Ajker Patrika

ঢাকা নগর পরিবহনেও চালু হচ্ছে র‍্যাপিড পাস

সৌগত বসু, ঢাকা
ঢাকা নগর পরিবহনেও চালু হচ্ছে র‍্যাপিড পাস

মেট্রোরেল ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) শাটল বাসের পরে আগামী বছরের মার্চ মাস থেকে ঢাকা নগর পরিবহনেও চালু হবে র‍্যাপিড পাস। এর ফলে এই পাসের মাধ্যমে যাত্রীরা নির্বিঘ্নে ম্যাস র‍্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি), বাস র‍্যাপিড ট্রানজিটে (বিআরটিসি) একটি কার্ডেই সব বিল পরিশোধ করতে পারবেন। 

আজ রোববার বাস রুট রেশনালাইজেশন প্রকল্প পরিচালক ধ্রুব আলম আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘আশা করি আগামী বছরের মার্চে এই সুবিধা চালু হবে। সেইভাবেই চেষ্টা করা হচ্ছে।’ 

ধ্রুব আলম বলেন, গত ১ নভেম্বর থেকে ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে এ পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার টিকিট বিক্রি করা হয়েছে। র‍্যাপিড পাসের চাহিদা অনেক। 

এর আগেও গত ২৫ অক্টোবর থেকে উত্তরা (হাউস বিল্ডিং)-দিয়াবাড়ি এমআরটি স্টেশন পর্যন্ত বিআরটিসি কর্তৃক পরিচালিত মেট্রোরেল শাটল বাস সার্ভিসের জন্য টিকিট কাউন্টার স্থাপন করা হয়। তখন র‍্যাপিড পাস বিক্রির ক্ষেত্রে যাত্রীদের থেকে দারুণ সাড়া পায় ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)। বর্তমানে মিরপুর ১০ (১১ থেকে ১৫ নভেম্বর), আগারগাঁও (১৬ থেকে ২০ নভেম্বর), মতিঝিল ও দিয়াবাড়ি, ফার্মগেট (২১ থেকে ২৫ নভেম্বর), শাহবাগ (২৬ থেকে ৩০ নভেম্বর) থেকে র‍্যাপিড পাস বিক্রি হচ্ছে। 

ডিটিসিএ সূত্র বলছে, সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী ঢাকার বাসিন্দারা ইউটিলিটি বিল, সড়ক ও সেতুর টোল, সুপারশপে কেনাকাটা, শিক্ষার্থীদের বেতন পরিশোধে ওয়ান স্টপ পেমেন্ট ব্যবস্থার দিকে এক ধাপ এগিয়ে যাবে। 

র‍্যাপিড পাস ব্যবহারে বর্তমানে মেট্রোরেলের প্রতি যাত্রায় ১০ শতাংশ ছাড় পাওয়া যাচ্ছে। কার্ডের মূল্য ৪০০ টাকা, এর মধ্যে ২০০ টাকা জামানত, ২০০ টাকা ব্যালেন্স। কার্ডের মেয়াদ আজীবন। 

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বর্তমানে নির্বাচিত ডাচ বাংলা ব্যাংকের শাখা থেকে কার্ড ইস্যু বা রিচার্জ করা যাবে। সকল মেট্রোরেল স্টেশনের টিকিট অফিস থেকে রিচার্জ করা যাবে। গত ১ নভেম্বর হতে আগামী ৩০ নভেম্বর (১ মাসব্যাপী) পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন ব্যস্ততম স্থান, বাস স্টপ ও মেট্রোরেল স্টেশনে ‘র‍্যাপিড পাস’ বিক্রয় করা হচ্ছে। অনলাইনে www. rapidpass. com. bd ওয়েবসাইট হতে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। 

সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় বলছে, এই স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা পরিবহনের ভাড়া আদায় নিশ্চিত করবে। একই সঙ্গে, যাত্রা শুরু ও গন্তব্যের (অরিজিনেশন-ডেস্টিনেশন বা ওডি) ডেটা তৈরি করবে, যা ব্যবহার করে বাস্তবসম্মত কৌশলগত নগর পরিবহন পরিকল্পনা করা সম্ভব হবে। 

নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও পরিবহন বিশেষজ্ঞ আশিস কুমার দে বলেন, গণপরিবহনের নিয়মিত যাত্রীরা টিকিট কেনা ব্যাপারে যে সমস্ত প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতেন র‍্যাপিড পাস চালুর মাধ্যমে সেই ঝামেলা থেকে মুক্ত হবেন। একই সঙ্গে যাত্রীদের সময়ও বেঁচে যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পাকিস্তানে কীভাবে হামলা চালাতে পারে ভারত, ইতিহাস যা বলছে

জনবল-সরঞ্জাম বেশি হলেও সমরশক্তিতে ভারত কি পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে

ইতিহাস গড়ে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদে আইএসআইপ্রধান

ভারত-পাকিস্তানে যুদ্ধের প্রস্তুতি

ভারতের সঙ্গে সংঘাতে পাকিস্তানের ভাগ্যনিয়ন্তা সেনাপ্রধান জেনারেল মুনির

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত