মাদারীপুর প্রতিনিধি
‘নৌকার বাইরে গিয়ে কেউ গলা উচু করে কথা বললে, সেই গলা নামিয়ে দেওয়ার কৌশল আমরা জানি’—আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের বড় ছেলে আসিবুর রহমান খানের দেওয়া একটি বক্তব্যে এমন হুমকির কথা শোনা গেছে। ইতিমধ্যে বক্তব্যের ভিডিওটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে মাদারীপুর-২ আসনের ভোটার ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে মাদারীপুর সদরের খোঁয়াজপুরের টেকেরহাটে নির্বাচনের প্রচারণায় যান মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও নৌকার প্রার্থী শাজাহান খানের বড় ছেলে আসিবুর রহমান খান। তিনি জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য। শাজাহান খানের ছেলে মাদারীপুর-৩ আসনের নৌকার প্রার্থী ড. আবদুস সোবহান গোলাপের পক্ষে নৌকায় ভোট চান। সদর উপজেলার খোঁয়াজপুর টেকেরহাট সংসদীয় মাদারীপুর-৩ আসনের মধ্যে।
ভাইরাল হওয়া বক্তব্যে আসিবুর রহমান খান বলেন, ‘আমরা কয়েকজন মিলে এই টেকেরহাটে এসেছিলাম নৌকার পক্ষে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা করতে। আমাদের প্রিয় মুখ মাদারীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ড. আবদুস সোবহান গোলাপ মিয়ার স্বপক্ষে কাজ করার জন্য। কিন্তু একদল সন্ত্রাসী চেষ্টা করেছে এখানে বিশৃঙ্খলা তৈরি করার। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে এই টেকেরহাটকে নষ্ট করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে।’
এ সময় আসিবুর রহমান বলেন, ‘যারা এমন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন তাদের কঠোরভাবে জানাতে চাই, আমরা এখনো ঠান্ডা আছি, তাই ঠান্ডা থাকতে দেন। যদি একবারও মাথা গরম করি, তাহলে আপনি (এক আওয়ামী লীগ নেতার উদ্দেশ্যে বলেন) মাদারীপুর কেন, বাংলাদেশেও থাকতে পারবেন না।’
আসিবুর রহমান খান আরও বলেন, আমাদের এক কর্মীকে ষড়যন্ত্রকারীরা তুলে নিয়ে গিয়েছিল। তাকে লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করেছে। এই টেকেরহাটে যদি কোনো রকম সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে, নৌকার বাইরে যদি একজনও কোনো রকম কথা বলে, এমনকি গলা উচু করে কথা বলার চেষ্টা করে, তাহলে আপনাদের গলা কীভাবে আমরা নামাব, সেটা আমরা ভালো করেই জানি। এখন সাবধান করে গেলাম, এরপর সামনে আমরা কঠোরভাবে আসব।’
নাম না প্রকাশের শর্তে কয়েকজন জানান, এভাবে প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়া আচরণবিধি লঙ্ঘনের সামিল। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটের জন্য এই বক্তব্যকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। তা না হলে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ভয় কাজ করবে।
এ ব্যাপারে মাদারীপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী, কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য মোসা. তাহমিনা বেগম বলেন, ‘ইতিমধ্যে আপনারা জেনেছেন মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও নৌকার প্রার্থী শাজাহান খানের ছেলে আসিবুর রহমান খান খোঁয়াজপুরে গিয়ে খুব কঠিন কথা বলেছেন, জনগণের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করার জন্য। এটা আমার মনে হয় তারা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এবং জনগণ যেন ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট না দেন, সেই জন্য ভীতির মাধ্যমে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন।’
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মারুফুর রশিদ খান বলেন, প্রকাশ্যে এমন হুমকির বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে, আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে কেউ ছাড় পাবে না।
‘নৌকার বাইরে গিয়ে কেউ গলা উচু করে কথা বললে, সেই গলা নামিয়ে দেওয়ার কৌশল আমরা জানি’—আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের বড় ছেলে আসিবুর রহমান খানের দেওয়া একটি বক্তব্যে এমন হুমকির কথা শোনা গেছে। ইতিমধ্যে বক্তব্যের ভিডিওটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে মাদারীপুর-২ আসনের ভোটার ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে মাদারীপুর সদরের খোঁয়াজপুরের টেকেরহাটে নির্বাচনের প্রচারণায় যান মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও নৌকার প্রার্থী শাজাহান খানের বড় ছেলে আসিবুর রহমান খান। তিনি জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য। শাজাহান খানের ছেলে মাদারীপুর-৩ আসনের নৌকার প্রার্থী ড. আবদুস সোবহান গোলাপের পক্ষে নৌকায় ভোট চান। সদর উপজেলার খোঁয়াজপুর টেকেরহাট সংসদীয় মাদারীপুর-৩ আসনের মধ্যে।
ভাইরাল হওয়া বক্তব্যে আসিবুর রহমান খান বলেন, ‘আমরা কয়েকজন মিলে এই টেকেরহাটে এসেছিলাম নৌকার পক্ষে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা করতে। আমাদের প্রিয় মুখ মাদারীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ড. আবদুস সোবহান গোলাপ মিয়ার স্বপক্ষে কাজ করার জন্য। কিন্তু একদল সন্ত্রাসী চেষ্টা করেছে এখানে বিশৃঙ্খলা তৈরি করার। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে এই টেকেরহাটকে নষ্ট করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে।’
এ সময় আসিবুর রহমান বলেন, ‘যারা এমন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন তাদের কঠোরভাবে জানাতে চাই, আমরা এখনো ঠান্ডা আছি, তাই ঠান্ডা থাকতে দেন। যদি একবারও মাথা গরম করি, তাহলে আপনি (এক আওয়ামী লীগ নেতার উদ্দেশ্যে বলেন) মাদারীপুর কেন, বাংলাদেশেও থাকতে পারবেন না।’
আসিবুর রহমান খান আরও বলেন, আমাদের এক কর্মীকে ষড়যন্ত্রকারীরা তুলে নিয়ে গিয়েছিল। তাকে লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করেছে। এই টেকেরহাটে যদি কোনো রকম সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে, নৌকার বাইরে যদি একজনও কোনো রকম কথা বলে, এমনকি গলা উচু করে কথা বলার চেষ্টা করে, তাহলে আপনাদের গলা কীভাবে আমরা নামাব, সেটা আমরা ভালো করেই জানি। এখন সাবধান করে গেলাম, এরপর সামনে আমরা কঠোরভাবে আসব।’
নাম না প্রকাশের শর্তে কয়েকজন জানান, এভাবে প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়া আচরণবিধি লঙ্ঘনের সামিল। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটের জন্য এই বক্তব্যকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। তা না হলে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ভয় কাজ করবে।
এ ব্যাপারে মাদারীপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী, কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য মোসা. তাহমিনা বেগম বলেন, ‘ইতিমধ্যে আপনারা জেনেছেন মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও নৌকার প্রার্থী শাজাহান খানের ছেলে আসিবুর রহমান খান খোঁয়াজপুরে গিয়ে খুব কঠিন কথা বলেছেন, জনগণের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করার জন্য। এটা আমার মনে হয় তারা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এবং জনগণ যেন ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট না দেন, সেই জন্য ভীতির মাধ্যমে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন।’
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মারুফুর রশিদ খান বলেন, প্রকাশ্যে এমন হুমকির বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে, আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে কেউ ছাড় পাবে না।
গত জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে ভারী বৃষ্টির কারণে নোয়াখালীর আটটি উপজেলার বেশির ভাগ এলাকায় দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। অব্যাহত বৃষ্টি ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় ডুবে যায় জেলার বিভিন্ন সড়ক, মহল্লা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। জেলার ১৭৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সেই জলাবদ্ধতা এখনো রয়ে গেছে। এক মাসের বেশি এই জলাবদ্ধতায়
২৬ মিনিট আগেসরকারি কেনাকাটার ক্ষেত্রে যে ঠিকাদার সর্বনিম্ন দরে মালপত্র সরবরাহ করবেন, তাকেই কাজ দেওয়ার কথা। তবে উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে রাজশাহী আঞ্চলিক দুগ্ধ ও গবাদি উন্নয়ন খামারে। এখানে সর্বনিম্ন নয়, যাঁরা সর্বোচ্চ দর দিয়েছেন—তাঁদেরই কাজ দেওয়া হয়েছে। এতে সরকারের প্রায় ৯২ লাখ টাকা বাড়তি খরচ হচ্ছে।
৩১ মিনিট আগেবিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) নিয়োগ-বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সম্প্রতি কারাগারে যেতে হয়েছে সাবেক উপাচার্য আব্দুস সাত্তারকে। তবে এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটি গত পাঁচ মাসেও কাজ
৩৬ মিনিট আগেউড়োজাহাজের অনলাইন টিকিট বুকিংয়ে দেশের অন্যতম প্ল্যাটফর্ম ফ্লাইট এক্সপার্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সালমান বিন রশিদ শাহ সাইমের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়ার মুরাদপুর গ্রামে। এই গ্রাম, উপজেলা, এমনকি পাশের ফরিদগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দাদের কাছ থেকেও তাঁরা টাকাপয়সা হাতিয়ে নিয়েছেন ব্যবসার নামে।
১ ঘণ্টা আগে