মনজুরুল ইসলাম, ঢাকা
জালিয়াতির কারণে সাদিয়া আহমেদ ও আল মেহেদী ইসলামের পাইলট লাইসেন্স বাতিল করবে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। একই সঙ্গে তাঁদের দুজনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেবিচক।
বেসামরিক বিমান চলাচল আইন অনুযায়ী, যদি কোনো ব্যক্তি শিক্ষাসনদ, নিবন্ধনসনদ, লাইসেন্স বা পারমিট জাল কিংবা পরিবর্তন করেন বা করার চেষ্টা করেন, তাহলে অনধিক ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা ১ কোটি টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন।
এ প্রসঙ্গে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাদিয়া আহমেদ ও আল মেহেদী ইসলাম বেবিচকে চাকরি করতেন না। তাঁদের বিরুদ্ধে যখন অভিযোগ ওঠে, তখন তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত ছাড়া তো কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। এখন তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিহাসে এমন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা আগে কখনো হয়নি, এবার হবে। যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ জালিয়াতি করার সাহস না পায়।’
জানা গেছে, বোয়িং-৭৭৭ উড়োজাহাজের জন্য আটজন ক্যাপ্টেন ও ছয়জন ফার্স্ট অফিসার ৫ বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের জন্য ২০২১ সালে ২৩ নভেম্বর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। সেখানে প্রাথমিকভাবে কয়েকজনকে নির্বাচন করা হয়, যাঁদের দক্ষতা ও যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
সেই সময় ফার্স্ট অফিসার হিসেবে নির্বাচিত আল মেহেদী ইসলাম জমা দিয়েছেন এয়ারলাইন ট্রান্সপোর্ট পাইলট লাইসেন্সের (এটিপিএল) জাল সনদ। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের ফ্লাইট সেফটি বিভাগের সহকারী পরিচালকের স্বাক্ষর জাল করে তিনি এই সার্টিফিকেট জমা দেন।
অন্যদিকে বিজ্ঞান বিভাগে না পড়েও জাল শিক্ষাসনদ জমা দিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন সাদিয়া আহমেদ। তিনি বিমানের সাবেক চিফ অব ট্রেনিং ক্যাপ্টেন সাজিদ আহমেদের স্ত্রী। তাঁর চাকরিজীবন শুরু হয় জিএমজি এয়ারলাইনসের একজন ক্যাবিন ক্রু হিসেবে। পরে তিনি রিজেন্ট এয়ারওয়েজে ফার্স্ট অফিসার হিসেবে নিয়োগ পেলেও বিভিন্ন ত্রুটি-বিচ্যুতি, দুর্ঘটনা ও অদক্ষতার কারণে চাকরি হারাতে হয়।
সূত্র জানায়, সাদিয়া আহমেদ বিমানে যে সার্টিফিকেট জমা দিয়েছেন, সেটি অনুযায়ী, তিনি ২০০১ সালে আনোয়ার গার্লস কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন। তাঁর রোল নম্বর ৩০০১০৬, রেজিস্ট্রেশন নম্বর ৯৯৯৫৯১। শিক্ষা বোর্ডে অনুসন্ধান করে দেখা যায়, তিনি শহীদ আনোয়ার গার্লস কলেজ থেকে মানবিক শাখা থেকে দ্বিতীয় বিভাগে পাস করেছিলেন। অথচ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের নিয়ম অনুযায়ী, পাইলট হতে গেলে পদার্থবিজ্ঞান, গণিতসহ এইচএসসি বা সমমানের সনদ থাকতে হবে।
স্বামীর প্রভাবে সাদিয়া আহমেদ বিমানে নিয়োগ পান। বিমানের চুক্তিতে বলা হয়েছে, তাঁর মূল বেতন ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা, বাড়িভাড়া হিসেবে পাবেন ৮৫ হাজার টাকা। যদিও পরে জালিয়াতি ধরা পড়লে চুক্তি বাতিল করে বিমান।
পাইলট নিয়োগে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তুলেছেন বিমানের পাইলটরাও। বিমানের পাইলটদের সংগঠন বাংলাদেশ এয়ারলাইন পাইলট অ্যাসোসিয়েশন (বাপা) ২০২২ আগস্টে লিখিতভাবে বিমানে পাইলট নিয়োগের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ও দেশীয় আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। তাঁরা বলেছেন, বিমানের কর্মকর্তাদের স্বজনেরা নিয়োগের ক্ষেত্রে সুবিধা পেয়েছেন।
জালিয়াতির কারণে সাদিয়া আহমেদ ও আল মেহেদী ইসলামের পাইলট লাইসেন্স বাতিল করবে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। একই সঙ্গে তাঁদের দুজনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেবিচক।
বেসামরিক বিমান চলাচল আইন অনুযায়ী, যদি কোনো ব্যক্তি শিক্ষাসনদ, নিবন্ধনসনদ, লাইসেন্স বা পারমিট জাল কিংবা পরিবর্তন করেন বা করার চেষ্টা করেন, তাহলে অনধিক ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা ১ কোটি টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন।
এ প্রসঙ্গে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাদিয়া আহমেদ ও আল মেহেদী ইসলাম বেবিচকে চাকরি করতেন না। তাঁদের বিরুদ্ধে যখন অভিযোগ ওঠে, তখন তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত ছাড়া তো কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। এখন তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিহাসে এমন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা আগে কখনো হয়নি, এবার হবে। যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ জালিয়াতি করার সাহস না পায়।’
জানা গেছে, বোয়িং-৭৭৭ উড়োজাহাজের জন্য আটজন ক্যাপ্টেন ও ছয়জন ফার্স্ট অফিসার ৫ বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের জন্য ২০২১ সালে ২৩ নভেম্বর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। সেখানে প্রাথমিকভাবে কয়েকজনকে নির্বাচন করা হয়, যাঁদের দক্ষতা ও যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
সেই সময় ফার্স্ট অফিসার হিসেবে নির্বাচিত আল মেহেদী ইসলাম জমা দিয়েছেন এয়ারলাইন ট্রান্সপোর্ট পাইলট লাইসেন্সের (এটিপিএল) জাল সনদ। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের ফ্লাইট সেফটি বিভাগের সহকারী পরিচালকের স্বাক্ষর জাল করে তিনি এই সার্টিফিকেট জমা দেন।
অন্যদিকে বিজ্ঞান বিভাগে না পড়েও জাল শিক্ষাসনদ জমা দিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন সাদিয়া আহমেদ। তিনি বিমানের সাবেক চিফ অব ট্রেনিং ক্যাপ্টেন সাজিদ আহমেদের স্ত্রী। তাঁর চাকরিজীবন শুরু হয় জিএমজি এয়ারলাইনসের একজন ক্যাবিন ক্রু হিসেবে। পরে তিনি রিজেন্ট এয়ারওয়েজে ফার্স্ট অফিসার হিসেবে নিয়োগ পেলেও বিভিন্ন ত্রুটি-বিচ্যুতি, দুর্ঘটনা ও অদক্ষতার কারণে চাকরি হারাতে হয়।
সূত্র জানায়, সাদিয়া আহমেদ বিমানে যে সার্টিফিকেট জমা দিয়েছেন, সেটি অনুযায়ী, তিনি ২০০১ সালে আনোয়ার গার্লস কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন। তাঁর রোল নম্বর ৩০০১০৬, রেজিস্ট্রেশন নম্বর ৯৯৯৫৯১। শিক্ষা বোর্ডে অনুসন্ধান করে দেখা যায়, তিনি শহীদ আনোয়ার গার্লস কলেজ থেকে মানবিক শাখা থেকে দ্বিতীয় বিভাগে পাস করেছিলেন। অথচ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের নিয়ম অনুযায়ী, পাইলট হতে গেলে পদার্থবিজ্ঞান, গণিতসহ এইচএসসি বা সমমানের সনদ থাকতে হবে।
স্বামীর প্রভাবে সাদিয়া আহমেদ বিমানে নিয়োগ পান। বিমানের চুক্তিতে বলা হয়েছে, তাঁর মূল বেতন ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা, বাড়িভাড়া হিসেবে পাবেন ৮৫ হাজার টাকা। যদিও পরে জালিয়াতি ধরা পড়লে চুক্তি বাতিল করে বিমান।
পাইলট নিয়োগে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তুলেছেন বিমানের পাইলটরাও। বিমানের পাইলটদের সংগঠন বাংলাদেশ এয়ারলাইন পাইলট অ্যাসোসিয়েশন (বাপা) ২০২২ আগস্টে লিখিতভাবে বিমানে পাইলট নিয়োগের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ও দেশীয় আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। তাঁরা বলেছেন, বিমানের কর্মকর্তাদের স্বজনেরা নিয়োগের ক্ষেত্রে সুবিধা পেয়েছেন।
বগুড়ায় আজগর আলী পিয়াল নামের এক অটোরিকশাচালককে হত্যার মামলায় দুজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এই মামলায় আরও একজনকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
৬ মিনিট আগেজ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমেদের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে ৯০ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং পাঁচটি ব্যাংক হিসাবে ৬ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগে আনা হয়েছে।
১২ মিনিট আগেচকলেট ও বিস্কুটের প্রলোভন দেখিয়ে পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি মো. ইউসুফ আলী পাটোয়ারীকে (৬৫) গ্রেপ্তার করেছে কদমতলী থানা-পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) ভোরে সবুজবাগের বাসাবো এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বুধবার বিকেলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড
১৭ মিনিট আগেগাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বাড়িতে হামলা করে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে তুলে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার কামারদহ ইউনিয়নের ব্যাপারিপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। তবে অপহৃত ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় সঞ্চয় নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
২০ মিনিট আগে