Ajker Patrika

মুগদার পিয়াস খুনের নেপথ্যে ‘চোরাই মোবাইল ফোন নিয়ে দ্বন্দ্ব’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১১ মার্চ ২০২৪, ১৪: ৪৯
মুগদার পিয়াস খুনের নেপথ্যে ‘চোরাই মোবাইল ফোন নিয়ে দ্বন্দ্ব’

গত ৭ মার্চ ছুরিকাঘাতে খুন হন কবি নজরুল কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী পিয়াস ইকবাল। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। র‍্যাব জানিয়েছে, বাকিতে নেওয়া একটি চোরাই মোবাইলের টাকা পরিশোধকে কেন্দ্র করে পিয়াসকে খুন করা হয়। 

আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‍্যাবের মুখপাত্র খন্দকার আল মঈন। 
 
গ্রেপ্তারেরা হলেন—মো. খালিদ হাসান, মো. আরিফ হোসেন ও মো. মেহেদী হাসান মিরাজ। রাজধানীর মুগদা ও মানিকগঞ্জের হরিরামপুর এলাকায় গতকাল রোববার অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা রক্তমাখা ছুরিটিও জব্দ করা হয়েছে। 

গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে দিয়ে খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘এই ঘটনায় পিয়াসের বাবার দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি আমির উদ্দিন আহমেদ অনিক চোরাই মোবাইল ফোন কেনাবেচার ব্যবসা করত। গত ফেব্রুয়ারিতে অনিকের কাছ থেকে নিহত ভিকটিম পিয়াসের বন্ধু মাহির বাকিতে একটি চোরাই মোবাইল ফোন কিনে নেয়।

মোবাইলের টাকা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধ না করায় মাহিরের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে অনিক। বিভিন্ন সময় হত্যার হুমকিও দিতে থাকে। পরবর্তীতে ঘটনার দিন সন্ধ্যায় অনিক, খালিদ, আরিফ, মিরাজ ও আরও কয়েকজন মিলে টাকা আদায়ের জন্য মাহিরের বাসায় যায়। তারা মাহিরকে বাসায় না পেয়ে মাহিরের মায়ের কাছে পাওনা টাকা দাবি করে এবং অশোভনীয় আচরণ করে। তখন মাহিরের মা একদিন পর টাকা পরিশোধের আশ্বাস দিলে তারা চলে যায়।’ 

পরবর্তীতে মাহির বাড়িতে এসে তাঁর মায়ের কাছে ঘটনা জানতে পারে। বিষয়টি সমাধানের জন্য মাহির তাঁর বন্ধু পিয়াস ও শামীমকে জানায়। এরপর এই দুজন বিষয়টি মীমাংসার জন্য দুই পক্ষকেই ডাকে। সেখানে উভয় পক্ষই বাগ্বিতণ্ডায় জড়ায় উল্লেখ করে এই র‍্যাব কর্মকর্তা বলেন, ‘একপর্যায়ে পিয়াস ও শামীমকে তুই তোকারি সম্বোধন করে অনিক। এতে পিয়াস বয়সে বড় হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। এই বিষয়টা বিহিত করতে রাত ১০টায় অনিককে ফোন করে একই স্থানে আসতে বলে।

সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাবের মুখপাত্র খন্দকার আল মঈন। ছবি: আজকের পত্রিকাঅনিক সেখানে পৌঁছালে পিয়াস এবং শামীম এমন আচরণের ব্যাখ্যা চায়। আগে থেকেই এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, গ্রুপিং এবং ছোট-বড় দ্বন্দ্ব থাকায় তাদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এ সময় তাদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে খালিদ, আরিফ, মিরাজ, অর্ণব বেসবল খেলার স্টিক এবং ধারালো ছুরি দিয়ে পিয়াসের পিঠের ডান পাশে এবং শামীমের ডান কাঁধে আঘাত করলে তারা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। আহতদের চিৎকারে এলাকার লোকজন এসে জড়ো হলে হত্যাকারীরা পালিয়ে যায়। তারপর পিয়াস ও শামীমকে মুগদা হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক পিয়াসকে মৃত ঘোষণা করে। 

গ্রেপ্তার খালিদ স্থানীয় একটি স্কুল থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করে। সে উত্তর মুগদা এলাকায় ‘গ্যাং স্টার রাব্বী’ গ্রুপের সদস্য হিসেবে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, অলি-গলিতে মাদক ব্যবসা, মাদক সেবনসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল। সে রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় মাদক সংক্রান্ত মামলায় ১৫ দিন কারাভোগ করেছে। মিরাজ স্থানীয় একটি স্কুলে দশম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করে। সে মামলার আসামি রাব্বীর অন্যতম সহযোগী এবং ‘গ্যাং স্টার রাব্বী’ গ্রুপের সদস্য হিসেবে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল। আরিফ এইচএসসি পাস করে স্থানীয় এলাকায় একটি ইন্টারনেট অফিসে কাজ করত। সে উক্ত মামলার আসামি অনিকের অন্যতম সহযোগী হিসেবে কাজ করত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইরানের ‘দানবীয় ক্ষেপণাস্ত্রের’ সামনে উন্মুক্ত ইসরায়েলের ‘অ্যাকিলিস হিল’

ভারতীয় বিমানবন্দরে ১১ দিন ধরে পড়ে আছে ব্রিটিশ এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান, ঘনাচ্ছে রহস্য

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ফল আজ, যেভাবে দেখবেন

মামদানি শতভাগ কমিউনিস্ট উন্মাদ, দেখতেও খারাপ: ট্রাম্প

খামেনি কোথায়, কেমন আছেন—উৎকণ্ঠিত ইরানিদের প্রশ্নের বন্যা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত