Ajker Patrika

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অতি ঝুঁকিপূর্ণ ৪৪ ভবন: ঝুঁকিতে হাজারো শিক্ষার্থীর জীবন

  • ৭ দিনের মধ্যে ভবনগুলো সিলগালা বা ভেঙে ফেলার নির্দেশনা ছিল মাউশির
  • দেড় বছরেও নির্দেশনা বাস্তবায়ন করেনি সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
  • ভূম্পিকম্পের উচ্চ ঝুঁকি থাকায় বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা
  • বাস্তবায়ন না হওয়ার কারণ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: শিক্ষা মন্ত্রণালয়
রাহুল শর্মা, ঢাকা 
আপডেট : ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৩: ৩৭
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের জেলার সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৪৪টি ‘অতি ঝুঁকিপূর্ণ’ ভবন ৭ দিনের মধ্যে খালি করে সিলগালা কিংবা ভেঙে ফেলতে দেড় বছর আগে নির্দেশ দিয়েছিল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর। রাজউকের সুপারিশের ভিত্তিতে জারি করা নির্দেশনাটি এখনো শুধু কাগজেই রয়ে গেছে। এতে হাজারো শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীর জীবন ঝুঁকিতে পড়েছে—বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশ ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। গত দুই দিনে চারটি ভূমিকম্পে দেশে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অতি ঝুঁকিপূর্ণ তালিকার ৪৪টি ভবন দ্রুত অচল না করলে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

সংশ্লিষ্ট একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের কেউ কেউ বলছেন, মাউশি ভবন সিলগালা অথবা ভেঙে ফেলার নির্দেশনা দিলেও তা করলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালানো সম্ভব নয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালানোর বিকল্প কোনো উপায় নির্ধারণ না হওয়ায় নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। আবার কেউ কেউ বলছেন, এমন নির্দেশনার বিষয়টি তাঁরা এখনো জানেন না।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, নির্দেশনা বাস্তবায়ন না হওয়ার কারণ খতিয়ে দেখে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মাউশির এ-সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করা হয় ২০২৪ সালের ৩ এপ্রিল। এতে বলা হয়, রাজউকের তালিকায় থাকা বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ভবনগুলো মজবুত করতে হবে। ‘অধিক ঝুঁকিপূর্ণ’ ৪৪টি ভবন ৭ দিনের মধ্যে খালি করে সিলগালা করতে হবে অথবা ভেঙে ফেলতে হবে।

মাউশির সূত্র বলছে, ‘আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্প: রাজউক অংশ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় নিয়োজিত পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ঢাকা মহানগর উন্নয়ন প্রকল্প (ডিএমডিপি) এলাকার সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বিভিন্ন সংস্থার মালিকানাধীন ‘অধিক ঝুঁকিপূর্ণ’ ভবনগুলো ভেঙে ফেলার সুপারিশ করে। এর মধ্যে রাজউকের তালিকায় মাউশির আওতাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ‘অধিক ঝুঁকিপূর্ণ’ ভবন রয়েছে ৪৪টি।

মাউশির সাধারণ প্রশাসন শাখার এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, গত দেড় বছরে অসংখ্যবার চিঠি দেওয়া হলেও এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অতি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এসব ভবনেই চলছে পাঠদান, দাপ্তরিক কাজ।

নির্দেশনা বাস্তবায়নের বিষয়ে জানতে চাইলে গতকাল শনিবার মাউশির মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক বি এম আব্দুল হান্নান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি মহাপরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছি। বিষয়টি আমার জানা নেই। কেন নির্দেশনাটি বাস্তবায়ন হয়নি, এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে।’

রাজধানীতে গত শুক্রবার সকালে রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার এবং গতকাল সকালে এক দফা ও সন্ধ্যায় দুই দফা মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়। শুক্রবারের ভূমিকম্পে প্রাণ গেছে ১০ জনের। আহত হয়েছেন ৬ শতাধিক মানুষ। রাজধানীর বহু ভবনে ফাটল ধরেছে, অনেক ভবন হেলে পড়েছে।

মাউশির নির্দেশনার বিষয়ে গত দুই দিনে (শুক্র ও শনিবার) অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভবন থাকা ১৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক বা দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেছে আজকের পত্রিকা। অধিক ঝুঁকিপূর্ণের ওই তালিকায় রাজধানীর খিলগাঁও সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের একটি দোতলা ভবন রয়েছে। মাউশির নির্দেশনার বিষয়ে গতকাল দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মেহেরুন্নেসা বলেন, বিকল্প ব্যবস্থা না করে ভবন সিলগালা বা খালি করলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালানো সম্ভব হবে না বলে নির্দেশনাটি বাস্তবায়ন করা যায়নি।

একই রকম কথা জানান গোড়ানের আলী আহমেদ স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাসিমা পারভীন। তাঁর প্রতিষ্ঠানের একটি পাঁচতলা ভবন ঝুঁকিপূর্ণের তালিকায় রয়েছে। তিনি বলেন, নতুন ভবন বা শ্রেণিকক্ষের ব্যবস্থা না করে এমন নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা কঠিন। ব্যবস্থাপনা কমিটির সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

মিরপুরের সরকারি বাঙলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. কামরুল হাসান বলেন, কিছুদিন হলো তিনি দায়িত্ব নিয়েছেন। কলেজের কোন ভবন ঝুঁকিপূর্ণ, তা তাঁর জানা নেই।

নারায়ণগঞ্জের দেলপাড়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ ফজলুল কবীর জানালেন, ‘অফিশিয়ালি কোনো নির্দেশনা আসেনি। আপনার কাছ থেকেই এমন নির্দেশনার কথা শুনলাম।’

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অতি ঝুঁকিপূর্ণ ৪৪টি ভবনে কয়েক হাজার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারী দিনের বেশ কয়েক ঘণ্টা থাকছেন। মাউশির নির্দেশনা বাস্তবায়ন না হওয়ায় তাঁরা ঝুঁকিতে রয়েছেন।

নগর পরিকল্পনাবিদ ইকবাল হাবিব বলেন, ‘দেড় বছর আগের নির্দেশনাটি এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। এর চেয়ে দুঃখজনক আর কী হতে পারে? জবাবদিহি না থাকার কারণে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। একটা ঘটনা ঘটার পর আমরা তৎপর হই। কিছুদিন পরই সে তৎপরতা থেমে যায়।’ তিনি বলেন, ‘ছোট ছোট শিক্ষার্থীকে আমরা ঝুঁকির মধ্যে রাখতে পারি না। কারা এ নির্দেশনাটি বাস্তবায়ন করেননি, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।’

ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের (অব.) অধ্যাপক হুমায়ুন আখতার বলেন, ‘বাংলাদেশ ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। তাই আমি মনে করি, দ্রুত ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। কারণ সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে যেকোনো মুহূর্তে বড় বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে।’

‘অধিক ঝুঁকিপূর্ণ’ ভবন রয়েছে এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে রাজধানীর বাড্ডার আলাতুন্নেছা উচ্চমাধ্যমিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, সায়েদাবাদের করাতিটোলা সিএমএস উচ্চবিদ্যালয়, যাত্রাবাড়ীর শহীদ জিয়া বালিকা স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ডেমরার হায়দার আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মিরপুর ১৩ নম্বরের হাজী আলী হোসেন উচ্চবিদ্যালয়, দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, কদমতলীর এ কে উচ্চবিদ্যালয় ও ব্রাইট কলেজ, কদমতলীর কে এম মাইনুদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়, আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় (মিঠাব), তেজগাঁও মডেল উচ্চবিদ্যালয়, বাড্ডার এ কে এম রহমতুল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, আজিমপুরের অগ্রণী স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কোতোয়ালির আহমেদ বাওয়ানী একাডেমি, পল্টনের আরামবাগ উচ্চবিদ্যালয়, লালবাগের আনন্দময়ী বালিকা বিদ্যালয়, সাভারের ভাকুর্তা সরকারি উচ্চবিদ্যালয় ও শ্যামনগর স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কেরানীগঞ্জ বালিকা স্কুল অ্যান্ড কলেজ, নারায়ণগঞ্জের সরকারি কদম রসুল কলেজ, নারায়ণগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ, গাজীপুরের সরকারি কালিগঞ্জ শ্রমিক কলেজ ও কালিগঞ্জ আর আর এন পাবলিক উচ্চবিদ্যালয়।

নির্দেশনার দেড় বছর পরও অতি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো সিলগালা না করা অথবা ভেঙে না ফেলার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) বেগম বদরুন নাহার। গতকাল তিনি বলেন, কেন দেড় বছর আগের নির্দেশনা এখনো বাস্তবায়ন করা হয়নি, তা খতিয়ে দেখা হবে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে অপরাধ: ১৪ ভাগ করে মিরপুর নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

উত্তরায় জুলাই রেভেলসের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখম

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে: তিন দলের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিরাজদিখানে প্রবাসীর বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ, অস্ত্রের মুখে ৫০ লাখ টাকার মালপত্র লুট

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
মুখোশ পরা অস্ত্রধারী ডাকাত দল। ছবি: সিসিটিভির ফুটেজ থেকে নেওয়া
মুখোশ পরা অস্ত্রধারী ডাকাত দল। ছবি: সিসিটিভির ফুটেজ থেকে নেওয়া

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ও আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাসহ প্রায় ৫০ লাখ টাকার মালপত্র লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার দিবাগত রাত ২টা থেকে ৩টার মধ্যে উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের চান্দেরচর গ্রামের কুয়েতপ্রবাসী মো. আল-আমিনের ডুপ্লেক্স বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। নৌপথে ট্রলারযোগে এসে ১২-১৫ জন মুখোশ পরা ডাকাত এই ডাকাতি করে।

ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, কুয়েত থেকে দেশে ফেরার মাত্র পাঁচ দিনের মাথায় ডাকাতির কবলে পড়েন মো. আল-আমিন। ডাকাতেরা ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করে এবং একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পরিবারের সদস্যদের আতঙ্কিত করে তোলে। এ সময় তারা আনুমানিক ২৬ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ প্রায় ৫ লাখ টাকা, কুয়েতি মুদ্রা প্রায় ১০০ দিনার এবং দুটি মোবাইল ফোন লুট করে নেয়। লুট হওয়া মালপত্রের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা।

আল-আমিনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ডাকাতদের হাতে দা, চায়নিজ কুড়াল ও আগ্নেয়াস্ত্র (শটগান) ছিল। ডাকাতি শেষে ডাকাত দলটি পুনরায় নৌপথে ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়।

এই ঘটনায় বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করা হয়েছে। ফুটেজে ১০-১৫ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দলকে বাড়িতে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।

তছনছ করে রাখা আসবাবপত্র। ছবি: আজকের পত্রিকা
তছনছ করে রাখা আসবাবপত্র। ছবি: আজকের পত্রিকা

সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আ. হান্নান বলেন, ‘ডাকাতির খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও অন্য কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থলে রয়েছেন। এই ঘটনায় আমরা তদন্ত শুরু করেছি। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে ডাকাতদের শনাক্ত করতে পারব। তবে এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ বা মামলা হয়নি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে অপরাধ: ১৪ ভাগ করে মিরপুর নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

উত্তরায় জুলাই রেভেলসের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখম

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে: তিন দলের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গাংনীতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২

গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি
দুর্ঘটনাকবলিত মোটরসাইকেল। ছবি: আজকের পত্রিকা
দুর্ঘটনাকবলিত মোটরসাইকেল। ছবি: আজকের পত্রিকা

মেহেরপুরের গাংনীতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে রাকেশ আহমেদ নামের একজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুজন।

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বামন্দী বাসস্ট্যান্ডে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রাকেশ আহমেদ উপজেলার তেরাইল গ্রামের মো. কামরুল ইসলামের ছেলে। সে স্থানীয় বামন্দী নিশিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

আহত ব্যক্তিরা হলো মেহেরপুর মল্লিকপাড়ার আব্দুল বাকির ছেলে অভিক আহমেদ (২৮) ও বামন্দী মিনকুল ইসলামের ছেলে শয়ন আলী (১৬)।

প্রত্যক্ষদর্শী হাসেম আলী বলেন, দুটি মোটরসাইকেল বামন্দী বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছালে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর কর হয়। একজন স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।

বামন্দী সেন্ট্রাল হাসপাতালের চিকিৎসক মাহফুজুর রহমান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হওয়া রাকেশ আহমেদ নামের একজন মারা গেছে। হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। আহত একজনকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। আরেকজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উত্তম কুমার দাস বলেন, দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে অপরাধ: ১৪ ভাগ করে মিরপুর নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

উত্তরায় জুলাই রেভেলসের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখম

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে: তিন দলের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাংলাবান্ধা আইসিপিতে বিজিবির বাড়তি নজরদারি

পঞ্চগড় প্রতিনিধি 
পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল ও তল্লাশি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল ও তল্লাশি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসন থেকে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, সে জন্য পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল ও তল্লাশি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

বিজিবি সূত্র জানায়, সীমান্ত এলাকায় নিজস্ব গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ব্যাটালিয়ন সদর ও বিওপির নিয়মিত টহলের পাশাপাশি বিশেষ টহল দল মোতায়েন করে সীমান্তবর্তী গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে তল্লাশি কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। বিশেষ টহলের অংশ হিসেবে সীমান্ত এলাকায় চলাচলকারী যানবাহন ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে।

এ ছাড়া ব্যাটালিয়নের অধীন বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে (আইসিপি) নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে। আইসিপি দিয়ে যাতায়াতকারী যানবাহন ও যাত্রীদের নিবিড়ভাবে তল্লাশি করা হচ্ছে। পাশাপাশি কে-৯ ইউনিটের (ডগ স্কোয়াড) মাধ্যমে বিশেষ তল্লাশি কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল ও তল্লাশি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল ও তল্লাশি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ কায়েস বলেন, ‘আমাদের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা দিয়ে কোনো সন্দেহভাজন ব্যক্তি যাতে পার্শ্ববর্তী দেশে পালাতে না পারে, সে বিষয়ে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি সীমান্ত নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে অপরাধ: ১৪ ভাগ করে মিরপুর নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

উত্তরায় জুলাই রেভেলসের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখম

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে: তিন দলের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভূঞাপুরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, পাঁচজনকে জরিমানা

ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি 
ভূঞাপুরের যমুনা নদীতে অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব হাসান। ছবি: আজকের পত্রিকা
ভূঞাপুরের যমুনা নদীতে অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব হাসান। ছবি: আজকের পত্রিকা

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় পাঁচজনকে জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার যমুনা নদীতে এই অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব হাসান।

বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী দায়ের করা পাঁচটি পৃথক মামলায় অভিযুক্ত পাঁচজনকে ৫০ হাজার টাকা করে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন সিরাজগঞ্জের অছির আলীর ছেলে ইজতেহার (৫০), নড়াইলের দাউদ মোল্লার ছেলে নুর মোহাম্মদ (৩৬), বরগুনার নাসির খানের ছেলে হাসান (২৪), ভূঞাপুরের মোকতেল হোসেনের ছেলে করিম (৩৫) ও সানু মিয়ার ছেলে জহুরুল (৩০)।

এ সময় ভূঞাপুর থানা-পুলিশ, নৌ পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুব হাসান বলেন, যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে পাঁচজনকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন রোধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে অপরাধ: ১৪ ভাগ করে মিরপুর নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

উত্তরায় জুলাই রেভেলসের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখম

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে: তিন দলের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত