Ajker Patrika

সরকারি হাসপাতালের টয়লেটে রোগীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

শরীয়তপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ জুলাই ২০২৪, ১৭: ৪৭
সরকারি হাসপাতালের টয়লেটে রোগীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের টয়লেট থেকে নিখোঁজের ৩৬ ঘণ্টা পর বাবুল ব্যাপারী নামে এক রোগীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ রোববার তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হাবিবুর রহমান। 

হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট (গাইনি) ডা. হোসনে আরা রোজীকে তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত আবাসিক চিকিৎসক কর্মকর্তা (আরএমও) রোকসানা বিনতে আকবরকে সদস্যসচিব ও জুনিয়র কনসালট্যান্ট (সার্জারি) কাজী শাহ মো. আব্দুল্লাহকে সদস্য করা হয়েছে। 

তদন্ত কমিটিকে আজ রোববার থেকে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। নোটিশ পেয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির প্রধান ডা. হোসনে আরা রোজী।

এর আগে গতকাল শনিবার সকালে হাসপাতালের তৃতীয় তলার একটি টয়লেট থেকে বাবুল ব্যাপারীর (৪০) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। 

বাবুল বরিশাল জেলার মুলাদী উপজেলার পূর্ব তয়কা গ্রামের মৃত আলী ব্যাপারীর ছেলে। তিনি পেশায় নির্মাণশ্রমিক ছিলেন। ওই ঘটনায় পালং মডেল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। 

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার বেলা ২টার দিকে শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে বাবুল ব্যাপারী শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই দিন রাতে মা রোকেয়া বেগম ছেলে বাবুলের সঙ্গে হাসপাতালে ছিলেন। রাত ২টার দিকে ঘুম থেকে জেগে রোকেয়া বেগম ছেলে বাবুলকে হাসপাতালের বিছানায় ও আশপাশে খুঁজে পাচ্ছিলেন না। পরে বৃদ্ধ হাসপাতালের নার্সদের জানালে তাঁরা বিষয়টি গুরুত্ব দেননি। পরদিন সকালে রোকেয়া বেগম ছেলেকে কোথাও খুঁজে পাননি। 

আবারও বিষয়টি নার্সদের জানালে নার্সরা তাঁকে বাড়ি গিয়ে খোঁজ নেওয়ার পরামর্শ দেন। পরে রোকেয়া বেগম বাড়ি গিয়ে ছেলেকে না পেয়ে মেয়ে মমতাজ বেগম ও আরেক ছেলের বউ রুনা বেগমকে সঙ্গে নিয়ে ছেলেকে খুঁজতে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে আসেন। শুক্রবার সারা রাত হাসপাতাল ও আশপাশে খোঁজেন। 

গতকাল সকালে অন্য এক রোগীর স্বজন টয়লেটের ভেতর বাবুলের মরদেহ দেখতে পান। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানতে পেরে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে হাসপাতালের টয়লেটের ভেতর থেকে বাবুলের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ওই দিন ময়নাতদন্ত শেষে বেলা ১টার দিকে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। 

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেঝবাহ উদ্দীন আহম্মেদ বলেন, গতকাল সকালে সদর হাসপাতালের তৃতীয় তলার টয়লেট থেকে এক রোগীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন অনুযায়ী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত