নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
অভিজিৎ হত্যা রায়ের পর জঙ্গিরা ক্ষিপ্ত আছে এবং সেনাবাহিনীর বহিষ্কৃত মেজর জিয়া বাইরে আছে। তাই এবারের বই মেলায় জঙ্গি হামলার শঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। আজ রোববার অমর একুশে বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণ পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা জানান।
ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, অমর একুশে বইমেলা বাঙালির একটি প্রাণের মেলা। আমরা পয়লা বৈশাখ যেভাবে পালন করি বই মেলাও সেভাবেই পালন করি। আর বইমেলায় নিরাপত্তা দেওয়া ডিএমপির একটি বৃহৎ একটি কর্মকাণ্ডে পরিণত হয়েছে।
নিরাপত্তার বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, মেলার মূল প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। এ ছাড়া দোয়েল চত্বর, শহীদ মিনার কেন্দ্রিক ও শাহবাগ, টিএসসি কেন্দ্রিক একটি নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্যগুলো হলো বাংলা একাডেমি, টিএসসি, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও শহীদ মিনার, শাহবাগ, নীলক্ষেত এলাকায় একটি প্রাথমিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। এদিকে কোনো গাড়ি প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। পাশাপাশি সন্দেহজনক কিছু দেখলে তাদের তল্লাশি করা হবে। মেলার মূল প্রাঙ্গণে বিশেষ নিরাপত্তা থাকবে। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে দুটি গেট, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৪টি প্রবেশ ও ৪টি বের হওয়ার গেট থাকবে। প্রতিটি প্রবেশের রাস্তায় মেটাল ডিটেক্টর থাকবে, সার্চিং করা হবে। পাশাপাশি সন্দেহ হলে আলাদা রুম থাকবে সেখানে নিয়ে তল্লাশি করা হবে।
ডিএমপি কমিশনার জানান, বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ মেলা ও এর আশপাশের প্রতিটি সড়ক সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। যে সকল সড়ক ব্যবহার করে দর্শনার্থীরা মেলায় আসে সেই সড়কসহ মেলার প্রতিটি ইঞ্চি সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। এ ছাড়া মেলার ভেতর ও বাইরে সাদা পোশাকে ফোর্স মোতায়েন থাকবে। পাশাপাশি ডিবি, সিটিটিসি, মোবাইল টিম মোতায়েন থাকবে। এ ছাড়া মেলায় ডগ স্কোয়াড, বোম ডিস্পোজাল ইউনিট সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে। সোয়াতের ভ্যান, সিআইডির পক্ষ থেকে সরবরাহ করা ক্রাইম সিন ভ্যান থাকবে। এ ছাড়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সার্বক্ষণিক অবস্থান করবেন। তারা যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি হলে তারা কাজ করবে। মেডিকেল টিম থাকবে। খাওয়ার পানি সরবরাহ করা হবে। কন্ট্রোল রুমের ভেতরে শিশুদের জন্য ব্রেস্ট ফিডিংয়ের স্থান থাকবে।
জঙ্গি হামলার আশঙ্কা আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি প্রধান বলেন, অভিজিৎ হত্যা মামলার রায়ে জঙ্গিরা ক্ষিপ্ত হওয়া স্বাভাবিক বলে আমরা মনে করছি। আমাদের যে আলোচনা হয়েছে সেখানেও চুল চেরা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। তবে তাদের মূল নেতা মেজর জিয়া সে এখানও বাইরে আছে। তবে এই ঝুঁকিকে একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছি না। এই বিষয়টি মাথায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
উসকানিমূলক বইয়ের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আপনারা জানেন আমাদের লিটল ম্যাগাজিন চত্বরে হঠাৎ করে কিছু আপত্তিকর বই চলে আসে। এটা নিয়ে হইচই শুরু হয়ে যায়। এটা নিয়ে আমাদের প্রস্তুতি মিটিং এ আমরা আলোচনা করেছি। আসলে বাংলা একাডেমিতে প্রতিদিন যে শত শত বই প্রকাশিত হয় সে বই মনিটরিং করা প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। এতগুলো বই পড়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। তবে এগুলোকে মনিটরিং করতে আমাদের সিটিটিসির পক্ষ থেকে লোক থাকবে। তারা প্রতিদিন কী কী বই আসছে সেটি আমরা আলাদা করে ব্যবস্থা করব। এখন রাত্রে বেলা যদি কেউ বই এনে রাখেন তাহলে সে দায় স্টল মালিক ও প্রকাশককে নিতে হবে।
মেলায় প্রবেশের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যে নির্দেশনা আছে সেগুলো মেনে চলা হবে। মাস্ক ছাড়া মেলায় প্রবেশ করা যাবে না এবং গেটে শরীরের তাপমাত্রা মাপা হবে। মেলার ভেতরে মোবাইল টিম থাকবে। স্টলের প্রত্যেকে করোনা টিকা দেওয়ার প্রত্যয়নপত্র দেখাতে হবে। না হলে জরিমানা করা হবে।
অভিজিৎ হত্যা রায়ের পর জঙ্গিরা ক্ষিপ্ত আছে এবং সেনাবাহিনীর বহিষ্কৃত মেজর জিয়া বাইরে আছে। তাই এবারের বই মেলায় জঙ্গি হামলার শঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। আজ রোববার অমর একুশে বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণ পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা জানান।
ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, অমর একুশে বইমেলা বাঙালির একটি প্রাণের মেলা। আমরা পয়লা বৈশাখ যেভাবে পালন করি বই মেলাও সেভাবেই পালন করি। আর বইমেলায় নিরাপত্তা দেওয়া ডিএমপির একটি বৃহৎ একটি কর্মকাণ্ডে পরিণত হয়েছে।
নিরাপত্তার বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, মেলার মূল প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। এ ছাড়া দোয়েল চত্বর, শহীদ মিনার কেন্দ্রিক ও শাহবাগ, টিএসসি কেন্দ্রিক একটি নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্যগুলো হলো বাংলা একাডেমি, টিএসসি, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও শহীদ মিনার, শাহবাগ, নীলক্ষেত এলাকায় একটি প্রাথমিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। এদিকে কোনো গাড়ি প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। পাশাপাশি সন্দেহজনক কিছু দেখলে তাদের তল্লাশি করা হবে। মেলার মূল প্রাঙ্গণে বিশেষ নিরাপত্তা থাকবে। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে দুটি গেট, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৪টি প্রবেশ ও ৪টি বের হওয়ার গেট থাকবে। প্রতিটি প্রবেশের রাস্তায় মেটাল ডিটেক্টর থাকবে, সার্চিং করা হবে। পাশাপাশি সন্দেহ হলে আলাদা রুম থাকবে সেখানে নিয়ে তল্লাশি করা হবে।
ডিএমপি কমিশনার জানান, বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ মেলা ও এর আশপাশের প্রতিটি সড়ক সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। যে সকল সড়ক ব্যবহার করে দর্শনার্থীরা মেলায় আসে সেই সড়কসহ মেলার প্রতিটি ইঞ্চি সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। এ ছাড়া মেলার ভেতর ও বাইরে সাদা পোশাকে ফোর্স মোতায়েন থাকবে। পাশাপাশি ডিবি, সিটিটিসি, মোবাইল টিম মোতায়েন থাকবে। এ ছাড়া মেলায় ডগ স্কোয়াড, বোম ডিস্পোজাল ইউনিট সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে। সোয়াতের ভ্যান, সিআইডির পক্ষ থেকে সরবরাহ করা ক্রাইম সিন ভ্যান থাকবে। এ ছাড়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সার্বক্ষণিক অবস্থান করবেন। তারা যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি হলে তারা কাজ করবে। মেডিকেল টিম থাকবে। খাওয়ার পানি সরবরাহ করা হবে। কন্ট্রোল রুমের ভেতরে শিশুদের জন্য ব্রেস্ট ফিডিংয়ের স্থান থাকবে।
জঙ্গি হামলার আশঙ্কা আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি প্রধান বলেন, অভিজিৎ হত্যা মামলার রায়ে জঙ্গিরা ক্ষিপ্ত হওয়া স্বাভাবিক বলে আমরা মনে করছি। আমাদের যে আলোচনা হয়েছে সেখানেও চুল চেরা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। তবে তাদের মূল নেতা মেজর জিয়া সে এখানও বাইরে আছে। তবে এই ঝুঁকিকে একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছি না। এই বিষয়টি মাথায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
উসকানিমূলক বইয়ের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আপনারা জানেন আমাদের লিটল ম্যাগাজিন চত্বরে হঠাৎ করে কিছু আপত্তিকর বই চলে আসে। এটা নিয়ে হইচই শুরু হয়ে যায়। এটা নিয়ে আমাদের প্রস্তুতি মিটিং এ আমরা আলোচনা করেছি। আসলে বাংলা একাডেমিতে প্রতিদিন যে শত শত বই প্রকাশিত হয় সে বই মনিটরিং করা প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। এতগুলো বই পড়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। তবে এগুলোকে মনিটরিং করতে আমাদের সিটিটিসির পক্ষ থেকে লোক থাকবে। তারা প্রতিদিন কী কী বই আসছে সেটি আমরা আলাদা করে ব্যবস্থা করব। এখন রাত্রে বেলা যদি কেউ বই এনে রাখেন তাহলে সে দায় স্টল মালিক ও প্রকাশককে নিতে হবে।
মেলায় প্রবেশের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যে নির্দেশনা আছে সেগুলো মেনে চলা হবে। মাস্ক ছাড়া মেলায় প্রবেশ করা যাবে না এবং গেটে শরীরের তাপমাত্রা মাপা হবে। মেলার ভেতরে মোবাইল টিম থাকবে। স্টলের প্রত্যেকে করোনা টিকা দেওয়ার প্রত্যয়নপত্র দেখাতে হবে। না হলে জরিমানা করা হবে।
মৌলভীবাজারের সৌন্দর্য বাড়িয়েছে নদী আর ছড়া। এ জেলায় রয়েছে কয়েক শ ছড়া। কিন্তু সিলিকা বালু লুটের কারণে এসব ছড়া শ্রীহীন হয়ে পড়ছে। বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ। এখানকার অর্ধশতাধিক ছড়া থেকে রাতের আঁধারে একটি মহল বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে; কিন্তু তা ঠেকানোর দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেই। প্রশাস
১ ঘণ্টা আগেসন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জের এক বিএনপি নেতা আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ-সংক্রান্ত তিনজনের একটি ফোনকল রেকর্ড ছড়িয়ে পড়েছে। এ ফোনকল রেকর্ড নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় চলছে।
১ ঘণ্টা আগেটাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বছরে জমির নামজারি বা খারিজ হয় ৭ হাজারের অধিক। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বা এসি ল্যান্ড কার্যালয়ের এলআর (লোকাল রিলেশনস) ফান্ডের নামে নেওয়া হয় ২ হাজার টাকা। সেই সঙ্গে পৌর ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসগুলোর কন্টিনজেন্সি বিলের (খাতা, কলমসহ আনুষঙ্গিক খরচ) জন্য বরাদ্দ আসে বছরে সাড়ে ৩ থেকে ৫
২ ঘণ্টা আগেকৃষি ব্যাংকের খুলনার পূর্ব রূপসা শাখা থেকে লকার ভেঙে কয়েক লাখ টাকা নিয়ে গেছে সংঘবদ্ধ চোরেরা। শুক্রবার রাতে বিষয়টি ধরা পড়ে। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার মধ্যে কোনো এক সময়ে এ চুরির ঘটনা ঘটতে পারে বলে পুলিশের ধারণা। ব্যাংক এবং আশপাশের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে চোরদের শনাক্ত করার চেষ্টা
৩ ঘণ্টা আগে