অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক হলে তোফাজ্জল নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার মামলায় অধিকতর তদন্ত করবে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামান অধিকতর তদন্তের এ নির্দেশ দেন।
ঢাবি প্রশাসনের পক্ষে মামলার বাদীর নারাজি আবেদন মঞ্জুর করে আদালত এ নির্দেশ দেন। ঢাকার আদালতের শাহবাগ থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা জিন্নাত আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আদালত আদেশে বলেছেন, সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তা এই তদন্ত করবেন।
গত ২ ফেব্রুয়ারি মামলার বাদী বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের সুপারভাইজার মোহাম্মদ আমানুল্লাহ এই মামলায় দাখিল করা অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে আজ আদেশের জন্য তারিখ ধার্য করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে অ্যাডভোকেট সেলিম জাবেদ নারাজি আবেদনে বলেন, মামলার তদন্ত সুষ্ঠু হয়নি। এই মামলায় ৬ জন আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাঁদের জবানবন্দি অনুযায়ী, সুলতান আহমেদ রকিসহ আরও আটজন এই ঘটনায় সম্পৃক্ত ছিলেন। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা তাঁদের বাদ দিয়েছেন।
অবশ্য এই মামলার আরেক বাদী তোফাজ্জলের ফুপাতো বোন মোসা. আসমা আক্তার মামলার বিচার যেন এখনই শুরু হয়, আদালতের কাছে সেটিই চেয়েছিলেন।
গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে তোফাজ্জলকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার পরের দিন শাহবাগ থানায় মামলা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের সুপারভাইজার মোহাম্মদ আমানুল্লাহ।
গত বছর ৩০ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান। চার্জশিটে প্রতিষ্ঠানের ২১ শিক্ষার্থীকে অভিযুক্ত করা হয়।
চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন—ফজলুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক এবং পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. জালাল মিয়া, মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী সুমন মিয়া, পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের মো. মোত্তাকিন সাকিন, ভূগোল বিভাগের আল হোসেন সাজ্জাদ, ওই হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আহসান উল্লাহ, ওয়াজিবুল আলম, ফিরোজ কবির, আব্দুস সামাদ, শাকিব রায়হান, ইয়াসিন আলী, ইয়ামুজ্জামান ইয়াম, ফজলে রাব্বি, শাহরিয়ার কবির শোভন, মেহেদী হাসান ইমরান, রাতুল হাসান, সুলতান মিয়া, নাসির উদ্দিন, মোবাশ্বের বিল্লাহ, শিশির আহমেদ, মহসিন উদ্দিন ও আব্দুল্লাহহিল ক্বাফি। এর মধ্যে, প্রথম ছয়জন আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
মামলার এজাহারে মোহাম্মদ আমানুল্লাহ উল্লেখ করেছেন, ২০২৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ৮টার দিকে এক যুবক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের গেটে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছিলেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্র তাঁকে আটক করে প্রথমে ফজলুল হক মুসলিম হলের মূল ভবনের গেস্ট রুমে নিয়ে যান।
মোবাইল চুরির অভিযোগ করে তাঁরা ওই যুবককে চড়–থাপ্পড় ও কিল–ঘুষি মারেন। জিজ্ঞাসাবাদে ওই যুবক তাঁর নাম তোফাজ্জল বলে জানান। পরে তিনি মানসিক রোগী বুঝতে পেরে তাঁকে হলের ক্যানটিনে নিয়ে খাবার খাওয়ানো হয়। এরপর তাঁকে হলের দক্ষিণ ভবনের গেস্ট রুমে নিয়ে জানালার সঙ্গে হাত বেঁধে স্ট্যাম্প, হকিস্টিক ও লাঠি দিয়ে কিছু উচ্ছৃঙ্খল ছাত্র মারধর করে। এতে অচেতন হয়ে পড়েন তিনি। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার কয়েক দিন পর ২৫ সেপ্টেম্বর ফজলুল হক মুসলিম হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক শাহ মুহাম্মদ মাসুমসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন নিহতের ফুপাতো বোন মোসা. আসমা আক্তার।
আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের করা মামলার সঙ্গে এ মামলা একই সঙ্গে তদন্তের নির্দেশ দেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক হলে তোফাজ্জল নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার মামলায় অধিকতর তদন্ত করবে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামান অধিকতর তদন্তের এ নির্দেশ দেন।
ঢাবি প্রশাসনের পক্ষে মামলার বাদীর নারাজি আবেদন মঞ্জুর করে আদালত এ নির্দেশ দেন। ঢাকার আদালতের শাহবাগ থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা জিন্নাত আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আদালত আদেশে বলেছেন, সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তা এই তদন্ত করবেন।
গত ২ ফেব্রুয়ারি মামলার বাদী বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের সুপারভাইজার মোহাম্মদ আমানুল্লাহ এই মামলায় দাখিল করা অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে আজ আদেশের জন্য তারিখ ধার্য করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে অ্যাডভোকেট সেলিম জাবেদ নারাজি আবেদনে বলেন, মামলার তদন্ত সুষ্ঠু হয়নি। এই মামলায় ৬ জন আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাঁদের জবানবন্দি অনুযায়ী, সুলতান আহমেদ রকিসহ আরও আটজন এই ঘটনায় সম্পৃক্ত ছিলেন। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা তাঁদের বাদ দিয়েছেন।
অবশ্য এই মামলার আরেক বাদী তোফাজ্জলের ফুপাতো বোন মোসা. আসমা আক্তার মামলার বিচার যেন এখনই শুরু হয়, আদালতের কাছে সেটিই চেয়েছিলেন।
গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে তোফাজ্জলকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার পরের দিন শাহবাগ থানায় মামলা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের সুপারভাইজার মোহাম্মদ আমানুল্লাহ।
গত বছর ৩০ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান। চার্জশিটে প্রতিষ্ঠানের ২১ শিক্ষার্থীকে অভিযুক্ত করা হয়।
চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন—ফজলুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক এবং পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. জালাল মিয়া, মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী সুমন মিয়া, পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের মো. মোত্তাকিন সাকিন, ভূগোল বিভাগের আল হোসেন সাজ্জাদ, ওই হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আহসান উল্লাহ, ওয়াজিবুল আলম, ফিরোজ কবির, আব্দুস সামাদ, শাকিব রায়হান, ইয়াসিন আলী, ইয়ামুজ্জামান ইয়াম, ফজলে রাব্বি, শাহরিয়ার কবির শোভন, মেহেদী হাসান ইমরান, রাতুল হাসান, সুলতান মিয়া, নাসির উদ্দিন, মোবাশ্বের বিল্লাহ, শিশির আহমেদ, মহসিন উদ্দিন ও আব্দুল্লাহহিল ক্বাফি। এর মধ্যে, প্রথম ছয়জন আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
মামলার এজাহারে মোহাম্মদ আমানুল্লাহ উল্লেখ করেছেন, ২০২৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ৮টার দিকে এক যুবক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের গেটে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছিলেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্র তাঁকে আটক করে প্রথমে ফজলুল হক মুসলিম হলের মূল ভবনের গেস্ট রুমে নিয়ে যান।
মোবাইল চুরির অভিযোগ করে তাঁরা ওই যুবককে চড়–থাপ্পড় ও কিল–ঘুষি মারেন। জিজ্ঞাসাবাদে ওই যুবক তাঁর নাম তোফাজ্জল বলে জানান। পরে তিনি মানসিক রোগী বুঝতে পেরে তাঁকে হলের ক্যানটিনে নিয়ে খাবার খাওয়ানো হয়। এরপর তাঁকে হলের দক্ষিণ ভবনের গেস্ট রুমে নিয়ে জানালার সঙ্গে হাত বেঁধে স্ট্যাম্প, হকিস্টিক ও লাঠি দিয়ে কিছু উচ্ছৃঙ্খল ছাত্র মারধর করে। এতে অচেতন হয়ে পড়েন তিনি। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার কয়েক দিন পর ২৫ সেপ্টেম্বর ফজলুল হক মুসলিম হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক শাহ মুহাম্মদ মাসুমসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন নিহতের ফুপাতো বোন মোসা. আসমা আক্তার।
আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের করা মামলার সঙ্গে এ মামলা একই সঙ্গে তদন্তের নির্দেশ দেন।
ঢাকার সাভার উপজেলার আশুলিয়ার কাইচাবাড়িতে ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ডিইপিজেড) পেছনের প্রাচীর ঘেঁষে বেশ কিছু বহুতল ভবন। এগুলোর মধ্যে তিনতলা একটি ভবনের মালিক অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা এস এম বদরুল আলমের স্ত্রী মাসুমা খানম। ৬ শতাংশ জমির ওপর এই বাড়ি নির্মিত হয়েছে ২০১৪ সালে।
৩ ঘণ্টা আগেযশোরের চৌগাছায় প্রথমবারের মতো লাল আঙুর চাষ করে সফল হয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়াপ্রবাসী কামরুজ্জামান এপিল। উপজেলার সুখপুকুরিয়া ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের ওই প্রবাসী কৃষকের দুই বিঘা জমির আঙুরের বাগানে থোকায় থোকায় ঝুলছে লাল আঙুর।
৩ ঘণ্টা আগেস্মার্ট কার্ড জটিলতায় দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে পাঁচ মাস ধরে টিসিবির (ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ) পণ্য পায়নি উপজেলার ১৭ হাজার ৮২৫ সুবিধাভোগী পরিবার। দীর্ঘদিন ধরে পণ্য না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন ভুক্তভোগীরা।
৩ ঘণ্টা আগেদেশের সর্বদক্ষিণের উপকূলীয় জেলা বরগুনার দুটি গুরুত্বপূর্ণ শ্বাসমূলীয় বন টেংরাগিরি ও হরিণঘাটা। কিন্তু ঝড়, জলোচ্ছ্বাসসহ নানা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বন দুটি ক্রমেই অস্তিত্ব হারাতে বসেছে। সাগরের তীব্র ঢেউয়ে ভূমিক্ষয়ের কবলে ধীরে ধীরে সংরক্ষিত এ দুটি বনাঞ্চলের আয়তন কমে যাচ্ছে।
৪ ঘণ্টা আগে