Ajker Patrika

ভাঙ্গা ইন্টারসেকশন: দৃষ্টি কেড়েছে পর্যটকদের, আছে ঝুঁকিও

দিলীপ দাস, ভাঙ্গা প্রতিনিধি
ভাঙ্গা ইন্টারসেকশন: দৃষ্টি কেড়েছে পর্যটকদের, আছে ঝুঁকিও

ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের (জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান এক্সপ্রেসওয়ে) ভাঙ্গা ইন্টারসেকশন পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় স্থানে পরিণত হয়েছে। সারা দেশ থেকে পদ্মা সেতু দেখতে আসা পর্যটকেরা সেতু পার হয়ে ভাঙ্গায় এসে ভিড় করছেন। এতে করে জায়গাটি যেমন দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে তেমনি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কিছু প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

সরেজমিনে দেখা যায়, পদ্মা সেতু যেমন তাদের কাছে আকর্ষণীয়, ঠিক তেমনি তাদের কাছে আকর্ষণীয় ইন্টারসেকশন। সূর্যের আলো পশ্চিমে হেলতে শুরু করলেই প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, কিংবা বাসে করে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকেরা ভাঙ্গা ইন্টারসেকশনে এসে ভিড় করছে।

এদিকে সন্ধ্যা নামতেই ইন্টারসেকশনের চারটি বড় ফ্লাড লাইটের আলো ও সড়ক বাতিগুলোর আলোয় স্থানটি পূর্ণিমা রাতের মতো আলোকিত হয়। ইন্টারসেকশনের ফ্লাইওভারের চারপাশের ঢালগুলোতে লাগানো হয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির সৌন্দর্য বর্ধনকারী ফুল ও পাতাবাহার গাছ। অন্যদিকে পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় ভাঙ্গা থেকে ঢাকায় যাতায়াত ব্যবস্থা অনেক সহজ হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের ২১টি জেলায় যাতায়াতকারী পরিবহনগুলো ছাড়াও পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর মাওয়া ঘাটের পরিবহনগুলোর স্ট্যান্ড ভাঙ্গায় হওয়ায় ঢাকা যাওয়া মাত্র এক ঘণ্টার ব্যাপার হয়েছে দাঁড়িয়েছে। ঢাকা থেকে  ২৫০ টাকায় ভাঙ্গায় আসা যাচ্ছে। ফলে ভাঙ্গা থেকে ঢাকা এখন ইচ্ছে করলেই যে কেউ অনায়াসে ইলিশ, আনন্দ, প্রচেষ্টা, গুনগুন, বিআরটিসিসহ বিভিন্ন পরিবহনে যেতে পারছেন।

এদিকে ভাঙ্গায় পর্যটকের আগমনকে কেন্দ্র করে বিক্রি বেড়েছে দোকানিদের। ভাঙ্গা বিশ্ব মোড়ের চারপাশের দোকানগুলো এবং দক্ষিণপাড় বাস স্ট্যান্ডের বিভিন্ন দোকানিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২৫ জুন পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে তাদের দোকানের বিক্রি তিন থেকে চার গুণ বেড়েছে।

ভাঙ্গা দক্ষিণপাড় বাস স্ট্যান্ডের চা দোকানি আরিফ মোল্লা জানান, আগের তুলনায় তিন থেকে চার গুণ বিক্রি বেড়েছে আমার।

নুরু শেখ জানান, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার আগে রাত ১০টার মধ্যেই আমি চায়ের দোকান বন্ধ করে দিতাম। এখন রাত ১২টা পর্যন্ত পর্যটকদের আনাগোনা থাকে। আগের তুলনায় অনেক বেশি বিক্রি হচ্ছে আমার।

প্রায় প্রতিদিনই বিকেলের পর থেকে ভাঙ্গায় জমে মানুষের ভিড়ভাঙ্গা বাজারের ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি বিক্রেতা অনিল দাসের ছেলে বিশ্বজিৎ দাস বলেন, আগের তুলনায় তিন থেকে চারগুণ বিক্রি বেড়েছে আমার দোকানে। সন্ধ্যার মধ্যে মিষ্টি বিক্রি শেষ হয়ে যায়। অনেকে মিষ্টি না পেয়ে ফিরে যান।

এদিকে ভাঙ্গা বিশ্ব রোড মোড়ে গড়ে উঠেছে শিশুদের জন্য ফ্যামিলি কিংডম পার্ক। বিশ্বরোড সংলগ্ন হওয়ায় পার্কে প্রচুর দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে সেখানে। আগে ভাঙ্গায় ৩ থেকে ৪টি চাইনিজ রেস্টুরেন্ট ছিল। বর্তমানে চাইনিজ রেস্টুরেন্টের সংখ্যা ১৫ টিরও বেশি।

ঢাকা থেকে আসা যাত্রাবাড়ীর সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি পরিবার-পরিজন নিয়ে পদ্মা সেতু ও এক্সপ্রেসওয়ে দেখার জন্য ভাঙ্গা এসেছি। পদ্মা সেতু যেমন সুন্দর, ভাঙ্গার ইন্টারসেকশন মোড় ও তেমন সুন্দর।’

রাজশাহী থেকে আসা কলেজশিক্ষক আব্দুল বারেক জানান, স্বপ্ন ছিল স্বপ্নের পদ্মা সেতু দেখার। সঙ্গে বোনাস হিসেবে পেলাম এক্সপ্রেসওয়ে ও ভাঙ্গা ইন্টারসেকশন মোড়। নিজের চোখে না দেখলে এসব স্থাপনার সৌন্দর্য বর্ণনা করা যায় না।

এই জায়গাটি যেমন দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে তেমনি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কিছু প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানালেন স্থানীয়রা। ভাঙ্গার স্কুলশিক্ষক ফাইজুর রহমান বলেন, ‘ভাঙ্গা বিশ্বরোড মোড়ে পর্যটকের চাপ বেড়ে গেছে। তাই বিশ্বরোড সংলগ্ন পাবলিক টয়লেট এবং বিশ্বরোড ফ্লাইওভারে ডাস্টবিন নির্মাণ করা জরুরি। ঘুরতে আসা লোকজন বিভিন্ন প্যাকেটজাত খাবার খেয়ে রাস্তার ওপরে ফেলে যাচ্ছে। ফলে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।’

ভাঙ্গা মহিলা ডিগ্রী কলেজের বাংলা বিষয়ের প্রভাষক সাংবাদিক অজয় দাস বলেন, ‘ভাঙ্গা ইন্টারসেকশনের ফ্লাইওভার প্রতিদিন বিকেলে লোকে লোকারণ্য হয়। এই ফ্লাইওভারের ওপর দিয়ে এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করে যাতায়াতকারী গাড়িগুলো দ্রুতগতিতে চলাচল করে। ঘুরতে আসা ভ্রমণ পিপাসুরা এই ফ্লাইওভারের ওপর অবস্থান করে। অনেকে আবার তাদের গাড়িগুলো ফ্লাইওভার ও লিংক রোডে রাখে। ইন্টারসেকশনে অবাধ চলাচল নিয়ন্ত্রণ না করলে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’

ভাঙ্গা পৌরসভার মেয়র আবু ফয়েজ মো. রেজা বলেন, ‘পদ্মা সেতু ঢাকার সঙ্গে আমাদের মিলন ঘটিয়েছে। ভাঙ্গা এখন সাভার কিংবা নারায়ণগঞ্জের মতো উপশহরে পরিণত হতে যাচ্ছে। প্রতিদিন পদ্মা সেতু, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান এক্সপ্রেসওয়ে ও ভাঙ্গার ইন্টারসেকশন দেখার জন্য আসছে অসংখ্য মানুষ।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সীতাকুণ্ডে বাসচাপায় পথচারী নারী নিহত

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম), প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বেপরোয়া গতির বাসের চাপায় আফরোজা বেগম (৫৫) নামের এক নারী নিহত হয়েছেন।

আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পৌরসদরস্থ পন্থিছিলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত পথচারী নারী চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী হাজী ক্যাম্প এলাকার নজরুল ইসলামের স্ত্রী।

প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে হাইওয়ে পুলিশ জানায়, ঢাকামুখী সৌদিয়া পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস মহাসড়কের পন্থিছিলা এলাকা অতিক্রমকালে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ওই নারীকে চাপা দেয়। এতে বাসচাপায় পিষ্ট হয়ে ওই নারী গুরুতর আহত হন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কুমিরা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) জাকির রাব্বানী। তিনি জানান, আইনগত প্রক্রিয়া শেষে নিহত ওই নারীর মরদেহ তাঁর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চট্টগ্রামে বিএনপির প্রার্থী এরশাদ শঙ্কামুক্ত, গুলিবিদ্ধ একজনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২০: ২২
ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী ও চান্দগাঁও) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ গণসংযোগের সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। একই সময়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে সরওয়ার বাবলা নামে আরেকজন নিহত হয়েছেন। শান্ত নামে এক বিএনপি কর্মীও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে।

হতাহত তিনজনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম নগরের অক্সিজেন এলাকার এভারকেয়ার হাসপাতালের এজিএম রাম প্রসাদ। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, তিনজনের মধ্যে সরওয়ার বাবলা মারা গেছেন। বাকি দুইজনের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত।

এদিকে ঘটনাস্থলে গুলিতে লুটিয়ে পড়া সরওয়ার বাবলার একটি ছবি আজকের পত্রিকার সংগ্রহে এসেছে। বুধবার (০৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পাঁচলাইশের হামজার বাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় বিএনপি নেতারা জানান, মনোনয়ন পেয়ে হামজারবাগ এলাকায় গণসংযোগ করছিলেন এরশাদ উল্লাহ। সময়টা ছিল মাগরিবের নামাজের পরপরই। ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরশাদ উল্লাহর গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে নেতাকর্মীরা হাসপাতালে ভিড় করে।

ঘটনাস্থলে এরশাদ উল্লাহর কাছাকাছি থাকা বিএনপি নেতা মো. ইসমাইল বলেন, ‘আমি এরশাদ ভাইয়ের খুব কাছেই ছিলাম। কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই সন্ত্রাসীরা গুলি ছোড়া শুরু করে। হুড়োহুড়িতে আমি নিজেও পায়ে আঘাত পেয়েছি।’ বর্তমানে তিনিও এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানান ইসমাইল।

বিষয়টি জানতে বায়েজিদ থানারি ওসিকে বারবার ফোন করা হলেও পাওয়া যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মাছ ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যাকাণ্ড

ফকিরহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি 
ঘটনাস্থলে লোকজনের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঘটনাস্থলে লোকজনের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলায় মুজিবুর রহমান শেখ (৪৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) সকালে মোড়লডাঙ্গা এলাকার একটি বাগান থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবারের দাবি, মুজিবুর হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন।

মুজিবুর উপজেলার নলধা-মৌভোগ ইউনিয়নের মোড়লডাঙ্গা গ্রামের গোলাপ শেখের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, আজ সকালে মোড়লডাঙ্গায় নিজাম শেখের বাগানের একটি মেহগনিগাছে মুজিবুরের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা ৯৯৯-এ কল করে বিষয়টি অবহিত করেন। খবর পেয়ে ফকিরহাট মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরে প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে লাশ উদ্ধার করা হয়। মরদেহের কপালে একটি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে পুলিশ জানায়।

মৃতের ভাই জিল্লাল শেখ ও হাবি শেখের দাবি, তাঁদের ভাইকে কেউ পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রেখেছে। তাঁরা জানান, গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে কে বা কারা মুজিবুরকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। সকালে তাঁর লাশ পাওয়া গেছে।

ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজজাক মীর বলেন, ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এলে সঠিকভাবে জানা যাবে আসলে কীভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কুমিল্লা-৬ আসনে বিএনপির মনোনয়ন না পেয়ে ইয়াছিনের সমর্থকদের বিক্ষোভ, অগ্রভাগে নারীরা

কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লায় নারীদের নেতৃত্বে মিছিল করেন মনোনয়ন না পাওয়া বিএনপি নেতা আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের সমর্থকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
কুমিল্লায় নারীদের নেতৃত্বে মিছিল করেন মনোনয়ন না পাওয়া বিএনপি নেতা আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের সমর্থকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুমিল্লা-৬ (সদর, সদর দক্ষিণ ও সিটি করপোরেশন) আসনে মনোনয়ন না পাওয়া বিএনপি নেতা হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের সমর্থকেরা নারীদের নেতৃত্বে বিক্ষোভ-মিছিল করেছেন। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে নগরীর ধর্মসাগরপাড়ে অস্থায়ী দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিলটি শুরু হয়।

নগরীর বিভিন্ন প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পূবালী চত্বরে মিছিল শেষ হয়। পরে সেখানে অবস্থান কর্মসূচি করা হয়।

বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইয়াছিনকে কুমিল্লা-৬ আসনে দলের প্রার্থী করার দাবি তুলেছেন তাঁর অনুসারীরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজকের মিছিলে প্রায় ৮ হাজার নারী অংশ নিয়েছেন। আন্দোলনকারীরা ‘ইয়াছিন ভাইয়ের মনোনয়ন ফেরত চাই’, ‘৮-এর প্রার্থী ৬-এ কেন—মানিনা, মানব না’, ‘আমি কে, তুমি কে, ইয়াছিন ভাই, ইয়াছিন ভাই’, ‘জেল-জুলুম, কারাগারে ইয়াছিন ভাই’ স্লোগান দেন।

ইয়াছিনের সমর্থকেরা বলছেন, ইয়াছিন দীর্ঘদিন ধরে দলের তৃণমূল থেকে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। সাবেক ত্রাণ ও পুনর্বাসনবিষয়ক সম্পাদক হিসেবে তিনি নেতা-কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁর সহায়তায় নেতা-কর্মীরা আইনি সহায়তা, চিকিৎসা খরচ, পারিবারিক সহায়তা, ঈদ ও অন্যান্য বিশেষ অনুষ্ঠানে সহযোগিতা পেয়েছেন। তিনি দলের মনোনয়ন না পাওয়ায় নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ-হতাশা তৈরি হয়েছে।

অবস্থান কর্মসূচিতে নেতা-কর্মীরা দাবি করেন, রাজনৈতিক অবদান ও তৃণমূলের সঙ্গে সংযুক্তি বিবেচনা করে এই আসনে বিএনপির প্রার্থী বদলে হাজি ইয়াছিনকে মনোনয়ন দেওয়া হোক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত