শরীফ নাসরুল্লাহ, ঢাকা
পুরান ঢাকার সদরঘাটের পাটুয়াটুলী রোড। এই রোড ধরে এগোলে রাবেয়া ইলিয়াস মার্কেট ও নুরুল হক মার্কেট। গত বৃহস্পতিবার নুরুল হক মার্কেটের নিচতলায় গিয়ে দেখা যায় ইলেকট্রনিকস পণ্যের সারি সারি দোকান। অথচ একটা সময় এই জায়গাটা মুখর থাকত সংগীতপ্রিয় মানুষের আনাগোনায়। নতুন গানের অ্যালবামের পোস্টার, তারকা শিল্পীদের আসা-যাওয়া, ক্রেতাদের ভিড়– সব মিলিয়ে জমজমাট ছিল সংগীত কমপ্লেক্স।
মার্কেটের দোতলায় উঠতেই চোখে পড়ে সেই সংগীত কমপ্লেক্স নামের একটি সাইনবোর্ড। ময়লা-আবর্জনায় ঢেকে যাওয়া এই সাইনবোর্ড জানিয়ে দেয়, একসময় এখানে অডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্যতম সংগীতার বিচরণ ছিল। দোতালায় একটু সামনের দিকে এগোতেই অডিও ক্যাসেটের একটি দোকান চোখে পড়ে গীতিকা রেকর্ডিং সেন্টার। দোকানজুড়ে সাজানো অডিও ক্যাসেট, সিডি। একজন সেগুলো ডিজিটাল ফরম্যাটে রূপান্তর করছেন। দোকানের সামনে গ্রামোফোন রাখা। পাশেই রাখা শিল্পী মোহাম্মদ রফির একটি গ্রামোফোন রেকর্ডসহ বেশ কিছু রেকর্ড। বোঝা যায়, প্রযুক্তির উন্নয়ন হলেও এখনো কিছু মানুষের চাহিদা সেই ধ্রুপদি জায়গায় রয়ে গেছে।
দোকানের সামনেই বসা ছিলেন কর্ণধার সন্তোষ কুমার রায়। ৪৬ বছর ধরে গানের সঙ্গে আছেন তিনি। জানালেন, পুরোনো কেউ তো আর নেই। তিনি আছেন ব্যবসাটা ধরে রাখার জন্য। প্রযুক্তির উন্নয়নে গানের মাধ্যম বদলে গেছে। তাই অডিও বাজারেরও পরিবর্তন ঘটে গেছে। তবে এখনো অনেকেই আছেন, যারা অ্যান্ট্রিক কিছু কিনতে আসেন। একেবারে আসল গান শুনতে ভালোবাসেন। তারা আদি রেকর্ড চান। অনলাইনে গান পাওয়া যায়। কিন্তু সব গান পাওয়া যায় না। অনেক সত্যিকারের সংগীতপ্রেমী আছেন, তাঁরা এখনো সেই পুরোনো রেকর্ড কিনতে এখানে আসেন।
উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, শুধু বয়স্করা না। এখনকার স্কুলপড়ুয়ারাও আসে গানের আসল ভার্সনটি কিনতে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, মিডফোর্ড হাসপাতালের অনেক শিক্ষার্থী আসল গান নিতে আসেন।
পাটুয়াটুলী, নবাবপুর এলাকাজুড়ে এক সময় ছিল বাংলাদেশের নামকরা সব অডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। সংগীতা, সাউন্ডটেক, অনুপম, চেনা সুর, সোনালী প্রডাক্টস, সারগামের এর নাম বলা যায়। এসব প্রতিষ্ঠানের কোনোটিই আর এখানে নেই। সংগীতা বেশ আগেই তাদের অফিস পাটুয়াটুলী থেকে বিজয়নগরে নিয়ে এসেছে। অডিও ক্যাসেটের বদলে এখন ইউটিউবে মিউজিক ভিডিও করে গান তৈরি হয়।
সংগীতার প্রধান নির্বাহী রবিন ইমরান বলেন, আগে আমাদের সারা দেশে ৬৪টি জেলায়ই শোরুম ছিল। অডিও ক্যাসেটের একটা সংস্কৃতি ছিল। তারপর দেখা গেছে মোবাইলে মেমোরি কার্ড চলে আসে। সব কোম্পানির গান একসঙ্গে শ্রোতাদের দেওয়া হয়। আলাদা করে ব্যবসাটা আর ধরে রাখা যায়নি।
বর্তমান সময়ের ব্যবসার ধরন নিয়ে জানান, এখন ইউটিউবে গানের সঙ্গে ভিডিও করে মিউজিক ভিডিওর মাধ্যমে আবার লিরিক্যাল ভিডিও দিয়ে গান প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞাপনের ওপর ভিত্তি করে অর্থ আসে।
অডিও ক্যাসেটের জগতের আরেক প্রতিষ্ঠান সিএমভির কর্ণধার শাহেদ আলী পাপ্পু বলেন, ‘আগে ক্যাসেটের বাজারে এক ধরনের উৎসব ব্যাপার ছিল। রাস্তায় রাস্তায় গান শোনা যেত। এখন রাস্তায় গান শোনা যায় না। গান শোনার ধরন পাল্টে গেছে। এখন অ্যাপসে গান শোনে। আমারও ব্যবসার ধরন ওভাবে পাল্টে নিয়েছি। তবে আগে যে রকম রমরমা ব্যবসা ছিল, সেটা এখন আর নেই।’
পুরান ঢাকার সদরঘাটের পাটুয়াটুলী রোড। এই রোড ধরে এগোলে রাবেয়া ইলিয়াস মার্কেট ও নুরুল হক মার্কেট। গত বৃহস্পতিবার নুরুল হক মার্কেটের নিচতলায় গিয়ে দেখা যায় ইলেকট্রনিকস পণ্যের সারি সারি দোকান। অথচ একটা সময় এই জায়গাটা মুখর থাকত সংগীতপ্রিয় মানুষের আনাগোনায়। নতুন গানের অ্যালবামের পোস্টার, তারকা শিল্পীদের আসা-যাওয়া, ক্রেতাদের ভিড়– সব মিলিয়ে জমজমাট ছিল সংগীত কমপ্লেক্স।
মার্কেটের দোতলায় উঠতেই চোখে পড়ে সেই সংগীত কমপ্লেক্স নামের একটি সাইনবোর্ড। ময়লা-আবর্জনায় ঢেকে যাওয়া এই সাইনবোর্ড জানিয়ে দেয়, একসময় এখানে অডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্যতম সংগীতার বিচরণ ছিল। দোতালায় একটু সামনের দিকে এগোতেই অডিও ক্যাসেটের একটি দোকান চোখে পড়ে গীতিকা রেকর্ডিং সেন্টার। দোকানজুড়ে সাজানো অডিও ক্যাসেট, সিডি। একজন সেগুলো ডিজিটাল ফরম্যাটে রূপান্তর করছেন। দোকানের সামনে গ্রামোফোন রাখা। পাশেই রাখা শিল্পী মোহাম্মদ রফির একটি গ্রামোফোন রেকর্ডসহ বেশ কিছু রেকর্ড। বোঝা যায়, প্রযুক্তির উন্নয়ন হলেও এখনো কিছু মানুষের চাহিদা সেই ধ্রুপদি জায়গায় রয়ে গেছে।
দোকানের সামনেই বসা ছিলেন কর্ণধার সন্তোষ কুমার রায়। ৪৬ বছর ধরে গানের সঙ্গে আছেন তিনি। জানালেন, পুরোনো কেউ তো আর নেই। তিনি আছেন ব্যবসাটা ধরে রাখার জন্য। প্রযুক্তির উন্নয়নে গানের মাধ্যম বদলে গেছে। তাই অডিও বাজারেরও পরিবর্তন ঘটে গেছে। তবে এখনো অনেকেই আছেন, যারা অ্যান্ট্রিক কিছু কিনতে আসেন। একেবারে আসল গান শুনতে ভালোবাসেন। তারা আদি রেকর্ড চান। অনলাইনে গান পাওয়া যায়। কিন্তু সব গান পাওয়া যায় না। অনেক সত্যিকারের সংগীতপ্রেমী আছেন, তাঁরা এখনো সেই পুরোনো রেকর্ড কিনতে এখানে আসেন।
উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, শুধু বয়স্করা না। এখনকার স্কুলপড়ুয়ারাও আসে গানের আসল ভার্সনটি কিনতে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, মিডফোর্ড হাসপাতালের অনেক শিক্ষার্থী আসল গান নিতে আসেন।
পাটুয়াটুলী, নবাবপুর এলাকাজুড়ে এক সময় ছিল বাংলাদেশের নামকরা সব অডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। সংগীতা, সাউন্ডটেক, অনুপম, চেনা সুর, সোনালী প্রডাক্টস, সারগামের এর নাম বলা যায়। এসব প্রতিষ্ঠানের কোনোটিই আর এখানে নেই। সংগীতা বেশ আগেই তাদের অফিস পাটুয়াটুলী থেকে বিজয়নগরে নিয়ে এসেছে। অডিও ক্যাসেটের বদলে এখন ইউটিউবে মিউজিক ভিডিও করে গান তৈরি হয়।
সংগীতার প্রধান নির্বাহী রবিন ইমরান বলেন, আগে আমাদের সারা দেশে ৬৪টি জেলায়ই শোরুম ছিল। অডিও ক্যাসেটের একটা সংস্কৃতি ছিল। তারপর দেখা গেছে মোবাইলে মেমোরি কার্ড চলে আসে। সব কোম্পানির গান একসঙ্গে শ্রোতাদের দেওয়া হয়। আলাদা করে ব্যবসাটা আর ধরে রাখা যায়নি।
বর্তমান সময়ের ব্যবসার ধরন নিয়ে জানান, এখন ইউটিউবে গানের সঙ্গে ভিডিও করে মিউজিক ভিডিওর মাধ্যমে আবার লিরিক্যাল ভিডিও দিয়ে গান প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞাপনের ওপর ভিত্তি করে অর্থ আসে।
অডিও ক্যাসেটের জগতের আরেক প্রতিষ্ঠান সিএমভির কর্ণধার শাহেদ আলী পাপ্পু বলেন, ‘আগে ক্যাসেটের বাজারে এক ধরনের উৎসব ব্যাপার ছিল। রাস্তায় রাস্তায় গান শোনা যেত। এখন রাস্তায় গান শোনা যায় না। গান শোনার ধরন পাল্টে গেছে। এখন অ্যাপসে গান শোনে। আমারও ব্যবসার ধরন ওভাবে পাল্টে নিয়েছি। তবে আগে যে রকম রমরমা ব্যবসা ছিল, সেটা এখন আর নেই।’
২০১৯ সালের গোড়ায় মডেল মসজিদের কাজ শুরু হয়। এখন ২০২৫ সালের মাঝামাঝি চলছে, প্রায় সাত বছর পার হলেও ৮০ শতাংশ কাজও শেষ হয়নি। অথচ তিন বছরের চুক্তিতে কাজ শুরু হয়েছিল।”
২৬ মিনিট আগেজমানো পানি পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, মশা ও মাছির জন্ম হয়ে পরিবেশ চরম আকারে দুষিত হচ্ছে। দ্রুত পৌর শহরের অর্ধলাখ মানুষকে রক্ষায় কালভার্ট ও ড্রেনেজ দখল করে স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। অভিযোগ রয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ পানি নিস্কাশনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেও কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছেন
২৯ মিনিট আগেসরেজমিনে কুর্নী ও বহনতলী এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তে বৃষ্টির পানি জমে আছে। এতে গর্তের গভীরতা ও অবস্থান বোঝা কঠিন হয়ে পড়েছে চালকদের জন্য। প্রতিনিয়ত যানবাহন এসব গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
৪০ মিনিট আগেউপজেলার বড়বিল-তুলাবিল-কালাপানি সড়কের পান্নাবিল এলাকায় একটি ব্রিজ সম্পূর্ণভাবে দেবে গেছে। এ ছাড়া একসত্যাপাড়া-বড়বিল, যোগ্যাছোলা-আছারতলী ও গচ্ছাবিল-চইক্যাবিল সড়কে চলমান কার্পেটিং প্রকল্পের ৪০-৫০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কংক্রিট-বালু দিয়ে প্রস্তুত সড়ক অংশ খরস্রোতে ভেসে গেছে।
৪৪ মিনিট আগে