Ajker Patrika

সাবেক টিভি উপস্থাপিকা সাফিনার মৃত্যু নিয়ে রহস্য এখনো কাটেনি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১০ জুন ২০২৫, ২১: ৫৬
সাফিনা আহমেদ তরী। ছবি: সংগৃহীত
সাফিনা আহমেদ তরী। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক সংবাদ উপস্থাপিকা সাফিনা আহমেদ তরীর (৩২) মৃত্যু নিয়ে রহস্য কাটেনি। গত রোববার দুপুরে রাজধানীর নিউ ইস্কাটন এলাকার বাসা থেকে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে অচেতন অবস্থায় মুগদা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে আজ মঙ্গলবার সকালে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়। এ ঘটনায় ডিএমপির হাতিরঝিল থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাফিনা আহমেদ তরীর মৃত্যুর খবর জানিয়ে তাঁর সহকর্মীরা পোস্ট দিলেও সেখানে মৃত্যুর কারণ লেখা ছিল না। এদিকে তাঁর মৃত্যু অস্বাভাবিকভাবে হয়েছে জানিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। তবে পরিবার বলছে, তাঁর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।

সাফিনা আহমেদ তরীর মৃত্যুর বিষয়ে আজ বিকেলে সাফিনার ছোট বোন সুচিতা আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘুমের মধ্যে স্ট্রোক করেছে। তার আগের রাতে সে খাওয়াদাওয়া করেনি। গত রোববার দুপুরে মা ঘরে ঢুকেছে। গিয়ে দেখে সে আর নেই। তাঁর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।’

সুচিতা আহমেদ বলেন, তাঁকে মুগদা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানের চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে ঢামেক হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে আজ সকালে রায়েরবাজারে তাঁকে দাফন করা হয়েছে।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, সাফিনা বোন ও মায়ের সঙ্গে ইস্কাটনে থাকতেন। দুই বোনের মধ্যে তিনি বড়। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী। তিনি চ্যানেল ২৪ ও আরটিভিতে সংবাদ উপস্থাপক ছিলেন। পরে মিডিয়া ছেড়ে ব্র্যাক ব্যাংকে যোগ দেন তিনি।

হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাজু জানান, মরদেহ সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেকে পাঠানো হয়েছে।

সুরতহাল প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তিনি চার বছর ধরে মদ্যপান করতেন। গত শনিবার সন্ধ্যায় তাঁর মায়ের সঙ্গে কথা বলে তাঁর রুমে প্রবেশ করেন। পরে রোবাবর দুপুরে তাঁর মা রুমে গিয়ে অচেতন অবস্থায় খাটের ওপরে পড়ে থাকতে দেখেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যায়, অ্যালকোহল পানের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। প্রকৃত কারণ জানতে ময়নাতদন্ত করা প্রয়োজন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মাথা, কপাল ও কান স্বাভাবিক। নাকে লালচে রঙের ফেনা আছে। দুই হাতের বাহু ও দুই হাতের তালুতে কালচে ভাব আছে। বুক-পিঠ স্বাভাবিক। পেটের ডান পাশে নাভির ডান দিকে নিচের অংশে প্রায় ১ ইঞ্চি পরিমাণ কালচে রঙের দাগ আছে। দুই পায়ের টাখনুর নিচে কালচে দাগ আছে। অন্যান্য অঙ্গ স্বাভাবিক।

স্বাভাবিক নাকি অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে, জানতে চাইলে ওসি বলেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত