটা) ঘুরে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাহমুদ হাসান রিপন এলাকায় উন্নয়নের স্বপ্ন দেখিয়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। এ আসনের (ফুলছড়ি–সাঘাটা) উপজেলা দুই–তৃতীয়াংশ চরাঞ্চল। এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার মান অনেকটা অনুন্নত। শুকনা মৌসুমে চারদিকে ধু ধু বালুচর। বর্ষা মৌসুমে থইথই পানি। কৃষি, শিক্ষা, অবকাঠামো উন্নয়নে অন্যান্য উপজেলার চেয়ে অনেক পিছিয়ে ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা।
এই এলাকার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখাতেন রিপন। তিনি এখন পলাতক। তিনি একাই ১ হাজার ২০৯ কোটি টাকা ঋণ রেখে গেছেন।
এই আসনটিতে দীর্ঘদিন এমপি ছিলেন আওয়ামী লীগের ফজলে রাব্বী। মাহমুদ হাসান রিপন আলাদাভাবে দলীয় কর্মসূচি দিতেন। ফজলে রাব্বী মারা যাওয়ার পর উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের টিকিটে এমপি হন রিপন। ছয় মাসের অল্প সময়ে এমপি হয়ে কয়েক হাজার কোটি টাকার উন্নয়নের বাজেট পেয়েছেন বলে এলাকায় বলে বেড়াতেন। কাজগুলো বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়ে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আবারও বিজয়ী হন। কিন্তু কোনোটাই বাস্তবায়ন করতে পারেননি। এলাকায় সব ভোটারকেই নিজের কর্মী বানিয়েছিলেন। ভোটের জন্য সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক থেকে শুরু করে সরকারি কর্তাদেরও মাঠে নামিয়েছিলেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামা থেকে জানা যায়, নির্ভরশীল ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের এসএম স্পিনিং মিলস লিমিটেডে ১ শতাংশ, এসএম নিটওয়্যারস লিমিটেডে ২ দশমিক ৪৮ এবং মায়ার লিমিটেডে ৬৫ শতাংশ শেয়ার দেখিয়ে মাহমুদ হাসান রিপন ইসলামী ব্যাংক থেকে ৭ কোটি ৯৬ লাখ ৫৭ হাজার ৬২৮ টাকা, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকে ২০ কোটি ২ লাখ ৩১ হাজার ৯৩৮, ডাচ্–বাংলা ব্যাংকে ৩৭৩ কোটি ১০ লাখ ২৬ হাজার ৭৬৪, ইস্টার্ন ব্যাংকে ২০৬ কোটি ৫১ লাখ ৪ হাজার ৯৪৫, যমুনা ব্যাংকে ৩০ কোটি ৮৭ লাখ ৫৪ হাজার ৭৭১, সিটি ব্যাংকে ৪৯ কোটি ৫ লাখ ১১ হাজার ৫৪৩, ব্যাংক এশিয়ায় ৭২ কোটি ৯ লাখ ১৩ হাজার ৮৯০, ব্র্যাক ব্যাংকে ৭৮ কোটি ৮০ লাখ ২৭ হাজার ৪৭৬ টাকা ঋণ নিয়েছেন।
এ ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান, ম্যানেজিং ডিরেক্টর বা ডিরেক্টর হওয়ার সুবাদে এসএম স্পিনিং মিলস লিমিটেডের ৩ শতাংশের শেয়ারহোল্ডার দেখিয়ে, ইস্টার্ন ব্যাংক ৬১ কোটি ৪০ লাখ ৭৭ হাজার ৯৭৩ টাকা, সিটি ব্যাংকে ৪৯ কোটি ৫ লাখ ১১ হাজার ৫৪৩, ব্র্যাক ব্যাংকে ৭৮ কোটি ৮০ লাখ ২৭ হাজার ৪৭৬, ব্যাংক এশিয়া ৭২ কোটি ৯ লাখ ১৩ হাজার ৮৯০, ডাচ্–বাংলা ব্যাংক ১০৩ কোটি ৯৭ লাখ ২৫২ টাকা ঋণ নেন রিপন।
বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে শীর্ষ ১০ ঋণ ও দায়গ্রস্ত ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেছে। এর মধ্য সর্বোচ্চ ঋণগ্রস্ত প্রার্থী এস এ কে একরামুজ্জামান। তাঁর ঋণ ও দায় ২ হাজার ৫৩৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। আর মাহমুদ হাসান রিপনের ঋণ ও দায় ১ হাজার ২০৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া–১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা একরামুজ্জামান আবার রিপনের শ্বশুর।
হাসিনা সরকারের পতনের পর মাহমুদ হাসানও আত্মগোপনে গেছেন। এখন এসব ঋণ আদায় অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।
আত্মগোপনে গেলেও মাহমুদ হাসান রিপন ও তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী তারেক ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলে জানা যায়। তবে তাঁরা কেউই এ ব্যাপারে কথা বলতে রাজি হননি।
মাহমুদ হাসান রিপনের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন বলেন, নিজেরাই বিপদে আছেন। নেতা–কর্মীদের রেখে এভাবে তিনি পালিয়ে যাবেন, তা তাঁরা ভাবতে পারেননি। ঋণ ও দায় বিষয়ে তাঁরা বলেন, এসব তাঁর ব্যক্তিগত। তাঁর অপরাধের দায় কেন তাঁরা কেন নেবেন!
গাইবান্ধা–৫ আসনে আওয়ামী লীগের পদধারী নেতারাও আত্মগোপনে আছেন। ফলে তাঁদের সঙ্গেও কথা সম্ভব হয়নি।
আরও খবর পড়ুন:
গাইবান্ধা–৫ (ফুলছড়ি–সাঘাটা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাহমুদ হাসান রিপন। তিনি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ছিলেন। শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার আগে পর্যন্ত বেশ দাপুটে সংসদ সদস্য হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। এলাকায় বেশ জনপ্রিয়ও ছিলেন। কিন্তু ৫ আগস্টে আত্মগোপনে যাওয়ার পর ঋণখেলাপিসহ একের পর এক অনিয়ম–দুর্নীতির অভিযোগ আসতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে তাঁকে নিয়ে নিজ এলাকায় নানা আলোচনা–সমালোচনা শুরু হয়েছে।
সরেজমিন গাইবান্ধার (ফুলছড়ি-সাঘাটা) ঘুরে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাহমুদ হাসান রিপন এলাকায় উন্নয়নের স্বপ্ন দেখিয়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। এ আসনের (ফুলছড়ি–সাঘাটা) উপজেলা দুই–তৃতীয়াংশ চরাঞ্চল। এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার মান অনেকটা অনুন্নত। শুকনা মৌসুমে চারদিকে ধু ধু বালুচর। বর্ষা মৌসুমে থইথই পানি। কৃষি, শিক্ষা, অবকাঠামো উন্নয়নে অন্যান্য উপজেলার চেয়ে অনেক পিছিয়ে ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা।
এই এলাকার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখাতেন রিপন। তিনি এখন পলাতক। তিনি একাই ১ হাজার ২০৯ কোটি টাকা ঋণ রেখে গেছেন।
এই আসনটিতে দীর্ঘদিন এমপি ছিলেন আওয়ামী লীগের ফজলে রাব্বী। মাহমুদ হাসান রিপন আলাদাভাবে দলীয় কর্মসূচি দিতেন। ফজলে রাব্বী মারা যাওয়ার পর উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের টিকিটে এমপি হন রিপন। ছয় মাসের অল্প সময়ে এমপি হয়ে কয়েক হাজার কোটি টাকার উন্নয়নের বাজেট পেয়েছেন বলে এলাকায় বলে বেড়াতেন। কাজগুলো বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়ে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আবারও বিজয়ী হন। কিন্তু কোনোটাই বাস্তবায়ন করতে পারেননি। এলাকায় সব ভোটারকেই নিজের কর্মী বানিয়েছিলেন। ভোটের জন্য সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক থেকে শুরু করে সরকারি কর্তাদেরও মাঠে নামিয়েছিলেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামা থেকে জানা যায়, নির্ভরশীল ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের এসএম স্পিনিং মিলস লিমিটেডে ১ শতাংশ, এসএম নিটওয়্যারস লিমিটেডে ২ দশমিক ৪৮ এবং মায়ার লিমিটেডে ৬৫ শতাংশ শেয়ার দেখিয়ে মাহমুদ হাসান রিপন ইসলামী ব্যাংক থেকে ৭ কোটি ৯৬ লাখ ৫৭ হাজার ৬২৮ টাকা, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকে ২০ কোটি ২ লাখ ৩১ হাজার ৯৩৮, ডাচ্–বাংলা ব্যাংকে ৩৭৩ কোটি ১০ লাখ ২৬ হাজার ৭৬৪, ইস্টার্ন ব্যাংকে ২০৬ কোটি ৫১ লাখ ৪ হাজার ৯৪৫, যমুনা ব্যাংকে ৩০ কোটি ৮৭ লাখ ৫৪ হাজার ৭৭১, সিটি ব্যাংকে ৪৯ কোটি ৫ লাখ ১১ হাজার ৫৪৩, ব্যাংক এশিয়ায় ৭২ কোটি ৯ লাখ ১৩ হাজার ৮৯০, ব্র্যাক ব্যাংকে ৭৮ কোটি ৮০ লাখ ২৭ হাজার ৪৭৬ টাকা ঋণ নিয়েছেন।
এ ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান, ম্যানেজিং ডিরেক্টর বা ডিরেক্টর হওয়ার সুবাদে এসএম স্পিনিং মিলস লিমিটেডের ৩ শতাংশের শেয়ারহোল্ডার দেখিয়ে, ইস্টার্ন ব্যাংক ৬১ কোটি ৪০ লাখ ৭৭ হাজার ৯৭৩ টাকা, সিটি ব্যাংকে ৪৯ কোটি ৫ লাখ ১১ হাজার ৫৪৩, ব্র্যাক ব্যাংকে ৭৮ কোটি ৮০ লাখ ২৭ হাজার ৪৭৬, ব্যাংক এশিয়া ৭২ কোটি ৯ লাখ ১৩ হাজার ৮৯০, ডাচ্–বাংলা ব্যাংক ১০৩ কোটি ৯৭ লাখ ২৫২ টাকা ঋণ নেন রিপন।
বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে শীর্ষ ১০ ঋণ ও দায়গ্রস্ত ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেছে। এর মধ্য সর্বোচ্চ ঋণগ্রস্ত প্রার্থী এস এ কে একরামুজ্জামান। তাঁর ঋণ ও দায় ২ হাজার ৫৩৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। আর মাহমুদ হাসান রিপনের ঋণ ও দায় ১ হাজার ২০৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া–১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা একরামুজ্জামান আবার রিপনের শ্বশুর।
হাসিনা সরকারের পতনের পর মাহমুদ হাসানও আত্মগোপনে গেছেন। এখন এসব ঋণ আদায় অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।
আত্মগোপনে গেলেও মাহমুদ হাসান রিপন ও তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী তারেক ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলে জানা যায়। তবে তাঁরা কেউই এ ব্যাপারে কথা বলতে রাজি হননি।
মাহমুদ হাসান রিপনের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন বলেন, নিজেরাই বিপদে আছেন। নেতা–কর্মীদের রেখে এভাবে তিনি পালিয়ে যাবেন, তা তাঁরা ভাবতে পারেননি। ঋণ ও দায় বিষয়ে তাঁরা বলেন, এসব তাঁর ব্যক্তিগত। তাঁর অপরাধের দায় কেন তাঁরা কেন নেবেন!
গাইবান্ধা–৫ আসনে আওয়ামী লীগের পদধারী নেতারাও আত্মগোপনে আছেন। ফলে তাঁদের সঙ্গেও কথা সম্ভব হয়নি।
আরও খবর পড়ুন:
ফরিদপুরের সদরপুরে দুস্থদের মধ্যে ১০ টাকায় এক পিস করে ইলিশ মাছ বিতরণের সময় লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। মাছ না পেয়ে হতদরিদ্র অনেকে ক্ষুব্ধ হয়ে ঘেরাও করে রাখেন বিতরণকারীকে। আজ বুধবার দুপুরে উপজেলা সদরের বিশ্ব জাকের মঞ্জিল সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
১ মিনিট আগেকক্সবাজারের চকরিয়া পৌর শহরে সড়ক থেকে এক নবজাতকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের মাতামুহুরী ব্রিজের অ্যাপ্রোচ সড়ক থেকে নবজাতককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। সেখানে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
৫ মিনিট আগেবরগুনার আমতলী উপজেলায় এক যুবদল নেতা তাঁর লোকজন নিয়ে সাড়ে পাঁচ একর আমন ধানের জমিতে তাণ্ডব চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
১৫ মিনিট আগেযশোরের মনিরামপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবার মানোন্নয়ন নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সভাকক্ষে আজ বুধবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এই সভা চলে। এদিকে হাসপাতালের বহির্বিভাগে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দূরদূরান্ত থেকে আসা রোগীরা চিকিৎসাসেবা না পেয়ে ভোগান্তিতে
১৭ মিনিট আগে