প্রতিনিধি, শিবচর (মাদারীপুর)
করোনা সংক্রমণ কমতে শুরু করায় ধীরে ধীরে খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। গতকাল রোববার সারা দেশের স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত হয়ে ক্লাস করেছে। তবে বন্যার কারণে শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত হতে পারেনি মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার ১৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থী।
উপজেলার পদ্মানদী বেষ্টিত চরজানাজাত, মাদবরেরচর, বন্দরখোলাসহ চরাঞ্চলের বিদ্যালয়গুলো বন্যায় পানিবন্দী হয়ে পরেছে। এছাড়া আরও আটটি বিদ্যালয় বন্যার্তদের আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হলেও সেখানে পাঠদান হয়েছে। তবে সেখানে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। শিবচর উপজেলা সরকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরুর দিনটিকে ঘিরে বেশ কয়েক দিন আগেই শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নসহ সকল আয়োজন সম্পন্ন হয়। তবে উপজেলার পদ্মাবেষ্টিত চর এলাকাসহ চরাঞ্চলের ২৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিল। এ সকল বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৮টি বিদ্যালয় পুরোপুরি পানিতে প্লাবিত। বাকিগুলোর সড়কসহ আশপাশে পানি থাকায় পাঠদান অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে। তবে রোববার ২৬টি বিদ্যালয়ের মধ্যে আটটি বিদ্যালয়ে পাঠদান করা সম্ভব হয়েছে। অন্য সকল বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের উপস্থিতি থাকলেও বন্যার পানির কারণে শিক্ষার্থীরা উপস্থিত হতে পারেনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পদ্মার চর এলাকার বেশির ভাগ এলাকা বর্তমানে প্লাবিত রয়েছে। গত দুই দিন ধরে পানি কমতে থাকলেও পুরোপুরি ভাবে এখনো পানি নামেনি। পানিবন্দী স্কুলের কাছাকাছি বসবাসরত পরিবারের শিশুরা কেউ কেউ নৌকা যোগে স্কুলে গিয়েছেও। তবে বেশির ভাগ শিক্ষার্থীর পক্ষে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হওয়া সম্ভব হয়নি।
জানা গেছে, বন্দরখোলা ইউনিয়নের কাজিরসূরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রিয়াজ উদ্দিন মাদবরের কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আছিম বেপারীর কান্দি এসব বিদ্যালয়ের কোনটির শ্রেণিকক্ষে, কোনটির বিদ্যালয়ের মাঠে এবং কোনোটায় যাতায়াতের রাস্তায় পানি উঠে গেছে।
এদিকে দীর্ঘদিন পরে বিদ্যালয় খোলায় মাদারীপুর জেলার শিবচরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছিল স্বতঃস্ফূর্ততা ও উচ্ছ্বাস। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ক্লাস শুরুর প্রথম দিনে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ক্লাস নিয়েছে। শ্রেণিকক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দূরত্ব বজায় রেখে আসন বিন্যাস করা হয়। তাপমাত্রা পরিমাপ, হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ প্রথম দিনে সুশৃঙ্খল ভাবেই ক্লাস সম্পন্ন হয় বলে জানা গেছে। দীর্ঘ দিন পরে বিদ্যালয়ে আসা শিক্ষার্থীদের মানসিক ভাবে উজ্জীবিত করতে শ্রেণিকক্ষে 'মোটিভেশনাল' কার্যক্রম করা হয় বলে বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে।
সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহিদ হোসেন মোল্লা বলেন, '২৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান অনিশ্চিত থাকলেও এগুলোর মধ্যে আটটি প্রতিষ্ঠানে কষ্ট করে হলেও ক্লাস করানো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন। বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠদান সম্ভব হয়নি।'
শিবচরের উৎরাইল এমএল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আশরাফুল আলম বলেন, 'অনেক দিন পর শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে ফিরতে পেরে আনন্দিত ছিল। আমাদের শিক্ষকদের মধ্যেও ছিল উচ্ছ্বাস। আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে পাঠদান করে যাবো।'
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোফাজ্জেল হোসেন বলেন, 'উপজেলার ৬৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান হয়েছে। বিদ্যালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাতে শিক্ষার্থীদের প্রবেশ এবং পাঠদান চলে সেই বিষয়টি আমরা মনিটরিং করছি।'
প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, 'উপজেলার নদ-নদী বেষ্টিত বন্দোরখোলাসহ চরাঞ্চলের ১৮টি বিদ্যালয় এখনো বন্যার পানিতে নিমজ্জিত। শিক্ষক উপস্থিত হলেও সকল শিক্ষার্থীদের পক্ষে ওই বিদ্যালয়গুলোতে উপস্থিত হওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে পাঠদান ব্যাহত হয়েছে। এছাড়া আরও আটটি বিদ্যালয় যেগুলোতে বন্যার্ত অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন সেখানে আংশিক ক্লাস হয়েছে। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম ছিল।'
করোনা সংক্রমণ কমতে শুরু করায় ধীরে ধীরে খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। গতকাল রোববার সারা দেশের স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত হয়ে ক্লাস করেছে। তবে বন্যার কারণে শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত হতে পারেনি মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার ১৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থী।
উপজেলার পদ্মানদী বেষ্টিত চরজানাজাত, মাদবরেরচর, বন্দরখোলাসহ চরাঞ্চলের বিদ্যালয়গুলো বন্যায় পানিবন্দী হয়ে পরেছে। এছাড়া আরও আটটি বিদ্যালয় বন্যার্তদের আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হলেও সেখানে পাঠদান হয়েছে। তবে সেখানে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। শিবচর উপজেলা সরকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরুর দিনটিকে ঘিরে বেশ কয়েক দিন আগেই শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নসহ সকল আয়োজন সম্পন্ন হয়। তবে উপজেলার পদ্মাবেষ্টিত চর এলাকাসহ চরাঞ্চলের ২৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিল। এ সকল বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৮টি বিদ্যালয় পুরোপুরি পানিতে প্লাবিত। বাকিগুলোর সড়কসহ আশপাশে পানি থাকায় পাঠদান অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে। তবে রোববার ২৬টি বিদ্যালয়ের মধ্যে আটটি বিদ্যালয়ে পাঠদান করা সম্ভব হয়েছে। অন্য সকল বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের উপস্থিতি থাকলেও বন্যার পানির কারণে শিক্ষার্থীরা উপস্থিত হতে পারেনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পদ্মার চর এলাকার বেশির ভাগ এলাকা বর্তমানে প্লাবিত রয়েছে। গত দুই দিন ধরে পানি কমতে থাকলেও পুরোপুরি ভাবে এখনো পানি নামেনি। পানিবন্দী স্কুলের কাছাকাছি বসবাসরত পরিবারের শিশুরা কেউ কেউ নৌকা যোগে স্কুলে গিয়েছেও। তবে বেশির ভাগ শিক্ষার্থীর পক্ষে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হওয়া সম্ভব হয়নি।
জানা গেছে, বন্দরখোলা ইউনিয়নের কাজিরসূরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রিয়াজ উদ্দিন মাদবরের কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আছিম বেপারীর কান্দি এসব বিদ্যালয়ের কোনটির শ্রেণিকক্ষে, কোনটির বিদ্যালয়ের মাঠে এবং কোনোটায় যাতায়াতের রাস্তায় পানি উঠে গেছে।
এদিকে দীর্ঘদিন পরে বিদ্যালয় খোলায় মাদারীপুর জেলার শিবচরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছিল স্বতঃস্ফূর্ততা ও উচ্ছ্বাস। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ক্লাস শুরুর প্রথম দিনে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ক্লাস নিয়েছে। শ্রেণিকক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দূরত্ব বজায় রেখে আসন বিন্যাস করা হয়। তাপমাত্রা পরিমাপ, হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ প্রথম দিনে সুশৃঙ্খল ভাবেই ক্লাস সম্পন্ন হয় বলে জানা গেছে। দীর্ঘ দিন পরে বিদ্যালয়ে আসা শিক্ষার্থীদের মানসিক ভাবে উজ্জীবিত করতে শ্রেণিকক্ষে 'মোটিভেশনাল' কার্যক্রম করা হয় বলে বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে।
সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহিদ হোসেন মোল্লা বলেন, '২৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান অনিশ্চিত থাকলেও এগুলোর মধ্যে আটটি প্রতিষ্ঠানে কষ্ট করে হলেও ক্লাস করানো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন। বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠদান সম্ভব হয়নি।'
শিবচরের উৎরাইল এমএল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আশরাফুল আলম বলেন, 'অনেক দিন পর শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে ফিরতে পেরে আনন্দিত ছিল। আমাদের শিক্ষকদের মধ্যেও ছিল উচ্ছ্বাস। আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে পাঠদান করে যাবো।'
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোফাজ্জেল হোসেন বলেন, 'উপজেলার ৬৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান হয়েছে। বিদ্যালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাতে শিক্ষার্থীদের প্রবেশ এবং পাঠদান চলে সেই বিষয়টি আমরা মনিটরিং করছি।'
প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, 'উপজেলার নদ-নদী বেষ্টিত বন্দোরখোলাসহ চরাঞ্চলের ১৮টি বিদ্যালয় এখনো বন্যার পানিতে নিমজ্জিত। শিক্ষক উপস্থিত হলেও সকল শিক্ষার্থীদের পক্ষে ওই বিদ্যালয়গুলোতে উপস্থিত হওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে পাঠদান ব্যাহত হয়েছে। এছাড়া আরও আটটি বিদ্যালয় যেগুলোতে বন্যার্ত অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন সেখানে আংশিক ক্লাস হয়েছে। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম ছিল।'
চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনায় বিদেশি কোম্পানিকে যুক্ত করার উদ্যোগ, রাখাইনের সঙ্গে মানবিক করিডর চালু এবং স্টারলিংকের ইন্টারনেট সেবা চালুর মাধ্যমে বাংলাদেশকে ‘সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধচক্রে’ জড়ানোর ষড়যন্ত্র বন্ধের দাবিতে রোডমার্চ করেছে ‘সাম্রাজ্যবাদবিরোধী দেশপ্রেমিক জনগণ’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম।
৯ মিনিট আগেমানিকগঞ্জের ঘিওরে ব্যবসায়ী আলী আজম মানিককে দাড়ি ধরে হেনস্তাকারী নাসিম ভূঁইয়াকে কারাগারে নেওয়ার সময় ভিডিও ধারণ করায় সাংবাদিকদের ওপর ক্ষেপে গেলেন তিনি ও তাঁর অনুসারীরা। আজ শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে আদালতের হাজতখানা থেকে কারাগারে নেওয়ার পথে পুলিশ ভ্যানে তোলার সময় সাংবাদিকদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
২৬ মিনিট আগেচট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে উল্টো পথে আসা শ্যালো ইঞ্জিনচালিত তিন চাকার যানের (স্থানীয়ভাবে নছিমন হিসেবে পরিচিত) ধাক্কায় মিরসরাইয়ের উপজেলা সহকারী কমিশনারের (এসি ল্যান্ড) গাড়ি দুমড়েমুচড়ে গেছে। তবে এসি ল্যান্ড ও তাঁর গাড়িচালক সুস্থ আছেন।
১ ঘণ্টা আগেআহমেদ আযম খান বলেছেন, ‘ইতিমধ্যে অনেক নেতা তদবিরে ব্যস্ত হয়েছেন। থানা, ইউএনও অফিস, এসি ল্যান্ড অফিস ও ঢাকায় তাঁরা তদবিরে ব্যস্ত হয়ে গেছেন। আমি তাঁদের সাবধান করছি, হুঁশিয়ার করছি, যারা তদবির করতে চান, আমার কাছে আসবেন। তবে আপনাদের পদ-পদবি আমার কাছে জমা দিয়ে তদবির করতে আসবেন, দেখব কতটুকু পারেন।’
২ ঘণ্টা আগে