কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি
এক বেলা রান্না করে তিন বেলা খেতে হচ্ছে মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজনকে। সিলিন্ডার গ্যাসের দাম হঠাৎ ব্যাপক বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ। আকাশছোঁয়া দামে নিত্যপণ্য কেনাই যেখানে দুঃসাধ্য, সেখানে গ্যাসের দামের এই ঊর্ধ্বগতি সামাল দিতে পারছে না তারা। তাই দিনে এক বেলা রান্না করে ব্যয় কমিয়ে আনতে হচ্ছে।
গাজীপুরের কালীগঞ্জের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি গ্যাস সিলিন্ডারে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা বেড়েছে। হঠাৎ এত টাকা বেড়ে যাওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে বেচাকেনায়। ইতিমধ্যে হোটেলে খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে। খরচ বাঁচাতে গ্যাসের ব্যবহার সীমিত করেছেন ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দেশের মানুষ যখন হিমশিম খাচ্ছে, তখন আবারও গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বাড়ায় সংসারের খরচ সমন্বয় করতে হচ্ছে।
উপজেলার বাসিন্দা গৃহিণী আতিফা দেওয়ান খাতুন বলেন, ‘আমি একটি পোশাক রপ্তানি প্রতিষ্ঠানে কাজ করি। স্বামী নেই বিধায় বাবার বাড়ির কাছাকাছি ভাড়া থাকি। শারীরিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় ঠিকমতো কাজও করতে পারছি না। মাসের বেতনই যেখানে ঠিকমতো পাই না, সেখানে কীভাবে সংসার চালাব বুঝতে পারছি না। গ্যাসের দাম যেভাবে বেড়েছে, তাতে এক বেলা রান্না করে তিন বেলা খেতে হবে। এ ছাড়া উপায় নেই।
হোটেল ব্যবসায়ী মো. আরমান মোল্লা বলেন, প্রতি মাসে তাঁর ৩০ কেজির তিনটি সিলিন্ডার লাগে। ময়দার দাম বেড়েছে আগেই, তাই খাদ্যের দামও বাড়িয়েছিলেন। এই অবস্থায় নতুন করে গ্যাসের দাম বেড়ে যাওয়ায় আবার তাঁকে দাম বাড়াতে হবে। ব্যবসায় এমনিতেই খারাপ অবস্থা, তার ওপর আবার দাম বাড়ালে ব্যবসায় টিকে থাকাই কঠিন।
উপজেলার বাসিন্দা মো. আকরাম হোসেন গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিরক্ত। তিনি একজন দিনমজুর। সারা দিন কাজ করে যে কয় টাকা আয় করেন, তাতে তাঁর সংসার চালানোই দায়।
আকরাম হোসেন বলেন, ‘এভাবে কি বেঁচে থাকা যায়? চাল-ডাল—সব কিনছি বেশি টাকা দিয়ে, গাড়িভাড়াও বেড়েছে। কিন্তু আমাদের মজুরি তো বাড়েনি। ছেলেমেয়ে নিয়ে কীভাবে কী করব, কীভাবে বাঁচব জানি না।’
গৃহিণী সেলিনা বেগম বলেন, ‘বাজারের প্রতিটি জিনিসের দামে যেন আগুন। এই অবস্থায় আবার বাড়ল গ্যাসের দাম। আমাদের না খেয়েই মরতে হবে। আমাদের কথা শোনার মতো কেউ নেই।’
গ্যাস ব্যবসায়ী মো. মাসুদ মিয়া বলেন, ‘বাজারে কিছুদিন ধরে গ্যাসের সংকট চলছিল। ধারণা করছিলাম, এমন কিছু একটা হতে পারে। হঠাৎই প্রতিটি কোম্পানি একযোগে দাম বাড়িয়েছে। দাম বাড়ানোয় আমাদের বেচাকেনাও কমেছে অনেক। আর ক্রেতারা এসে আমাদের ওপরই ক্ষোভ ঝাড়ে। যেন আমরাই দাম বাড়িয়েছি।’
এক বেলা রান্না করে তিন বেলা খেতে হচ্ছে মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজনকে। সিলিন্ডার গ্যাসের দাম হঠাৎ ব্যাপক বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ। আকাশছোঁয়া দামে নিত্যপণ্য কেনাই যেখানে দুঃসাধ্য, সেখানে গ্যাসের দামের এই ঊর্ধ্বগতি সামাল দিতে পারছে না তারা। তাই দিনে এক বেলা রান্না করে ব্যয় কমিয়ে আনতে হচ্ছে।
গাজীপুরের কালীগঞ্জের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি গ্যাস সিলিন্ডারে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা বেড়েছে। হঠাৎ এত টাকা বেড়ে যাওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে বেচাকেনায়। ইতিমধ্যে হোটেলে খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে। খরচ বাঁচাতে গ্যাসের ব্যবহার সীমিত করেছেন ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দেশের মানুষ যখন হিমশিম খাচ্ছে, তখন আবারও গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বাড়ায় সংসারের খরচ সমন্বয় করতে হচ্ছে।
উপজেলার বাসিন্দা গৃহিণী আতিফা দেওয়ান খাতুন বলেন, ‘আমি একটি পোশাক রপ্তানি প্রতিষ্ঠানে কাজ করি। স্বামী নেই বিধায় বাবার বাড়ির কাছাকাছি ভাড়া থাকি। শারীরিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় ঠিকমতো কাজও করতে পারছি না। মাসের বেতনই যেখানে ঠিকমতো পাই না, সেখানে কীভাবে সংসার চালাব বুঝতে পারছি না। গ্যাসের দাম যেভাবে বেড়েছে, তাতে এক বেলা রান্না করে তিন বেলা খেতে হবে। এ ছাড়া উপায় নেই।
হোটেল ব্যবসায়ী মো. আরমান মোল্লা বলেন, প্রতি মাসে তাঁর ৩০ কেজির তিনটি সিলিন্ডার লাগে। ময়দার দাম বেড়েছে আগেই, তাই খাদ্যের দামও বাড়িয়েছিলেন। এই অবস্থায় নতুন করে গ্যাসের দাম বেড়ে যাওয়ায় আবার তাঁকে দাম বাড়াতে হবে। ব্যবসায় এমনিতেই খারাপ অবস্থা, তার ওপর আবার দাম বাড়ালে ব্যবসায় টিকে থাকাই কঠিন।
উপজেলার বাসিন্দা মো. আকরাম হোসেন গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিরক্ত। তিনি একজন দিনমজুর। সারা দিন কাজ করে যে কয় টাকা আয় করেন, তাতে তাঁর সংসার চালানোই দায়।
আকরাম হোসেন বলেন, ‘এভাবে কি বেঁচে থাকা যায়? চাল-ডাল—সব কিনছি বেশি টাকা দিয়ে, গাড়িভাড়াও বেড়েছে। কিন্তু আমাদের মজুরি তো বাড়েনি। ছেলেমেয়ে নিয়ে কীভাবে কী করব, কীভাবে বাঁচব জানি না।’
গৃহিণী সেলিনা বেগম বলেন, ‘বাজারের প্রতিটি জিনিসের দামে যেন আগুন। এই অবস্থায় আবার বাড়ল গ্যাসের দাম। আমাদের না খেয়েই মরতে হবে। আমাদের কথা শোনার মতো কেউ নেই।’
গ্যাস ব্যবসায়ী মো. মাসুদ মিয়া বলেন, ‘বাজারে কিছুদিন ধরে গ্যাসের সংকট চলছিল। ধারণা করছিলাম, এমন কিছু একটা হতে পারে। হঠাৎই প্রতিটি কোম্পানি একযোগে দাম বাড়িয়েছে। দাম বাড়ানোয় আমাদের বেচাকেনাও কমেছে অনেক। আর ক্রেতারা এসে আমাদের ওপরই ক্ষোভ ঝাড়ে। যেন আমরাই দাম বাড়িয়েছি।’
রাজশাহী নগরীর শ্রীরামপুর এলাকায় পদ্মা নদীর একটি বাঁধ সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। ১১০ মিটার দৈর্ঘ্যের ওই বাঁধ সংস্কারে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ৬২ লাখ টাকা। সে হিসাবে প্রতি মিটারে খরচ ১ লাখ ৪৭ হাজার ২৭৩ টাকা। আর প্রতি ফুটে খরচ পড়ছে ৪৪ হাজার ৪৮১ টাকা। অভিযোগ উঠেছে...
৫ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে জীববৈচিত্র্য রক্ষায় মৎস্য বিভাগের নেওয়া ৪৬ কোটি টাকার একটি প্রকল্প চলছে। এরপরও মৎস্য বিভাগের ছয়টি হ্যাচারির মধ্যে মাত্র দুটি সচল। বাকিগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সেগুলোয় ডিম ফোটানোর সাকুলার ও সিস্টেন ট্রাংকের অবস্থা করুণ।
৫ ঘণ্টা আগেকক্সবাজারে সমন্বিত মানবিক সহায়তা জোরদার করার লক্ষ্যে ব্র্যাক ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। সোমবার (৫ মে) রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক সেন্টারে ‘হিউম্যানিটারিয়ান-ডেভেলপমেন্ট কোএক্সিসটেন্স নেক্সাস টু অ্যাড্রেস রোহিঙ্গা ক্রাইসিস ইন কক্সবাজার’ শীর্ষক একটি প্রকল্পের যাত্রা...
৭ ঘণ্টা আগেঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বাড্ডা ইস্টার্ন হাউজিংয়ের আফতাবনগরের দুটি ব্লক এবং স্যানভ্যালির আংশিক জায়গায় অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট।
৮ ঘণ্টা আগে