Ajker Patrika

ফরিদপুরের যৌনপল্লি

জন্মনিবন্ধন জটিলতায় স্কুলের বাইরে শিশুরা

হাসান মাতুব্বর (শ্রাবণ), ফরিদপুর
ফরিদপুর শহরের একটি যৌনপল্লি। ছবি: আজকের পত্রিকা
ফরিদপুর শহরের একটি যৌনপল্লি। ছবি: আজকের পত্রিকা

জন্মনিবন্ধনের ডিজিটাল ব্যবস্থায় বাবার পরিচয় দেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকায় বিপাকে পড়েছে ফরিদপুরের যৌনপল্লির শিশুরা। অনেকেরই জন্মনিবন্ধন সনদ না থাকায় বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারছে না। ফলে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তারা।

ফরিদপুর শহরের রথখোলা ও সিঅ্যান্ডবি ঘাট এলাকায় দুটি যৌনপল্লি রয়েছে। সেখানে থাকা ৩৮৯ যৌনকর্মীর শিশুসন্তান রয়েছে ২৯৬ জন। এসব শিশুর অধিকাংশের জন্মনিবন্ধন নেই।

এই শিশুদের আবাসিকের পাশাপাশি পড়াশোনার সুবিধা দিয়ে আসছে শাপলা মহিলা সংস্থা। দি ফ্রিডম ফান্ডের সহযোগিতায় শিশুদের জন্মনিবন্ধন নিয়ে কাজ করছে সংস্থাটি। এর কর্মকর্তারা জানান, ডিজিটাল হওয়ার আগে নিবন্ধন করা গেছে, কিন্তু বর্তমানে জটিলতা শুরু হয়েছে। জন্মনিবন্ধন করাতে না পারায় শিশুদের স্কুলে ভর্তি নিচ্ছে না।

শাপলা মহিলা সংস্থা শহরতলির গেরদায় শিশুদের আবাসনের জন্য গড়ে তুলেছে ভবন। বর্তমানে সেখানে ৫০ মেয়ে ও ৩৫ ছেলে রয়েছে। সেখানে থাকা শিক্ষার্থীরা জানায়, অনেকেই স্কুলে যাচ্ছে, ক্লাসও করছে, তবে ভর্তি হতে না পারায় হাজিরা খাতায় নাম উঠছে না। পড়াশোনা নিয়ে অনেক স্বপ্ন তাদের; কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে জন্মনিবন্ধন।

সংস্থার প্রোগ্রাম অফিসার লক্ষ্মণ বিশ্বাস জানান, তাঁরা সারা দেশের ১১টি যৌনপল্লির মা ও শিশুদের বিভিন্ন অধিকার নিশ্চিতে কাজ করছেন। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মা ও শিশুদের জন্মসনদ। বর্তমানে যে অনলাইন সনদ, তা অনেকেরই নেই। এটা করতে যে কাগজপত্র দরকার, তা তাঁদের নেই।

লক্ষ্মণ বিশ্বাস বলেন, ‘২০২৫ সালে আমাদের হোমের ১৮টি শিশুকে এখনো ভর্তি করতে পারিনি। অনলাইন জন্মসনদ না থাকায় কোনো স্কুলই ভর্তি নেয়নি। এর মধ্যে কয়েকজন স্কুলে যাচ্ছে, ক্লাস করছে; কিন্তু ভর্তি হতে পারেনি। আমাদের লিখিত দিতে হয়েছে, স্কুলে কিছুদিনের মধ্যে জন্মসনদ দিতে হবে, তারপর স্কুল কর্তৃপক্ষ ভর্তি নেবে।’

এ নিয়ে কথা হলে সংস্থার উপনির্বাহী পরিচালক শ্যামল প্রকাশ অধিকারী জানান, অনেক মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) থাকলেও জন্মনিবন্ধন সনদ নেই। আবার যাঁদের আছে, সেখানে পেশার জায়গায় পতিতা এবং ঠিকানা হিসেবে যৌনপল্লি লেখা রয়েছে। অনেকেই এগুলো ব্যবহার করছেন না। এ কারণে শিশুদের জন্মনিবন্ধন করাতে সমস্যা হচ্ছে। আবার কারও মায়ের এনআইডিতে স্বামীর নাম নেই। ফলে বাবার নাম না থাকায় শিশুদের জন্মনিবন্ধন করা যাচ্ছে না।

শ্যামল অধিকারী বলেন, ‘আগে জন্মনিবন্ধন করা সহজ ছিল। ডিজিটাল পদ্ধতি আসার পর সার্ভারে বাবার নাম ছাড়া শিশুদের জন্মসনদ করা যাচ্ছে না। সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ, যৌনপল্লির শিশুদের জন্মনিবন্ধন সহজীকরণ করলে তারা সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারবে।’

শাপলা মহিলা সংস্থার আবাসনে আশ্রয় পাওয়া এক শিশু। ছবি: আজকের পত্রিকা
শাপলা মহিলা সংস্থার আবাসনে আশ্রয় পাওয়া এক শিশু। ছবি: আজকের পত্রিকা

সংস্থার নির্বাহী পরিচালক চঞ্চলা মণ্ডল জানান, শুধু মায়ের নামে সন্তানদের জন্মনিবন্ধন করা গেলে শিশুদের স্কুলে ভর্তি করা সহজ হতো।

রথখোলা যৌনপল্লির এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমার জন্মসনদ নেই। এনআইডি কার্ড আছে। সন্তানদের জন্মনিবন্ধন করাতে গেলে বাবার নাম জানতে চায়। আমরা চাই, শুধু মায়ের নামেই জন্মনিবন্ধন করার সুযোগ দেওয়া হোক। এ ছাড়া ঠিকানা যৌনপল্লির স্থলে আশপাশের এলাকার নাম দেওয়ার দাবি জানাই।’

সিঅ্যান্ডবি ঘাট যৌনপল্লি সদর উপজেলার ডিক্রিরচর ইউনিয়নে অবস্থিত। ডিক্রিরচর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হায়দার আলী খান জানান, আগে জন্মনিবন্ধন করা যেত; কিন্তু ডিজিটাল হওয়ার কারণে সার্ভারে বাবার নাম বা মায়ের জন্মসনদ না থাকলে শিশুদের সনদ করতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

এ বিষয়ে ফরিদপুরের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক চৌধুরী রওশন ইসলাম বলেন, ‘আমি শুনেছি যৌনপল্লির শিশুদের জন্মনিবন্ধন করতে গিয়ে কোথাও কোথাও সমস্যা হচ্ছে। সবাইকে বলে দিয়েছি, জন্মসনদ করে দেওয়ার জন্য। শিশুদের বাবার নাম ছাড়া মায়ের নাম দিয়েই জন্মনিবন্ধন করা যাবে, নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

সম্প্রতি এ জটিলতা নিয়ে দুই যৌনপল্লির অনিবন্ধিত শিশু ও মায়েদের সঙ্গে সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার জেনারেল (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আবু নছর মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। এ সময় তিনি বলেন, সংশ্লিষ্টরা যেসব তথ্য দিতে সক্ষম হবেন, এর ওপর ভিত্তি করেই শিশুর জন্মনিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। শাপলা মহিলা সংস্থার প্যাডে শিশু ও তাঁদের মায়েদের তথ্যের প্রত্যয়ন দেওয়ার এবং ইউপি সচিবকে এর আলোকে জন্মনিবন্ধন দিতে ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সীতাকুণ্ডে জমির সীমানা নিয়ে বিরোধে বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 
মো. নবীউল হক। ছবি: সংগৃহীত
মো. নবীউল হক। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে জমির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে মো. নবীউল হক (৭১) নামের এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের নতুনপাড়া এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত বৃদ্ধের পরিবারের দাবি, সুমন নামের স্থানীয় এক যুবকের মারধরে নবীউল প্রাণ হারিয়েছেন।

নিহত নবীউল নতুনপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

নিহত বৃদ্ধের নাতি মেজবাহ উদ্দিন জানান, আজ সকালে স্থানীয় বাসিন্দা সুমন বহিরাগত লোকজন নিয়ে তাঁর নানার জমিতে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু করেন। জমি পরিমাপ না করেই সীমানাপ্রাচীর নির্মাণে বাধা দিলে তাঁর নানার সঙ্গে সুমনের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সুমন তাঁর নানাকে এলোপাতাড়ি পেটানোর পর ইট দিয়ে মাথায় সজোরে আঘাত করেন। এতে নাক ও মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়ে অচেতন হয়ে পড়েন তাঁর নানা নবীউল। পরে সুমন, তাঁর স্ত্রীসহ অন্যরা পালিয়ে যান। বৃদ্ধ নবীউলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত নবীউলের মেয়ে সাজেদা আক্তার জানান, জমিটি নিয়ে সুমনের সঙ্গে তাঁদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। বর্তমানে ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর বাবার লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সুমনসহ সবার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহিনুল ইসলাম জানান, জমির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে বাগ্‌বিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনায় আহত হয়ে সত্তরোর্ধ্ব এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন। নিহত বৃদ্ধের পরিবারের দাবি, তাঁকে পিটিয়ে ও মাথায় আঘাত করে সুমন নামের এক যুবক হত্যা করেছেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। এ ঘটনার পর অভিযুক্ত সুমন পালিয়ে গেলেও পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁর স্ত্রী জেসমিন আক্তারকে আটক করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঘন কুয়াশায় রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে এই ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয় বলে জানান বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, সন্ধ্যার পর থেকেই কুয়াশা বাড়তে থাকে। সোয়া ৭টার সময় নদীপথ অস্পষ্ট হয়ে যায়। সে সময় নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে এই রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। কুয়াশা কেটে গেলে ফেরি চলাচল শুরু হবে।

অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মাঝ নদীতে কোনো ফেরি আটকে আছে কি না জানা নেই। ঘাট এলাকায় কোনো যানবাহনও পারের অপেক্ষায় নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দীপু দাসের হত্যাকারীদের শাস্তি না দিলে ভোট বর্জনের হুঁশিয়ারি হিন্দু মহাজোটের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ৩০
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে হিন্দু মহাজোট। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে হিন্দু মহাজোট। ছবি: আজকের পত্রিকা

ধর্ম অবমাননার অপবাদ দিয়ে দীপু চন্দ্র দাসকে হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের নির্বাচনের আগে শাস্তি না দিলে ভোট বর্জনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট। একই সঙ্গে জাতীয় সংসদসহ সর্বক্ষেত্রে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার জন্য সংরক্ষিত আসন এবং পৃথক নির্বাচনব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিও জানানো হয়।

আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে এ দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনের আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘ময়মনসিংহের ভালুকায় গার্মেন্টস কর্মী দীপু চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে আহত করে দীর্ঘ তিন কিলোমিটার রাস্তায় টেনেহিঁচড়ে নিয়ে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে আগুনে পুড়িয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এ ছাড়া রাজবাড়ী জেলার পাংশা থানার অমৃত মণ্ডল সম্রাটকে পিটিয়ে হত্যা, ঝিনাইদহে রিকশাচালক গোবিন্দ বিশ্বাসকে ‘র’-এর এজেন্ট ট্যাগ দিয়ে পিটিয়ে জখম, চট্টগ্রামের রাউজানসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতন এবং জমি দখল করা হচ্ছে। আমরা এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। এসব ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’

বক্তারা আরও বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর হিন্দু সম্প্রদায় আশা করেছিল, সব প্রকার বৈষম্য দূর হবে। কোনো ধরনের নির্যাতন হবে না। কিন্তু হিন্দু সম্প্রদায়ের সে আশা নিরাশায় পরিণত হয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায় এখন শান্তিতে নেই, বরং আতঙ্কগ্রস্ত অবস্থায় জীবন যাপন করছে।

মহাজোটের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট প্রতিভা বাকচী বলেন, প্রতিটি ঘটনায় সরকার নিশ্চুপ রয়েছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাও নিশ্চুপ। সরকার নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এমনকি অনেকে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। সরকারের কাছে দাবি, অবিলম্বে ওই সব মব সৃষ্টিকারী ও খুনিকে ভিডিও দেখে শনাক্ত করে প্রকাশ্যে ফাঁসি কার্যকর করা হোক। নির্বাচনের আগেই দ্রুত ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে খুনিদের বিচার হোক, যা দেখে অন্য মব সন্ত্রাসকারী কখনো যেন এই হত্যা ও লুণ্ঠন করার সাহস না পায়।

জাতীয় হিন্দু ছাত্র মহাজোটের সভাপতি সজীব কুণ্ডু তপু বলেন, ‘বর্তমানে যদি মব সন্ত্রাস ও মৌলবাদ সন্ত্রাস ঠেকানো না যায়, তাহলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবে।

বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সভাপতি অ্যাডভোকেট দীনবন্ধু রায়ের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট প্রদীপ কুমার পাল, মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক, যুগ্ম মহাসচিব হেমন্ত দাস, দপ্তর সম্পাদক সঞ্জয় চক্রবর্তী, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক পরেশ চৌধুরী, হিন্দু যুব মহাজোটের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মৃণাল কান্তি মধু, সিনিয়র সহসভাপতি পলাশ সরকার, সাধারণ সম্পাদক সুজন গাইন, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক শ্রাবণী মিত্র, ছাত্র মহাজোটের সভাপতি সজিব কুণ্ডু প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৩০০ ফুট থেকে ১৪৮ টন বর্জ্য অপসারণ করেছে ডিএনসিসি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ২১
৩০০ ফুটের বর্জ্য অপসারণ করেছেন ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত
৩০০ ফুটের বর্জ্য অপসারণ করেছেন ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত

৩০০ ফুটে বিএনপির সমাবেশস্থল থেকে ১৪৮ টন বর্জ্য অপসারণ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। আজ শুক্রবার ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. জোবায়ের হোসেনের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া যায়।

৩০০ ফুটের বর্জ্য অপসারণ করেছেন ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত
৩০০ ফুটের বর্জ্য অপসারণ করেছেন ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত

ডিএনসিসি জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর ৩০০ ফুট এলাকায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পরে অনুষ্ঠানস্থল থেকে ১৪৮ টন বর্জ্য অপসারণ করেছে ডিএনসিসি।

ডিএনসিসি থেকে আরও জানানো হয়, গতকাল রাতে ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ সকাল থেকে দ্রুততার সঙ্গে ৩০০ ফুটের বর্জ্য অপসারণ করার নির্দেশনা দেন। সে অনুযায়ী আজ সকাল থেকে ডিএনসিসির উদ্যোগে সমাবেশস্থলে সৃষ্ট বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যে একটি বিশেষ পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এ কার্যক্রমে ডিএনসিসির ৩৫০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী অংশ নেন বলে জানায় ডিএনসিসি।

৩০০ ফুটের বর্জ্য অপসারণ করেছেন ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত
৩০০ ফুটের বর্জ্য অপসারণ করেছেন ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত

পরিচ্ছন্নতা অভিযানের অংশ হিসেবে ২০টি ট্রাকের মাধ্যমে ১৪৮টি ট্রিপে সংগৃহীত বর্জ্য রাজধানীর আমিনবাজার ল্যান্ডফিলে নিরাপদভাবে ডাম্পিং করা হয়। দুপুরের মধ্যে পুরো সমাবেশস্থল পরিষ্কার করে জনসাধারণের চলাচলের উপযোগী করে তোলা হয়। পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চলাকালে সকাল ১০টা থেকে বিএনপির স্থানীয় কিছু নেতা-কর্মী স্বেচ্ছায় ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সঙ্গে পরিচ্ছন্নতাকাজে সহযোগিতা করেন বলে জানায় তারা।

ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘সকাল থেকে এই শীতের মধ্যে আমাদের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ও বিএনপির যেসব নেতা-কর্মী পরিচ্ছন্নতাকাজে অংশ নিয়েছেন, তাঁদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। সকলের সম্মিলিত অংশগ্রহণে আমরা এই শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে পারব।’

প্রশাসক আরও বলেন, ‘যেকোনো উৎসব বা বড় জনসমাগমের পর নগর প্রশাসনের সঙ্গে সাধারণ মানুষ ও রাজনৈতিক কর্মীরা যদি শহর পরিচ্ছন্নতার কাজে যুক্ত হন, তাহলে আমাদের শহরকে আরও বাসযোগ্য করে গড়ে তোলা এবং নাগরিক সেবা প্রদান অনেক সহজ হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত