গাজীপুর প্রতিনিধি
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘তারেক রহমানের দেশে ফিরে আসতে কোনো অসুবিধা নেই। তিনি বাংলাদেশের নাগরিক। ইচ্ছা করলে যেকোনো সময় দেশে ফিরতে পারেন। তিনি যখন মনে করবেন, তখনই দেশে ফিরবেন।’
আজ বৃহস্পতিবার গাজীপুর মহানগরের সালনা এলাকায় হাইওয়ে থানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। উপদেষ্টা বেলা ১১টার দিকে সালনা হাইওয়ে থানায় পৌঁছান এবং গাড়ি থেকে নেমে প্রথমেই সাংবাদিকদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করেন। পরে তিনি থানাটি পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা খণ্ডিত রিপোর্ট করবেন না। আমরা যা বলি, সেটি পুরোপুরি তুলে ধরবেন। রিপোর্ট করার সময় খণ্ডিতভাবে কিছু উপস্থাপন করবেন না। কারণ খণ্ডিত রিপোর্ট পার্শ্ববর্তী কিছু দেশ তাদের স্বার্থে ব্যবহার করে এবং মিথ্যা প্রচার চালায়। এ জন্য অনুরোধ করছি—রিপোর্ট করলে তা পুরোটা করবেন।’
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্ন করেন, ‘আপনারা আর খণ্ডিত রিপোর্ট করবেন না তো?’ জবাবে সাংবাদিকেরা সম্মতিসূচক প্রতিশ্রুতি দেন।
পরে উপদেষ্টা আবারও সাংবাদিকদের অনুরোধ করে বলেন, ‘আমি যে মাস্কগুলো দিয়েছি, সেগুলো ব্যবহার করুন এবং অন্যদেরও মাস্ক ব্যবহারে উৎসাহিত করুন। মাস্ক পকেটে নয়, নাকে রাখতে হবে।’
এ ছাড়া তিনি পলিথিন বর্জনের বিষয়ে সচেতনতা তৈরির আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আপনারা নিজেরা পলিথিন ব্যবহার পরিহার করবেন এবং জনমত গড়ে তুলবেন, যাতে সবাই পলিথিন বর্জনে উৎসাহিত হয়।’
ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে পুশইন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে লিখেছি। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ইতিমধ্যে গণমাধ্যমে এ বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কোনো বাংলাদেশি নাগরিক যদি সেখানে থাকে, আমরা তাকে অবশ্যই গ্রহণ করব। তবে তা প্রপার চ্যানেলের মাধ্যমে হতে হবে। কিন্তু ভারতীয়রা তা অনুসরণ না করে জঙ্গলে, রাস্তায়—বিভিন্ন স্থানে অনুপ্রবেশ ঘটাচ্ছে, যা অমানবিক এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। এ বিষয়ে আমরা ভারতীয় হাইকমিশনারকেও জানিয়েছি।’
করোনা সংক্রমণসংক্রান্ত একটি প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, ‘এভাবে যাদের পুশইন করা হচ্ছে, তাদের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থাকায় স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী তাদের পরীক্ষা করা হচ্ছে।’
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘করোনা নিয়ে আপনারা প্রশ্ন করছেন, অথচ নিজেরাই মাস্ক পরছেন না। এতে আপনারা নিজেরাও ঝুঁকিতে পড়বেন এবং অন্যদেরও ঝুঁকিতে ফেলবেন। আমি যে মাস্ক দিয়েছি, তা ব্যবহার করুন। আর দোয়া করবেন—ভালো থাকবেন।’
পরে উপদেষ্টা গাজীপুর সদর উপজেলার রাজেন্দ্রপুর এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ৬৩ গাজীপুর ব্যাটালিয়নের প্রধান কার্যালয় পরিদর্শন করেন। তিনি সেখানে বিজিবির বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হন এবং একটি গাছের চারা রোপণ করেন। পরবর্তীতে তাঁর গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় কৃষি বিভাগের একটি প্রকল্প পরিদর্শনের কথা রয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন— হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি শফিকুল ইসলাম, গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার তাহেরুল হক চৌহান, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফিন, গাজীপুর জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী মো. যাবের সাদেকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘তারেক রহমানের দেশে ফিরে আসতে কোনো অসুবিধা নেই। তিনি বাংলাদেশের নাগরিক। ইচ্ছা করলে যেকোনো সময় দেশে ফিরতে পারেন। তিনি যখন মনে করবেন, তখনই দেশে ফিরবেন।’
আজ বৃহস্পতিবার গাজীপুর মহানগরের সালনা এলাকায় হাইওয়ে থানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। উপদেষ্টা বেলা ১১টার দিকে সালনা হাইওয়ে থানায় পৌঁছান এবং গাড়ি থেকে নেমে প্রথমেই সাংবাদিকদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করেন। পরে তিনি থানাটি পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা খণ্ডিত রিপোর্ট করবেন না। আমরা যা বলি, সেটি পুরোপুরি তুলে ধরবেন। রিপোর্ট করার সময় খণ্ডিতভাবে কিছু উপস্থাপন করবেন না। কারণ খণ্ডিত রিপোর্ট পার্শ্ববর্তী কিছু দেশ তাদের স্বার্থে ব্যবহার করে এবং মিথ্যা প্রচার চালায়। এ জন্য অনুরোধ করছি—রিপোর্ট করলে তা পুরোটা করবেন।’
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্ন করেন, ‘আপনারা আর খণ্ডিত রিপোর্ট করবেন না তো?’ জবাবে সাংবাদিকেরা সম্মতিসূচক প্রতিশ্রুতি দেন।
পরে উপদেষ্টা আবারও সাংবাদিকদের অনুরোধ করে বলেন, ‘আমি যে মাস্কগুলো দিয়েছি, সেগুলো ব্যবহার করুন এবং অন্যদেরও মাস্ক ব্যবহারে উৎসাহিত করুন। মাস্ক পকেটে নয়, নাকে রাখতে হবে।’
এ ছাড়া তিনি পলিথিন বর্জনের বিষয়ে সচেতনতা তৈরির আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আপনারা নিজেরা পলিথিন ব্যবহার পরিহার করবেন এবং জনমত গড়ে তুলবেন, যাতে সবাই পলিথিন বর্জনে উৎসাহিত হয়।’
ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে পুশইন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে লিখেছি। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ইতিমধ্যে গণমাধ্যমে এ বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কোনো বাংলাদেশি নাগরিক যদি সেখানে থাকে, আমরা তাকে অবশ্যই গ্রহণ করব। তবে তা প্রপার চ্যানেলের মাধ্যমে হতে হবে। কিন্তু ভারতীয়রা তা অনুসরণ না করে জঙ্গলে, রাস্তায়—বিভিন্ন স্থানে অনুপ্রবেশ ঘটাচ্ছে, যা অমানবিক এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। এ বিষয়ে আমরা ভারতীয় হাইকমিশনারকেও জানিয়েছি।’
করোনা সংক্রমণসংক্রান্ত একটি প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, ‘এভাবে যাদের পুশইন করা হচ্ছে, তাদের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থাকায় স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী তাদের পরীক্ষা করা হচ্ছে।’
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘করোনা নিয়ে আপনারা প্রশ্ন করছেন, অথচ নিজেরাই মাস্ক পরছেন না। এতে আপনারা নিজেরাও ঝুঁকিতে পড়বেন এবং অন্যদেরও ঝুঁকিতে ফেলবেন। আমি যে মাস্ক দিয়েছি, তা ব্যবহার করুন। আর দোয়া করবেন—ভালো থাকবেন।’
পরে উপদেষ্টা গাজীপুর সদর উপজেলার রাজেন্দ্রপুর এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ৬৩ গাজীপুর ব্যাটালিয়নের প্রধান কার্যালয় পরিদর্শন করেন। তিনি সেখানে বিজিবির বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হন এবং একটি গাছের চারা রোপণ করেন। পরবর্তীতে তাঁর গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় কৃষি বিভাগের একটি প্রকল্প পরিদর্শনের কথা রয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন— হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি শফিকুল ইসলাম, গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার তাহেরুল হক চৌহান, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফিন, গাজীপুর জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী মো. যাবের সাদেকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
গত জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে ভারী বৃষ্টির কারণে নোয়াখালীর আটটি উপজেলার বেশির ভাগ এলাকায় দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। অব্যাহত বৃষ্টি ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় ডুবে যায় জেলার বিভিন্ন সড়ক, মহল্লা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। জেলার ১৭৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সেই জলাবদ্ধতা এখনো রয়ে গেছে। এক মাসের বেশি এই জলাবদ্ধতায়
২১ মিনিট আগেসরকারি কেনাকাটার ক্ষেত্রে যে ঠিকাদার সর্বনিম্ন দরে মালপত্র সরবরাহ করবেন, তাকেই কাজ দেওয়ার কথা। তবে উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে রাজশাহী আঞ্চলিক দুগ্ধ ও গবাদি উন্নয়ন খামারে। এখানে সর্বনিম্ন নয়, যাঁরা সর্বোচ্চ দর দিয়েছেন—তাঁদেরই কাজ দেওয়া হয়েছে। এতে সরকারের প্রায় ৯২ লাখ টাকা বাড়তি খরচ হচ্ছে।
২৬ মিনিট আগেবিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) নিয়োগ-বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সম্প্রতি কারাগারে যেতে হয়েছে সাবেক উপাচার্য আব্দুস সাত্তারকে। তবে এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটি গত পাঁচ মাসেও কাজ
৩১ মিনিট আগেউড়োজাহাজের অনলাইন টিকিট বুকিংয়ে দেশের অন্যতম প্ল্যাটফর্ম ফ্লাইট এক্সপার্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সালমান বিন রশিদ শাহ সাইমের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়ার মুরাদপুর গ্রামে। এই গ্রাম, উপজেলা, এমনকি পাশের ফরিদগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দাদের কাছ থেকেও তাঁরা টাকাপয়সা হাতিয়ে নিয়েছেন ব্যবসার নামে।
১ ঘণ্টা আগে