ঢাবি সংবাদদাতা
হিন্দুধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন হিন্দুধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা। এ সময় হুমকি-ধমকি দেওয়ার অভিযোগে আরেক শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিলের দাবি করেন বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা।
আজ বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ সমাবেশ করেন তাঁরা।
এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দুধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের ব্যানারে রাজধানীর নানা স্থান থেকে আগত হিন্দুধর্মাবলম্বীরা অংশগ্রহণ করেন।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা ধর্মীয় অবমাননার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অভিযুক্ত সায়েম আহমেদ এবং জাকি চৌধুরীকে বহিষ্কারের পাশাপাশি শাস্তি নিশ্চিতের দাবি করেন তাঁরা। পাশাপাশি ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে ব্যাপারে প্রশাসনসহ সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান। এই সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সনাতনী (হিন্দু) ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবি জানান।
দাবিগুলো হলো অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারপূর্বক বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলাপরিপন্থী কাজের দায়ে আইনানুগ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা, সংশ্লিষ্ট বিভাগসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগে পাঠদানের ক্ষেত্রে শিক্ষকেরা যেন সাহিত্য বিশ্লেষণের অজুহাতে হিন্দুধর্মের অপব্যাখ্যা না করেন তাঁর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদসহ বিশ্ববিদ্যালয়সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে (সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে) দেশের জাতিগত, লৈঙ্গিক ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিয়ে বিদ্রূপ ও উসকানিমূলক বার্তা (পোস্ট বা কমেন্ট) ছড়ানোর বিরুদ্ধে যথোচিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
সমাবেশে জগন্নাথ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী রিপন চৌধুরী বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের এক শিক্ষার্থী আমাদের হিন্দুধর্মের মহাদেবকে নিয়ে কটূক্তি করেছেন। খুব বাজে ভাষায় নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি এটি করেছেন। এ ছাড়া আরেক শিক্ষার্থী ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ’ নামক ফেসবুক গ্রুপে সংখ্যালঘুদের জবাই করার হুমকি দিয়েছেন। এ ঘটনা হিন্দুধর্মাবলম্বী সবাইকে খুবই মর্মাহত করেছে।’
রিপন বলেন, ‘আজকের মধ্যে বাংলা বিভাগের ওই শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিল করতে হবে। পাশাপাশি তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে। পাশাপাশি হুমকিদাতার ছাত্রত্ব বাতিল করতে হবে।’
সংস্কৃত বিভাগের শিক্ষার্থী সৌরভ বালাই বলেন, ‘আমাদের এ দেশ কি স্বাধীন নয়! আমরা কী এ দেশের নাগরিক নই? দুদিন পরপর কেন আমাদেরকে বলিরপাঁঠা বানানো হয়? আমরা অনতিবিলম্বে তাঁর বহিষ্কার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।’
জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সজল রায় বলেন, ‘সনাতনীরা কোনো ভুল করলে তাদের ওপর মব চালানো হয়। কিন্তু এ জায়গায় আমরা সব সময় শান্তিপূর্ণ অবস্থান বজায় রেখেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। আমরা আশাবাদী, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে। বহিষ্কারের পাশাপাশি শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।’
এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে অভিযুক্ত বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ভিডিও বার্তায় ভুল শিকার করে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন। তিনি বলেন, ‘আমি অসাবধানতাবশত এ ভুল করে ফেলেছি। হিন্দুধর্মের প্রতি আমার অনেক শ্রদ্ধা আছে। আমার এ পোস্টের অর্থ যে এত গভীরভাবে হিন্দুধর্মাবলম্বীদের আঘাত করবে—তা আমি বুঝে উঠতে পারিনি।’
এদিকে বৃহস্পতিবার সায়েম আহমেদের কটূক্তির অভিযোগটি তদন্তে ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আজ সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ বিষয়টি জানানো হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. সান্টু বড়ুয়া, ড. মুহা. রফিকুল ইসলাম, জগন্নাথ হলের প্রভোস্ট দেবাশীষ পাল, প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির আহ্বায়ক ড. আবদুল্লাহ আল মামুন এবং আইসিটি সেলের অতিরিক্ত পরিচালক মোস্তাক আহমদকে নিয়ে এ কমিটি গঠন করা হয়।
আরও খবর পড়ুন:
হিন্দুধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন হিন্দুধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা। এ সময় হুমকি-ধমকি দেওয়ার অভিযোগে আরেক শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিলের দাবি করেন বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা।
আজ বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ সমাবেশ করেন তাঁরা।
এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দুধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের ব্যানারে রাজধানীর নানা স্থান থেকে আগত হিন্দুধর্মাবলম্বীরা অংশগ্রহণ করেন।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা ধর্মীয় অবমাননার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অভিযুক্ত সায়েম আহমেদ এবং জাকি চৌধুরীকে বহিষ্কারের পাশাপাশি শাস্তি নিশ্চিতের দাবি করেন তাঁরা। পাশাপাশি ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে ব্যাপারে প্রশাসনসহ সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান। এই সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সনাতনী (হিন্দু) ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবি জানান।
দাবিগুলো হলো অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারপূর্বক বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলাপরিপন্থী কাজের দায়ে আইনানুগ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা, সংশ্লিষ্ট বিভাগসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগে পাঠদানের ক্ষেত্রে শিক্ষকেরা যেন সাহিত্য বিশ্লেষণের অজুহাতে হিন্দুধর্মের অপব্যাখ্যা না করেন তাঁর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদসহ বিশ্ববিদ্যালয়সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে (সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে) দেশের জাতিগত, লৈঙ্গিক ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিয়ে বিদ্রূপ ও উসকানিমূলক বার্তা (পোস্ট বা কমেন্ট) ছড়ানোর বিরুদ্ধে যথোচিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
সমাবেশে জগন্নাথ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী রিপন চৌধুরী বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের এক শিক্ষার্থী আমাদের হিন্দুধর্মের মহাদেবকে নিয়ে কটূক্তি করেছেন। খুব বাজে ভাষায় নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি এটি করেছেন। এ ছাড়া আরেক শিক্ষার্থী ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ’ নামক ফেসবুক গ্রুপে সংখ্যালঘুদের জবাই করার হুমকি দিয়েছেন। এ ঘটনা হিন্দুধর্মাবলম্বী সবাইকে খুবই মর্মাহত করেছে।’
রিপন বলেন, ‘আজকের মধ্যে বাংলা বিভাগের ওই শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিল করতে হবে। পাশাপাশি তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে। পাশাপাশি হুমকিদাতার ছাত্রত্ব বাতিল করতে হবে।’
সংস্কৃত বিভাগের শিক্ষার্থী সৌরভ বালাই বলেন, ‘আমাদের এ দেশ কি স্বাধীন নয়! আমরা কী এ দেশের নাগরিক নই? দুদিন পরপর কেন আমাদেরকে বলিরপাঁঠা বানানো হয়? আমরা অনতিবিলম্বে তাঁর বহিষ্কার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।’
জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সজল রায় বলেন, ‘সনাতনীরা কোনো ভুল করলে তাদের ওপর মব চালানো হয়। কিন্তু এ জায়গায় আমরা সব সময় শান্তিপূর্ণ অবস্থান বজায় রেখেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। আমরা আশাবাদী, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে। বহিষ্কারের পাশাপাশি শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।’
এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে অভিযুক্ত বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ভিডিও বার্তায় ভুল শিকার করে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন। তিনি বলেন, ‘আমি অসাবধানতাবশত এ ভুল করে ফেলেছি। হিন্দুধর্মের প্রতি আমার অনেক শ্রদ্ধা আছে। আমার এ পোস্টের অর্থ যে এত গভীরভাবে হিন্দুধর্মাবলম্বীদের আঘাত করবে—তা আমি বুঝে উঠতে পারিনি।’
এদিকে বৃহস্পতিবার সায়েম আহমেদের কটূক্তির অভিযোগটি তদন্তে ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আজ সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ বিষয়টি জানানো হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. সান্টু বড়ুয়া, ড. মুহা. রফিকুল ইসলাম, জগন্নাথ হলের প্রভোস্ট দেবাশীষ পাল, প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির আহ্বায়ক ড. আবদুল্লাহ আল মামুন এবং আইসিটি সেলের অতিরিক্ত পরিচালক মোস্তাক আহমদকে নিয়ে এ কমিটি গঠন করা হয়।
আরও খবর পড়ুন:
২০১৯ সালের গোড়ায় মডেল মসজিদের কাজ শুরু হয়। এখন ২০২৫ সালের মাঝামাঝি চলছে, প্রায় সাত বছর পার হলেও ৮০ শতাংশ কাজও শেষ হয়নি। অথচ তিন বছরের চুক্তিতে কাজ শুরু হয়েছিল।”
২১ মিনিট আগেজমানো পানি পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, মশা ও মাছির জন্ম হয়ে পরিবেশ চরম আকারে দুষিত হচ্ছে। দ্রুত পৌর শহরের অর্ধলাখ মানুষকে রক্ষায় কালভার্ট ও ড্রেনেজ দখল করে স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। অভিযোগ রয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ পানি নিস্কাশনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেও কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছেন
২৪ মিনিট আগেসরেজমিনে কুর্নী ও বহনতলী এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তে বৃষ্টির পানি জমে আছে। এতে গর্তের গভীরতা ও অবস্থান বোঝা কঠিন হয়ে পড়েছে চালকদের জন্য। প্রতিনিয়ত যানবাহন এসব গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
৩৫ মিনিট আগেউপজেলার বড়বিল-তুলাবিল-কালাপানি সড়কের পান্নাবিল এলাকায় একটি ব্রিজ সম্পূর্ণভাবে দেবে গেছে। এ ছাড়া একসত্যাপাড়া-বড়বিল, যোগ্যাছোলা-আছারতলী ও গচ্ছাবিল-চইক্যাবিল সড়কে চলমান কার্পেটিং প্রকল্পের ৪০-৫০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কংক্রিট-বালু দিয়ে প্রস্তুত সড়ক অংশ খরস্রোতে ভেসে গেছে।
৩৯ মিনিট আগে